মুভি রিভিউ: দীপু নাম্বার টু
মুভির নামঃ দীপু নাম্বার টু
বিভাগঃ রোমাঞ্চ, এডভেঞ্চার, একশন
পরিচালকঃ মোরশেদুল ইসলাম
মুক্তিঃ ১৯৯৬ সাল
লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল
অভিনয়ঃ বুলবুল আহমেদ, অরুণ, ববিতা, ফরহাদ, ডলি জহুর, আবুল খায়ের, শাফকাত, সুভাশীষ প্রমুখ।
সংগীত পরিচালকঃ সত্য সাহামুভি
আই এম ডিবি রেটিং:7.8/10 (652 users)
ব্যক্তিগত রেটিং: 8.5/10
কাহিনী সংক্ষেপঃ
প্রতি বছর দীপু নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। বাবার কর্মস্থলের পরিবর্তনের জন্যই তাকে নতুন নতুন জায়গায় যেতে হয়। দেশে মা না থাকায় দীপুর বাবা দীপুকে ছোটবেলা থেকেই একাই গড়ে তুলেছেন। বারবার পরিবেশের পরিবর্তন যে কোন কিশোরের জন্য কষ্টদায়ক হলেও দীপুর ছিলো নতুন মানুষের সাথে মেশা ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার দারুণ ক্ষমতা। নতুন বন্ধু তৈরীতে দীপুর কোন সমস্যা না থাকলেও পুরানো বন্ধুদের ছাড়তে কষ্ট হতো।
ক্লাসের দুষ্ট ছেলে তারেক। তারেকের সাথে সবারই কোন না কোন গন্ডগোল বাঁধবেই। দীপুর সাথেও ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত মারামারিতে গিয়ে গড়ায়। স্যারের কানে সহজেই নালিশ গিয়ে পৌঁছালে দীপু ইচ্ছাকৃতভাবে তারেক এর নাম চেপে যায়। ব্যাপারটা তারেককে ভাবায়। পরবর্তীতে তারেক হয়ে ওঠে দীপু আর ক্লাসের সবার ভালো বন্ধু। ওদের ছোটখাটো একটা গ্রুপ তৈরী হয়। বনে-জঙ্গলে অবসর সময়ে ছুটে বেড়ানো যাদের মূল কাজ। এভাবেই ঘুরাঘুরি করতে করতে তারা মুখোমুখি হয় একদল মূর্তি পাচারকারীদের সাথে। দীপুর দলের সাহসিকতায় স্মাগলাররা ধরা পড়ে পুলিশের হাতে, পত্রিকায় আসে কিশোরদের নাম ও ছবি। ছবিটি দেখলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে যাবেন নিজের কৈশোর জীবনে।
মুভিতে আমার ভালো লাগা দুটো দৃশ্য—
১) পানির ট্যাঙ্কির উপর থেকে তারেক, দীপু আর নান্টু নামের এক বন্ধুর নীচে নামার দৃশ্য। মনে পড়লে এখনও বুকে কাপন ধরে, গলা শুকিয়ে আসে, হাঁটু কাঁপে।
২) পিটি স্যারের কড়া নিয়ম। ছবিতে সবাই মিলে যেভাবে সেই স্যারকে জব্দ করলো তা জানতে হলে মুভিটা না দেখলেই নয়।
বাংলা ভাষায় শিশু কিশোরদের জন্য যতগুলো মুভি নির্মিত হয়েছে, নিঃসন্দেহে এই মুভিটা তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকবে।
Movie Review: Dipu Number Two || Mohammad Hasibul Bashar
Mohammad Hasibul Bashar is a second year student of Dhaka University.