ক্ষুধা!
ক্ষুধা একটি সামাজিক ব্যাধি;
অস্তিত্ব জুড়ে ভয়াল মহামারী-
অবয়বে ভেসে ওঠে দুর্ভিক্ষের ছবি;
ওঠা নামা করে দুঃখের পারদ…
নিয়ত মাথাচাড়া দেয় নিমগ্ন ক্ষুধার
হিংস্র দানব!
অভাব, ক্ষুধা,দারিদ্রতা দ্রুত
ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্সারের মত;
দুর্নিবার গতিতে জীবনের অলিগলিতে!
কত স্বপ্ন হারিয়ে যায়,
কত আশার মূল মুকুলে ঝরে
দারিদ্রতার নির্মম কষাঘাতে;
কত জীবন তলিয়ে যায় টোকাই,
ভাসমান- পথশিশু,নামের অন্তরালে!
প্রতিবাদের লাভা বারুদের
মতো জ্বলে;
দাপুটে ক্ষুধা মেটাতে দৃষ্টি পড়ে-
রাস্তার ধারে ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট
খাবারে!
অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থান, চিকিৎসা-
শিক্ষার নেই কোন বন্দোবস্ত;
কখনো মিটবে না হয়তো ওদের
সীমাহীন ক্ষুধা…মৌলিক প্রয়োজন
জোটে না সরকারি অনুদান ;
মেরে খায় অর্থলোভী, নরপিচাশ
সুবিধা ভোগী দালাল অসাধু
নেতা গন!
নেশার কবলে পড়ে কেউ নষ্ট হয়,
কেউ হাত পাতে দ্বারে দ্বারে,
কেউবা আবার সুবিধা ভোগী দের
নজরে পড়ে।
পেটের দায়ে খেটে খাওয়া নারীরা
নিজেকে বিলিয়ে দিতেও বাধ্য হয়;
কারো আশ্রয় তাদের পতিতালয়!
চিল শকুনিরা তাকিয়ে থাকে-
লোভাতুর নর মাংসের খোঁজে!
বাস্তবতার কার্পেটে চড়ে ওদের দুঃখ
আসে;
সীমাহীন অন্ধকার দু'চোখে নামে
চির বিদায় নিতে চায় ক্ষণে ক্ষণে!
ফুরায় না প্রগাঢ় অন্ধকার জীবনের;
নব দিগন্ত ওঠে না শরীরে মেখে
সোনালী রবির কিরণ!
উন্মোচন হয়না কোন সম্ভাবনার দ্বার
কপালে জোটে না সুখের হাতছানি,
মেটে না ওদের নিমগ্ন ক্ষুধার তীব্র জ্বালা;
বেঁচে থাকে শুধু বেঁচে থাকার নিয়মে
নিষিদ্ধ মানব অথবা কিট- পতঙ্গ রূপী!
Rashida e Ashrar is a poet. Her first poetry book, Osthir Shomoye Klanto Pakhira, was published on February Ekushey Boi Mela in 2020. Besides poetry, she also writes essays on the contemporary events in Bangladesh.