Economy
Written by: Suraiya Zaman
19-10-2023
১৯৪২ সাল, স্থান - শিয়ালদহ রেলস্টেশন। মহানগর কলকাতার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে আসা ১৩ বছর বয়সী এক বালককে স্টেশনের বেঞ্চিতে শূণ্য দৃষ্টিতে বসে থাকতে দেখা যায়। তার পকেটে মাত্র ১৬ টাকা। ছয় পয়সার ছাতু কিনে তা খেয়েই সারাদিনের তপ্ত রোদে ঘুরেফিরে কাজের সন্ধান করে, দিনের সূর্য পশ্চিম দিগন্তে মিলিয়ে গেলে, রাতে স্টেশনেরই এক কোণে কাগজ বিছিয়ে শুয়ে পড়ে সে। এভাবেই দিন কাটছিলো তার। ক্রমশই পকেটের টাকা ফুরিয়ে আসছিলো বলে কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠে একসময়। এবার যে কিছু করতেই হবে তাকে! কিন্তু কপাল মন্দ! নিজের জন্য উপযুক্ত কাজ খুঁজে পাচ্ছিলো না সে।
এভাবে বেশ কিছুদিন ভিক্ষুকের মত স্টেশনে কাটানোর পর তার পরিচয় হয় সেখানকার জাকারিয়া হোটেলের মালিকের সাথে। তিনি দয়া করে সেই বালককে তার হোটেলের এক কোণায় থাকার জায়গা দেন। কোনোভাবেই কাজ জোটাতে না পেরে ১৩ বছর বয়সী সেই বালক ব্যবসার চিন্তা করতে থাকে। কিন্তু পরক্ষনেই মনে পড়ে তার, ব্যবসা করতে পুঁজি লাগে, যা তার কাছে নেই!
হঠাৎই কোনোভাবে জানতে পারে সে কমলা লেবুর ব্যবসায় পুঁজি খুব কম লাগে আর এতে লাভও বেশ ভালো হয়। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন আর বুক ভরা সাহস নিয়ে বালক পাইকারী দরে কমলা কিনে কলকাতার রাস্তায় ফেরি করে বেচা শুরু করে। কলকাতার হাওড়া ব্রিজের আশপাশের এলাকায় এ-গলি ও-গলি করে ঘুরে সারাদিন কমলা লেবু ফেরি করে বেচে, দিনশেষে কলকাতা পুলিশকে ২টাকা চাঁদা দিয়ে, ক্লান্ত শরীরে তৃপ্তি নিয়ে ঘুমাতে যেতো সেই বালক।
এরপর শিয়ালদহ স্টেশনে ভিক্ষুকের মতো দিনাতিপাত করা সেই বালক আস্তে আস্তে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলে। সততা আর কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে বনে যায় দেশের ধনকুবেরদের একজন। কে সেই বালক? কি পরিচয় তার?
আজ আমরা জানবো শেখ আকিজ উদ্দিন নামের সেই বালকের ধনকুবের হবার গল্প। জানবো কিভাবে তিনি মাত্র ১৬ টাকাকে শুধুমাত্র পরিশ্রম আর সততার মাধ্যমে ১৬ হাজার কোটি টাকাতে রুপান্তর করেছেন।
আকিজ গ্রুপের জন্ম যেভাবে
খুলনার ফুলতলা থানার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে, মৌসুমী ফসল কেনাবেচার সাথে জড়িত এক ছোট ব্যবসায়ীর ঘরে জন্ম নেওয়া এই কমলালেবু বিক্রেতা, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে জন্মেছিলেন। দারিদ্রের সাথে লড়াই করা অল্প বয়েসী এই বালক কোনোদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। দায়িত্ব নেওয়ার মতো পরিণত জ্ঞানের তাড়নায় নিত্যদিনের অভাব কাটাতে বাড়ি থেকে অচেনা রাস্তায় বেরিয়ে ঘাড়ে ঝুলিয়ে নিয়েছিলেন কমলালেবুর ঝুড়ি, যা তার জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের সূচনা ছিলো বলা চলে।
কমলালেবুর ব্যবসা করে হাতে কিছু টাকা জমিয়ে তিনি তখনকার দিনে জনপ্রিয় ভ্যান গাড়ির ওপর ভ্রাম্যমান মুদির ব্যবসা শুরু করলেন। কলকাতার অন্য ব্যবসায়ীরা হিন্দীতে ছোট ছোট ছড়া বানিয়ে সেগুলো বলে বলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেন দেখে বালক আকিজও হিন্দী শিখতে শুরু করলেন। হিন্দী শেখার পর খুব অল্প সময়ে তার ভ্যান গাড়ির ওপর মুদিমালের দোকানটি বেশ জমে উঠে। তার দোকানের সব পন্যের দামই ছিল ছয় আনা। তাই তিনি এই দোকানের নাম দিয়েছিলেন “নিলামওয়ালা ছে’আনা”।
যাই হোক, কপালের ফেরে অবৈধ দোকান চালানোর অভিযোগে একদিন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পাঁচ টাকা জরিমানার সাথে তিন দিনের জেল খেটে বেড়িয়ে অভিমানে তিনি তার প্রিয় লাভজনক দোকানটি বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে পাকিস্তানী এক ব্যবসায়ীর থেকে পশতু ভাষা শিখে তিনি দোকান বিক্রির টাকা দিয়ে ফলের ব্যবসা শুরু করেন। ২ বছরে এই ব্যবসা থেকে ১০ হাজার টাকার মত মুনাফা করে নতুন কিছু করবেন ভাবতেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যায়।
নানা বিপদের আশংকায় তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং এর অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাবা-মা হারিয়ে একা হয়ে যান। নি:সঙ্গ ১৯ বছরের আকিজ উদ্দিন সখিনা খাতুনকে বিয়ে করেন।
বড় হওয়ার স্বপ্ন যার ভেতরে একবার জাগে, তাকে দমিয়ে রাখা কঠিন। ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে আসা, বাবা-মায়ের মৃত্যুশোক এমনকি নিজের নতুন সংসারের মাঝেও তিনি নিজের একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখে চলেছিলেন।
সেই সময়ে খুলনা অঞ্চলের নামকরা বিধু বিড়ি’র মালিকের ছেলে ছিলেন আকিজের কাছের বন্ধু। বিধুভূষণের পরামর্শ ও সহায়তায় ১৯৫২ সালে আকিজ তার নিজের বিড়ির ব্যবসা শুরু করেন, যার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসার গতি-প্রকৃতি একেবারে জাদুর মতো বদলে যেতে থাকে।
বিড়ি তৈরী ও বিক্রি করে বেশ লাভ হতে থাকলে বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনের কাছে তিনি দোকান নেন। ১৯৫৫ সালের দিকে তার মূলধন গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬০ হাজার টাকায়। কিন্তু এবারও তাঁর ওপর দুর্ভাগ্য নেমে আসে। হঠাৎ এক রাতে আগুন লেগে পুরো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে তিনি আবার পথের ফকির হয়ে যান। সেই আগুন তার কপাল পোড়ালেও অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
এক মুহূর্তের জন্যও মনোবল না হারিয়ে, “আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে” এই দৃঢ়বিশ্বাস নিয়ে মহাজনের কাছে যান আকিজ উদ্দিন। সৎ এবং পরিশ্রমী হিসেবে তার সুনামের জোরে তিনি স্থানীয় মহাজন ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দারুন সাহায্য পেতে শুরু করেন। এবার বিড়ির পাশাপাশি ধান, চাল, পাট, গুড়, ও ডালের ব্যবসাও শুরু করেন এবং ঘুরে দাঁড়াতেও তার বেশি সময় লাগেনি আর।
বিশ্বস্ততাকে মূলধন বানিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো ব্যবসায়ী আকিজ যশোরের সীমান্তবর্তী নাভারন বাজারে নতুন করে গড়ে তোলেন আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি, যা পরবর্তীতে দেশের এক নাম্বার বিড়ি ফ্যাক্টরি হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তীতে যে ব্যবসায় তিনি হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। একে একে তিনি আকিজ গ্রুপের ব্যানারে দেশের উল্লেখযোগ্য ২৬ টি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসার জাদুকরে পরিণত হন।
আকিজ গ্রুপের বেড়ে উঠা
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আকিজের ব্যবসারও প্রসার ঘটতে থাকে। যুদ্ধের পরপরই এক বিদেশি মালিকের কাছ থেকে খুলনায় অবস্থিত এসএএফ ট্যানারি কিনে নেন আকিজ উদ্দিন। একটি তেলের মিল, ইটভাটা ও মুদ্রণের কারখানাও কিনে নেন কিছুদিনের মধ্যে।
স্বাধীনতার কয়েক বছর পর ব্যবসার প্রয়োজনে খুলনা ও যশোর ছেড়ে একেবারে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ১৯৭৪ সালে আকিজ প্রিন্টিং এবং ১৯৭৮ সালে সরকারের কাছ থেকে “ঢাকা টোব্যাকো” নামের তামাকজাত পণ্যের মিল কিনে নেন। নব্বইয়ের দশকে একের পর এক ভারী শিল্পের কারখানা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবসাগুলো হচ্ছে আকিজ ট্রান্সপোর্ট, নাভারণ প্রিন্টিং, জেস ফার্মাসিউটিক্যাল, আকিজ ম্যাচ, আকিজ জুট মিল, আকিজ সিমেন্ট, আকিজ টেক্সটাইল, আকিজ পার্টিকেল, আকিজ হাউজিং, সাভার ইন্ডাস্ট্রিজ, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, আকিজ অনলাইন, নেবুলা ইন্ক, আকিজ করপোরেশন, আকিজ কম্পিউটার, আকিজ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড টেকনোলজি, আকিজ এগ্রো, আকিজ পেপার মিলস লিমিটেড। এভাবেই দূর্বার গতিতে বেড়ে উঠতে থাকে আকিজ গ্রুপ।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি ১৯৮০ সালে আদ্ব-দীন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি মানব সেবায় উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে। এই ট্রাস্টের অধীনে, আদ্ব-দীন শিশু কিশোর নিকেতন, আদ্ব-দীন নার্সিং ইন্সটিটিউট, আদ্ব-দীন ফোরকানিয়া প্রজেক্ট, এর মত মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করে চলেছে।
আদ্ব-দীন ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্ট ছাড়াও তিনি আকিজ কলেজিয়েট স্কুল ও সখিনা স্কুল ফর গার্লস প্রতিষ্ঠা করেন। নিজে শিক্ষিত হতে না পারলেও শিক্ষার প্রতি তার সব সময়ই দারুন অনুরাগ ছিলো।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মানবতার উৎকৃষ্ট উদাহরন হিসেবে দেখলে বলা যায়, দেশের ইতিহাসে বড় বড় ডোনেশনগুলো আকিজ উদ্দিনের করা। ২০০০ সালে তার উত্থানের এলাকা যশোরে ভয়াবহ বন্যার সময়ে তিনি একাই প্রায় ১ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করেন।
বর্তমান অবস্থা
২০০৬ সালে এই শিল্পপতি মারা যাবার পর তার রেখে যাওয়া ব্যবসা ও আদর্শ বয়ে নিয়ে চলেছে তার স্ত্রী-সন্তানেরা। স্কুলের চৌকাঠ না পেরোনো এই মানুষটি শিক্ষার মর্যাদা অনুধাবন করেছিলেন বলেই তার ১০ ছেলেকে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছিলেন। নিজ পরিকল্পনা অনুযায়ী আস্তে আস্তে তিনি তার সমস্ত ব্যবসা যোগ্য ১০ ছেলের মাঝে তাদের যোগ্যতা এবং পারদর্শীতা অনুযায়ী ভাগ করে দেন। বর্তমানে তারাই এই গ্রুপের সবগুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং সম্প্রসারনের দায়িত্বে আছেন।
যে তামাক দিয়ে আকিজের যাত্রা শুরু, ২০১৮ সালের আগস্টে ‘জাপান টোব্যাকো’ আকিজের ‘ঢাকা টোব্যাকো’ নামের সেই তামাক প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি হয় ১৫০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা!
২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলিয়ন ডলার টার্নওভারের কোম্পানির তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা করে নেয় আকিজ গ্রুপ।
বর্তমানে আকিজ গ্রুপের অধীনে রয়েছে ৩৫ টি কোম্পানি। আকিজ উদ্দিন মারা যাবার সময় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা রেখে গেলেও এখন সেটাকে ১৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করেছে তার সন্তানেরা, যেখানে বর্তমানে কাজ করেন প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী।
গ্রোথ স্ট্রাটেজি
ব্যবসা যার রক্তে, যে দু’চোখে ব্যবসার প্রসারের স্বপ্ন এঁকেছে, ব্যবসায়ে সফল হবার মন্ত্র তার থেকে ভালো আর কে জানে! আকিজ উদ্দিনের এই সফলতার মন্ত্র ছিলো তার সাহস, সততা আর কঠোর পরিশ্রম। এই মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে তার ধৈর্যশীলতা, মেধা, সহনশীলতার মাধ্যমে আকিজ গ্রুপ সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেছে।
এছাড়াও আকিজ উদ্দিন ছিলেন কৌশলী মানুষ। বাবার ব্যবসা দৃঢ় দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে কিছু কৌশল আয়ত্ব করেছিলেন তিনি। তার বিড়ির ব্যবসার শুরুতে বাজারে অনেক বিড়ি থাকা স্বত্ত্বেও আকিজ বিড়ি সবাই একনামে চিনতো। তখনকার সময়ে কোনো ব্র্যান্ড না থাকার কারনে আকিজ বিড়ির সঙ্গে একটু লাল সুতা বেঁধে দিয়ে তিনি নিজের পণ্যকে আলাদা করতেন। এভাবেই তিনি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন নিজের। ব্যয়বহুল হলেও এই কৌশলে ব্র্যান্ডিং করেছিলেন নিজের পণ্যের। কেননা, বিচক্ষন আকিজ জানতেন, হাজার হাজার নাম না জানা বিড়ির মধ্যে তার বিড়ি নিমিষেই হারিয়ে যাবে কদিন পরে।
এছাড়াও পণ্যের মানের দিকে আকিজ উদ্দিনের ছিলো কড়া নজর। পাশাপাশি তিনি পাইকারি বাজারকেন্দ্রিক ব্যবসার বদলে নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরির ওপর জোর দিতেন, যা ছিলো তার ব্যবসায় প্রসারের অন্যতম কৌশল।
আকিজ উদ্দিনের পরবর্তী প্রসারের আরেকটি স্ট্রাটেজি হচ্ছে, কারখানার মেশিনারি এবং কাঁচামালের মানের সাথে আপোষ না করা। বেশি টাকা খরচ করে ভালো মেশিনারি দিয়ে কাজ শুরু করলে রিজেক্ট প্রডাক্ট কমে যায় এবং এতে উৎপাদন খরচ কমে যায়। একই সাথে পণ্যের মান উন্নত করার এই কৌশলটি দারুনভাবে কাজ করেছিলো তার ভাবনায়।
আমরা ধনী কোম্পানির গরিব মালিক হয়ে থাকতে চাই- এই দর্শন নিয়ে এগিয়ে চলা সাধারন এই মানুষটির ব্যবসায় আরেকটি গ্রোথ স্ট্রাটেজি হচ্ছে, ক্রেতার আস্থা অর্জন। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা এবং ক্রেতা টিকিয়ে রাখতে তিনি ছিলেন পারদর্শী।
আশা, স্বপ্ন আর সাহসে ভর করে বাড়ি ছেড়ে আসা আকিজ উদ্দিন যে কোনও পরিস্থিতিতেই সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহের ওপর ভরসা রাখতেন। সাদা পাঞ্জাবি, সঙ্গে মোটা ফ্রেমের চশমা’কে বানিয়েছিলেন নিজের ট্রেডমার্ক। বিনয়ী, নিরহংকারী এবং অতীত না ভুলে যাওয়া এই মানুষ তার রুচি, কৌশল এবং শিক্ষার ছাপ রেখে গেছেন তার পরবর্তী প্রজন্মেও, যার দরুন উপকৃত হচ্ছে দেশের মানুষ, দেশের অর্থনীতি।
16-10-2024
Economy
ব্যবসা ও বিনিয়োগ, একটি ছাড়া অপরটির অস্তিত্ব কল্পনা করা...
Read More28-08-2024
Economy
গত বেশ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফরেইন রিজার্ভ নিয়ে...
Read More23-05-2024
Economy
বাংলাদেশের জনজীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ যেন এখন...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.