বুক রিভিউ- নন্দিত নরকে

  • Reviewer: Halima Akter Tanny
  • Category: Book Review
  • Published on: Sunday, Sep 5, 2021

"ভোর হয়ে আসছে। দেখলাম চাঁদ ডুবে গেছে। বিস্তীর্ণ মাঠের উপরে চাদরের মতো পড়ে থাকা ম্লান জ্যোৎস্নাটা আর নেই।"

 

খুবই বিষাদময় একটি লাইন। ভোর হওয়ার দৃশ্য সাধারণত আমাদের মধ্যে নতুন আশার আলো জাগ্রত করে। ভোর হতে দেখা এবং ভোর হওয়ার দৃশ্য কল্পনা করলেই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সব ভোর আশার আলো নিয়ে আসে না। বিষাদময় রাত্রির সমাপ্তি নিয়ে আসে না। কিছু কিছু ভোর জ্যোৎস্নাস্নাত রাত্রির চেয়েও বিষাদময় হয়। আবার, জ্যোৎস্নাও ম্লান হতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন তা কীভাবে হয়? প্রকৃতির সাথে মানবমনের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভোর, জ্যোৎস্না, বৃষ্টি যেমন বিষাদভরা মনকে মুহূর্তেই চনমনে করে তুলতে পারে তেমনি একইভাবে এই বিষাদে ভরা মনের কাছে জাগতিক সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যেতে পারে। এরকমই একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে জ্যোৎস্নাস্নাত রাতও ম্লান মনে হয়েছে। আরো পাঁচ-দশটা নিম্নবিত্ত পরিবারের মত সেই পরিবারটিরও অভাব, সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন সবকিছু নিয়ে একরকম জীবনটা ভালোই চলছিল। তাহলে কী এমন ঘটল যে একটি পরিবারের কাছে মুহূর্তেই সবকিছু অর্থহীন, ম্লান  হয়ে গেল? কী জানতে ইচ্ছে করছে? চলুন পরিবারটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

 

বই: নন্দিত নরকে

 

লেখক: হুমায়ূন আহমেদ

 

ধরণ: সামাজিক উপন্যাস

 

প্রকাশকাল: ১৯৭২

 

প্রকাশনা: খান ব্রাদার্স 

 

পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৭০

 

ব্যক্তিগত রেটিং: ১০/১০

 

কাহিনিসংক্ষেপ:

 

একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের গল্প। পরিবারটির সদস্যসংখ্যা ৭ জন। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি একমাত্র পরিবারের কর্তা মানে বাবা। পরিবারের কর্ত্রী মায়ের চেহারায় সর্বদা থাকে চিন্তার ছাপ। রাবেয়া, খোকা, মন্টু, রুনু ওরা চার ভাইবোন। খোকার সামনে এম.এস.সি পরীক্ষা। খোকার উপরই এখন পুরো পরিবারটির আশা ভরসা। বড় বোন রাবেয়া মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাই তাকে যে যা বলে তা সে হোক ভালো কি মন্দ হাসিমুখে মেনে নেয় এবং সেটা বাড়ি ফিরে জোরে জোরে বলতে থাকে। তার মধ্যে অনেকসময়ই থাকে অশ্লীল কথাবার্তা। নিম্নবিত্ত বিধায় রাবেয়ার চিকিৎসা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয় তাই ঝাঁড়ফুঁকই ভরসা। মানসিক বিকারগ্রস্ত রাবেয়াকে নিয়েই তাই পরিবারটির সমস্ত চিন্তা, উৎকন্ঠা। পাগল এই রাবেয়াকে পছন্দ করে ফেলে খোকাদের প্রতিবেশী ধনাঢ্য পরিবারের বড় ছেলে হারুন। কিন্তু নিম্নবিত্ত পরিবারের পাগল মেয়েকে কোনো ধনী পরিবারের ছেলে বিয়ে করবে আর ছেলেটির পরিবারও তাই নির্দ্বিধায় মেনে নেবে এমন বাস্তবে সম্ভব নয়। পৃথিবী নামক জগৎ-এর বাইরে যদি অন্য কোনো জগৎ থাকে তাহলে সেটা হলেও হতে পারে। তো যা হওয়ার তাই হলো। রাবেয়া তার জায়গাতেই রয়ে গেল। একদিন রাবেয়াকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তার খোঁজ মেলে রাত আটটায়। রাবেয়ার খোঁজ পায় খোকাদের পরিবারেরই আরেক সদস্য মাস্টার কাকা। মাস্টার কাকা খোকার বাবার কলেজ জীবনের বন্ধু এবং তার বাবার বিয়ের সময় থেকেই তাদের পরিবারের সাথে আছেন। খোকার একজন পছন্দের ব্যক্তি তিনি। শুধু খোকা নয়, বাড়ির সকলেই তাকে পছন্দ করে। খোকার মনে অনেক স্বপ্ন সে যখন চাকরি পাবে তখন রাবেয়াকে সুস্থ করে ভালো একটি ছেলের সাথে বিয়ে দেবে। রুনুকে সে ডাক্তার বানাবে। তাকে একটি গাঢ় সবুজ রঙের শাড়ি কিনে দেবে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সীতাকুন্ড পাহাড়ে বেড়াতে যাবে। খোকা একদিন চাকরির সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত চিঠিটিও পায় কিন্তু ততদিনে পরিবারটির সমস্ত কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। কী ওলট-পালট হয় আর কেনইবা ওলট-পালট হয়ে যায় জানতে হলে পড়তে হবে "নন্দিত নরকে।"

 

চরিত্র পর্যালোচনা:

 

উপন্যাসটির কাহিনি একটি নিম্নবিত্ত পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বলে এতে আলাদা করে সেইভাবে কেন্দ্রীয় চরিত্র নেই। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রের উপস্থিতি উপন্যাসটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। উপন্যাসের আমার প্রথম পছন্দের চরিত্র খোকা, এরপর মন্টু, এরপর যথাক্রমে রুনু এবং নাহার ভাবি। চলুন চরিত্রগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

 

খোকা হুমায়ূন: উপন্যাসটির সমগ্র কাহিনি যার জবানিতে বর্ণিত হয়েছে সে হচ্ছে পরিবারের বড় ছেলে হুমায়ূন ওরফে খোকা। এই চরিত্রটিকে মনে হয়েছে যেন লেখক নিজেই বর্ণনা দিচ্ছেন। খোকা দায়িত্বশীল এবং একইসাথে আবেগী। সাধারণত পরিবারের বড় ছেলেরা যেমন হয় খোকা তেমনি। খোকার পরিবারের সবার জন্য অনেক স্বপ্ন। এছাড়া খোকার মধ্যে একজন গুপ্ত প্রেমিক পুরুষও বাস করে যার ভালোবাসা নিখাদ।

 

রাবেয়া: খোকার চাইতে একবছরের বড় রাবেয়া দেখতে সুন্দরী। বড় বড় ভাসা চোখ, বরফিকাটা চিবুক আর সুন্দর ঠোঁটের অধিকারী সে। তবে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত। একারণেই রাবেয়া অসহায় এবং পরিবারের বোঝাস্বরূপ।এই অবস্থার শিকার মেয়েদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হতে হয়।

 

রুনু: রুনু তের বছরের বালিকা। সে কবিতা লিখতে ভালোবাসে এবং লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লেখে। এই বয়সের কিশোরীরা যেমন হয় তেমনই রুনু। পরিবারে বড়ভাই তার সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় মানুষ।

 

মন্টু: মন্টু রাবেয়া, রুনু ও খোকার আপন ভাই নয়। সৎ ভাই। মন্টু বিএ ক্লাসে পড়ে। মন্টু শৈশব থেকেই চুপচাপ এবং শক্ত ধরণের ছেলে। সে একইসাথে রাগী। একারণেই পরিবারের সবার প্রতি বিশেষত খোকার প্রতি তার যে অপরিসীম ভালোবাসা সেটা প্রকাশ পায় না তবে উপন্যাসের সমাপ্তিতে মন্টুর সেই ভালোবাসা খুব ভালোভাবেই টের পাওয়া যায়।

 

মাস্টার কাকা: উপন্যাসের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মাস্টার কাকা। খোকার বাবার কলেজ জীবনের বন্ধু।  মাস্টার কাকা চিরকুমার এবং খোকার বাবার বিয়ের সময় থেকেই তিনি এই পরিবারটির সঙ্গে থাকেন। তিনি পরিবারটির সঙ্গে এমনভাবে মিশে গেছেন যে, বাইরের কেউ দেখলে বুঝবেই না যে তিনি স্রেফ খোকার বাবার বন্ধু। এই মানুষটির গণিত এবং অ্যাস্ট্রলজিতে দখল রয়েছে। তিনি স্থানীয় স্কুলে মাস্টারি করে জীবিকা নির্বাহ করে নিজের মত করে থাকেন। তিনিও চুপচাপ ধরণের মানুষ এবং পরিবারের সবার প্রিয় মানুষ।

 

নাহার ভাবি: খোকাদের প্রতিবেশী ধনাঢ্য পরিবারটির বড় ছেলে হারুনের বউ। নাহার ভাবি খুবই হাসিখুশি ধরণের মেয়ে। তার মনে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই বরং তিনি সবসময় খোকাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখেন। রুনু, রাবেয়ার কথা ভাবেন এবং তাদের প্রায়ই এটা সেটা দেন। গভীর রাতে রেকর্ড বাজানো তার স্বভাব। এতে রুনু, খোকা খুশিই হয়। বিশেষত খোকার পছন্দের গান রেকর্ডে মাঝেমাঝেই বাজে।

 

পাঠ প্রতিক্রিয়া:

 

একজন হুমায়ূনপ্রেমী হওয়াতে তার বইগুলো পড়ার সময় আমি লক্ষ্য করেছি যে, তার বইগুলোতে তিনি খানিকটা বিষাদ মিশিয়ে দেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জীবনযাপনের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, অভিযোগ, হতাশা, যৌনতাকে সিদ্ধহস্তে অঙ্কণকারী হুমায়ূন আহমেদের এই বইটিইও ছিল বিষাদে পরিপূর্ণ। রাবেয়ার অংশগুলোতে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে। বইয়ের নামকরণ শতভাগ স্বার্থক। কীভাবে একটি পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাপন একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে নরকে পরিণত হয় সেটিই উপন্যাসটিতে দেখানো হয়েছে। এই বইয়ে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষণীয় দিকও রয়েছে। প্রথমত, কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়। কারণ এখন জগৎটাই এমন হয়ে গেছে যে, যেখানে খারাপ লোকেরা ভদ্রতার মুখোশ পড়ে থাকে। এছাড়া একজন মেয়ের জন্য বাইরের জগৎটা বরাবরই ভয়াবহ সেখানে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে যার ভালো-মন্দ বোধ নেই তার জন্য তো আরো বেশি ভয়াবহ কেননা বাইরের পৃথিবী তার ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওঁত পেতে অপেক্ষা করছে কখন তাকে ক্ষতবিক্ষত করবে। অবশ্য মেয়েরা এখন ঘরেবাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। তাই সব মেয়েদেরই উচিত যথাসম্ভব সর্তক থাকা। এই বইয়ের আরেকটি চমকপ্রদ দিক হলো লেখক কোথাও পুরো বিষয়টি খোলাসা করেননি কিন্তু পাঠকরা ঠিকই আসল ঘটনা ধরতে পেরেছে। আমার কাছে উপন্যাসটি চমৎকার লেগেছে। স্বল্প পৃষ্ঠার এই উপন্যাস শেষ পর্যন্ত পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ তাঁর জাদুকরী লেখনী দ্বারা সবসময়ই এই কাজটি করে থাকেন।

 

বইটি কেন পড়া উচিত?

 

"মাসিক ‘মুখপত্রে’র প্রথম বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় গল্পের নাম ‘নন্দিত নরকে’ দেখেই আকৃষ্ট হয়েছিলাম। কেননা ঐ নামের মধ্যেই যেন একটি নতুন জীবনদৃষ্টি, একটি অভিনব রুচি, চেতনার একটি নতুন আকাশ উঁকি দিচ্ছিল। লেখক তো বটেই, তাঁর নামটিও ছিল আমার সম্পূর্ণ অপরিচিত। তবু পড়তে শুরু করলাম ঐ নামের মোহেই।

 

পড়ে আমি অভিভূত হলাম। গল্পে সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছি একজন সূক্ষ্মদর্শী শিল্পীর; একজন কুশলী স্রষ্টার পাকা হাত। বাঙলা সাহিত্যক্ষেত্রে এক সুনিপুণ শিল্পীর, এক দক্ষ রূপকারের এক প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টার জন্মলগ্ন যেন অনুভব করলাম।

জীবনের প্রাত্যহিকতার ও তুচ্ছতার মধ্যেই যে ভিন্নমুখী প্রকৃতি ও প্রবৃত্তির জটাজটিল জীবনকাব্য তার মাধুর্য, তার ঐশ্বর্য, তার গ্লানি, তার দুর্বলতা, তার বঞ্চনা ও বিড়ম্বনা, তার শূন্যতার যন্ত্রণা ও আনন্দিত স্বপ্ন নিয়ে কলেবরে ও বৈচিত্র্যে স্ফীত হতে থাকে, এত অল্প বয়সেও লেখক তাঁর চিন্তা-চেতনায় তা ধারণ করতে পেরেছেন দেখে মুগ্ধ ও বিস্মিত।

 

বিচিত্র বৈষয়িক ও বহুমুখী মানবিক সম্পর্কের মধ্যেই যে জীবনের সামগ্রিক স্বরূপ নিহিত, সে উপলব্ধিও লেখকের রয়েছে। তাই এ গল্পের ক্ষুদ্র পরিসরে অনেক মানুষের ভিড়, বহুজনের বিদ্যুৎ-দীপ্তি এবং খন্ড খন্ড চিত্রের সমাবেশ ঘটেছে। আপাতনিস্তরঙ্গ ঘরোয়া জীবনের বহুমুখী সম্পর্কের বর্ণালি কিন্তু অসংলগ্ন ও বিচিত্র আলেখ্যর মাধ্যমে লেখক বহুতে ঐক্যের সুষমা দান করেছেন। তাঁর দক্ষতা ঐ নৈপুণ্যেই নিহিত। বিড়ম্বিত জীবনে প্রীতি ও করুণার আশ্বাসই সম্বল।

হুমায়ূন আহমেদ বয়সে তরুণ, মনে প্রাচীন দ্রষ্টা, মেজাজে জীবন-রসিক, স্বভাবে রূপদর্শী, যোগ্যতায় দক্ষ রূপকার। ভবিষ্যতে তিনি বিশিষ্ট জীবনশিল্পী হবেন-এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করব।"

—আহমদ শরীফ, ১৬/৬/১৯৭২

 

এই ভূমিকাটি বইটির প্রথম সংস্করণে দেওয়া ছিল। উপরিউক্ত মতামতটি পড়লেই আমার মনে হয় যে কারো মনে হবে বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। বর্তমান সংস্করণেও শামসুর রহমানসহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বইটি পড়ে তাদের মুগ্ধ অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। এটি হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এটি রচিত হয় এবং পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ও সাহিত্যিক আহমদ সফা এটিকে পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেন। জীবনে অবশ্য পাঠ্য ২০০ বইয়ের তালিকা করলে সেখানে নিঃসন্দেহে "নন্দিত নরকে" জায়গা করে নেবে। 'In Blissful Hell'   শিরোনামে উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ এপ্রিল, ১৯৯৩-এ প্রকাশিত হয়।

 

ভালোলাগা কিছু উক্তি:

—"যারা খুব হাসিখুশী করুণ সুর তাদের খুব মুগ্ধ করে।"

—"সিগারেটের আনন্দটা আসলে সাইকোলজিক্যাল। তুমি একটা কিছু পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছো তার আনন্দ।"

—"জীবনে একটি সময় আসে যখন তীব্র অনুভূতিতে সমস্ত আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।"

—"ভালোবাসার উৎস কি আমি জানি না। আশফাক বলতো, ভালবাসা হচ্ছে যৌন আকর্ষণের ভদ্র পরিভাষা। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। আমার গলা জড়িয়ে শীলু কখনো ঘুমিয়ে থাকবে এ ধরণের কল্পনাতো কখনো মনে আসে না।"

—"মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়। সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।"



বুক রিভিউ- নন্দিত নরকে || Halima Akter Tanny


Halima Akter Tanny is 
studying at Khulna University in Business Administration Discipline. She's a student of Honor's 4th year. Her passion is writting. Specially, she likes to write reviews about books and movies. She has achieved 1st/2nd/3rd position in several review competitions.