আরেক ফাল্গুন: তেজোদৃপ্ত ভাষা-সৈনিকদের প্রেমময় জীবনালেখ্য

  • বই পর্যালোচক: মো.হাছিবুল বাসার
  • Category: Book Review
  • Published on: Monday, Jul 19, 2021
বই সম্পর্কিত তথ্য:
 
বইয়ের নাম: আরেক ফাল্গুন
লেখক: জহির রায়হান
প্রকাশনা: অনুপম প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ: ১৯৬৮খ্রিস্টাব্দ
মূল্য: ১০০টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭২
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
ধরন: ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস।
ISBN: 978-984-404-271-1
পার্সোনাল রেটিংঃ ৯.২/১০
 
আরেক ফাল্গুন: তেজোদৃপ্ত ভাষা-সৈনিকদের প্রেমময় জীবনালেখ্য
 
প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলায় নূতন গ্রন্থের হিড়িক পড়লেও ভাষা আন্দোলনের পরে বিগত কয়েক দশক থেকে আজ অবধি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সাহিত্য বিরচিত হয়েছে নিতান্তই স্বল্প। সেই 'নিতান্তই স্বল্প' সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে জহির রায়হানের অনন্য সৃষ্টি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস 'আরেক ফাল্গুন'সহ একুশের নানা গল্প এবং প্রামাণ্যচিত্র। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সাহিত্য অঙ্গনে তাঁর এ প্রথম পদার্পণটা বিশাল কৃতিত্ব বলা যায়। ভাষা আন্দোলনই তাঁকে সাহিত্যিক বানিয়েছে; কথাটি তখনই বলা যায়, যখন লেখকের সরল স্বীকারোক্তি, -''আমি যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা একুশেরই দান"। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর তেমনি একটি সৃজন 'আরেক ফাল্গুন'। সেটার পাঠকপ্রিয়তা যখন যুগ যুগান্তর অবধি থাকে অক্ষুণ্ণ, তখন আর লেখকের মুন্সিয়ানা অন্তর্হিত থাকে না। মাতৃভাষা আর মাতৃভূমিকে নিয়ে যাঁর সাহিত্য চর্চার প্রযত ক্ষেত্র, তাঁর হাতে 'আরেক ফাল্গুনে'র মতো চিরায়ত উপন্যাস বিরচিত হওয়ায় ছিল বাংলা সাহিত্যের তৎ-সমকালিক প্রত্যাশারই অংশ।
 
"আরেক ফাল্গুন" ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লিখিত প্রথম উপন্যাস। যেমনটি পরবর্তীতে রচিত হয়েছে সেলিনা হোসেনের "নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি" কিংবা শওকত ওসমানের "আর্তনাদ " উপন্যাস। "আর্তনাদ" উপন্যাসে যেমন ফুটে উঠেছে ভাষা আন্দোলনে শহীদ এমনি একজন পিতার আর্তনাদ; যা স্বাধীনতা পূর্ববর্তী পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতিক্রিয়ার রূপক হিসেবে ফুটে ওঠে।  তেমনি "আরেক ফাল্গুন" উপন্যাসে উন্মলিত হয়েছে ভাষাসৈনিক বন্দী দয়িতের জন্যে একজন স্ত্রীর ব্যাকুলতা কিংবা বন্ধুহারা যুবার হৃদয়ের কাতরতা। এ ধরনের উপন্যাসে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় চরিত্র না হয়ে একাধিক চরিত্র গল্পের নায়ক হয়ে উঠতে পারে। "আরেক ফাল্গুন"ও এর ব্যতিক্রম নয়।
 
উপন্যাসের প্রারম্ভটা ১৮৫৭ সালে সংগঠিত সিপাহী বিল্পবের স্মৃতি বিজড়িত ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্ণনার মধ্য দিয়ে। আবার লেখক পরিসমাপ্তি টেনেছেন ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্ণনা দিয়েই। এরই মধ্যকার জুড়ে দিলেন ১৯৫৫ সালের ভাষা শহিদের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের একটি বেদনাময় স্মৃতি। আর তার আড়ালে প্রণয় সম্পর্কের টানাপোড়ন কিংবা দ্বান্দ্বিকতা। প্রথমদিনে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাহিনির সূত্রপাত। প্রথম অহোরাত্র এবং দ্বিতীয় অহোরাত্র ধরে চলছে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের নিরলস প্রস্তুতি।  তৃতীয় দিন ঘটনার চূড়ান্তকাল। কারফিউ ভেঙে ছাত্রদের কালো পতাকা উত্তোলন, মিছিল এবং পুলিশের গ্রেফতার, নিপীড়নের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে এ দিনটি। প্রত্যক্ষদর্শী লেখকের এ বর্ণনা পাঠকমনেও একরকম শিহরণ জাগিয়ে তোলে। গল্পের আরেকটা দিক যেটা ভাষা আন্দোলনের এ কাহিনিকে আরো বেশি ব্যঞ্জনাময় করে তুলেছে; সেটি হল, উপন্যাসের নানান চরিত্রের মধ্যকার একে অন্যের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ। মানবজনমের এক রহস্যময় জগৎ হল প্রেম। প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকল দিয়ে তা বেঁধে রাখা যায় না। তাই উপন্যাসে ভাষা আন্দোলনের বিরূপ পরিস্থিতিতেও দেখা যায় ,  প্রণয়ের অনুরাগ কারও কমতি নেই। সেখানে আছে মুনিম, যে তার প্রেয়সীকে শত ব্যস্ততার মাঝেও চেতনায় রাজরানী করে রাখে। অপরদিকে আছে মাতৃভাষার বিপক্ষীয় শক্তি। লেখক তাদের চরিত্রে কলুষতা লেপন করেছেন। যেখানে আছে প্রতিভাবান সাহিত্যিক বজলে হোসেন কিংবা প্রতারক মাহমুদের মতো স্বার্থন্বেষী মানুষের কথা। আর তাদের আবর্তিত করে লতায় পাতায় জড়িয়ে আছে রানু, বেনু, নীলা, সবুর, শাহেদ কিংবা রওশনের মতো অসংখ্য চরিত্র। আছে, উপন্যাসের শেষদিকটায় নায়ক হয়ে ওঠা আসাদ কিংবা দুরন্ত শাহেদের কথকতা। সিধাভাবে বলতে গেলে, এটিই মূলত উপন্যাসের মূল প্লট। মাত্র ৭২ পৃষ্ঠার নাতিদীর্ঘ এ উপন্যাসটিতে সার্থক চরিত্র সৃজনের মধ্য দিয়ে লেখক অনন্যসাধারণ প্রাতিস্বিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ৯টি অনুচ্ছেদের অপূর্ব সমাহার "আরেক ফাল্গুন"। প্রতিটি চ্যাপ্টারকে অনুচ্ছেদ না বলে এক একটি দৃশ্যকল্প বলায় শ্রেয়। ভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল এবং উপন্যাসের স্থানপটে বর্ণিত প্রেক্ষাপট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং তার আশেপাশের এলাকা।  চিরচেনা সেই মধুর ক্যান্টিন, আমতলা, বটতলা কিংবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকার সুচারু বর্ণন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-কৌশলের অনুপুঙ্খ চিত্রায়ণ জহির রায়হানের অসধারণ মুন্সিয়ানার বহিঃপ্রকাশ।
 
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মুনিম। উপন্যাসের প্রারম্ভিকতায় তার আবির্ভাব এবং কয়েকটি পরিচ্ছেদ তাকে ঘিরেই আবর্তিত। তার একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের কৌশলী তৎপরতা পাঠককে মুগ্ধ করে। ভাষাসংগ্রামী ছাত্ররা যখন তাকে ভরসাস্থল মনে করে তখন তার নেতৃত্বের দূরদর্শিতা সম্বন্ধে আমাদের স্পষ্ট ধারণার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে মুনিমও মাতৃভাষা রক্ষার এ আন্দোলনকে গ্রহণ করেছিল বেশ সাগ্রহে। তাই মায়ের শত নিষেধাজ্ঞা তাকে ফিরাতে পারেনি আন্দোলন থেকে। উপন্যাসের মধ্যভাগে যখন মুনিম আন্দোলন চালিয়ে রাখার দরুন প্রেয়সীকে সময় দিতে না পারায় তার কাছে থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়; ডলি সাফ জানিয়ে দেয়, " তুমি উত্তর মেরুর আর আমি দক্ষিণ মেরুর"। তখন? তখন, মুনিমের বিষন্ন মুখচ্ছবি চিত্রকল্প হয়ে আমাদের সম্মুখে ভেসে ওঠে।
 
একদিকে যেমন মাতৃভাষা রক্ষার নিমিত্তে মুনিমের এত আত্মোৎসর্গ অন্যদিকে এর সম্পূর্ণ বিপরীত কলুষতাময় চরিত্রে মাহমুদ মূর্ত হয়ে ওঠে। ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট এ মানুষটির সকাশে মাতৃভাষার চেয়ে অর্থলিপ্সা বড় হয়ে ওঠে। ইন্দ্রিয়জ বাসনার চরিতার্থে একাধিক নারীর সাথে তার প্রতারণার দরুন সে পাঠকমনে ঘৃণিত হয়ে ওঠে। তার সর্বশেষ শিকারী হিসেবে দেখা যায় ডিভোর্সি শাহানাকে। মাহমুদ চরিত্র রূপায়নের মধ্য দিয়ে লেখক এটিই বুঝাতে চেয়েছেন, মা, মাতৃভাষা আর মাতৃভূমির প্রতি যাদের মমতা নেই, সেইসকল স্বার্থন্বেষী ভোগবাদী মানুষগুলোর চরিত্রও কলুষতায় পূর্ণ।
 
নানা রকম চরিত্রের ভিড়ে পাঠকের মন কেড়ে নেয় মেডিকেল শিক্ষার্থী মহীয়সী সালমা আর অসাধারণ ধীসম্পন্ন যুবক আসাদ। একদিকে সালমা চরিত্রটি আমাদেরকে ভাবায়, যে কিনা বিবাহের মাত্র মাসখানেকের মধ্যে ধৃত পতির মুক্তির অপেক্ষায় অহোনিশি প্রহর গুনছে। আবার তাকেই দেখা যায় অসামান্য এক বিল্পবী চেতনা বক্ষে ধারণ করে আসাদের মতো ভাষাসৈনিকদের প্রেরণা জোগাতো জানে। অপরদিকে উপন্যাসের প্রথমাংশে মুনিমকে উপন্যাসের নায়ক মনে হলেও শেষাংশে আসাদকেই বেশি সক্রিয় দেখা যায়।  বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম যে দশজন চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙেছিল তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিল আসাদ। এমনকি কাহিনির চূড়ান্তকাল, তৃতীয় দিন গ্রেফতারের আগমুহূর্তে সবাই যখন পালাও! পালাও! রবে ছুটছে; সেদিনও শতকণ্ঠের মাঝে আসাদের বিল্পবী কণ্ঠ শোনা গেল, "ভাইসব, পালিয়ো না রুখে দাঁড়াও"। উপন্যাসের একেবারে অন্ত্যে, জেলগেটে; প্রত্যেক বন্দিকে দেখার জন্যে তার স্বজনেরা আসছে কিন্তু আসাদের কেউ এল না। লেখক সেই মুহূর্তটা বেশ মমতায় তুলে ধরেছেন, "আসাদ সরে গেল অন্যদিকে। ওর কেউ আসেনি। মা যার নেই, দুনিয়াতে কেউ বুঝি তার নেই।" উদ্ধৃতি-অংশে, হৃদয়-সংবাদী পাঠক-লোচন ছলছলিয়ে ওঠে। সহানুভূতি-কাতরতার সাথে আমরা ভাবি, আহারে...
 
সবচে' সুন্দর প্রণয়মন্থিত যে দৃশ্যটি উপন্যাসের রোমান্টিকতার উপজীব্য, সেটা লেখক আসাদ আর সালমা'র মধ্য দিয়ে শীতরাতের সেই মুহূর্তটি "আরেক ফাল্গুনে"র ফ্রেমে বাঁধলেন-
" অন্ধকারে মৃদু হাসলো সালমা। হাত বাড়িয়ে ওর হাতের তাপ অনুভব করতে গেলে হাতজোড়া মুঠোর মধ্যে আলতো ধরে রাখলো আসাদ। সালমা শিউরে উঠলো।... বুকটা দুরুদুরু কাপছে তার। কয়েকটা মুহূর্ত, বেশ ভালো লাগছে সালমার। হাতজোড়া টেনে নেবার কোনো চেষ্টা করলো না। শুধু আধফোটা স্বরে বললো, পানি গরম হয়ে গেছে। বলতে গিয়ে গলাটা অদ্ভুতভাবে কেঁপে উঠলো। তারপর একসময় আস্তে আস্তে হাতজোড়া টেনে নিলো সালমা।
নিঃশব্দে চা তেরি করতে লাগল সে।
চায়ের কাপে চামচের টুংটাং শব্দ।..."
উপন্যাসের এই অল্প দৃশ্যটুকু বেশ শক্তিশালী। উপন্যাসের শিল্পমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। সালমার প্রতি আসাদের অনুরাগের এই ক্ষণিক বহিঃপ্রকাশ পাঠকমনে রোমাঞ্চ জাগে।
 
ভাষার প্রাঞ্জলতা ছাড়াও অসাধারণ সব রূপক, উপমা, বাক্য গঠনের শৈল্পিকতা "আরেক ফাল্গুন"কে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন অনুতে। "পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বটা অর্ধেক কমে যাওয়া", "আকাশে মেঘ নেই। তবু,ঝড়ের সংকেত/বাতাসে বেগ নেই। তবু,তরঙ্গের সংঘাত", "মন্থরগতিতে মেঘ ভেসে চলছে উত্তর থেকে দক্ষিণে, অন্যদিকে উপন্যাসের নায়ক মুনিম চলছে দক্ষিণ থেকে উত্তরে" প্রকৃতির অন্তরালে শোষকশ্রেণির গতিময় স্রোতের প্রতিকূলে মুনিমকে দাঁড় করানো অসাধরণ উপমার উদাহরণ। অন্যদিকে, story telling দিয়ে উপন্যাসের মানদণ্ড বিচার্য হলে জহির রায়হানের উপন্যাসে শিল্পত্ব উঁকি দেয় তাঁর ভাষা আন্দোলনের কাহিনি সৃজনের মধ্য দিয়ে।
 
তবে দু'একটি বিচ্যুতি যেটা বোহেমিয়ান পাঠক এড়িয়ে গেলেও খুঁতখুঁতে পাঠককে অপ্রসন্ন করে। যেমনটি উপন্যাসের ঘটনাটি সংগঠিত হচ্ছে শীতকালে কিন্তু দু এক জায়গায় লেখক তীব্র রোদের তপ্ত অনুভূতির কথা বলেছেন যেটা কেবল গীষ্ম ঋতুর বর্ণনার ক্ষেত্রেই মানায়। কিংবা যে সালমা ভাষা শহিদদের স্মরণে রোজা পালন করে, তার মুখে 'সালাম' না বলে 'আদাব' বলাটা একটু চোখে লেগেছে।
 
সমগ্র উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আরেকটি উপন্যাস রচিত হয়ে যাবে। তবু এখনো আনকোরা রয়ে গেল; অশিক্ষিত রেস্তোরাঁ মালিক মতি ভাইয়ের কথা, মাতৃভাষার জন্য যার মমতার এতটুকু কমতি নেই। ভাষাসৈনিকদের কাছ থেকে চায়ের টাকাটি নিতে সে অপ্রসন্নন বোধ করে। কিংবা কবি রসুল, যিনি সতীর্থদের মাঝে বায়ান্নোর একুশের গল্প শুনিয়ে যান, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে। অন্যদিকে সালমার সহোদর শাহেদ; ভবঘুরে যে ছেলেটি সিনেমা আর আড্ডা নিয়ে ব্যস্ত থাকত সর্বক্ষণ। বেলাশেষে সে সহোদরার হাত ধরে শপথ নিলেন, নিজেকে সপে দিলেন মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে। তাঁদের প্রাণান্তকর চেষ্টা আর আত্মোৎসর্গে অর্জিত মায়ের ভাষার দুখিনী বর্ণমালারা আজ ঝলমলিয়ে উঠেছে। 
 
প্রান্তস্থ: মাতৃভাষা আন্দোলনে যদি রোপিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ, তবে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে তাঁরাই অগ্রপথিক।
 
রিভিউ প্রদানে----
 
মো.হাছিবুল বাসার 
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি  বিভাগ, 
স্নাতক(২য় বর্ষ)
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।