Economy

পেট্রোডলার - বৈশ্বিক অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক

Written by: এস. এম. নাহিয়ান

15-11-2023

পেট্রোডলার - বৈশ্বিক অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক

যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে কোন মুদ্রাটি সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী, তবে নিঃসন্দেহে উত্তর হবে আমেরিকান ডলার। আর আমেরিকান ডলারের এই বিশ্বজোড়া প্রভাবই যেন আমেরিকান আধিপত্যের  অন্যতম চাবিকাঠি। কারণ গোটা পৃথিবীতেই মুদ্রা বা কারেন্সি হিসেবে গৃহীত হয় ডলার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভও প্রধানত হিসাব করা হয় ডলারে। কিন্তু ঠিক কেন ডলারের এত আধিপত্য, এর প্রভাবের পেছনের রহস্য ঠিক কি, সে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেই উঠে আসে পেট্রোডলার শব্দটি। তাই আজকের লেখায় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে পেট্রোডলার ও সারা বিশ্বে আমেরিকান প্রভাবের রহস্যের সকল বিস্তারিত। 

পেট্রোডলার কি? 

খনিজ তেল কেনা বেচার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে ডলারের যেই আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়ে থাকে, সেই লেনদেনে ব্যবহৃত ডলারকেই মূলত বলা হয় পেট্রোডলার। পেট্রোডলার আলাদা কোনো মুদ্রা বা ব্যবসায়িক মাধ্যম নয়। বরং তেল ক্রয়ের জন্য ব্যয় করা সাধারণ ডলারকেই পেট্রোডলার নামে অভিহিত করা হয়। আরও সহজ ভাষায় বললে, আপনি যদি ৮০০ ডলার দিয়ে ১০০ ব্যারেল তেল কেনেন, তাহলে তেল কেনার জন্য খরচকৃত এই ৮০০ ডলার পেট্রোডলার হিসেবে বিবেচিত হবে। 

 

পেট্রোডলার কিভাবে শুরু হলো, কিভাবে এই ব্যবস্থাটি এখনো টিকে আছে এবং ঠিক কিভাবে এটি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও ব্যবসাতে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ফেলছে তার ইতিহাসটি বেশ লম্বা। আর সেজন্যই পুরো লেখাটি জুড়ে কয়েকটি ধাপে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে বর্ণনা করা হয়েছে। 

গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড 

পেট্রোডলার বুঝতে হলে প্রথমেই জানতে হবে ‘কারেন্সি পেগিং সিস্টেম’ ও ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ সম্পর্কে। সাধারণত একটি দেশের সর্বমোট মুদ্রার পরিমাণ যদি সম্পদের তুলনায় বেড়ে যায় তাহলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আর এই মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হতো গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড। গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এর যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাজ্যের হাত ধরে, ১৮২১ সালে। পরবর্তীতে ১৮৩৪ সালে আমেরিকাতেও এই নিয়ম চালু করা হয়। সে সময় আমেরিকাতে থাকা প্রতি আউন্স স্বর্নের দাম নির্ণয় করেছিল ২০.৬৭ ডলার। ব্যাপারটি ছিল এরকম যে আমেরিকার কাছে যে পরিমাণ সোনা ছিল, সেই পরিমাণ স্বর্ণের দামের সমান মুদ্রাই বাজারে ছাড়তে পারতো। অর্থাৎ দেশের সমস্ত মুদ্রার পরিমাণ ছিল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা স্বর্ণের সমান। ১৮৭০ সালের দিকে মোটামুটি সকল বড় বড় দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের এই পদ্ধতিটি চালু করে। 

 

 

১৮৭১ থেকে ১৯১৪ অবধি প্রতিটি বড় বড় দেশই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে সকল দেশের খরচই তিন-চারগুণ হয়ে গিয়েছিলো। তাই যুদ্ধের ফলস্বরুপ গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ কমতে থাকে। ১৯৩১ সালে যুক্তরাজ্য গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এর সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে। সে সময় ধীরে ধীরে সোনার বদলে নির্দিষ্ট কোনো মুদ্রার বিপরীতে অন্য মুদ্রার দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয় হতে থাকে। ফলে কম শক্তিশালী দেশ গুলো সোনার বদলে অধিক শক্তিশালী দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার, পাউন্ড ইত্যাদি জমাতে শুরু করে। ফলস্বরুপ সারা বিশ্বের স্বর্ণভান্ডার গুটি কয়েক শক্তিশালী দেশের হাতে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। 

ডলারের আধিপত্য বিস্তার 

বর্তমানে বিশ্বজোড়া ডলারের যেই আধিপত্য, তার সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বস্তুত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সকল ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকার অনেক আগেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তার প্রায় এক বছর পরে আমেরিকা যুদ্ধে জড়ায়। কিন্তু মাঝের এই এক বছর আমেরিকা কাজ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেফ হাউজ হিসেবে। অর্থাৎ জার্মানির হাতে দখল হওয়ার ভয়ে সকল ইউরোপীয় দেশ তাদের স্বর্ণের মজুদ আমেরিকার কাছে জমা রাখে। এবং একইসাথে তারা আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র, গোলা বারুদ ও নানা ধরনের সাহায্য নিতে থাকে। 

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অবস্থার পুনরাবৃত্তী ঘটে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ন্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেও স্বভাবতই সকল দেশের খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি হিসেবে আমেরিকা এই সমস্যাটিকে কাজে লাগায়। ১৯৪৪ সালে ১লা জুলাই অনুষ্ঠিত হয় ব্রেটন উডস এগ্রিমেন্ট (Bretton Woods Agreement)। এই চুক্তি অনুসারে আমেরিকান ডলারকে করা হয় স্ট্যান্ডার্ড কারেন্সি। অর্থাৎ আগে যেখানে সোনার বিপরীতে কোনো দেশের মুদ্রার মান নির্ধারণ করা হতো, এখন সেখানে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান নির্ধারণ শুরু হলো। ঠিক এভাবেই আমেরিকান ডলার তার আধিপত্যের স্থানটি তৈরি করে নেয়। 

 

এই ব্রেটন উডস এগ্রিমেন্টের বদৌলতেই আমেরিকা আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর উপর চাপিয়ে দেয়। যেহেতু চুক্তি অনুযায়ী ডলার ছিল স্ট্যান্ডার্ড কারেন্সি, তাই আমেরিকা বিশ্বযুদ্ধের সময় গৃহীত সকল স্বর্ণ তাদের ভান্ডারে রেখে দেয়। স্বর্ণের পরিবর্তে বাকি দেশগুলোকে প্রদান করা হয়  সমমূল্যের ডলার। অর্থাৎ আসল স্বর্ণের বদলে বাকি দেশ গুলো পায় আমেরিকান ডলার, যা কিনা ছাপানো হয়েছে আমেরিকাতেই। আর ঠিক এভাবেই আমেরিকা হয়ে ওঠে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের মালিক। আজও যার পরিমাণ ৮১৩৩ টন। 

পেট্রোডলারের উথান 

ব্রেটন উডস চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু ডলার স্ট্যান্ডার্ড কারেন্সি তাই অবশ্যই ডলারের মান স্থিতিশীল রাখা বাঞ্চণীয়। আর ডলারের মান স্থিতিশীল রাখার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো সকল দেশকে ডলারের প্রতি মুখাপেক্ষি করে তোলা। সেই লক্ষ্যেই ১৯৪৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট সৌদি বাদশাহ আব্দুল আল আজিজ এর সাথে একটি চুক্তি করে। চুক্তিতে সৌদির সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সমস্ত খাতে আমেরিকার একনিষ্ঠ সমর্থনের কথা উল্লেখ করা হয়। 

 

তারই প্রেক্ষিতে আমেরিকা সৌদির দারান প্রদেশে একটি এয়ারবেজ স্থাপন করে। আর আমেরিকার  সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতিতে সৌদি আরব তেল বেচা শুরু করে শুধুমাত্র আমেরিকান ডলারে। এর ফলে জ্বালানী তেল এবং আমেরিকান ডলারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি হয়। একই সাথে ডলারের মূল্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরে তেলের মূল্যমান। আর ঠিক এভাবেই শুরু হলো ‘পেট্রোডলার’ নামক শব্দটির। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে সঙ্ঘঠিত হলো ‘ওপেক’ (OPEC) বা ‘অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ’ (Organization of Petroleum Exporting Countries)। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর এই সংস্থার প্রধান ছিল সৌদি আরব। আর এই ওপেন (OPEC) ভুক্ত সবকয়টি দেশই শুধু ডলারে তেল বিক্রি করা শুরু করলো। ফলস্বরুপ বিশ্বের সকল দেশকেই ডলারের জন্য আমেরিকার মুখাপেক্ষী হতে হলো। আর এভাবেই ডলারের আধিপত্য তৎকালীন সময়ে অক্ষুণ্ণ থাকলো। 

পেট্রোডলার রিসাইক্লিং 

পেট্রোডলার সিস্টেমের মাধ্যমে আমেরিকা খুব কার্যকরী ভাবে সারা বিশ্বে ডলারের আধিপত্য ধরে রাখতে সমর্থ হয়। কিন্তু প্রতিটি ভাল জিনিসের কিছু খারাপ দিক থাকে। পেট্রোডলার সিস্টেমের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে ওঠে অতিরিক্ত ডলার ছাপানো। সারা বিশ্ব যেহেতু তেল ক্রয় করতে ডলারের মুখাপেক্ষি, আমেরিকাকে তাই প্রচুর পরিমাণে ডলার ছাপাতে হচ্ছিল। বৈদিশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে এর সুবিধা নিলেও এই অতিরিক্ত ডলার ছাপানোর কারণে মুদ্রাস্ফীতির বড় আশংকা দেখা দেয়। ১৯৭১ সালের স্ট্যাগফ্লেশন (Stagflation) এবং ১৯৭৩ সালের OPEC ভুক্ত দেশ গুলোর অবরোধ এই সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করে। বিশেষত ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে আমেরিকা ও ইসরায়েলের সকল মিত্র দেশ তেল অবরোধের মুখে পড়ে। ফলে এই দেশ গুলোতে তেলের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী। তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন অনুভব করেন। তারই প্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছু দিন পরেই জুলাই মাসে অ্যামেরিকা তাদের ট্রেজারি সেক্রেটারি উইলিয়াম সিমনকে সৌদি আরবে পাঠায়। সিমনের মতে এটি ছিল তার জন্য 'ডু অর ডাই' মিশন। কারণ প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে 'না' উত্তরটি এই ক্ষেত্রে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। কিন্তু কি ছিল সিমনের লক্ষ্য?

 

 

পেট্রোডলার সিস্টেমের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি ছিল ওপেক (OPEC) ভুক্ত দেশ গুলোতে অতিরিক্ত ডলার জমা হওয়া। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ডলার তেলের বিনিময় মূল্য হিসেবে এসব দেশে জমা হতো। কিন্তু প্রতি বছর এত ডলার ছাপাতে গিয়ে আমেরিকাতে মুদ্রাফীতির আশংকা দেখা দেয়। সিমনের লক্ষ্য ছিল এই জমে থাকা ডলারকে পুনঃব্যবহার করা। তারই প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাথে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সে চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ ডলার বিনিয়োগ করা হয় আমেরিকান ট্রেজারি বন্ডে। এই ট্রেজারি বন্ডকে অনেকটা বাংলাদেশের সঞ্চয়পত্রের সাথে তুলনা করা যায়। অর্থাৎ এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদিতে জমে থাকা ডলার আবার আমেরিকান অর্থনীতিতে এর পথ খুঁজে পায়। আর ঠিক এভাবেই শুরু হয় পেট্রোডলার রিসাইক্লিং এর। 

 

পরবর্তীতে বিনিয়োগ সহ আরও বিভিন্ন মাধ্যমে এই পেট্রোডলার রিসাইকেল হতে থাকে। অর্থাৎ সহজ ভাষায়, আরব দেশ গুলো তেল বিক্রি করে আয় করা ডলার বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো পশ্চিমা দেশে বিনিয়োগ। এছাড়াও অস্ত্র বাণিজ্য থেকে শুরু করে বৈদিশিক সাহায্য ও উপহার হিসেবেও পেট্রোডলার ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমানেও তেল বিক্রি করে আয় করা পেট্রোডলারের বিপুল অংশ নানা মাধ্যমে পুনঃব্যবহার হচ্ছে। 

পেট্রোডলার ঠিক কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

পুরো লেখাটি পড়ে অনেকেই হয়তো পেট্রোডলারের গুরুত্ব ভাল ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। আবার অনেকেই হয়তো এর তাৎপর্যের বিশালতা অনুধাবন করতে পারেন নি। পাঠকদের সুবিধার্থে খুব অল্প কথায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রচন্ড প্রভাব তুলে ধরছি।

 

  • সারা বিশ্বের ডলার মুখাপেক্ষিতার অন্যতম কারণ পেট্রোডলার। 

  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ডলারকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখতে পেট্রোডলার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। 

  • পেট্রোডলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে এত বছর পরেও আমেরিকান ডলার তার স্ট্যান্ডার্ড কারেন্সি এর অবস্থান ধরে রেখেছে। 

  • পেট্রোডলার রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে তেল রপ্তানিকারক দেশের ডলার আবার আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশেই বিনিয়োগ হচ্ছে। 

  • ডলারের আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের পথ সৃষ্টি হয়েছে। 

  • সর্বোপরি আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এই পেট্রোডলার। 

শেষকথা 

বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, কোনো খাতেই পেট্রোডলারকের সমীকরণকে বাদ দিয়ে এক পা ফেলার জো নেই। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আমেরিকার অবস্থানের পেছনে যেই কারণ গুলো রয়েছে, তার অন্যতম একটি কারণ পেট্রোডলার। তাই বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বুঝতে গেলে এই ডলার বাণিজ্য বোঝার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে পেট্রোইউয়ান সহ ডলার ব্যাতীত আরও নানা মুদ্রায় তেল বেচাকেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বৈশ্বিক বাণিজ্যে তার প্রভাব যৎসামান্য। তাই অন্তত অদূর ভবিষ্যতে পেট্রোডলারের ন্যায় শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পতন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই বলা চলে। 

প্রায়শ জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১। পেট্রোডলার শব্দের উৎপত্তি কিভাবে?

উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম (Petroleum) এবং ডলার (Dollar) এই দুইটি শব্দ একত্রিত করেই পেট্রোডলার শব্দটির উৎপত্তি। 

২। পেট্রোডলার রাজনীতির পতন হবে কি?

উত্তরঃ যতদিন পেট্রোডলার ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে ততদিন একে ব্যবহার করে রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণ করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে এর পতনের কোনো সম্ভাবনা নেই। 

৩। বাংলাদেশ কি পেট্রোডলার ব্যবস্থার অংশ?

উত্তরঃ বাংলাদেশ সহ সকল দেশই পেট্রোডলার ব্যবস্থার অংশ। 

 

 



 

Previous Post

Next Post

Related Posts

যেভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান কে বিদেশী বিনিয়োগের উপযোগী করে...

16-10-2024

Economy

যেভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান কে বিদেশী বিনিয়োগের উপযোগী করে...

ব্যবসা ও বিনিয়োগ, একটি ছাড়া অপরটির অস্তিত্ব কল্পনা করা...

Read More
বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট নিরসন হবে কিভাবে?

28-08-2024

Economy

বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট নিরসন হবে কিভাবে?

গত বেশ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফরেইন রিজার্ভ নিয়ে...

Read More
মুদ্রাস্ফীতির একাল সেকাল

23-05-2024

Economy

মুদ্রাস্ফীতির একাল সেকাল

বাংলাদেশের জনজীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ যেন এখন...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter