রক্তদ্রোণ
এই জীবন আর ভালো লাগে না,
মনে আর কোনো অনুভূতি জাগে না।
জীবনের অংকটা কেন হলো না সরল?
কণ্ঠে অবিরত ধারণ করছি গরল।
দুঃখেরও থাকে একটা সীমা,
আমি যেন কষ্টের জ্বলজ্যান্ত প্রতিমা।
আমার কষ্ট পাহাড় সমতূল্য,
আমার অশ্রুর নেই কোনো মূল্য।
যা চেয়েছি তার কোনোটাই হলো না পাওয়া,
সত্যিই কি বেশী ছিলো আমার চাওয়া।
জীবনে নেই কোনো অগ্রগতি,
কোনো ক্ষেত্রে নেই পদোন্নতি,
বেড়েই যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি,
দিন দিন হচ্ছে অবনতি।
কেন আঁকড়ে ধরেছে এক অজানা ভয়,
কবে থেকে খুঁজে যাচ্ছি নিজের পরিচয়।
কি ছিলাম আর কিসে হয়েছি পরিণত,
নিয়তির এই উপহার শাশ্বত।
এই আমিকে আমি চিনি না,
এই হেরে যাওয়া আমিকে আমি জানি না,
কেন আমাকে ঘিরে রেখেছে এক অস্পৃশ্য দেয়াল,
এই ভস্মীভূত আমিকে কেউ করে না খেয়াল।
ঝাঁঝরা করে দেয় বেদনার আগ্নেয়াস্ত্র,
জানি না কখন কিভাবে কোথায় কষ্টের পরিমণ্ডলে হয়ে গেছি অভ্যস্ত।
চতুর্দিকে গজিয়ে উঠেছে রক্তদ্রোণ,
এত পোড়া কপাল যে মৃত্যুকেও করতে পারি না গ্রহণ।
অপমান অবহেলায় বুকটা যায় ফেটে,
জীবন অতিবাহিত করতে হয় তাই কোনোরকমে যাচ্ছে কেটে।
রক্তদ্রোণ || কাশফিয়া নাহিয়ান
পেশাগত ভাবে তিনি এখন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর অফিসার পদে কর্মরত আছেন। কিন্তু পেশা ভিন্ন হলেও কবিতা, বই, লেখা-লেখিতে এখনো তার মন পড়ে থাকে। বিষন্ন মন তাকে লিখতে অনুপ্রেরণা জাগায়।