অটিজম নিয়ে কিছু কথা
পৃথিবীতে প্রতি হাজারে এক থেকে আটজন শিশু অটিজম সমস্যায় ভুগছে। মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় চার গুণ বেশি।
বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে এবং আমাদের দেশেও অটিজম অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয়। বাংলাদেশে অটিজম নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোনো জরিপ না হলেও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, কেবল ঢাকা বিভাগের শিশুদের মধ্যে অটিজমের হার প্রায় শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ (০.৮৪%)। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, সে দেশে অটিজমের হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ (০.৯%)। অটিজম নিয়ে আমাদের দেশে তো বটেই, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও রয়েছে কিছু বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা। কোন ‘বিশেষজ্ঞ’ মহল বলে, অটিজম কোনোভাবেই মানসিক সমস্যা নয়; এটা স্নায়ুগত সমস্যা ও এর চিকিৎসা করবেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা। আবার কারও মতে, এটা কেবল মানসিক বিকাশের সমস্যা। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাই পারেন এর উপযুক্ত চিকিৎসা করতে। কেউ বলেন, এটা শিশুদের সমস্যা; তাই এর জন্য দরকার শুধু শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। আর অন্য মহল দাবি করে, অটিজম কোন রোগ বা সমস্যাই নয়। এটা চিকিৎসক এবং এনজিও গুলোর বাণিজ্যিক ও পেশাগত স্বার্থ হাসিল করার একটি ইস্যু। কেবল একজন স্নায়ুরোগবিদ, মনোরোগবিদ বা একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পক্ষে অটিজমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব নয়। আবার কোনো চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই কেবল সভা-সেমিনার করে অটিস্টিক শিশুদের জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করা অসম্ভব। অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী ও সমন্বিত পরিচর্যা এবং চিকিৎসাসেবা।
অটিজম কি?
অটিজমের সাথে বিকাশগত অক্ষমতা এবং নিউরো-বায়োলজিক্যাল ডিজঅর্ডার জড়িত যা আচরণগত সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এটা কিছু সমষ্টিগত সমস্যার সম্মিলিত প্রকাশ (অটিজম স্পেকট্রাম অব ডিজঅর্ডার)। অটিজমের কারণে সাধারণত তিনটি সমস্যা দেখা দেয়া। প্রথমতঃ মৌখিক কিংবা অন্য কোন প্রকার যোগাযোগ সমস্যা, দ্বিতীয়তঃ সামাজিক বিকাশগত সমস্যা, তৃতীয়তঃ খুব সীমাবদ্ধ ও গণ্ডিবদ্ধ জীবন-যাপন ও চিন্তা-ভাবনা এবং পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ। এছাড়া অতি চাঞ্চল্য, জেদি ও আক্রমণাত্মক আচরণ, অহেতুক ভয়ভীতি, খিচুনি ইত্যাদি ও থাকতে পারে।
No existing sales at this time
No existing deals / offers at this time
No existing coupons at this time
No existing coupons at this time