Economy

বম্বে সুইটসঃ একটি মিষ্টির দোকান থেকে মার্কেট লিডার হয়ে ওঠার গল্প

Written by: এস এম নাহিয়ান

22-01-2024

বম্বে সুইটসঃ একটি মিষ্টির দোকান থেকে মার্কেট লিডার হয়ে ওঠার গল্প

 

‘পটেটো ক্র্যাকারস’, নামটি শুনলেই যেন ছোটবেলার এক গাদা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত চিপসের স্থানটি এই ’পটেটো ক্র্যাকারস’ ই দখল করে রেখেছে। আর এই অনবদ্য পণ্যটির পেছনেই রয়েছে বম্বে সুইটস নামক দেশীয় এক কোম্পানির বেড়ে ওঠার গল্প। পটেটো ক্র্যাকারস এর পাশাপাশি নানা ধরনের জনপ্রিয় চিপস ও জুসের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এই বম্বে সুইটস। কিভাবে একটি মিষ্টির দোকান থেকে এত বড় কোম্পানির জন্ম, আর কেমনই বা ছিল সেই চলার পথ, সে কথাই থাকছে আজকের লেখাতে। 

শুরুর কথা 

বম্বে সুইটস এর শুরুটা দেশভাগের পরপরই, ১৯৪৮ সালে। বম্বে সুইটস এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে জিভানি পরিবারের নাম। জিভানি পরিবারের তৎকালীন প্রধান মিস্টার জিভানি এর মিষ্টির প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা থেকেই শুরু হয় বম্বে সুইটস এর যাত্রা। নামের সাথে মিল রেখে প্রথম পর্যায়ে এটি আসলেই ছিল একটি মিষ্টির দোকান। পুরানো ঢাকার নওয়াবপুর রোডের দোকানে থরে থরে সাজানো থাকতো মুখে জল আনা হরেক রকমের মিষ্টি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সে সময়ের লাড্ডু, বরফি, প্যারা এবং রসগোল্লা। তবে এ সকল মিষ্টির পাশাপাশি জিভানি সাহেব আরেকটি খাদ্যদ্রব্য বেচতেন যা দোকানটির সুখ্যাতিতে অনেক বড় প্রভাব রেখেছিলো। সেই খাদ্যবস্তুটি ছিল জারভর্তি চানাচুর। মূলত একেবারেই কুটির পর্যায়ের শিল্পের উপর ভিত্তি করে যাত্রা শুরু বম্বে সুইটস এর। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে ঢাকার বাইতুল মোকাররাম এবং নিউ মার্কেট এলাকায় গড়ে ওঠে বম্বে সুইটস এর দোকান। ১৯৫০ এর দশক এবং তার পরবর্তী সময়ে চানাচুরই হয়ে ওঠে বম্বের সুইটস এর প্রধান পণ্য। 

যেভাবে গড়ে উঠলো আজকের বম্বে সুইটস

ফ্যাক্টরি স্থাপন 

দেশভাগের পরপরই প্রতিষ্ঠিত হলেও বম্বে সুইটস আসল বৃদ্ধি হয় স্বাধীনতার পরে। ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে। সে সময় কোম্পানিটির লক্ষ্য ছিল মিষ্টি ও চানাচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন তৈরি খাবার ও পানীয়র বাজার দখল করা। খাবারের মধ্যে বিখ্যাত ছিল বিস্কুট, কেক ও টোস্ট। পানীয়র ক্ষেত্রে বম্বে সুইটস এর প্রধান দ্রব্য ছিল কমলা, লেবু ও আনারসের জুস। পরবর্তীতে ব্যাংক লোনের সাহায্যে বম্বে সুইটস ঢাকার উত্তরাঞ্চলের ফ্যাক্টরি গড়ে তোলে। সে সময় ঢাকার কাপ্তান বাজার, বনগ্রাম, রাকিন স্ট্রিট ও ফকিরাপুলে বম্বে সুইটস এর বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র কারখানা ছিল। বর্তমানে ঢাকায় ও নারায়নগঞ্জে বম্বে সুইটস এর দুইটি ফ্যাক্টরি রয়েছে। 


বাজার বৃদ্ধি

বম্বে সুইটস এর শুরুটা মিষ্টি এবং চানাচুর দিয়ে হলেও বর্তমান প্রজন্ম একে সবচেয়ে বেশি চেনে এর প্যাকেটজাত চিপস এর জন্য। কারণ এই বম্বে সুইটসই বাংলাদেশের বাজারে সর্বপ্রথম প্যাকেটজাত চিপস নিয়ে আসে। ১৯৮৫ সালে চালু হওয়া এই চিপসটির নাম ছিল রিং চিপস। ৯০ এর দশক জুড়ে ছেলে-বুড়ো সবার কাছেই তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই রিং চিপস। 

 

তার তিন বছর পরে ১৯৮৮ সালেই বাজারে আনা হয় ‘পটেটো ক্র্যাকারস’। একে বাংলাদেশের জাতীয় চিপস বললেও খুব একটা ভুল হবে না। বিভিন্ন চিপস এর ভীড়ে রিং চিপস অনেকটা হারিয়ে গেলেও পটেটো ক্র্যাকারস ঠিকই তার যায়গা ধরে রেখেছে। এছাড়াও ১৯৯৬ সালে বম্বে সুইটস আরেকটি চিপস বাজারে আনে যা ‘মিস্টার টুইস্ট’ নামে পরিচিত। এই চিপসটিও এখন অবধি বহুল পরিচিত। 

 

বাজারে বম্বে সুইটস এর অনেক ধরনের পণ্য থাকলেও মূলত চিপসের সাহায্যেই বাজার দখল করেছে বম্বে সুইটস। উপরে উল্লিখিত চিপস গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আরও অনেক চিপসই বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সফলতার দিক থেকে অন্য গুলো এই তিনটির কাছে পিঠেও নেই। তবে চিপসের পাশাপাশি অন্য কোনো পণ্য যদি বম্বে সুইটস এর সফলতায় শক্ত প্রভাব ফেলে থাকে, সেটি চানাচুর। যাত্রার শুরু থেকেই চানাচুরের জন্য বিখ্যাত ছিল বম্বে সুইটস। আর সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে আজ অবধি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চানাচুর হলো বম্বে সুইটস চানাচুর। মূলত এই কয়েকটি পণ্যের সাহায্যেই সময়ের সাথে বিশাল বাজার দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ব্যবসায়িক কৌশল

যেকোনো সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কৌশল নিয়েই মানুষের বেশ আগ্রহ থাকে। বম্বে সুইটসও এর ব্যতিক্রমী নয়। এর ব্যবসায়িক কৌশল বুঝতে দীর্ঘ বর্ণনার প্রয়োজন নেই। বরং একটি ছোট্ট মজার উদাহরণই যথেষ্ট। 

এ উদাহরণটির জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে ‘৭০ এর দশকে যখন ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য বম্বে সুইটস ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলো। এমনই একটি ঋণগ্রহণ সভায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বম্বে সুইটস এর ব্যবসার নির্ভরযোগ্যতা, স্থায়ীত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে সময় বম্বে সুইটস এর প্রতিনিধি শুধু একটি কথাই বলেছিলো, ‘’ স্যার, আমি স্যাম্পল হিসেবে যে সব খাবার এনেছি, তার সবই ইতোমধ্যে খাওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ফাঁকা প্যাকেট পরে আছে।’’ কথাটি হাস্যচ্ছ্বলে বলা হলেও ব্যাংক কর্মকর্তারা সহজেই বম্বে সুইটস এর পণ্যের মান সম্পর্কে বুঝতে পারেন। ফলে খুব সহজেই ব্যাংক ঋণটি বম্বে সুইটস পেয়ে যায়। 

পণ্যের গুণগত মান ও স্বাদ রক্ষা

উপরে উল্লিখিত ছোট্ট উদাহরণটি থেকেই বম্বে সুইটস এর প্রধান ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। সেটি হলো পণ্যের গুণগত মান ও স্বাদ বজায় রাখা। সত্যি বলতে বম্বে সুইটস এর এতটা জনপ্রিয়তা এবং টিকে থাকার প্রধান কারণই এর পণ্যের অসাধারণ স্বাদ। আরও এক-দুইটি উদাহরণ দিলেই এর গুণগত মান সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যাবে। 

বম্বে সুইটস এর বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত অন্যতম একটি উপাদান হলো বাদাম। বাদাম এমন একটি শস্য যা খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বাদামে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ খালি চোখে দেখা যায় না। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য বম্বে সুইটস এর রয়েছে বিশেষায়িত লেজার সর্টিং মেশিন। শুধু তাই নয়, বাজারে অনেক কোম্পানির মুড়ি ভাজা থাকলেও বম্বে সুইটস এই পণ্যটি দীর্ঘদিন বাজারজাত করে নি। কারণ আর কিছুই নয়, মুড়ি ভাজার সময় ব্যবহৃত বালু মুড়িতে থেকে যায়, যা হতে পারে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি মুড়ি ভাজা বাজারজাত করা শুরু করে বম্বে সুইটস। এছাড়াও বম্বে সুইটস এর গুণগত মান রক্ষার উদাহরণ রয়েছে অগণিত।  

নিজস্ব ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন 

সাপ্লাই চেইনের ভাষায় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পার্টিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। সাপ্লায়ার থেকে উৎপাদনকারী অবধি অংশটিকে বলে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি। আর উৎপাদনকারী থেকে গ্রাহক অবধি পৌছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ অংশটিকে বলে ফরোয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি। বম্বে সুইটস এর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি প্রায় পুরোটাই নিজস্ব মালিকানাধীন। আর এই বিষয়টিও পণ্যের গুণগত মান রক্ষার লক্ষ্যের সাথে মিল রেখেই করা হয়ে থাকে। 

প্রথমত পণ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বম্বে সুইটস এরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘বম্বে এগ্রো লিমিটেড’ থেকে। অর্থাৎ সকল আলু, চাল, বাদাম থেকে শুরু করে সকল কৃষি পণ্য বম্বে সুইটস নিজেরাই উৎপাদন করে। এছাড়াও এ সকল শস্য সংরক্ষণের জন্য রয়েছে বিশালাকৃতির হিমাগার। ফলে প্রতিটি কাঁচামালের গুণগত মানও বজায় থাকে সহজেই।

 

এর পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্যের জন্যও বম্বে নির্ভরশীল তার প্রতিষ্ঠান ‘কুলিয়ারচর ডেইরি কমপ্লেক্স’ এর উপর। ১৯৮৩ সালে স্থাপিত এই ডেইরি কমপ্লেক্সটি পনির তৈরির জন্য বিখ্যাত। 

এছাড়াও বাজারজাত পণ্য যাতে বেশিদিন ভাল থাকে, তাই বম্বে সুইটস এর সকল পণ্য নিজস্ব কারখানাতেই প্যাকেজিং করা হয়। এজন্য বম্বে সুইটস এর মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার নাম ট্রাইসপ্যাক (Tricepack) লিমিটেড। ১৯৯৮ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বম্বে সুইটস এর প্যাকেজিং করে আসছে। 

মার্কেটিং 

‘৯০ এর দশক ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর প্রথম দশকে বম্বে সুইটস অনেক আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের সাহায্যে গ্রাহকদের মনোযোগ কেড়ে নেয়। সঠিক উপায়ের কার্যকরী মার্কেটিং এর সাফল্যের পেছনে অনেকটাই ভূমিকা রাখে। কিন্তু বর্তমানে বম্বে সুইটস এর মার্কেটিং কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন বাঞ্চনীয়। বিশেষত মার্কেটিং এর প্রধান কিছু বিষয়, যেমন সেগমেন্টেশন, টার্গেটিং, পজিশনিং এসব মাথায় রেখে বিজ্ঞাপন বানালে তা অধিক কার্যকরী হবে। কারণ পূর্বের আমলের গ্রাহকদের তুলনায় বর্তমান আমলের গ্রাহকরা অনেক বেশি আধুনিক। এক্ষেত্রে কিছু মূল জিনিস ঠিক রেখে প্যাকেজিং এর পরিবর্তন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। এক্ষেত্রে বম্বে সুইটস এর সবচেয়ে বড় সুবিধাজনক দিক, গ্রাহকদের সাথে তাদের পুরোনো সম্পর্ক। তাই বর্তমান গ্রাহকদের স্মৃতিকাতরতাকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞাপন তৈরি করলে তা সফল হতে বাধ্য। 

 

বর্তমান অবস্থা 

বর্তমান চিপস এর বাজারে আরও অনেক প্রতিযোগী অবস্থান করলেও বম্বে সুইটস এর অবস্থান সবার উপরে। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী সম্পূর্ণ বাজারের অর্ধেকই তাদের দখলে। আর এই বাজারটি নেহায়েত কম নয়, প্রায় ৬৫০ কোটির এই বাজারে বম্বে সুইটস এর আধিপত্য তাদের সফলতাকেই নির্দেশ করছে। বর্তমানে এই কোম্পানিটির রয়েছেঃ 

১. ১৮ প্রকারের প্যাকেটজাত চিপস 

২. ১১ প্রকারের চানাচুর 

৩. ৪ প্রকারের বেভারেজ 

৪. ৬ প্রকারের মশলা 

৫. ৪ প্রকারের ফ্রোজেন ফুড

উপর্যুক্ত পণ্যের সমাহার থেকে প্রধানত প্যাকেটজাত চিপস এবং চানাচুরের বাজারেই বম্বে সুইটস এর আধিপত্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বাইরেও বর্তমানে এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ ও নর্থ আমেরিকার প্রায় ৩৪টি দেশে বম্বে সুইটস এর পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এক্ষেত্রে অন্য কোম্পানি গুলোর সাথে বম্বে সুইটস এর প্রধান পার্থক্য হলো, বম্বে সুইটস এর রপ্তানিযোগ্য পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে একই মানের হয়ে থাকে। 

শেষকথা

সামান্য একটি মিষ্টির দোকান থেকে কিভাবে বিশাল কোম্পানি তৈরি করা যায়, তার বাস্তব ও দেশীয় উদাহরণ এই বম্বে সুইটস। সঠিক ব্যবসায়িক কৌশলের সাহায্যে অনেক বিদেশী কোম্পানি আজ বিশাল আকার ধারনা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন নজির হাতে গোণাই বলা চলে। তারই একটি বম্বে সুইটস। যা একই সাথে যেমন হতে পারে নতুন উদ্যোক্তাদের আশার আলো, তেমনই অভিজ্ঞদের জন্য হতে পারে সাফল্যের পাথেয়। 

তথ্যসূত্র

১। দা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড 

২। বম্বে সুইটস 

৩। বিজনেস ইন্সপেকশন  

Previous Post

Next Post

Related Posts

যেভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান কে বিদেশী বিনিয়োগের উপযোগী করে...

16-10-2024

Economy

যেভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান কে বিদেশী বিনিয়োগের উপযোগী করে...

ব্যবসা ও বিনিয়োগ, একটি ছাড়া অপরটির অস্তিত্ব কল্পনা করা...

Read More
বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট নিরসন হবে কিভাবে?

28-08-2024

Economy

বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট নিরসন হবে কিভাবে?

গত বেশ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফরেইন রিজার্ভ নিয়ে...

Read More
মুদ্রাস্ফীতির একাল সেকাল

23-05-2024

Economy

মুদ্রাস্ফীতির একাল সেকাল

বাংলাদেশের জনজীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ যেন এখন...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter