তারাও যেন বাঁচতে চায়
সব মানুষ কি মানুষ হয়?
মনুষ্যত্ব নেই যার সে আর কি বা কয়!
নিজের জীবনকে তো ঠিকই করেন প্রিয়,
তবে জীবের প্রতি কেনই হীয়?
নিষ্ঠুরতায় ভরপুর মানুষগুলো যখন মারবে বলে করে তাদের তাড়া,
একটু বাঁচতে পালিয়ে বেড়ায় তারা এদিক সেদিক হয়ে দিশেহারা।
আমাদের দয়া করুন, মেরে আমাদের কি বা লাভ?
ছোট এই জীবনটার প্রতি একটু না হয় করবেন দয়া,
তবে হেসে খেলে কাটাতে পারবো ও জীবনটাকে
তখন স্বর্গই যেন মনে হবে এই ধরা।
আমাদেরকেও বাঁচার সুযোগ দিন
এই যে দেখুন, যদি পারতাম ঐ উন্মুক্ত আকাশের নিচে হেঁটে বেড়াতে।
ধন্য মনে হতো তবে নিজেদের জীবনের এ ক্ষুদ্র চাওয়াটাকে ;
তারাও যেন বাঁচতে চায়, দুর্গম তবু হাসতে চায়।
আমাদেরও মা-বাবা পরিবার আছে বটে
এই যে মশাই আমাদের যে মেরে ফেলতে উদ্দম হচ্ছেন
তবে বাকিদেরও সাথে আনবো নাকি?
তাদের আক্ষেপ নেই মানুষ হওয়ার,
কারণ তারাও জানে যে
নিকৃষ্ট কিছু মানুষের হাতেই তাদের প্রাণটা যাওয়ার।
তারাও যেন বাঁচতে চায়, তারাও যেন হাসতে চায়।
তারাও বলে তাদের ভাষায় হৃদয়বিদারক আহাজারি
শুনবো তবে আজ থেকে চলুন ভালোবেসেই না হয়
তাদের সে কষ্টগুলো পুরোপুরি।
তারাও যেন বাঁচতে চায় || সামান্তা তাসনিম ঐন্দ্রিলা
লেখালিখির বিষয়টি যখনই চলে আসে তখনই মনে হয় আমার লেখনীর মাধ্যমে বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলাই আমার অন্যতম লক্ষ্য। কল্পনার জগতকে স্তম্ভ ধরে লেখালেখি তো সবাই করে। কিন্তু কয়জন আছে বলুন যারা কল্পনার জগতকে অগ্রাহ্য করে বাস্তবিক চিন্তা- চেতানা নিয়ে লেখনীর অভ্যাস গড়ে তোলে। যখন থেকে লেখালেখি করতে ভালোবাসি ঠিক তখন থেকেই নিজের একটা ছদ্মনামও ব্যবহার করি তা হলো "স্রোতস্বিনী"। একজন লেখিকা হিসেবে আমার মতে আমার এই পরিচয়টুকই যথেষ্ট। সর্বদা লেখালেখির জগতের সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করবো। এজন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।