অস্বীকৃত সত্য
বাকরুদ্ধ মানুষ শুনছো?
আনমনে কীসব ভাবছো?
তোমার প্রতি ছিল আমার সীমাহীন মুগ্ধতা।
আমার জন্যে ছিল তোমার কেবলই বাকরুদ্ধতা।
শোনো,তোমায় দারুণ লাগে পাঞ্জাবিতে।
থমকে যাই হঠাৎ তোমার হাসিতে।
যে কবিতাগুলো অবচেতন মনে লিখেছিলাম,
সেগুলোই পরে কান্নার কারণ হবে,
কখনো কি ভেবেছিলাম?
চেনা পরিচিত রাস্তায় চলে কত লোকের আনাগোনা
তবু্ও তোমার সাথে একটিবারও দেখা হয় না।
আমি তো তোমায় দেখেই খুশি থাকতাম,
তুমি সেটাও কেন চাইলে না?
আমাদের আর দেখা হবে না,তাই না?
ভবিষ্যতে কী হবে সেটা বলা যায় না।
তবে দেখা হলেও কথা হবে না।
কিন্তু কেন?
উত্তরটা তুমি জানো।
নতুন মানুষের আগমন ঘটেছে কি?
অনেকবার ভেবেছি তোমার চিত্র আঁকি।
যদি ফিরিয়ে দাও সেই ভয়ে আঁকা হয়নি।
জমে থাকা কথাগুলো বলা হয়নি।
সেও কি মুগ্ধ হয় তোমার হাসিতে?
তার হাতেও বুঝি রঙ্গন ফুল থাকে?
সেও কি আমার মতো বকুল ভালোবাসে?
তোমার অপেক্ষায় সেও কি থাকে বসে?
বলো কিছু,
কতকাল আর চলবো পিছু?
যেখানে নশ্বর এ জীবন,
কী হবে হয়ে আবেগপ্রবণ?
মানে?
আক্কেলগুড়ুম হলে নাকি?
চলো এখনো অনেক পথ বাকি।
মানুষ তো কত সহজে বদলায়,
আমি কেন পারি না?
তোমায় রোজ ভোলার চেষ্টা করি
তবু্ও ভুলতে পারি না।
শেষটা এমন না হলেও পারতো,
কাঁদছো কেন?
কাঁদলেই কি সব ঠিক হয়?
বলো না কী হবে মোর উপায়?
ভাবছি অনেক দূরে যাব,
তোমায় যেথায় গেলে ভুলে যাব।
হাসলে যে,রহস্যময় হাসির কারণ কী?
ভাবছি!ভাবছি!
আসলেই কি কখনো ভোলা যায়?
যে করে তোমার মস্তিষ্কে বিচরণ,
যাকে মনে পড়ে সারাক্ষণ,
তাকে ভুলবে কতক্ষণ?
তাহলে?
চলো দূরবীন দিয়ে আকাশ দেখি,
কল্পনায় অন্তত পাশে থাকি।
তুমি মোর জীবনের অস্বীকৃত সত্য,
যা কখনো হবে না বিকৃত।
অস্বীকৃত সত্য || মোছা. সাবরীনা ইয়াসমিন
সাবরীনা ইয়াসমিন একজন শিক্ষার্থী। সত্য বলতে গেলে তিনি সত্যজিৎ রায়ের একজন পাগল ভক্ত। ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার সুবাদে একাকী থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অবসর সময় কাটে লেখালেখি করে।