শেষ চিঠি
আদিকালের এক সৌন্দর্যের প্রতীক
চিঠি যার নাম,
সুখ -দুঃখের অঙ্গীকার স্বরূপ
মায়ায় বিজড়িত হওয়া ;স্মৃতিগুলোর খন্ডাংশ জুড়ে ভালোবাসাই যেন তার নাম।
বিশাল ওই আকাশের বুকে
প্রেমিকা আঁকছে প্রতিনিয়ত ছবি
স্বপ্ন ভেঙে জাগ্রত হলেই
হারিয়ে যাচ্ছে প্রেমিকের অস্তিত্বের সবই।
এ কেমন প্রেম তবে?
যা কল্পনাতে মধুর
চোখ খুললেই ঘোর কেটে যায়
তবু কেন প্রেমিকের অপেক্ষায় সে সবুর!
হাসি- কান্না, মায়া ও ভালবাসায় জর্জরিত এক নারী
অস্তিত্ব নেই খুঁজছে তবু,
শুরু থেকে শেষের সব চিঠির মাঝে লাগছে সবই ভারী।
এই যে মশাই, স্বপ্নে কেন প্রেমিকার হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন সবে
প্রেমের শুরু কোথা থেকে হয়েছিল মনে পড়ে কি তবে?
প্রেমিকার মতে, তুমি আমার সত্য হয়েও সত্য না।
তাইতো চিঠির মাঝে প্রদান করছি আমার সব কল্পনার আলপনা।
ভালোবাসি প্রকাশ করেই যদি হতো তবে
যুগ যুগ ধরে ভালোবেসেও কেন বিচ্ছেদের শামিল?
ভালোবাসা কোন প্রকাশ্য জিনিস নয়
সম্মানও আত্মত্যাগের প্রতিফলন ঘটে যেথায়
ভালোবাসি না বললেও ভালোবাসা পরিণতি পায় সেথায়।
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি
এই শব্দের মত গল্পের যেমন নাই কোথাও শেষ ;
শেষ চিঠিতে প্রকাশ পায় রূপকথাতেই ভালোবাসার হদিস মেলে বেশ।
শেষ চিঠি || সামান্তা তাসনিম ঐন্দ্রিলা
বর্তমানে আমি অ্যারোনেটিকাল ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ থেকে এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং Part 66 লাইসেন্স কোর্স যা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আওতায় অধ্যায়নরত আছি।লেখালেখির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই আমার এক বিশেষ ভালোলাগা কাজ করতো। কিছু বছর আগে সোস্যাল মিডিয়ার একটা টিমের ফিচার রাইটার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অফিসিয়াল ভাবে একজন লেখিকা হিসেবে আমার লেখালেখির যাত্রা শুরু হয়। গত বছর অমর একুশে বইমেলায় নব সাহিত্য প্রকাশনী কর্তৃক আয়োজিত যৌথ প্রযোজনায় একটা কবিতার বইয়ে আমার লেখা কবিতা "মনুষ্যত্বের পরিচয়" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। আমি একজন ক্যালিওগ্রাফারও। খুব ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে আছি। বাস্তবিক ও কাল্পনিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার লেখালেখি নিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী।
This post of CC is sponsored by- Print World