দক্ষিণ বাংলায় নারী শিক্ষার প্রসারে যশোরের বিদ্যোৎসাহীদের প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যশোর মহিলা কলেজ। ১৯৮০ সালে কলেজটি 'যশোর সরকারি মহিলা কলেজ' নামে জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি এই এলাকার নারী শিক্ষায় এবং সার্বিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি (পাস), ডিগ্রি (অনার্স) এবং মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠদান করা হয়। বর্তমানে কলেজে ৯টি বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। কলেজের শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকতার সাথে নারী শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কলেজের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী পরবর্তী কর্মজীবনে সাফল্য লাভ করেছন এবং দেশের জন্য অবদান রাখছেন। শ্রেণিপাঠদান ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অঙ্গনেও ছাত্রীদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। ছাত্রীরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অঙ্গনে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়েও অবদান রাখছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় ধারণ করে কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সহজলভ্য করার জন্য কলেজের ওয়েবসাইটে প্রদান করা হয় যেন সহজে দৈনন্দিন তথ্যাদি যে কোন স্থানে বসে জানা সম্ভব হয়। কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে কলেজ প্রশাসনের নেতৃত্বে শিক্ষকবৃন্দের সহযোগিতায় নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে পরবর্তী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করা হচ্ছে। ফলে ছাত্রীদের জন্য পাঠ আয়ত্ব করা অধিকতর সহজ এবং বোধগম্য হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণিকক্ষই ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা রয়েছে। কলেজের সার্বিক শৃঙ্খলার উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়াতে সমগ্র কলেজকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। অধ্যক্ষের কক্ষে বসেই পুরো কলেজ ক্যাম্পাস এক নজরে পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব হচ্ছে। আমি আশা করি, যশোর সরকারি মহিলা কলেজ নারী শিক্ষায় তথা সামগ্রিক শিক্ষায় প্রতিনিয়ত অবদান রেখে যাবে।
No existing sales at this time
No existing deals / offers at this time
No existing coupons at this time
No existing coupons at this time