কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ কক্সবাজার জেলার একমাত্র উচ্চতর নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের অধিকারী, নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি কক্সবাজার প্রাকৃতিক ও খনিজ...
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ কক্সবাজার জেলার একমাত্র উচ্চতর নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের অধিকারী, নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি কক্সবাজার প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের অফুরান ভান্ডার হিসেবেও অধিক পরিচিত। জাতীয় অর্থনীতিতে কক্সবাজারের রয়েছে বিরাট অবদান। প্রায় ৩০ লাখ মানুষের এ জেলা মৎস্য, লবণ, চিংড়ি, শুটকি, কাঠ, কৃষি ও পর্যটন শিল্প থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেকটা পিছিয়ে। তাছাড়া জেলা শহরে নারী শিক্ষার পরিপূর্ণ একটি মহিলা কলেজ না থাকায় চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মেয়েদের পক্ষে পড়ালেখা করা সম্ভব হত না। ফলে নানা ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল করেও মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।এ চরম বাস্তবতাকে উপলব্ধি করেই এলাকার প্রবীণ রাজনীতিক, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী, সাবেক সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও এলাকার শিক্ষানুরাগীদের সহযোগীতায় ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কক্সবাজার মহিলা কলেজ।nসমৃদ্ধ সমাজ বির্নিমাণ ও আলোকিত জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হয়েছিল এই কলেজের অভিযাত্রা। এই অভিযাত্রায় সেদিন শামিল হয়েছিলেন সমাজের শিক্ষানুরাগী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশী দাতাবৃন্দ। জার্মানির বেভারিয়ান রেডক্রসের মি. এডেলস বার্জার এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেন কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। তাদের অক্লান্ত শ্রম ও ত্যাগের শুভক্ষণটি আসে ১৯৯৭ সালের ১৬ মার্চে কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা সম্বলিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালের ৭ এপ্রিল কক্সবাজার মহিলা কলেজ সরকারি করণ হয়। শুভ সূচনার পথে ২০০০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই কলেজের ছাত্রী ফারজিয়া আক্তার রিমি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড হতে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান এবং মেয়েদের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে কলেজের সুনাম উজ্জ্বল করে। মানবিক, বিজ্ঞান, স্নাতক বিভাগের পাশাপাশি নতুন করে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু, নতুন ৮টি শিক্ষকের স্থায়ীপদ সৃষ্টি, কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত নতুন হোস্টেল ভবণ নির্মাণ- ধারাবাহিক অগ্রগতি ও সাফল্যের মাইলফলক। বর্তমানে সুযোগ্য অধ্যক্ষ, দক্ষ উপাধ্যক্ষ, বিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত- এ ক্যাম্পাস জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করে যাচ্ছে কক্সবাজারের নারী শিক্ষার দিক-দিগন্ত।
এই মুহুর্তে কোনও বিদ্যমান বিক্রয় নেই
এই মুহুর্তে কোনও বিদ্যমান ডিল / অফার নেই
এই মুহুর্তে কোনও বিদ্যমান কুপন নেই
এই মুহুর্তে কোনও বিদ্যমান খাদ্য কুপন নেই