Book Review: The Hound of Baskervilles
Winner of the week based on Popular Vote (09th September 2021)
বইয়ের নাম: The Hound of Baskervilles.
লেখক: স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।
ধরণ: গোয়েন্দা উপন্যাস।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৮/০৫
প্রকাশক: Penguin Books
প্রকাশ: Reissue Edition, 2016
অনলাইন পরিবেশক: রকমারি.কম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৭২
মুদ্রিত মূল্য: ৩৫৮/-
স্যার আর্থার কনান ডয়েল, জন্ম ১৮৫৯ সালে এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ড এ। পেশায় তিনি ডাক্তার ছিলেন। রোজগার বাড়ানোর তাগিদে লেখা শুরু করেন ছোটগল্প। ১৮৮৭ সালে ‘অ্যা স্টাডি ইন স্কার্লেট’ উপন্যাসের মাধ্যমে জন্ম গ্রহন করলেন বেকার স্ট্রিট এর বাসিন্দা শার্লক হোমস। ‘দ্যা সাইন অফ ফোর’ এই গল্পটি আমেরিকায় প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই শার্লক হোমস হয়ে গেলেন বিশ্ববিখ্যাত। এরপর থেকে ইংল্যান্ড এর স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে একে একে পাবলিশ হওয়া শুরু করল দ্যা শার্লক হোমস সিরিজ একটানা জুলাই ১৮৮১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত।
'হাউন্ড অফ দ্যা বাস্কার্ভিলস' হল গোয়েন্দা শার্লক হোমসকে নিয়ে স্যার আর্থার কনান ডয়েলের লেখা ক্রাইম উপন্যাসগুলির তৃতীয়টি। মূলত আগস্ট ১৯০১ থেকে এপ্রিল ১৯০২ পর্যন্ত এটি স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছিল। এটির কাহিনী ডিভন নামক ইংল্যান্ডের একটি পশ্চিম কাউন্টির ডার্টমুর নামক অঞ্চলে ঘটেছে। গল্পটি একটি ভয়ঙ্কর হত্যা প্রচেষ্টার কথা বলে যা একটি নারকীয় আর অতিপ্রাকৃত ভয়ঙ্কর কিংবদন্তী হাউন্ড দ্বারা করা হয়। শার্লক হোমসও তার সঙ্গী ড. ওয়াটসন এই মামলার তদন্ত করছেন।
১৮৯৩ সালে "দ্যা ফাইনাল প্রবলেম" গল্পে শার্লক হোমস এর মৃত্যুর প্রায় ১০ বছর পর লেখক জনতার চাপে পড়ে অবশেষে তার মায়ের পরামর্শে হোমসকে ফিরিয়ে এনে এই গল্পে নতুন রুপ দিলেন এবং 'হাউন্ড অফ দ্যা বাস্কার্ভিলস' কেইস এ সাফল্যের ফলে চরিত্রটির চূড়ান্ত পুনরুজ্জীবন ঘটলো। কিন্তু আসলে শার্লক হোমস এর প্রত্যাবর্তনের মূল গল্পটি হল ‘দ্যা অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্যা এম্পটি হাউস’ যেখানে লেখক এক্সপ্লেইন করেন কিভাবে শার্লক হোমস তার দুর্ধর্ষ প্রতিপক্ষ প্রফেসর জেমস মরিয়াটির হাত থেকে বেঁচে ফিরলেন।
১৯৯৯ সালে শার্লকিয়ান পণ্ডিতদের কাছ থেকে নিখুঁত রেটিং নিয়ে এটি শীর্ষ হোমস উপন্যাস হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল এবং ২০০৩ সালে, এই বইটিকে বিবিসি এর ‘The Big Read Poll’ এ UK এর ‘Best-Loved Novel’ এর ২০০ এর মধ্যে ১২৮ নম্বর হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
গল্পে ড. জেমস মর্টিমার তার বন্ধু স্যার চার্লস বাস্কার্ভিলকে ডিভনশায়ার এস্টেট এর বাস্কার্ভিল হলের বেসমেন্ট এ মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করেন। মৃত্যুটি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল, কিন্তু মর্টিমার সন্দেহপ্রবন, কারণ স্যার চার্লস তার মুখে ভয়াবহ ভয়ঙ্কর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন এবং মার্টিমার স্যার চার্লস মারা যাওয়ার প্রায় ৫০ গজের পরে একটি বিশালাকার হাউন্ড এর পায়ের ছাপ দেখেছিলেন।
বাস্কার্ভিল পরিবারটি ইংরেজ গৃহযুদ্ধের যুগ থেকেই অভিশাপের শিকার হয়ে পড়েছে যখন পূর্বপুরুষ হুগো বাস্কার্ভিল একটি মহিলার অপহরণে সাহায্যের জন্য শয়তানকে তার আত্মা উৎসর্গ করেছিলেন এবং ফলশ্রুতিতে একটি দৈত্য হাউন্ড দ্বারা শাস্তিস্বরূপ নিহত হয়েছিলেন। স্যার চার্লস ঐ পুরনো অভিশাপে বিশ্বাস করেছিলেন এবং মৃত্যুর সময়ে দৃশ্যত ভয়ংকর কিছু থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এদিকে স্যার চার্লস এর ভাতিজা এবং বংশের একমাত্র উত্তরাধিকারী স্যার হেনরি বাস্কার্ভিল এখন মর্টিমার এর ভয়, যিনি বাস্কেরভিল হলের নতুন মাস্টার। কারন ঐ অভিশপ্ত হাউন্ড এর ব্যাপার টা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এরপরেই আসছে স্যার হেনরি বাস্কার্ভিলস এর পালা। তাই এ রহস্যজনক ব্যাপারটির পর মর্টিমার স্যার চার্লস এর মৃত্যুর পর শার্লক হোমস এর শরণাপন্ন হন। এরপর শার্লক হোমস আর ড. ওয়াটসন তদন্তে বেরিয়ে পড়েন।
গল্পের প্রধান চরিত্র শার্লক হোমস ও ড. ওয়াটসন ছাড়াও আর আছেন ড. জেমস মর্টিমার, স্যার চার্লস বাস্কার্ভিল, হুগো বাস্কার্ভিল, স্যার হেনরি বাস্কার্ভিল, মি. জ্যাক স্টেপ্লিটন, মিস স্টেপ্লিটন, মি. জন ব্যারিমর, মিস এলিযা ব্যারিমর, লরা ল্যয়ন্স, আসামি, এবং মি. ফ্রাঙ্কল্যান্ড। লেখক গল্পটি ডিভনের বাকফেসলেঘের (Buckfastleigh) ব্রুক হলের রিচার্ড ক্যাবলের (Richard Cabell) কিংবদন্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছেন।
'হাউন্ড অফ দ্যা বাস্কার্ভিলস' প্রথম স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে 1901 সালে প্রথম ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হলেও এটি পরবর্তী বছরে একটি উপন্যাস রূপে ছাপা হয়েছিল । একজন অ্যাভারেজ পাঠক যদি প্রতি মিনিটে ২৫০ টা করে শব্দ পড়েন তাহলে তার আনুমানিক ১ ঘণ্টা ৫২ মিনিট লাগবে পুরো গল্প টি শেষ করতে। উপন্যাসটির কাহিনীর উপর ভিত্তি করে কার্টুন আর অ্যানিমেশন সহ এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় মোট ২০ টিরও বেশি মুভি নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজসহ অসংখ্য মঞ্চনাটক ও একটি গেম (Sherlock Holmes and the Hound of the Baskervilles) ও আছে এটির কাহিনীর উপর।
শার্লক হোমস এর সমস্ত গল্পের মধ্যে এটি এমন একটি উপন্যাস যা বাস্তব আর কুসংস্কার এর মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটাবে। আসল ব্যাপারটা হল প্রথম দিকে পড়তে গেলে সেরকম মনে হলেও শেষের দিকে এসে মনে হবে আসলেই সায়েন্স আর লজিক দ্বারা প্রত্যেক টি কুসংস্কার কে ব্যাখ্যা করা সম্ভব যেটা গল্পের শেষের দিকে আমরা দেখেছি। ১০ বছর পর প্রকাশিত এ গল্পটি তৎকালীন সময়ে এ হাইপ সৃষ্টি করেছিল টা শার্লক হোমস সিরিজ এর অন্য কোন গল্প করতে পারে নি। এবং আমার পড়া শার্লক হোমস এর বেস্ট গল্প এটি।
Book Review: The Hound of Baskerville || Md Salim Shadman
Md Salim Shadman is a ceativist who does all sort of thing but expert at nothing.