Home » MAWblog » How to » রাজউক নির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদন কিভাবে পাওয়া যায়? ভূমি ছাড়পত্র বিষয়টি জানুন!
How to
Written by: Sayma Islam Jarin
16-08-2022
এই ব্লগটির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করবো রাজউক নির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদন ও ভূমি ছাড়পত্র নিয়ে বিবেচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরতে।
রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) মহানগরীর যেকোন বিল্ডিং তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। নারায়নগঞ্জ, সাভার, উত্তরা, গুলশান-বনানী (জোন অফিস মতিঝিল) - এই কর্তৃপক্ষের অফিস রয়েছে। রাজউক নির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদন ও ভূমি ছাড়পত্র বিষয়গুলো একটু জটিল বিধায় অনেকেই নিজস্ব স্বপ্নের আবাসের জন্য সরাসরি রাজউক এর সাথে যোগাযোগ না করে, যোগাযোগ করেন ‘তথাকথিত’ পরিচিত মানুষের সাথে। অনেক ক্ষেত্রেই ঠকে যান, পিছিয়ে পড়েন বাড়ি তৈরীর কাজে হাত দিতে।
একটি প্লট বা জমির রাজউকে রেজিস্ট্রি করার জন্য নিম্নোক্তভাবে দলিল জমা দিতে হয় বা খারিজ করতে হয়-
ব্যস, বিল্ডিং তৈরীর কাজে হাত দিতে আর কোন সমস্যা বা বাধা থাকবে না। তবে এরপরও অনেক খুঁটিনাটি মাথায় ঠিকানা করে রাখতে হয়। যেমন -
স্ট্যান্ডার্ড মাপ সাধারনত ৫ কাঠা, নির্ভর করবে একজন ব্যক্তি কতটুকু জমি কিনেছে বা রেজিস্ট্রি করতে চাচ্ছেন। বিল্ডিং তৈরীর সময় জায়গার কিছু অংশ অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে, যেমন সম্মুখ রাস্তার ১.৫ মিটার ছেড়ে দিতে হবে, রাস্তা থাকতে হবে অন্তত ২৫-৩০ ফিট। মুলত, ল্যান্ডের অন্তত ৩৫% ছেড়ে দিতে হবে এবং ৬০% একটি প্লটের ব্যবহার করা যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ৭ কাঠায়, প্রতিটি ফ্লোরে আসলে ৩০২৪ বর্গফুট পাওয়া যাবে, বাকিটুকু ছেড়ে দিতে হবে।
রাজউকের ৫০ বর্গমিটার পর্যন্ত প্লট প্ল্যান পাশের ১১, ৫০০ টাকা ফি আসে, ১০০০-১৫০০ বর্গ (গ্রাউন্ড, একটা ফ্লোর) ৭৮০০ এর ৫০% ভ্যাট আলাদা ভাবে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
রাজউক অনুমোদিত ব্যাংকের ৩০০ টাকার (ভ্যাট সহ) একটি নির্মাণ অনুমোদন ফর্মে - (বিল্ডিং অথবা ফ্ল্যাটের জন্য একটা ফর্ম নিতে হবে)- নাম, ঠিকানা, রেসিডেন্সিয়াল/কমার্সিয়াল, কোন সিটি কর্পারেশন এর আন্ডারে থাকবে, কত নাম্বার ওয়ার্ডে থাকবে, সামনে/পিছনে/পূর্বে বা পশ্চিমে কতটুকু জায়গা আছে- মূলত খূঁটিনাটি তথ্যগুলো দিয়ে ফিলআপ করতে হয়, সেই সাথে ব্যাংকে নিয়ে যেতে হবে নিম্নোক্ত ৮টি কাগজ-
এই ফর্মের মাধ্যমেই মূলত NOC পেতে হবে।
তবে কোন প্লট কেনার আগে দলিল দেখে নেয়া উচিত, তার নামে খারিজ আছে কিনা, ট্যাক্স দেয়া আছে কিনা- ইত্যাদি অন্তত ২/৩ বছরের ইতিহাস অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত।
রাজউক প্ল্যান পাশ করার পর যদি কোনভাবে মোডিফাই করতে হয়, তবে অবশ্যই ব্যক্তি তা করতে পারবেন। তবে এখন রাজউকের সবকিছুই অনলাইনে করার সুবিধা চলে এসেছে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদিও ক্লিয়ারেন্স বা অনুমোদন পাওয়া একটু দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস, তবু সবুরে মেওয়া ফলে!
আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে উপকারে আসবে। নিয়মিত ব্লগ পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
27-05-2024
How to
নিজের বাহ্যিক অঙ্গের যত্ন নিতে এবং নিজেকে স্মার্ট...
Read More29-01-2024
How to
কর্মজীবনে সবচেয়ে জরুরী যেই কয়েকটি বিষয়, তার মধ্যে...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.