Home » MAWblog » Miscellaneous » সাধারণ কালি নাকি অ্যান্টি-ইউভি কালি - আপনার জন্য কোনটি সঠিক?
Miscellaneous
Written by: এস এম নাহিয়ান
20-02-2025
প্রিন্টার, এমন একটা জিনিস যা যেমন সুবিধাজনক তেমনই স্পর্শকাতর। আর প্রিন্টারের সবচেয়ে স্পর্শকাতর দিকটা হলো এর কালি। একবার প্রিন্টার কিনলে সারাজীবন কালি কিনে যেতেই হবে। আর সেই কালির উপরেই নির্ভর করবে প্রিন্ট কোয়ালিটি।
ভাল প্রিন্ট কোয়ালিটি চাইলে তাই ভাল কালির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ভাল কালি খুঁজে বের করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বাজারে যখন এত এত কোম্পানির এত এত কালির মডেল। তবে এতসব কালির ব্র্যান্ডের ভেতরে ‘রিয়েল কালার’ দীর্ঘদিন নিজেদের সুনাম ধরে রেখেছে। প্রিন্ট ওয়ার্ল্ডের বিশাল সংগ্রহের মধ্যেও এর অবস্থান অন্যতম।
কিন্তু আজকে আমরা কথা বলবো এই কালির ধরন নিয়ে। ইংকজেট প্রিন্টারে কালি প্রয়োজন হয়, আর লেজার প্রিন্টারে টোনার, তা হয়তো আপনার অজানা নয়। কিন্তু ইংকজেট প্রিন্টারের কালি বা ইংকেরও অনেক ধরন রয়েছে। তার ভেতর প্রধান দুইটি ধরন হলোঃ
(i) নরমাল ইংকজেট রিফিল ইংক
(ii) অ্যান্টি-ইউভি ইংকজেট রিফিল ইংক।
বা আরও সহজ করে বললে, সাধারণ কালি ও অ্যান্টি-ইউভি কালি।
অ্যান্টি-ইউভি ইংক কী?
সাধারণ কালি নিয়ে হয়তো কিছু বলতে হবে না। কিন্তু অ্যান্টি-ইউভি কালি নিয়ে কিছুটা বলা জরুরী। এর নাম থেকেই এর সম্পর্কে হয়তো কিছুটা ধারনা পাচ্ছেন। অ্যান্টি-ইউভি এর পূর্ণরুপ হলো অ্যান্টি-আল্ট্রা ভায়োলেট। অর্থাৎ অ্যান্টি-ইউভি ইংক হলো এমন এক ধরনের কালি যা সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে বা অতিবেগুণি রশ্মির বিরুদ্ধে কার্যকরী। অর্থাৎ অ্যান্টি-ইউভি ইংক প্রিন্টিং এর উপরে সূর্যের আলো বা বৈরি আবহাওয়া খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না।
সাধারণ কালির সাথে পার্থক্য কোথায়?
এখন আসল প্রশ্ন হলো সাধারণ কালি বা নরমাল রিফিল ইংকের সাথে অ্যান্টি-ইউভি ইংকের পার্থক্য আসলে কতটুকু। চলুন সে প্রশ্নের উত্তর জানা যাক।
১। প্রিন্ট কোয়ালিটি (Print Quality)
প্রিন্ট কোয়ালিটির হিসেবে প্রথমে নরমাল পিগমেন্ট ইংকের কথাই ধরা যাক। আপনি প্রতিদিন যেসকল প্রিন্ট দেখেন, তার সিঙ্ঘভাগই এই ধরনের কালিতে প্রিন্ট করা। আপাতদৃষ্টিতে এই ধরনের প্রিন্টকে যথেষ্ট ভাল মনে হবে আপনার। আসলেও তাই। সদ্য প্রিন্ট হওয়া কাগজে নরমাল ইংক এবং অ্যান্টি-ইউভি ইংক প্রিন্টের খুব বেশি পার্থক্য থাকে না।
অ্যান্টি-ইউভি ইংকের পিগমেন্ট গুলো আরও উন্নত প্রযুক্তির। এ কালির প্রিন্টও হয় অনেক বর্ণিল এবং শার্প। এ কালির প্রিন্ট ছড়িয়ে যায় না বলে প্রিন্ট হয় অনেক স্পষ্ট।
২। স্থায়িত্ব
স্থায়িত্বের দিক থেকে চিন্তা করলে এন্টি-ইউভি ইংক যোজন যোজন এগিয়ে। কারণ অ্যান্টি-ইউভি ইংকের প্রিন্ট সূর্যের আলোতে জ্বলে যায় না। শুধু সূর্যের আলো নয়, যেকোনো ধরনের আল্ট্রা ভায়োলেট রে সহ্য করতে পারে এই প্রিন্ট। ফলে বছর খানেক পরেও প্রিন্টের রঙ আর শার্পনেস থাকে আগের মতই।
অন্যদিকে সাধারণ প্রিন্টের স্থায়িত্বও সাধারণ। বিশেষ করে দেখবেন, সূর্যের আলো বা যেকোনো বৈরি পরিবেশে রাখা প্রিন্টের রঙ কিছুদিন পরেই মিলিয়ে যায়। অনেকসময় দেখতে বিবর্ণ ও ফাটা ফাটা লাগে। ঠিক এই দিক থেকেই অ্যান্টি-ইউভি ইংক নরমাল রিফিল ইংক থেকে এগিয়ে।
দামের দিক থেকে খুব স্বভাবতই সাধারণ কালি এগিয়ে। বাজারে অ্যান্টি-ইউভি ইংকের দাম অবশ্যই নরমাল ইংক থেকে কিছুটা বেশি হবে। কারন জিনিস যেটা ভাল, দাম তার একটু বেশি।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ
সাধারণ কালি ও অ্যান্টি-ইউভি কালির পার্থক্য নিশ্চয়ই আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে লেখার এই অংশে চলুন কিছু বাস্তব উদাহরণ দিয়ে তুলনা করা যাক।
তুলনার জন্য আমরা বেছে নিয়েছি রিয়েল কালার ব্র্যান্ডের দুইটি নরমাল রিফিল ইংক ও দুইটি অ্যান্টি-ইউভি রিফিল ইংককে। মডেলগুলো হলো রিয়েল কালার ৬৬৪, রিয়েল কালার ৬৬৩ ও রিয়েল কালার অ্যান্টি-ইউভি ৬৬৪, রিয়েল কালার অ্যান্টি-ইউভি ৬৬৩। এই প্রতিটি মডেলই সুলভ মূল্যে পেয়ে যাবেন প্রিন্ট ওয়ার্ল্ডে।
আরেকটি বিষয়, এই মডেল গুলো মূলত এপসন প্রিন্টারের জন্য তৈরি করা। এপসনের এল ১০০ (L 100) , এল ১১০ (L 110), এল ১৩০ (L 130), এল ২০০ (L 200), এল ২১০ (L 210), এল ২২০ (L 220), এল ৩১০ (L 310), এল ৩৫০ (L 350), এল ৩৫৫ (L 355), এল ৩৬০ (L 360), এল ৩৬৫ (L 365), এল ৩৮০ (L 380), এল ৪৫৫ (L 455), এল ৫৫০ (L 550), এল ৫৫৫ (L 555), এল ৫৬৫ (L 565) এই সকল মডেলের জন্যই কালি গুলো ব্যবহারযোগ্য। তবে ব্রাদার এইচপি এসব ব্র্যান্ডের জন্য অন্য কালি ব্যবহার করাই শ্রেয়।
সবই তো বোঝা গেলো, কিন্তু ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার কোন ধরনের কালি কেনা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনি আসলে কেমন কাজের জন্য প্রিন্ট করেন। তার মাঝেই লুকিয়ে আছে আপনার কোন ধরনের কালি কেনা উচিত সে উত্তর।
সাধারণ কালি যখন নেবেন
রিয়েল কালার ইংকজেট রিফিল ইংক ৬৬৪, ৬৬৩ এই মডেল গুলো আপনার জন্য তখনই ভাল হবে যখন আপনি শুধু অফিস ডকুমেন্ট অথবা বাচ্চাদের স্কুল প্রজেক্টের মতো ফাইল গুলো প্রিন্ট করবেন। এ ধরনের কালি শর্ট টার্মে আপনাকে বেশ ভাল সুবিধা দেবে। খরচও তুলনামূলক কম পড়বে।
অ্যান্টি-ইউভি কালি যখন নেবেন
যদি আপনাকে প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রিন্ট করতে হয়, তাহলে অ্যান্টি-ইউভি কালি নেয়াই শ্রেয়। এমনকি অনেক অফিস ডকুমেন্ট আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি সংস্পর্শে না আসলেও, দীর্ঘদিন সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টি ইউভি কালি ব্যবহার করাটা নিরাপদ।
এর বাইরে আপনি যদি মাঝে মাঝে ছবি প্রিন্ট করেন, অথবা মার্কেটিং এর জন্য কোনো পোস্টার অথবা সাইন প্রিন্ট করেন, অথবা ঘরের বাইরে ব্যবহৃত হবে এমন যেকোনো বস্তু প্রিন্ট করেন তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত অ্যান্টি-ইউভি ইংক কেনা।
শেষকথা
আশা করি এ লেখার মাধ্যমে দুই ধরনের কালি সম্পর্কে আপনাদের একটি পরিষ্কার ধারনা হয়েছে। একই সাথে কেন এবং কখন অ্যান্টি-ইউভি ইংক ব্যবহার প্রয়োজন, সে প্রশ্নের উত্তরও নিশ্চয়ই আপনি পেয়েছেন। তবে যেই ব্যবহারের ধরন যাই থাকুক না কেন, যদি দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল চান, তাহলে অ্যান্টি-ইউভি কালিই হবে আপনার সেরা চয়েজ।
23-02-2025
Miscellaneous
সোনা বরাবরই আর্থিক সুরক্ষা এবং সামাজিক মর্যাদার প্রতীক...
Read More23-02-2025
Miscellaneous
বাংলাদেশের কক্সবাজার শহরটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র...
Read More17-02-2025
Miscellaneous
স্টিফেন হকিং, আধুনিক তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
International...
03-10-2024
International...
24-11-2024
Miscellaneous...
30-09-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.