Print World

How to

বিদেশ থেকে কিভাবে গাড়ি আমদানি করবেন?

MAWbiz

Written by: MAWbiz

22-06-2022

বিদেশ থেকে কিভাবে গাড়ি আমদানি করবেন?

এক সমীক্ষায় উঠে আসে, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৮ লাখেরো বেশি যানবাহন চলাচল করছে। স্বল্প খরচের জন্য বাস, অল্প মেইনটেনেন্স এর জন্য মোটর বাইক, আর তুলনামূলক উচ্চ মধ্যবিত্তদের জন্য পছন্দের রাইড হিসেবে সিএনজি বা প্রাইভেট কার - এইসব মিলিয়েই চলছে নগরীর সড়কগুলো। 

Nagging traffic jam paralyses city

উবার কিংবা পাঠাও রাইডার হিসেবে প্রাইভেট কার বা মোটর বাইক বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হলেও অধিকাংশ মানুষ এখন ছুটছেন নিজের একটি যান্ত্রিক পক্ষীরাজের পিঠে লাগাম পরাতে। তবে, বাংলাদেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি এখনো কোন গাড়ি ম্যানুফ্যাকচার করে না বিধায় অধিকাংশ কোম্পানিকে বা ডিলারকে গাড়ি আমদানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু শব্দকে প্রায়ই আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়, যেমন রিকন্ডিশন্ড কার, ব্র্যান্ড নিউ কার, হাইব্রিড-নন হাইব্রিড কার, লোকাল মার্কেট, ক্লিয়ারেন্স, এলসি - ইত্যাদি।

এই কার ইম্পোর্ট বিজনেস বা গাড়ি আমদানির ব্যবসায় আদতে নামতে হলে প্রথমেই যেটা দরকার, সেটি হলো Trade License এবং দ্বিতীয়টি হল Import Registration Certificate (IRC) এরপরে তৃতীয় যে ডকুমেন্টের পালা আসে, তা হলো Online VAT Registration - যেটি কীনা হতে হবে ১৩ ডিজিটের। ইম্পোর্ট বিজনেসে LC বা Letter of Credit হলো সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। এর মাধ্যমে আসলে বাংলাদেশে লিগ্যালি যেকোন ধরনের প্রোডাক্ট আমদানি করার সক্ষমতা অর্জন করা যায়। মূলত এই চারটি বিষয়ে সার্টিফিকেট বা এই চারটি ডকুমেন্ট হাতে রাখলে, গাড়ি আমদানি করার অর্ধেক ঝামেলা শেষ হয়েছে বলে ধরা যেতে পারে।

 

আরেকটি ডকুমেন্ট আছে, যার নাম Yellow Book (যদিও এটি আদতে ইয়েলো না!), যা বাংলাদেশ সরকার হতে প্রতি মাসে স্বীকৃত হয়ে থাকে। কাস্টমস থেকে নির্ধারিত মিনিমাম ডিউটি ভ্যালু, গাড়ির মূল্যতালিকা এবং ফ্রেম নাম্বার, অর্থাৎ একটি গাড়ির ইম্পোর্ট ভ্যালিডিটি সম্পর্কে লেখা আছে এবং এটা প্রতিমাসেই পরিবর্তন হয়। তবে, এই ইয়েলো বুক- এর সকল নিয়মনীতি খাটবে শুধুমাত্র জাপানী রিকন্ডিশন্ড কার মার্কেট বা জাপানী মার্কেট এর জন্য। 
অটো সেক্টরকে চাঙ্গা করতে নতুন গাড়ি কিনবে সরকার: সীতারমন | Car Sales, Auto  Sector: Government Departments To Replace Old Vehicles, Says Nirmala  Sitharaman - NDTV Profit Bengali
জাপানী অকশন বা জাপান কার অকশন হলো বিশ্বের সবচাইতে বড় কার অকশন অনুষ্ঠান। 10 Auction house বাদে অন্যান্য প্রাইভেট অকশন থেকেই সাধারনত বাংলাদেশের ডিলারগণ গাড়ি কিনতে পারেন, তবে এর মাঝখানেও থাকে আরেকজন এজেন্ট, যারা নিজেদের ইয়ার্ড পর্যন্ত গাড়ি কিনে নিয়ে আসেন; এরপর সব ডকুমেন্টেশন রেডি করেন এবং সর্বশেষে সেটি দেশে শীপমেন্ট করা হয়।  

Valid and legal age of the term বলে একটি বিষয়, আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি, যার লুকোনো অর্থ হলো, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ০৫ বছরের পুরোনো গাড়িই শুধুমাত্র জাপানথেকেআমদানি করা যায়। এটিই একমাত্র দেশ, যার কাছ থেকে পুরোনো গাড়ি আমদানি করা যায়। সুতরাং, ভিন্টেজ কার বা রেট্রো কার সম্পর্কে যাদের আগ্রহ আকাশচুম্বী, তাদের জন্য এটি একটি দুঃসংবাদ বটে!

আমদানি নিয়ে অনেক কথাই লেখা হল, জাপানী কোম্পানীর গাড়ি না হয় নেয়াও হল, তবে এর মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যেভাবে পরিশোধ করা হয়, সেই বিষয় দেখা যাক। যাকে বলে, Financed Car, সোজা বাংলায় কার লোন। যদি কোন ক্রেতা, ব্যাংক কে নিশ্চয়তা দিতে পারে যে, প্রতি মাসে সে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট দিতে পারবে অর্থাৎ, মান্থলি ইন্সটলমেন্ট দেবার ফিনান্সিয়ালি সক্ষমতা আছে, সে সহজেই কার ফাইন্যান্সড করতে পারবে। 

এক্ষেত্রে একটা মজার বিষয় হচ্ছে, গ্রাহক যদি কার লোন নিয়ে একটি গাড়ি কেনে, তবে সেই গাড়ির জয়েন্ট স্বত্বাধিকারী হবে ব্যাংক এবং সেই গ্রাহক। তবে আরেকটি বিষয় আছে, যেটি হল, কার লোনের ক্ষেত্রে একজন ক্রেতা বা গ্রাহকের কার ইন্সুরেন্স থাকা মাস্ট। গাড়ির যেকোন ধরনের ক্ষতি এই ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে পূরণ করে নেয়া যায়। 
Punjab & Sind Bank and Central Bank of India offer car loans at 7.1 %

ক্ষতি এর কথা থেকে Half Cut কথাটিও উঠে আসে। ব্যাপারটি হলো, যদি কখনো ইম্পোর্টেড কোন গাড়ির কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে থাকে, তবে সেই যন্ত্রাংশটিও জাপানীজ অকশনে কিনতে পাওয়া যায় এবং আলাদা ভাবে সেটিও ইম্পোর্ট করা যায়। তবে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানী এই যন্ত্রাংশ জোগাড় করে দিবে না, বরং গ্রাহককে ধরনা দিতে হবে সেই ডিলারদের কাছেই!

ডিলার এবং গ্রাহকের সম্পর্ক ভালো একটা গাড়ি পাবার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। ডিলারের প্রতি  গ্রাহকের ট্রাস্ট বা বিশ্বাস নিজের কার পারচেজ কে অর্থবহ করে তোলে, এবং গ্রাহকের মনে কার ইম্পোর্ট ব্যবসায়ীর প্রতি আস্থা গড়ে তোলা ব্যবসার একটি মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করে।

বাংলাদেশে কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেমন barvida.com.bd, যেখানে সার্টিফায়েড কার ডিলারদের ইনফরমেশন দেয়া থাকে, সেখান থেকে গাড়ি কেনার আগে ডিলারদের মেম্বারশীপ সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়, যেন সাধের যান্ত্রিক রথ কিনতে গিয়ে কেউ শুধু কালোমুখে ঘরে না ফেরেন!

 

আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের উপকারে আসবে এবং গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। নিয়মিত ব্লগ পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।




Previous Post

Next Post

Related Posts

কসমেটিক্স ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?

27-05-2024

How to

কসমেটিক্স ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?

নিজের বাহ্যিক অঙ্গের যত্ন নিতে এবং নিজেকে স্মার্ট...

Read More
ইন্টারভিউতে সফলতার জন্য ১০টি টিপস

29-01-2024

How to

ইন্টারভিউতে সফলতার জন্য ১০টি টিপস

কর্মজীবনে সবচেয়ে জরুরী যেই কয়েকটি বিষয়, তার মধ্যে...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter