Home » MAWblog » Top 10 in Bangladesh » শীতকালে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সেরা ১০ টি জায়গা
Top 10 in Bangladesh
Written by: এস এম নাহিয়ান
28-01-2024
প্রচন্ড শীত, বেলা করে ঘুমানোর ইচ্ছা প্রচন্ড কষ্টে দমন করে বিছানা ছাড়লেন। আপনার মনে হচ্ছে, আদৌ এত কষ্টের দরকার ছিল না। জানালা খুলতেই দেখলেন আপনার চোখের সামনে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি কিংবা সুউচ্চ পাহাড়। নিমিষেই শরীরের সকল ক্লান্তি কেটে গিয়ে ভর করবে নিদারুণ সতেজতা। বলছি শীতকালের এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা।
বছর শেষে ছুটি-ছাটার কারণে হোক আর যাতায়াতের সময় গরম আর ঘাম থেকে মুক্তি পেতেই হোক, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ শীতকালেই ভ্রমণ করে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি, ঘোরার স্থান গুলোতে যেন ভীড় লেগেই থাকে। তবে ভীড়ের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে হয়তো আর কখনোই দেখা হবে না সেই অপরূপ সৌন্দর্য। আর শীতের কুয়াশায় প্রকৃতির রুপ যেন হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। তাই আজকের লেখায় থাকছে শীতকালে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সেরা ১০টি স্থান।
পড়তে পারেনঃ ভ্রমণের আগে যে সকল জিনিস সাথে নিতে ভুলবেন না কখনোই
১। কক্সবাজার
শীতকালে ভ্রমণযোগ্য স্থানের তালিকা করতে হলে কক্সবাজারের নামটি আপনি থেকেই যেন প্রথমে চলে আসে। কারণ সমুদ্র ভ্রমণের আদর্শ সময়ই হলো শীতকাল। শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও সমুদ্রের পানি কখনই অতিরিক্ত ঠান্ডা হয় না। ফলস্বরুপ আপনি খুব সহজেই সমুদ্রে নেমে সমুদ্রকে উপভোগ করতে পারবেন। আবার একই সাথে সমুদ্রের পাড়ে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্য শীত থেকে সুরক্ষার প্রয়োজন হবে।
কক্সবাজার ভ্রমণে গেলে সুগন্ধা, কলাতলী ইত্যাদি শহুরে সমুদ্র সৈকতের বাইরেও বেশ কিছু ঘোরার স্থান রয়েছে। একটু দূরে যেতে চাইলে ঘুরে দেখতে পারেন ইনানী বীচ। তার থেকে সামান্য এগোলেই পেয়ে যাবেন পাটুয়ার টেক। যদি পাথরের উপর বসে সমুদ্রে পা ভিজিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে চান, তাহলে পাটুয়ার টেক থেকে ভাল কোনো স্থান নেই।
বর্তমানে কক্সবাজারে স্থল, রেল ও আকাশ, তিন মাধ্যমেই যাওয়া সম্ভব। তবে শীতকালে অধিক চাহিদার কারণে ৩৫০০ টাকার বিমান-টিকেটের দাম গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০০০ হাজার টাকায়। রেলের ক্ষেত্রে যেই ভাড়া মাত্র ৭০০ টাকা। অন্যদিকে বাসের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। বিমান ও রেলে যেতে হলে আগেই টিকেট কাটতে হবে। আর বাসের ক্ষেত্রে কাউন্টারে গিয়েও টিকেট পাবেন। তবে শুক্র-শনি বার যেতে চাইলে অগ্রিম কেটে রাখাই ভাল।
২। কুয়াকাটা
সমুদ্র ভ্রমণের স্বাদ আস্বাদন করতে চান, কিন্তু কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না? সেক্ষেত্রে ঘুরে দেখতে পারেন কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় অবস্থিত ১৮ কিলোমিটার লম্বা এই সমুদ্র সৈকত। এটি পৃথিবীর একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখা সম্ভব। কক্সবাজারের ন্যায় এতটা চাকচিক্যপূর্ণ না হলেও কুয়াকাটায় মোটামুটি ভাল সুবিধা রয়েছে। বিশেষত কিছুটা নিরিবিলি পরিবেশ চাইলে কুয়াকাটা আদর্শ স্থান। সমুদ্র তীরে বসে লাল-কাকড়া দেখতে চাইলে এর জুড়ি মেলা ভার। আর শীতকাল ইষৎ ঠান্ডা পানির সমুদ্রে নামতে চাইলে এখানেও রয়েছে সেই সুযোগ।
ঢাকা থেকে আগে অনেকেই সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠতো। অতঃপর বাসে করে আসতো কুয়াকাটা। তবে এখন পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার আপনি অতি সহজেই সায়েদাবাদ, গুলিস্তান ইত্যাদি বাস কাউন্টার থেকে বাসে উঠে চলে যেতে পারবেন কুয়াকাটা। এক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৭৫০ থেকে ২০০০ টাকা।
৩। সুন্দরবন
কক্সবাজার ও সুন্দরবন, বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম লেখানো দুটিই ভ্রমণ স্থানই রয়েছে বাংলাদেশের ঝুলিতে। যদি এই শীতে সুন্দরবন ঘুরে আসতে চান তবে প্রস্তুতি নিতে হবে ভাল ভাবেই। কারণ খুলনায় বিভাগের এই বনে শীতটা বেশ জেঁকেই বসে। তবে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারলে সুন্দরবন ভ্রমণ হবে নিসন্ধেহে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। চূড়ান্ত শীতের মধ্যে নিঃশব্দ এক বন। ভোরের প্রথম আলোয় শুধু কুয়াশার ভেতর গাছের ডগা গুলো দেখা যাবে। এরপর যত সময় যাবে ততই যেন আপনার চোখের সামনে ফুটে উঠবে সুন্দর বনের সৌন্দর্য। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হওয়ায় বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলের ভৌগলিক রুপ থেকে অনেকটাই আলাদা সুন্দরবন। করমজল, হিরন পয়েন্ট, সাজেনখালি, দোবাকি, সজনেখালি, হাড়বাড়িয়া সহ নানা উল্লেখযোগ্য স্থানে ঘুরে দেখতে পারেন। তবে সুন্দরবনের গভীরে যেতে হলে একমাত্র উপায় লঞ্চ।
ঢাকা থেকে সুন্দরবন যাওয়ার সবচেয়ে আরামদায়ক উপায় হলো লঞ্চ। সদরঘাট থেকে সরাসরিই লঞ্চে সুন্দরবন পৌছানো যায়। তবে সেক্ষেত্রে লঞ্চের ভাড়া, ৩-৪ দিনের থাকা খাওয়া সব কিছু মিলিয়ে প্রতিজনের ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পড়তে পারে। আবার অনেকে বাসে করে খুলনা এসে সেখান থেকেও সুন্দরবন যান।
৪। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
যদি দীর্ঘ ছুটি না থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকা থেকে কিছুটা কম দূরত্বের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। ঢাকা থেকে মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে মৌলোভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই জাতীয় উদ্যান। ১৯৯৬ সালে প্রথম এই অঞ্চলটিকে জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্য কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২৭.৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে পাহাড়ি পথে ঘুরে বেড়ানোটার রোমাঞ্চটাই আলাদা। চিরসবুজ এই বনে শীতকালেও দেখা মিলবে সবুজের। পুরো উদ্যানটিই অসংখ্য টিলার উপরে অবস্থিত। তবে উদ্যান শুনে একে নিছক বাগান ভাবলে ভুল করবেন। নামে উদ্যান হলেও এটি পুরোদস্তর বন।
সায়েদাবাদ, কল্যাণপুর, টিটিপাড়া সহ ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হানিফ, এনা সহ বেশ কিছু বাস ছেড়ে যায় এর উদ্দেশ্য। ভাড়া শুরু ৫৭০ টাকা থেকে। সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টার মতো।
৫। রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্য
হবিগঞ্জ জেলারই আরেকটি আকর্ষণ এই রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্য। ছুটির পরিধি একটু বিস্তৃত হলে লাউয়াছড়ার পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন রেমা কালেঙ্গাও। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত এই বনটি ১৯৮২ সালে অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রায় ১৮০০ একর জুড়ে থাকা এই বনটিতে গেলে দেখা মিলবে অসংখ্য প্রজাতির পশু-পাখির। রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির পাখি এবং ৬৩৮ প্রজাতির গাছ। চাইলে এর তিনটি ট্রেইল ধরে হেটে হেটে কুয়াশাচ্ছন্ন বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। আর নচেৎ পর্যবেক্ষন কেন্দ্র থেকে এক নজরেই দেখে নিতে পারেন সম্পূর্ণ বনের অপরুপ সৌন্দর্য।
ঢাকা থেকে বাসে করে প্রথমে যেতে হবে হবিগঞ্জের শায়েস্তা গঞ্জ। সেখান থেকে সিএনজি করে মধ্যবাজার হয়ে কালেঙ্গা বাজার অথবা সরাসরি কালেঙ্গা বাজার। তার থেকে ১০ মিনিটের হাটা পথে পেয়ে যাবেন রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্য।
৬। সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সারা বছরই মানুষের এখানে যাওয়ার চাহিদা থাকলেও শীতকালে চাহিদাটা যেন একটু বেশিই থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো শীতকালের শান্ত সমুদ্র। এছাড়াও শীতে কক্সবাজারের পর্যটকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের অনেকেই চান সেন্টমার্টিন দ্বীপটিও দেখে যেতে। টেকনাফ থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হলো লক্ষ বছর আগে টেকনাফের সাথে সেন্টমার্টিনের সরাসরি স্থল সংযোগ ছিল। যা পরবর্তীতে ডুবে যায়। এই সেন্টিমার্টিন আরও দুইটি নামে বহুল পরিচিত, নারিকেল জিঞ্জিরা ও দারুচিনি দ্বীপ।
ঢাকা থেকে প্রথমেই চলে যেতে হবে টেকনাফ। চাইলে বিমানে করে কক্সবাজারে যেয়ে সেখান থেকেও টেকনাফে যেতে পারেন। অতঃপর জাহাজের টিকেট কেটে যেতে হবে সেন্ট মার্টিন। তবে ঢাকা থেকে যাওয়া, জাহাজের ভাড়া এবং সেন্টমার্টিং এ থাকার খরচ সব মিলিয়ে মোটেও মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে থাকে না।
৭। চন্দ্রনাথ পাহাড়
চন্দ্রনাথ পাহাড় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম ভ্রমণকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত এই পাহাড়টি ১০২০ ফুট উচু। এতে উঠার জন্য দুইটি পথ রয়েছে। ডান দিকের পথ অনেকটাই সিড়ি দিয়ে বাধানো, বাম দিকের পথ পায়ে হাটা। যেকোনো পথ ধরেই আপনি উঠতে পারেন। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একাধিক মন্দির। যেমন শ্রী শ্রী বিরুপাক্ষ মন্দির। সেই মন্দিরে শিবরাত্রির সময় বিশাল মেলা হয়। এর সময়কাল সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস। শীতকালই এই পাহাড়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। কারণ শীতের সময় পাহাড়ি পথ শুকনো থাকে। পাহাড়ে ওঠার সময় ঘামও কম হয়।
এই পাহাড়টি দুই দিনের ট্যুরের জন্য আদর্শ বলা যায়। ঢাকা থেকে ‘ঢাকা মেইল’ নামক ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে। রাত সাড়ে ১১টায় রওনা দিয়ে পৌছে যাবেন ভোর ৬ টায়। সেখান থেকে চলে যেতে হবে সীতাকুন্ড বাজারে। বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে চলে যাবেন পাহাড়ের ফটকে। এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে অনেক বাসই সীতাকুন্ড আসে। সারাদিন পাহাড়ে ঘুরে চাইলে রাতের ট্রেনেই ফেরত চলে যেতে পারেন ঢাকাতে।
৮। সন্দ্বীপ
দ্বীপের নাম সন্দ্বীপ। চট্টগ্রাম জেলার অর্ন্তগত এই দ্বীপটি শীতকালে বেড়ানোর জন্য অনেক পর্যটকের কাছেই বেশ উপযুক্ত স্থান। অতিরিক্ত গরম না থাকায় এবং সমুদ্র শান্ত থাকায় এ সময়টাই সেখানে ক্যাম্পিং এর জন্য আদর্শ। ক্যাম্পিং করতে না চাইলেও রয়েছে সমুদ্র সৈকত, সবুজ চর, মুস্তাফিজুর রহমান জেটি। বিশেষত সমুদ্রের তীরে ক্যাম্পিং করতে চাইলে এটি দারুণ একটা যায়গা।
বাসে করে প্রথমেই চলে যেতে হবে সীতাকুন্ড। এক্ষেত্রে ট্রেন বা বাসে আসতে পারেন। নন এসি বাসের ভাড়া ৫০০ টাকা। সীতাকুন্ডের কুমিরা স্টীমার ঘাটের কথা বলে রাখলে সেভাবে নামিয়ে দেবে। অতঃপর অটোরিকশা করে চলে যেতে হবে আসল ঘাটে। সেখান থেকে স্পিডবোড, ট্রলার অথবা সী-ট্রাকে করে চলে যাবেন সন্দ্বীপ। ভাড়া পড়তে পারে যথাক্রমে ৩৫০ টাকা, ১৫০ টাকা ও ১২০ টাকা। যেই ঘাটে নামাবে সেখান থেকে সিএনজি তে চলে যাবেন সন্দ্বীপ মূল শহরে।
৯। জাফলং
শীতে ঘোরার জন্য সিলেট বিভাগটিই আদর্শ। আর তার ভেতর অন্যতম হলো জাফলং। জাফলং সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রকৃতি যেন নিজের হাতে ঢেলে সাজিয়েছে জাফলংকে। নদী, পাহাড়, ঝর্ণা, রং-বেরঙর নুড়ি-পাথর। কি নেই সেখানে। সীমান্ত ঘেষা এই স্থানটিতে সীমান্তের ওপারের পাহাড়ের সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। রয়েছে ডাউকি পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্না, ঝুলঙ্গ ব্রীজ, ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি এবং সেই পানির দুই পাশে থরে থরে সাজানো রঙ্গিন পাথর। এই স্থানটি শীত ও বর্ষা, দুইটি মৌসুমেই বেড়ানোর জন্য আদর্শ।
ঢাকার গাবতলী কিংবা সায়দাবাদ থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, শ্যামলি, এনা ইত্যাদি বাস যায়। এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। নন-এসির ভাড়া ৪০০-৮০০ টাকা। এছাড়া ট্রেনেও যেতে পারেন সিলেট। কমলাপুর থেকে রয়েছে পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস।
১০। মহামায়া লেক
এই তালিকার প্রতিটি ভ্রমণস্থান প্রাকৃতিক হলেও মহামায়া লেক একটি কৃত্রিম হ্রদ। ১১ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে মিরসরাই উপজেলায় এটি অবস্থিত। কৃত্রিম হ্রদ হলেও এর সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়। মূলত পাহাড়ি লেক ও ঝর্ণার পানি দিয়ে এটি গঠিত। এই হ্রদে রয়েছে পাহাড়ি গুহা, রাবার ড্যাম ও ঝর্ণা। এবং এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো কায়াকিং ও ক্যাম্পিং। ঘন্টায় ৩০০ টাকা মূল্যে কায়াকিং করা যায়। এছাড়াও মাত্র ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় রয়েছে ক্যাম্পিং ও খাওয়ার সুযোগ।
মহামায়া লেকে যেতে হলে স্বভাবতই যেতে হবে চট্টগ্রাম। এক্ষেত্রে বিমান, ট্রেন সড়ক যেকোনো পথে যেতে পারেন। অতঃপর চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি থেকে বাসে করে যেতে হবে লেকে। বাসে ঘন্টা খানেকের পথ চাইলে সিএনজি, অটোরিক্সা এমনকি গাড়িতে করেও যেতে পারেন।
শেষকথা
বাংলাদেশে যে আসলে কত অপরুপ ভ্রমণের স্থান রয়েছে তা অনেকেই জানি না। তবে সব স্থান সব সময় ভ্রমণের জন্য আদর্শ নয়। যেমন এই তালিকারই চন্দ্রনাথ পাহাড় বর্ষাকালে হয়ে ওঠে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবে এই তালিকার বাইরেও বাংলাদেশের ভ্রমণের আরও অনেক প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে। তবে শীতকালে ভ্রমণের কথা মাথায় রেখেই আপনাদের সুবিধার্থে লেখাটিকে সাজানো হয়েছে।
25-03-2024
Top 10 in Bangladesh
পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের...
Read More18-03-2024
Top 10 in Bangladesh
চলছে রমজান মাস। ধর্মীয় দিক থেকে অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ...
Read More05-03-2024
Top 10 in Bangladesh
শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময় থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোই...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.