জেগে ওঠ তোরা ডাক এসে গেছে
অত্যাচারের বেড়িতে ঘেরা
রয়েছে আজ আমার প্রাণ।
বুকের মাঝে বাজছে শুধু
মুক্তির জয়গান।
আজকে হৃদয় মাঝে হয়েছে উত্থিত
এক অনমনীয় উদ্দীপিত শিখা।
হয়েছে উদয় শুভবুদ্ধির চেতনা
জানিনা কি ধরে আছে ভাগ্যের রেখা।
তবে সইতে সইতে হয়েছি আজ আমি ক্লান্ত,
এ সমাজ, এ জাতি যে হয়েছে সবাই ভ্রান্ত!!
চারপাশে সব শত্রুরা আছে ঘিরে
ক্ষণ পর পর হাসছে মোদের দিকে ফিরে।
এই হাসির কারণ জানতে চাও?
জানতে চাও কেন বন্দী মোরা আজ খাঁচায়?
কারণ আমরা সবাই হয়েছি নির্বোধ!
কুযন্ত্রীরা আমাদের আঙ্গুলের ইশারায় নাচায়।
না আছে কোন শাসন, না আছে নিয়ন্ত্রণ
হয়েছে আজ বিক্ষিপ্ত পুরো জাতি!
স্বার্থপরতার এই পরিণামে
আজ নির্দোষদের মুখে কালিমা মাখি।
হচ্ছে কতনা অবিচার যেথা সেথা
কটারই বা খবর আমরা রাখি?
আজ এ পৃথিবী এসে গেছে তার ধ্বংসের অভিমুখে,
অগণিত অন্যায় সহে সহে।
লাথিয়ে মাড়িয়ে চলে যায়
তবু কেউ দেখেনা চেয়ে নিচে আছে কি,
বিবেক কি সব হয়ে গেছে নিঃশেষ এই দেহে??
অন্যায়ের এই বিজয়ে উল্লসিত সব বজ্জাত শয়তান
করছে মহা-আনন্দে মজা-ফূর্তি!!
শতবর্ষ হয়ে গিয়েছে
জন্ম নিয়েছে শেষ মহান মূর্তি।
ক্ষুদার্ত লোভী শেয়ালেরা পড়েছে ঝাঁপিয়ে
হাজারো জনের সম্ভ্রম করেছে লুণ্ঠন।
শিক্ষা দিতে হবে তাদের অস্তিত্ব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে
সবাই হাতে নাও দুইটি করে লন্ঠন।
আজ আমার বুকে প্রজ্জ্বলিত হয়েছে এমন এক আগুন
মৃত্যুর আগে হবেনা যা স্তিমিত।
আর নয় ভয়ে ভয়ে কোন চলাফেরা
থাকবে না আর সুবিচারের দ্বার সীমিত।
মানুষ আজ ভীত-সন্ত্রস্ত সন্ত্রাসীর ভয়ে
জড়াতে চাও না কেউ নিজেকে বিপদে?
করছে না কেউ অন্যায়ের কোনো প্রতিবাদ
ধনীরা বদ্ধ অট্টালিকায়
গরিবেরা নিজ নিজ কুটিরের প্রাসাদে।
আমি তো গিয়েছি জেগে
তোমরা জাগবে কবে?
ক্ষতি-শাস্তি-মৃত্যুর কথা ভেবে
আর কত ভয় পাবে?
শতশত সত্যপ্রেমীরা
দিয়ে দিল নিজ প্রাণ।
আসছি আমি তোমাদের কাছে
নিয়ে মুক্তির আহবান।
লাথি মার ভাঙরে তালা
হৃদয়ে আগুন জ্বালা।
আগুনের গ্রাস দেখে যেন
তারা বলে ‘পালা! পালা!’
ধিক্কার, শত ধিক্কার তোদের,
ওহে ভীত ক্ষুদ্রপ্রাণ!
থাকিস না বসে গুটিসুটি মেরে
ছুঁড়ে দিয়েছে যে তারা বিষবান।
বুকের রক্ত ঝরিয়ে এগিয়ে চলবো মোরা
তবুও করবো না তো আত্মসমর্পণ।
মৃত্যুর দূত এসে যাক, চিন্তা নেই কোন তাতে
তবুও থামে না যেন ক্ষণের জন্যও অগ্নিবর্ষণ!
কিসের এত ভয় রে তোদের?
শেষ হলে শেষ হয়ে যাক(জীবন)!!
সত্যের বিজয় হলেই
কেবল হবে যবনিকাপাত।
কোথায় গিয়েছে হারিয়ে
এ জাতির মহান চেতনা?
রক্তের সেই উত্তাপ ফিরে পেতে
করতে হবে যে মহান সাধনা।
‘’পরিবর্তন পরিবর্তন
আসবে যে পরিবর্তন ‘’
একই কথা শুনে শুনে
সবাই ক্লান্ত, দিশেহারা, বিভ্রান্ত!
জাগতে হবে যে এখনি
আমাদের ধ্বংস না করে হবে না তারা শান্ত।
জানি না আবার আসবে কবে
ন্যায়ের জয়ধ্বনি ফিরে,
এতটুকু জানি যুদ্ধের ডাক মাত্র এসেছে
অপেক্ষার পালার অন্ত বহু দূরে।
কুকুর বেড়ালের মতো আঘাত করেছে আমাদের
সময় এসেছে এবার প্রতিশোধের।
যারা জেগেছো তাদের জন্য বলি
ভয়ে হটে যারা পিছু জোর করো না তাদের।
শুধু যারা বুকে আগলে সত্য
এগিয়ে যেতে পারবে এ কঠিন মৃত্যুপথে,
শুনে রাখো তোমরা, খুশি হও!
নেই কোন ক্ষয়,মহিমান্বিত দেহ বাহিত হবে রথে।
সকল প্রস্তুতি তোরা
সম্পন্ন করে রাখ আজি,
অগ্নিবীণার বাঁশিকে
থামাবে না কারো কারসাজি!!
জেগে ওঠ তোরা ডাক এসে গেছে || Farhan Gazi
Farhan Gazi is currently a student of Dhaka Residential Model College in the 12th grade. He has a passion for writing stories and poems. He especially loves to write poems about revolution and history. He has only 3 members in his family: his father and mother, and him.