Print World

How to

যেভাবে মোবাইল ফটোগ্রাফী চমৎকারভাবে করা যায়

Farhan Ishrak Fahim

Written by: Farhan Ishrak Fahim

29-03-2023

যেভাবে মোবাইল ফটোগ্রাফী চমৎকারভাবে করা যায়

আজকাল আমরা অনেকেই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে থাকি। কিন্তু, কিভাবে ছবি তুললে, কি কি বিষয় লক্ষ রেখে ছবি তুললে, কোন App দিয়ে Edit করলে আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারব তা আমরা অনেকেই জানি না। আজ এই ব্লগে জানতে পারবেন কিভাবে ছবি তুলে কোন App দিয়ে Edit করলে আকর্ষণীয় ছবি সবাইকে দেখাতে পারবেন।

মোবাইলে ছবি তোলার সুবিধা ও অসুবিধা

এক সময় মানুষ শুধুমাত্র বড় ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠাত। তবে, আজকাল অনেকে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে থাকেন। তবে, মোবাইলে ছবি তোলার কিছু সুবিধা আছে। সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ:

  • মোবাইল সহজলভ্য হওয়ায় যে কেউ ছবি তুলতে পারে।
  • ওজনে হালকা হওয়ায় যে কোন জায়গায় নেয়া যায়।
  • যে কোন মুহূর্তে যে কোন কিছুর ছবি তোলা যায়।
  • সহজে Street photography করা যায়।
  • সহজে এডিট করে যে কারো কাছে পাঠান যায়।


মোবাইলে ছবি তোলার সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা আছে। যেমন:

  • ফ্রেম কম হওয়ায় অনেক সময় ছবির গুণগত মান কম থাকে।
  • সেন্সর সাইজ কম হওয়ায় কম আলো ধারণ করে।
  • প্রিন্ট করতে গেলে ফেটে যায়।
  • Depth of field সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
  • Aperture পরিবর্তন করা যায় না। সব অপশন নিজের ইচ্ছামত সেট করা যায় না। যদিও Pro mode দিয়ে কিছু নিজে থেকে সেট করা যায় তবে সেটা খুব ধীর গতিতে কাজ করে।
  • তাড়াতাড়ি চার্জ শেষ হয়ে যায়।

ফটোগ্রাফির জন্য যে মোবাইল কেনা উচিত

আমাদের মোবাইল কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। দামী ফোন হলে এসব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করলেও চলে। তবে, কম দামি ফোন কিনলে বেশ কিছু দিক দেখে কিনতে হবে। যেমন:

  • কেনার সময় ছবি তুলে ছবির মান যাচাই করে নিতে হবে।
  • অনলাইনে রিভিউ পাওয়া যায়, সেসব রিভিউ দেখে কিনতে হবে।
  • ছবি তুলে Sharpness, Contrast level, Color saturation, Low light picture quality দেখে নিতে হবে।
  • এমন ফোন কেনার চেষ্টা করুন যার স্ক্রিন সাইজ বেশি এবং গুণগত মান ভাল।
  • মোবাইলে যত বেশি স্টোরেজ এবং ব্যাটারি থাকবে ততই ভাল।
  • Image stabilization আছে কিনা দেখে নিন।
  • মোবাইল কেনার সময় Exposure control option, Potrait mode, Pro mode, Panorama, Night mode ইত্যাদি দেখে নিন।

মোবাইল কেনার পর যা করণীয়

ভাল ক্যামেরার মোবাইল কিনে বসে থাকলে চলবে না। এতে বেশ কিছু সেটিং আছে। সেগুলি নাড়াচাড়া করে ঠিক করে নিতে হবে। যথা: 

  • ফরমেট নির্বাচন করতে হবে। 
  • কম সাইজের Compressed ছবি চাইলে JPG নির্বাচন করুন। 
  • আর, সহজে এডিট করতে চাইলে Raw অথবা DNG নির্বাচন করুন।
  • Volume button চেপে ছবি তুলতে চাইলে Volume button for shutter bar on করে রাখুন।
  • যদি Settings এ Keep original photo থাকে তাহলে সেটা চালু করে নিতে হবে। তাহলে ছবি তুললে HDR and original photo দুটোই থাকবে।


ছবি তোলার সময় অনেক বিষয় আছে যেগুলি ঠিক করে নেয়া হলে ভাল ছবি আসে। যেমন:

মোবাইলে ছবি তোলার খুটিনাটি

  • Expact ratio থেকে ছবির আকার ঠিক করে নেয়া।
  • বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি তোলা।
  • Portrait mode এ ছবি তুলে Face or background ঘোলা করা
  • মোবাইলের নিজস্ব ক্যামেরা অ্যাপ অথবা অন্য ক্যামেরা অ্যাপ দিয়ে Pro mode এর সাহাজ্য নিয়ে Exposure নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক করে নেয়া হলে চমৎকার ছবি আসবে।
  • কোন বিষয়বস্তুর Detail ছবি তুলতে চাইলে Macro mode দিয়ে ছবি তুলতে পারেন।
  • কোন Fast moving subject freez করতে চাইলে Action mode দিয়ে ছবি তুলতে পারেন।


ছবি তোলার ক্ষেত্রে পটু হতে হলে কোন এক নির্দিষ্ট মুহূর্তের আগে পরে কি ঘটতে পারে সেটা অনুমান করতে পারতে হবে। যদি মুহূর্ত চলে যায় তাহলে সেটা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই, সঠিক মুহূর্ত এবং বিষয়বস্তু নির্বাচন করে ছবি তুলতে হবে। কোন ঘটনার পর কোন ঘটনা ঘটতে পারে, কোন অবস্থা থেকে, কোন আলোতে চ্ছবি তুললে ভাল ছবি আসবে সেগুলি বুঝতে পাড়ার দক্ষতার সমাহার ঘটিয়ে চমৎকার ছবি তোলা যায়।

একটি ফ্রেমের মধ্যে Visual element কিভাবে রাখব, কিভাবে সাজাব বা কোন বিষয় কিভাবে রাখব সেটা হচ্ছে Composition. প্রত্যেকটি ছবি তোলার ক্ষেত্রে Centre of interest লাগবে। যেমন: আমি কিসের ছবি তুলব, Subject কি, Viewer ফ্রেমের কোন জায়গায় সবার আগে মনোযোগ দিবে ইত্যাদি ঠিক করা জরুরী।

ছবি তোলার সময় যদি আমরা কিছু উপাদানকে গুরুত্ব দেই তাহলে ছবি Interesting হয়ে যায়। যেমন: লাইন। লাইন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: Horizontal, Vertical line, Diagonal line ইত্যাদি। এটা এমন না যে এটি ছবির মূল বিষয়বস্তু। তবে এটি ছবিকে সুন্দর বানাতে সাহায্য করে।

যেমন: ছবিতে দুইজন হেটে যাচ্ছে। এখানে লাইন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু, এটি থাকলে ছবি সুন্দর দেখায়। ছবির বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে সে বস্তু হিসেবে বিবেচনা না করে Shape হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

যেমন: চাদ চাদ হিসেবে না দেখে Shape হিসেবে দেখতে হবে, দূরের Horizon কে Horizontal line হিসেবে, পিরামিড পিরামিড হিসেবে না দেখে ত্রিভুজ আকারে দেখতে হবে। কোন লাইনকে ছবির কোন জায়গায় রাখলে ছবি সুন্দর দেখাবে সেটা নির্বাচন করা হচ্ছে Composition।

আলো

আলো হচ্ছে ছবি Composition এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কথায় আছে, Photography is the study of light, perception of light and interpretation of light. আলোর সাপেক্ষে বিষয়বস্তুর আকার বিভিন্নড়কম দেখায়।

আলো যেদিকে পরে সেদিকে বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে, অন্ধকার দেখায়। যদি দুইদিকে সমানহারে আলো পরে তাহলে সম্পূর্ণ দেখা যায়।

যেমন: নাকের যে কোন একদিকে আলো পড়লে চিকন দেখায়। অন্যদিকে, দুইদিকে আলো পড়লে নাক মোটা দেখায়।

বাস্তব জীবনে যদি আলো যে কোন একদিক থেকে পরে তাহলে Texture ভাল দেখা যায়। আবার, আকাশ মেঘলা হলে বা Light soft হলে Texture ভাল দেখা যায় না।

Camera Angle

আবার, আমি ক্যামেরা কোনদিকে ধরে ছবি তুলছি সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। চেয়ার দেখে অবাক লাগছে দুই পায়ের উপর কিভাবে দাড়িয়ে আছে। এটা আসলে দুই পা নয় তিন পায়ের উপর দাড়িয়ে আছে। ছবিটি এমনভাবে তোলা হয়েছে যে একটি পা অন্য পায়ের পিছনে চলে গেছে। ফলে, মনে হচ্ছে দুই পা।

অতএব, ফটোগ্রাফারকে জানতে হবে যে কোনদিকে বা কোন স্থানে দাড়িয়ে ছবি তুললে ভাল ছবি আসবে।

ক্যামেরার সাথে বিষয়বস্তুর Combination

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Portrait হচ্ছে ফটগ্রাফারের সাথে বিষয়বস্তুর Collaboration। 

ফটোগ্রাফারের পাশাপাশি বিষয়বস্তুকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। যদি বিষয়বস্তু সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে না পারে তাহলে ভাল ছবি আসবে না।

অনেক সময় ছবিতে Form repeatition হয়। যদি একে সঠিকভাবে অনুমান করে ছবি তোলা যায় তাহলে অনেক ভাল ছবি তোলা যায়।

তবে, খুব বেশি Repeatation থাকলে ছবিটি একঘেয়েমী লাগে। তখন, পুনরাবৃত্তির মধ্যে বিরতির প্রয়োজন হয়।

Camera Position

ক্যামেরার অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। কোন জায়গায় দাড়িয়ে ছবি তোলা হচ্ছে, কোন দিক থেকে তোলা হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, Alternative point of view ছবিকে আকর্ষণীয় করে তুলে।

স্বাভাবিকভাবে, আমি দাড়িয়ে থেকে যে দিক থেকে দেখি যদি একজন ফটোগ্রাফার সে দিক থেকে ছবি তুলে তাহলে Viewer নতুন কিছু পায় না। Alternative point of view অথবা ভিন্ন অবস্থান থেকে যেদিকে সাধারন মানুষ দেখতে পায় না সেদিক থেকে ছবি তুললে মানুষের ছবির প্রতি আগ্রহ বারে।

High angle থেকে, low angle থেকে এমনকি ড্রোন দিয়ে ছবি তুললে সুন্দর দেখায়। ড্রোন দিয়ে ছবি তুললে ভাল লাগার একটি কারণ হচ্ছে সে Angle থেকে মানুষ সাধারনত দেখে না। অথবা মাটিতে ক্যামেরা লাগিয়ে ছবি তোলা। সে Angle থেকে পিপড়া বা পোকামাকড় দেখে, সাধারন মানুষ দেখে না।

একজন ভাল ফটোগ্রাফার জানে যে ক্যামেরা কোথায় রেখে ছবি তুললে ভাল ছবি আসবে। কোন ছবি উপর থেকে তুললে ভাল লাগে, আবার নিচে থেকে ছবি তুললে ভালো লাগে।

Rule of Thirds

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Rule of thirds. Rule of thirds কোন প্রতিষ্ঠিত নিয়ম না.। এটা নির্ধারন করতে সাহাজ্য করে যে আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Subject ফ্রেমের কোথায় রাখব।

আমি আমার মূল Subject মাঝখানে না রেখে কোথায় রাখব সেটা নির্বাচন করার একটি মাধ্যম হচ্ছে Rule of thirds. সেজন্য, মোবাইলের View finderএ Grid option on রেখে ছবি তোলা উচিত যাতে Rule of thirds নিশ্চিত করে ছবি তোলা যায়।

আবার, এটা না করেও ছবি তোলা যায়। কেননা, Rule of thirds যে মিলাতে হবে এমন কোন কথা নেই। Rule of thirds suggest করে যে আমি আমার Subject মাঝখানে রাখব। আমি আমার Subject মাঝখানে উপরে-নিচে, ডানে-বামে রাখতে পারি।

Painting এবং ফটোগ্রাফির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে আমরা Paintingএর সময় খালি ক্যানভাসে বিভিন্ন জিনিস যুক্ত করি এবং ছবি তোলার সময় অপ্রযোনিয় জিনিস বাদ দেই। যেসব জিনিস ফ্রেমে দরকার নেই অথবা বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায় সেগুলি বাদ দিতে হবে। যেমন: সবকিছু নিয়ে ছবি তুললে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে যে ছবিটি আসলে কিসের।

সুতরাং, যেসব জিনিস প্রয়োজনীয় অথবা আমি দেখাতে চাই সেগুলি ছবিতে রাখব এবং যা দেখাতে চাই না বা দেখানোর দরকার নেই সেগুলি ছবি থেকে বাদ দিব। তাহলে, ছবিটি আকর্ষণীয় হবে। যখন তখন যেখানে সেখানে ছবি না তুলে Subject নির্বাচন করে, কোন দিক থেকে, কোন অবস্থান থেকে, কোন সময়ে বা মুহূর্তে ছবি তোলা উচিত সেটা নির্বাচন করে ছবি তোলা উচিত।

যাহোক, আমরা যে  ছবি তোলার বিভিন্ন নিয়মকানুন আলোচনা করলাম সেগুলি হচ্ছে ছবিকে আকর্ষণীয় করার সহজ কিছু পন্থা। কিন্তু, এখানেই শেষ নয়। সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে No overall rules can be made in this art devoid of all rule.

শিল্প সবসময় নিয়মকানুন মেনে চলে না। এটি তার আপন গতিতে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এটিকে যেমন বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে আকর্ষণীয় করা যায় ঠিক তেমনি নিয়মকানুন ভেঙেও আকর্ষণীয় করা যায়।

Photo Editing

এখন Editing নিয়ে কথা বলা যাক। বাজারে Photo Edit করার বিভিন্ন App আছে। যেমন: Hipstamatic, Camera plus, Snapseed ইত্যাদি।

Hipstamatic

প্রথমে Hipstamatic নিয়ে কথা বলতে চাই। এটি একটি Editing tool.

নিচে ডান দিকে Stamp এর মত Icon হচ্ছে Gallery. Hipstamatic editing tool হলেও এটা দিয়ে ছবিও তোলা যায়। এতে তোলা ছবিসমূহ গ্যালারিতে জমে। সেটিংস থেকে ঠিক করে নেয়া যায় যে সব ছবি এই এপের গ্যালারিতে থাকবে নাকি শুধু এই এপে তোলা ছবিসমূহ থাকবে।

উপরে Back to camera. তার নিচে হচ্ছে All photos. তার ডানে হচ্ছে মেনু। তার মধ্যে হচ্ছে সেটিংস।

সেখানে আমি নির্ধারন করতে পারি যে ছবি কোথায় কোন ফরমেটে সংরক্ষিত হবে। All photosএর বাম দিকের মেনু হচ্ছে গ্যালারির মেনু। সেখানে আমি নির্ধারন করে দিতে পারি যে কোন ছবি এখানে থাকবে।

ধরা যাক, আমি Hipstamatic দিয়ে Multiple exposure দিয়ে ছবি তুললাম। ছবির নিচে বাম দিকের আইকন হচ্ছে ডিলিট করার অপশন। তার পাশে হচ্ছে Favourite এ Add করার অপশন। মাঝখানের অপশন হচ্ছে এডিটিংয়ের আইকন।

আমি যদি এডিটিং অপশনে যাই তাহলে দেখব যে সেখানে কিছু Default preset দেয়া আছে। বিভিন্ন এফেক্ট, লেন্স, ফ্লাশ এবং ফিল্মের সমাহারে ছবি কিরকম দেখাবে সেটা দেয়া আছে।

যদি আমি আমার মত Edit করতে চাই তাহলে New এর নিচে * আইকনে ট্যাব করতে হবে। এখানে ডানে বামে সরালে বিভিন্ন টুল দেখা যাবে। ল্যান্সে ট্যাব করে অন্য ল্যান্স নির্বাচন করা যাবে। যে ল্যান্স নির্বাচন করা হবে সেটির এফেক্ট চাইলে পরিবর্তন করা যাবে।

বাম পাশে একটি আইকন আছে। সেটি ট্যাব করলে একটি Sub menu আসবে। সেখানে থেকে ফিল্মের টেক্সচার পরিবর্তন করা যাবে।

এডিট করার পর যা এডিট করা হয়েছে সেটা রাখতে চাইলে টিক চিহ্নে ট্যাব করতে হবে। নতুবা, ক্রস চিহ্নে ট্যাব করতে হবে।

যদি সেটিংস থেকে ঠিক করে দেয়া হয় যে .DNG বা Original photo রাখবে তাহলে Edited ছবি এবং Original photo দুটোই থাকবে। নতুবা, Edit করার পর Edited photo রেখে Original photo automatic delete করে দিবে।

এই এপে Edit করতে গেলে দুইটি অপশন দেখায়। যথাক্রমে, Edit from edited picture and edit from original photo. সবসময় Original photo থেকে এডিট করা উচিত।

আবার, Edit from original photo ট্যাব করলে দুটি অপশন আসবে। .DNG and .JPG. সবসময় .DNG picture edit করা উচিত। কারণ, JPG compressed অবস্থায় থাকে। ফলে, ছবি ভাল Edit করা যায় না।

একদম বাম পাশের অপশন দিয়ে Horizentaliy change করা যায়। তার পাশের অপশন দিয়ে Vertically change করা যায়।

এই এপে অপশনসমূহ লেভেল করা নেই। আইকন দেখে অথবা কাজ করে জেনে নিতে হয়। তবে, নিচে ৪ ডটের মত আইকন আছে। সেটা ট্যাব করলে আইকন লেভেল দেখা যায়।

এটাতে Briliam নামে একটি অপশন আছে। এটি দিয়ে একইসাথে Highlight এবং Shadow পরিবর্তন করা যায়।

Definition বলে যে অপশন আছে সেটা দিয়ে Color এবং Vibrant একইসাথে পরিবর্তন করা যায়। পাশাপাশি, এজ কিছুটা শার্প লাগে।

Hipstomaticএর একটি সমস্যা হচ্ছে জুম করে দেখা যায় না যে ছবির কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা। এডিট করতে গিয়ে খুববেশী নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অনেক সময় ছবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি কম্পিউটারে দেখা গেলেও এই এপে দেখা যায় না। তবে, এডিট করার পর ছবি সেভ করার পর দেখতে পারি।

ফেড বলে আরেকটি অপশন থাকে। সেখানে থেকে ফেড বাড়ানো কমানো যায়। অনেক সময় বিভিন্ন ছবিতে ধোয়ার এফেক্ট দেখা যায়। সেটা ফেড বাড়িয়ে করা হয়।

এবার Tone carb নিয়ে কথা বলা যাক। তবে, এটি বোঝার আগে Histogram বুঝতে হবে। Histogram হচ্ছে বামে Highlight, ডানে Shadow এবং মাঝখানে Mid tone. যদি মাঝখানে ধরে টানা হয় তাহলে Exposure বেড়ে যাবে। আর যদি নিচে ধরে টানা তাহলে Exposure কমে যাবে।

এখন যদি Exposure বাড়াতে গিয়ে Highlight বেড়ে গিয়ে ছবি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে Highlight আলাদা করে সেখানে কমানোর অপশন আছে। সেখানে থেকে এটা কমিয়ে নেয়া যাবে। এখানে Shadow পরিবর্তন করার আলাদা অপশন আছে।

যদি Highlight বাড়িয়ে Shadow কমানো হয় তাহলে Contrast বাড়বে। Highlight বাড়ানো মানে সাদা অংশ বেড়ে যাওয়া। আবার, Shadow কমানো মানে হচ্ছে কালো অংশ কমে যাওয়া। এখানে হচ্ছে সাদা-কালোর খেলা।

অতএব, Contrast বাড়াতে হলে Highlight বাড়িয়ে Shadow কমাতে হবে। আবার, Contrast কমাতে হলে Highlight কমিয়ে Shadow বাড়াতে হবে।

নিচে RGB বলে একটা অপশন আছে। এটি নির্বাচন থাকা অবস্থায় Carb পরিবর্তন করলে লাল, সবুজ এবং নীল রঙ একসাথে পরিবর্তন হবে। তবে, আমি চাইলে শুধু Red, Green or Blue select করে সেটির আধিক্য কমাতে পারি।

চশমার মত আইকন হচ্ছে Temperature and Tint. এখানে থেকে Color temparature বাড়ানো কমানো যাবে। Color temperature হচ্ছে Wide balance কি হারে নীল অথবা হলুদ হবে। Tint দিয়ে মেজেনটা এবং সবুজ রঙের পরিবর্তন কি হারে হবে।

আপনি চাইলে এই এপ দিয়ে Depth of field কমাতে বাড়াতে পারবেন। যদি নিচে গোল আইকন থাকে তাহলে ছবির চারপাশে গোলাকারে Blar হবে। সে গোল আইকন ট্যাব করলে সেটির আকার পরিবর্তন হয়ে ছবির চারপাশে লম্বালম্বিভাবে Blur হবে।

সেখানে টেক্সচার এবং গ্রেইন নামে দুটি অপশন আছে। টেক্সচার দিয়ে ফিল্মের মত টেক্সচার করা যায় এবং গ্রেইন দিয়ে ফিল্মের মত গ্রেইন করা যায়। বিগনেট দিয়ে ছবিতে বিগনেট যুক্ত করা হয়।

Camera Plus 2

এখন কথা বলা যাক Camera Plus 2 app নিয়ে। এটি আরেকটি App যেটি দিয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি Edit করা যায়।

ছবি Open করার পর মেনুতে গিয়ে Edit tab করলে এডিট করা যাবে। সেখানে কিছু default preset দেখায়। আপনি চাইলে সেখানে থেকে যে কোন একটি নির্বাচন করতে পারবেন। আবার, ল্যাব অপশন থেকে নিজের মত এডিট করা যাবে।

এছাড়া, ক্রপ করার অপশন আছে যেখানে থেকে ছবি ক্রপ করা যাবে। যদি Freeform এ রাখা হয় তাহলে ইচ্ছামত ক্রপ করা যাবে। Square form এ থাকলে Square form ক্রপ হবে।

ফিল্টার অপশন থেকে বিভিন্ন ফিল্টার যুক্ত করা যায়। যেমন: Color থেকে বিভিন্ন রঙ যুক্ত করা যায়, ফ্রেম অপশন থেকে বিভিন্ন ফ্রেম যুক্ত করা যায় ইত্যাদি।

ল্যাবে গেলে Magic ml নামে অপশন আছে। সেটি নির্বাচন করলে Automatic edit করার চেষ্টা করে।

Clarity option থেকে ছবিকে Sharp করা যায়।  এটি Intencity এবং Vibrant নামের দুইটি টুল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। Vibrant থেকে Color vibrant করা যায়।

Exposure থেকে Exposure কমানো বাড়ানো যায়। এই এপে Brightness, Contrast, Highlight, Shadow বাড়ানো কমানোর জন্য আলাদা টুল আছে। Temperature option থেকে Wide balance warm অথবা Cool করতে পারি। এখানে Blur, Tint ইত্যাদির অপশন আছে।

এটাতে লুডুর গুটির মত একটি আইকন আছে। এটিকে ঘোড়ালে App তার নিজের মত বিভিন্ন Effect apply করে ছবি Edit করার চেষ্টা করে।

Soft focus option যে সম্পূর্ণ ছবি Blur করে ফেলে তা নয়। এটি ফোকাস সামান্য Soft করে।

এটিতে বিগনেটে দুইটি অপশন আছে। একটি সাদার জন্য এবং অন্যটি কালোর জন্য। স্লাইডার ডানদিকে নেয়া হলে সাদা বিগনেট হয় এবং অন্যদিকে নেয়া হলে কালো বিগনেট হয়।

Snapseed

এখন কথা বলা যাক Snapseed নিয়ে। এর একটি দারুন সুবিধা হচ্ছে এটাতে বেশ কিছু টিউটোরিয়াল দেয়া আছে। সেখানে থেকে আমি শেখা যাবে যে কিভাবে ছবি এডিট করা যায়। ডান পাশের তিন ডট আইকন থেকে টিউটোরিয়ালে যাওয়া যাবে।

বামপাশের ওপেন অপশন থেকে ছবি ওপেন করে এডিট করা যায়। ছবি ওপেন করার পর লুক, টুল এবং এক্সপোর্ট নামে তিনটি অপশন পাওয়া যায়।

লুকে গেলে ডিফল্ট কিছু ফিল্টার দেখায়। যদি আপনার সেটি পছন্দ না হয় তাহলে পিছনে গিয়ে টুলস থেকে এডিট করতে পারবেন।

টুলে যাওয়ার পর Tune imageএ গেলে কিছু অপশন পাওয়া যায়। যেমন: Brightness পরিবর্তন করা যায়। এটা যেমন উপরের অপশন থেকে করা যায় ঠিক তেমনি ছবি ডানে বামে ড্রাগ করে পরিবর্তন করা যায়।

যদি আঙুল উপরে নিচে নেয়া হয় তাহলে Contrast saturation, Highlight, Shadow ইত্যাদি অপশন পাওয়া যায়। এখান থেকে বের হয়ে ডীটেলে গেলে কারবের অপশন আসবে।

এখানে Expend এর অপশন আছে যেখানে থেকে ছবি বড় করা যায়। Selective option থেকে কোন একটি অংশ নির্বাচন করা যায়। তারপর, এডিট করলে শুধু মাত্র সেই নির্বাচিত অংশ এডিট হবে।

এছাড়া, ব্রাশ বলে আরেকটি টুল আছে যেটা দিয়ে একইরকম কাজ করা যায়। এটি দিয়ে নিদিষ্ট জায়গা নির্বাচন করা বা Doge and burning করা যায়।

এটা পরে Dodge and burn option থেকে কমানোর বাড়ানো যায়। আবার, চাইলে Eraser দিয়ে কিছু অংশ মুছা যায়। চোখের মত আইকন ট্যাব করে দেখা যায় যে কি পরিমাণ অংশ দাগান হয়েছে।

এখানে Structure বলে একটা অপশন আছে। এটি দিয়ে ছবির Clearity বাড়ানো কমানো যায়।

Hdr নামে যে অপশন আছে সেখানে গেলে Hdrএর এফেক্ট দেয়। সেখানে ডানে বামে নিয়ে ফিল্টারের সেন্স কমানো বাড়ানো যায়। তার পাশাপাশি Brightness, Saturation কতটুকু রাখা হবে সেটাও ঠিক করা যায়।

আবার, কি ধরনের Hdr রাখবেন সেটার বিভিন্ন Preset আছে। যেমন: Nature, People, Find, Strong ইত্যাদি। Preset নির্বাচন করার পর ফিল্টারের Strength কমিয়ে বাড়িয়ে নেয়া যায়।

গ্রেন অপশন গ্রেন যুক্ত করে। এটিকে বাড়ানো কমানো যায়। Retrolox এক ধরনের বিনটেজ ফিল্টার দেয়।

ফিল্মে Noise add করলে Cinematic effect আসে।

যদি Portrait option ব্যবহার করতে চান তাহলে ছবিতে Face থাকতে হবে। তা না হলে এই ফিচার কাজ করে না। এটি Faceএর Spotlight বাড়িয়ে কমিয়ে নেয়, Skin smooth করে, চোখের Clearity কম বেশি করে। এখানে কিছু Preset দেয়া আছে।

Head pose নামে আরেকটি অপশন আছে। এটি চেহারা সোজা অথবা বাকা করতে সাহাজ্য করে। কারও মুখ সামান্য বাকা থাকলে অথবা ছবি উঠানোর সময় কিছুটা বাকা হয়ে গেলে সেটা পরে ঠিক করা যায়।

Lens blur দুইভাবে করা যায়। যথা: Circular blur, Horizontal blur. দুই আঙুল দিয়ে যেমন Verticle অথবা Horizental blur বানাতে পারি আবার ঠিক তেমনি Circular blar বানাতে পারি। Circular blur আঙুল দিয়ে চাপিয়ে ছোট-বড় করা যায়।

Snapseed এ ছবি Save করার তিনটি অপশন আছে। যথা:

  • Save: আসল ছবিকে মুছে দিয়ে এডিট করা ছবি সংরক্ষণ করে
  • Save a copy: আসল ছবি রাখার পাশাপাশি Snapseed এর গ্যালারিতে ছবি সংরক্ষণ করে
  • Export: আসল ছবির পাশাপাশি মোবাইলের নিজস্ব গ্যালারিতে এডিট করা ছবি সংরক্ষণ করে

এখানেই শেষ হল Smartphone photography’র খুঁটিনাটি। আপনি কি মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করেন নাকি বড় ক্যামেরা দিয়ে? Edit করার জন্য কোন App পছন্দ করেন? আশা করি আপনারা কমেন্ট সেকশনে জানাবেন! পরবর্তী ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেল Subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন।


Mishuk Ashraful Awal কে আন্তরিক ধন্যবাদ!

Previous Post

Next Post

Related Posts

কসমেটিক্স ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?

27-05-2024

How to

কসমেটিক্স ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?

নিজের বাহ্যিক অঙ্গের যত্ন নিতে এবং নিজেকে স্মার্ট...

Read More
ইন্টারভিউতে সফলতার জন্য ১০টি টিপস

29-01-2024

How to

ইন্টারভিউতে সফলতার জন্য ১০টি টিপস

কর্মজীবনে সবচেয়ে জরুরী যেই কয়েকটি বিষয়, তার মধ্যে...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter