উচ্চমান সহকারী: আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারন শর্তসমূহ, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাসমূহ
এই প্রতিবেদনটি মূলত সেইসব প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তৈরী, যারা উচ্চমান সহকারী হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি খুঁজছেন। নিচের বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত থাকলে এই ক্ষেত্রটিতে আবেদন করা দ্রুত এবং বেশ সহজ হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারন শর্তসমূহ -
প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা:
দ্বিতীয় বিভাগে/সমতুল্য গ্রেড পদ্ধতির এইচএসসি পাস। কিংবা
কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী।
প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
কম্পিউটার বেসিক ট্রেনিং কোর্সে উত্তীর্ণ।
অভিজ্ঞতা: সাধারনত বেশিরভাগ চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় যে, যেকোনো সরকারি/আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে অন্তত ০৩ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, এমন প্রার্থীকে আবেদনের জন্য উৎসাহিত করা হয়। এছাড়াও এর রকমফের দেখা যায়।
বয়স: ১৮ থেকে অনুর্ধ ৩০ বছরের প্রার্থীদের আবেদনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার উপর অগ্রাধিকার দেয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ভিন্ন হতে পারে। অধিকাংশতার উপর ভিত্তি করেই নিম্নোক্ত শর্তের বিষয়গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে—
- সর্বপ্রকার কোটার ক্ষেত্রে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরন করা হবে।
বেতন:
অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রেই উচ্চমান সহকারী পদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয় গ্রেড ১৪ তম স্কেল অনুযায়ী, অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ১০২০০ - ২৪৬৮০ টাকা পর্যন্ত অফার করতে দেখা যায়। এছাড়াও, ১২ তম স্কেল অনুযায়ী, অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ১১,৩০০ - ২৭,৩০০ টাকা পর্যন্তও অফার করতে দেখা যায়।
অন্যান্য সুবিধাসমূহ -
সাপ্তাহিক ছুটি: ২ টি
সরকারী গ্রেড অনুসারে সুযোগ সুবিধা
এই প্রতিবেদনটির মূল উদ্দেশ্য হলো যারা উচ্চমান সহকারী হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী শুরু করতে আগ্রহী, তারা যেন সহজেই এই ফিল্ডের বর্তমান অবস্থা বা আবেদনের জন্য দক্ষতার শর্তগুলো এক নজরে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও, প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করতে পারে যে, কোন প্রতিভাবান, কর্মশীল উচ্চমান সহকারী কম বেতন পাচ্ছেন না, কোন ক্ষেত্রেই।
রিসার্চটি মূলত চালানো হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মশীল উচ্চমান সহকারী হিসেবে চাকুরী করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সহায়তা করার জন্য। MAWbiz এখানে তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছে বিভিন্ন জব পোর্টালে পোস্ট করা চাকুরী বিজ্ঞাপনের (২১ টি) উপর ভিত্তি করে।