বই রিভিউ: কালো বরফ
বইয়ের নামঃ কালো বরফ
বইয়ের ধরণঃ মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস
লেখকের নামঃ মাহমুদুল হক
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানঃ সাহিত্য প্রকাশ
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা
প্রকাশের সনঃ ১৯৭৭
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৩০
√ কালো বরফ ~ জীবনকে উপলব্ধি করার অপ্রতিম অনুষঙ্গ।
বই রিভিউঃ
বইয়ের পাতার কি আবার স্বাদ থাকে? কিংবা বরফের রঙ আবার কালো হয় কিভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কৌতুহলী এই আমি মিশে গিয়েছিলাম "কালো বরফ" বইয়ের আলুনি স্বাদের শব্দচিত্রে, অথচ এক বুক রিক্ততা নিয়ে শেষ করতে হলো বইটি। তবে অনুভূতির এই বিন্যাসকে ঠিক শূন্যতা বলা চলে না। অদ্ভুত সব চরিত্র আর ঘটনার অভিসার বইয়ের পরতে পরতে। টসটসে হিউমারের সাথে আছে সূক্ষ্ম জীবনবোধ। বইটির সংসর্গে এসে আমার হৃদয় আকাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল দেশভাগ, মনিদা, মা, টিপুভাই, ছবিদি, তুলি পাখি, মাধুরী, গিরিবালা, পোকা, আবদুল খালেক, রেখা; নির্বাপিত অন্য সবার গল্পও। হারিয়ে গিয়েছিলাম মাহমুদুল হকের ঘোরলাগা শব্দচিত্রের মিহি সৌকর্যে।
বইটি শুরু করতেই মনে হচ্ছিল এ যেন মায়ের হাতে পিঠা খাচ্ছি। কি সুন্দর শব্দ বিন্যাস, সুললিত ভাষার সৌন্দর্য, হৃদয়কে চিরে দেখানোর উপযোগী শব্দচিত্র, ধ্বনির ইন্দ্রজাল সৃষ্টিতে নিপুণতা, প্রচন্ড সংক্রমণ শক্তিসম্পন্ন প্রকাশভঙ্গি! মনে মনে ভাবতে লাগি বাংলা সাহিত্যে এরকম উপন্যাসও বুঝি হয়! যতই এগিয়ে চললাম বইয়ের পাতায়, মুখের হাসিটা ক্রমশ সঙ্কুচিত হতে লাগলো, ধীরে ধীরে অনুভব করতে লাগলাম এ যেন বিষাদের মাইসেলিয়াম জালক। গল্পটা বোধহয় সুখের নয়। তবে কি অপ্রাপ্তির? সহজভাবে বলতে গেলে এই উপন্যাস অসামান্য জীবনবোধের, শিল্প সত্ত্বার জাগরণের, প্রেম ও বিরহের এবং নিজেকে নতুন করে খুঁজে নেওয়ার। তৎকালীন বিনোদন পত্রিকা বোধহয় সেজন্যেই লিখেছিল," শুরু থেকে শেষ অব্দি মাহমুদুল হক তাঁর উপন্যাসকে যেভাবে বুনেছেন, সেই ভাব ও আঙ্গিক খুবই আকর্ষণীয় এবং এর পরিণতিও বেশ পরিণত। তাঁর ভাষায় এমন একটা তরতাজা সৌন্দর্য আছে যা মনকে তৃপ্তি দেয়। "
বাংলা সাহিত্য জগতে মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" একটি কালজয়ী উপন্যাস। মাহমুদুল হকের লেখার মান উন্নয়নে প্রথম দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কবি শহীদ কাদরী। লিপিকুশল বন্ধুবান্ধব ও বাসার সবার কাছে 'বটু’ নামে পরিচিত মাহমুদুল হক শুধু চরিত্রের রূপায়ণই নয়, যে শব্দচিত্র দিয়ে গড়ে তোলা হয় উপন্যাসের সুবিশাল ক্যানভাস, সেই শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তাদানা বেছে নেওয়ার দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। মুক্তাদানার মতো সব জ্বলজ্বলে শব্দে গেঁথেছেন গদ্যের অপূর্ব মালা। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। বইটির রচনাকাল ১৯৭৭ সালের (২১-৩০) আগস্ট। প্রথম প্রকাশিত হয়েছে সাপ্তাহিক পূর্বাণীর ঈদসংখ্যায় এবং ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে 'Black Ice' শিরোনামেও।
উপন্যাসের প্রথম বাক্যটিতেই লুকিয়ে আছে শৈশবের এক চিরায়ত অভ্যেসের চপলতা - " তখন আমার অভ্যেস ছিল বুড়ো আঙুল চোষা। " খোঁড়া গাংশালিক তুলিপাখির জন্য সারাটা দুপুর সবকিছু জড়ো করে যেভাবে বসে থাকতো পোকা, ঠিক সেভাবেই অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে এক বসায় শেষ করেছি বইটি। কি অদ্ভুতই না ছিল আমাদের শৈশব! উপন্যাসের শুরুটা হয়েছে শৈশবের নিরাসক্ত স্মৃতিচারণা দিয়ে। পাচুর দেয়া কাঁচের চুড়ি নিয়ে প্রায়ই বিষম খেয়ে থাকতো পোকা। কারণটা ছিল আরও বেশি অদ্ভুত! হাবাগোবা ছেলেটি অনেকক্ষণ ধরে বসে দেখতো পুঁটির থালা বাসন মাজা, ধেঁড়ে মাছের সরের চাঁছি খাওয়ার আকুতি, আকন্দ ও শিমুলগাছের সাথে কথোপকথন। আহা, সে কি অনুভূতি!
পুঁটির চিন্তা ভাবনা ছিল একটু অন্যরকম।হেড়েমাথার পোকাও ছিল বেঢপ ধরনের। মাথায় ঢু মারলেই শিং উঠার ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিতো সবসময়। চোখ ফুটে কান্না করার ভয়ে পুটির থেকে মন্ত্রও শিখেছিল ছেলেটা। বিনিময়ে পুঁটিকে দিয়েছিল ঔষধ মাড়ার খল। পুঁটি যখন মনের খেয়ালে পিচ্চি পোকাকে আজগুবি সব কথা বলছিল তখন বেশ মজা পাচ্ছিলাম। বুড়ো ঝাউগাছে সাহেবদের শকুন শিকার, সৈন্যদের সাথে ইংরেজি বলা, পানুর গান আর ইংরেজি- জিনজার মানে আদা, মিনজার মানে মাদা, গিনজার মানে গাঁজা। সত্যিই একবারে ডুবে গিয়েছিলাম উপন্যাসের সুমিষ্ট দিঘির জলে।
কেনারাম বাবু সেই ছেলেটির ডাকনাম রেখেছেন পোকা। এদিকে টিপু ভাইজান এবং মনি ভাইজান যোগসাজশ করে প্রায়ই ঠকাতো মাকে। রানিবুবু বুঝতে পেরে যখন সবকিছু ফাঁস করে দিত মায়ের কাছে, তখন বেঁধে যেত তুমুল ঝগড়া। উড়ে নটবরের পানি পাম্পের কাজ, কলুদের মেয়েদের সাথে গিরিবালার ঝগড়া করে ঠ্যাং ছড়িয়ে কপালে করাঘাত করা, ঝগড়া লাগলে টিপু ভাইজানের দুদু ডাক নাম ছড়িয়ে দেয়া, কুন্তি ও টোটা বিড়াল, মনি ভাইজানের পানুকে ভয় দেখিয়ে প্যান্ট খোলার মতো কান্ড; কি আনন্দেই না কেটেছে ছেলেটার শৈশব।
পোকা লুকিয়ে রাখতো কাচের চুড়ির শেকল, বসে থাকতো তুলি পাখি আসবে বলে। মনিদাদা খেপাতো ছবিদিকে। গিরিবালা তার অকেজো চোখ নিয়ে বসে থাকতো বাড়িতে। টিপুভাই কলকাতার কলেজে পড়তে যেতো। মা ধরে রাখতো সমস্ত সংসার। আর আবদুল খালেক? অদ্ভূত বিষণ্ণতায় তাকিয়ে থাকতো মাঠের দিকে, কী যেন একটা খুঁজতো, অথচ খুঁজে পেতো না কখনোই। মনে পড়ে গেলো উপন্যাসের একটা লাইনঃ “ সকলের ভেতরেই বোধহয় এইরকম আরো একটা আলাদা সংসার পাতা থাকে, সেখানে সে তার খেলার পুতুলের জন্য নিজের যথাসর্বস্ব দ্যায়, এক টুকরো ভাঙা কাচের জন্য বুক ভরে কাঁদে, নিছক কাগজের নৌকা ডুবে গেলে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।” জীবনটা হয়তো এরকমই। সত্যিই কি এমন?
" মনি ভাইজান বললে, তোমার যা খুশি, যা দিতে পারো, হাতে সময় নেই, দেরি হয়ে যাচ্ছে, দাও। ফস করে মাথা থেকে ফিতে খুলে দিল ছবিদি। বললে, এটা নেবে? মনি ভাইজান ভিক্ষা নেওয়ার মতো দুহাত পেতে বললে, তোমার মাথার কাটা, ক্লিপ, যা পারো, সব দাও। ছবিদি দিলো। দিয়ে হু-হু করে কেঁদে উঠলো। বললে, মনিদা, আমি মরে যাবো, আমি মরে যাবো। "
একদিন ছবিদি কাঁদে, মনিদা চিরদিনের মত হারিয়ে যায়। সময়ের আবর্তনে পোকা হয়ে যায় নিরীহ অধ্যাপক আবদুল খালেক, আর সবাই লীন হয়ে যায় রেখাটুকুতে। একদিন সিফাত হয়ে যায় জোনায়েদ করিম, সেই চুইংগাম, পেঁপে রেস্তোরাঁয় বন্ধুদের জন্মদিনে তোলা সেলফিতে বিলীন হয়ে। এইভাবে মাহমুদুল হক শব্দচিত্রের যে জাঁকালো পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন, আমার সাধ্য কী সেই কুহকের জালক ভেদ করা? আমিও মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যেতে থাকি। তবে অচিরেই এক লহমায় মাটিতে নামিয়ে আনেন লেখক। আবদুল খালেককে সাক্ষী রেখে দাঁড় করিয়ে দেন বাস্তবতার পরুষ জমিনে। বৈষয়িকতার সাথে ক্রমাগত যুঝতে থাকা খালেককে আশেপাশের মানুষগুলোর সাথে মেলাতে গিয়ে শৈশবে ফিরে যেতে খাবি খেতে হয় আমাকে। এদিকে তরতর করে এগোতে থাকে গল্প আর আবদুল খালেক ওরফে পোকার দ্বৈত বয়ান দ্বন্দ্বে ফেলে দেয় আমাকে। দুজনকে মেলাতে পারি তখন, যখন গিরিবালা ঝুপ করে নেমে আসে আবদুল খালেকের ভাষ্যেঃ
" বাইরে আকাশ বলে একটা কিছু আছে, তা জান তো! সেখানে একটা চাঁদ আছে, গোল চাঁদ। ঐ চাঁদের ভেতর হাঁটুমুড়ে কতোকাল বসে আছে। চরকায় সুতো কাটছে বসে বসে। "
পোকা ও আবদুল খালেকের এই আজব যুগলবন্দি চলতে থাকে উপন্যাস জুড়ে। বাবা, মা, মনি ভাইজান, টিপু ভাইজান, রানিবুবু, পুঁটি, কেনারাম কাকা, ছবিদিরা পোকাকে অহর্নিশ সুখস্বপ্ন দেখিয়ে যায়, তার ছোট্ট জগতে তারা একেকজন অধীশ্বর হয়ে ওঠে, নিজেদের অজান্তেই। কিন্তু দেশভাগের টানাপোড়েনে সে বিচলিত হয়, তার ভেতরটা পুড়ে খাক হতে থাকে। কিন্তু আর দশটা মানুষের মত সবদিক সামলে চলার ব্যাপারে সে অপটুই থেকে যায়। রেখা ও আবদুল খালেকের ছোটখাট মান- অভিমানের ভেতর দিয়ে আবদুল খালেকের কল্পনাবিলাসী মন পাঠকের কাছে আরও গভীরভাবে ধরা দিতে থাকে এইভাবে- " রেখা আর টুকু, এই দুজনের জন্যে তার ভাবনা। নিজেকে সে বাদ দেয়; নিজেকে নিয়ে তার কোন সমস্যা নেই, কোনো না কোনোভাবে তার চলে যাবে।"
উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশের শুরুটা হয় হঠাৎই "আলো ছায়ায় যুগলবন্দি" শিরোনামে। রেখা ও খালেকের টানাপোড়েন অনেকটা থিতিয়ে পড়ে এখানে, তারা সহসা আবিষ্কার করে, তাদের সম্পর্কের গাঁথুনি পলকা নয় মোটেই। কিন্তু চমকে উঠতে হয়, যখন হঠাৎ পাঠক আবিষ্কার করে, দেশভাগের সময় পোকার ঘরছাড়ার সেই স্মৃতি আবদুল খালেককে আজ পর্যন্ত বিবশ হয়ে তাড়া করে, আর কোন এক আলটপকা আচম্বিত মুহুর্তে ছাইচাপা আগুনের মত বেমক্কা জ্বলে ওঠে। পাঠক ধাক্কা খায়, যখন মনিভাইজান ছবিদির কাছ থেকে বিদায় নেয়। সেই যে সুর কেটে যায়, তাতে আবদুল খালেকের সারাটা জীবন বেসুরো হয়ে পড়ে।
সম্পর্কের অতি পরিচিত কিন্তু অচেনা দিকগুলো যখন ব্যাপিত হওয়ার পরিবর্তে শীতল হয়ে জমতে শুরু করে তখন এর রঙ হালকা না হয়ে গাঢ় হয়ে যায়; বরফ সাদা না হয়ে কালো বরফ হয়ে নির্বাপিত হয়ে যায় গল্পের মতো করে। এভাবেই উপন্যাসের প্রতিটি শব্দ আমাকে স্পর্শ দিয়েছে কালো বরফের। কালো বরফ মন্থনকালে কত কথাই যে মনে আসে! এমন ভয়ঙ্কর সুন্দরভাবে কেউ কি লিখতে পারবে আরঃ
১) " হু হু বাতাসের গায়ে নকশা-তোলা ফুলের মতো অবিরল আকুলতা,পোকার বুকের ভেতরের ফাঁকা দালানকোঠা গুম গুম করে বাজে, পোকা তুই মর, পোকা তুই মর! "
২) " স্বর্গে বাস করেই মানুষ স্বর্গের জন্য কাঁদে, নরকে বাস করে অস্থির থাকে নরকের ভয়ে। "
৩) " কায়দা জানলে মার খাওয়া আর এক গেলাস দুধ খাওয়া সমান কথা। "
৪) ‘' এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়। জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালােবাসা, যে ভালােবাসায় অনেক ছেলেবেলা.."
৫) " বাইরে আকাশ বলে একটা কিছু আছে, তা জান তো ! সেখানে একটা চাঁদ আছে, গোল চাঁদ। ঐ চাঁদের ভেতর হাঁটুমুড়ে কতোকাল বসে আছে। চরকায় সুতো কাটছে বসে বসে। "
৬) " হু হু বাতাসের গায়ে নকশা-তোলা ফুলের মতো অবিরল আকুলতা,পোকার বুকের ভেতরের ফাঁকা দালানকোঠা গুম গুম করে বাজে, পোকা তুই মর, পোকা তুই মর! "
৭) “ আসলে জীবন মানেই শৈশব; জীবনভর মানুষ এই একটা ঐশ্বর্যই ভাঙ্গিয়ে খায়, আর কোনো পুঁজিপাট্টা নেই তার। ”
সুবিখ্যাত ঔপন্যাসিক Harper Lee তার 'To Kill a Mockingbird' গ্রন্থে লিখেছিলেন, " You never really understand a person until you consider things from his point of view. " ১৯৪৭ সালে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা, বিদ্বেষ, ক্ষোভ, দেশভাগ, প্রেম, বিরহের সাথে কাহিনী, আখ্যান, সংলাপ ও মূল চরিত্রের বিষণ্ণ দর্শন , ছেলেবেলার স্মৃতিকথন আর চরিত্রদের মধ্যে সমসাময়িক আলাপচারিতার মাধ্যমে চরিত্রের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে সবকিছুর উপস্থাপনে মাহমুদুল হক সত্যিই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। "কালো বরফ" উপন্যাস তাই অনুভূতির একটি জীবন্ত দীর্ঘশ্বাস; বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য এক শিল্প, যা একবার নয় বহুবার পড়া যায়, এবং প্রতিবারেই খুঁজে পাওয়া যায় নিত্যনতুন আনন্দ উপভোগ করার অনুষঙ্গ। লেখকের প্রিয় নিজামউদ্দিন ইউসুফকে উৎসর্গ করা ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে তার অনন্যতা, নিজস্বতার জন্য পাঠক নন্দিত হবে চিরকাল।
বিখ্যাত মনীষী বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, “একটি বই পড়ার দুটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত; একটি হল- বইটিকে উপভোগ করা; অন্যটি হল- বইটি নিয়ে গর্ব করতে পারা।” কালো বরফ বইটির সংসর্গে এসে একথা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে বই পড়ার এই দুটো উদ্দেশ্যই সফল হয়েছে আমার। সবশেষে বলতে চাই এ বই কিশোর-কিশোরীদের জন্যে, তরুণ-তরুণীদের জন্যে; ছেলে বুড়ো সকল বয়সী পাঠকের জন্যে। এই বই আনন্দের জন্যে, এই বই আলোকপ্রাপ্তির জন্যে। পাতা উল্টোতে উল্টোতে কখন যে পাঠকদের চোখ আঁটকে যাবে ১৩০ পৃষ্ঠার আলুনি স্বাদের শব্দচিত্রে, পাঠক টেরই পাবে না।
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ১০/১০
জয়তু পাঠক। পৃথিবী বইয়ের হোক। দুনিয়ার পাঠক এক হও।
মোঃ ফাহাদ হোসেন ফাহিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী।