Home » MAWblog » Miscellaneous » দেশীয় স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি - দক্ষিণ এশীয় গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
Miscellaneous
Written by: এস এম নাহিয়ান
22-09-2024
র, আইএসআই, ডিজিএফআই, নাম গুলো সম্ভবত আপনার খুব পরিচিত। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এই সংস্থা গুলো সেসব দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করে। আর এই গোয়েন্দা কার্যক্রমের সাথে শুধু সামরিক বা ভূরাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত নয়। বরং যেকোনো দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতাও জরুরী। আর স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত এসকল দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশও। সব মিলিয়ে বলা যায়, গোয়েন্দা সংস্থা গুলো শুধু গোয়েন্দা কার্যক্রমই চালায় না। বরং একটি দেশের সার্বিক স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করে। তবে প্রশ্ন হলো, কোন গোয়েন্দা সংস্থাটি সেই কাজটি সবচেয়ে নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন করে? দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে সে প্রশ্নের উত্তরই আমরা খুঁজেছি আজকের লেখাতে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহ, যথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের অনেক দেশেরই একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা আছে। এক্ষেত্রে তালিকাটি নিম্নরুপ।
১। ডিজিএফআই - ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স
২। এনএসআই - ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স
এর বাইরেও আর্মি ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, এয়ারফোর্স আই ইউনিট ইত্যাদি বিভিন্ন বাহিনী ভিত্তিক ইউনিট সক্রিয় রয়েছে। সামরিক বাহিনীর বাইরে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো, ও সিআইডি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
১। ন্যাশনাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন
২। র’ - রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং
৩। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি
৪। ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো
৫। ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি
৬। ন্যাশনাল সাইবার কোর্ডিনেশন সেন্টার
৭। জয়েন্ট সাইফার ব্যুরো
৮। সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স ডিরেক্টরেট
৯। সেন্ট্রাল মনিটরিং অর্গানাইজেশন ইত্যাদি
১। আইএসআই - ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স
২। ফেডারেল ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসেস
৩। ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম অথোরিটি
৪। স্পেশাল ব্রাঞ্চ
৫। ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসেস।
ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসেস এর অধীনে পাকিস্তান আর্মি, নেভি, ও এয়ারফোর্স তিন বাহিনীরই গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। এছাড়াও সিভিল আর্মড ফোর্সেস যেমন, পাকিস্তান রেঞ্জারস, ফ্রন্টিয়ার কর্পস এদেরও রয়েছে নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট।
দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশই গোয়েন্দা কার্যক্রমের দিক থেকে বেশ ভাল ভাবে সক্রিয়। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা এর রয়েছে ‘এসআইএস’ তথা ‘স্টেট ইন্টিলিজেন্স সার্ভিস’। নেপালের রয়েছে ‘ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট’, ও ভুটানের রয়েছে ‘ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’, ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট’ ইত্যাদি। তবে তালিকায় থাকা এতগুলো সংস্থা নিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়। তাই আজ কথা হবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের প্রধান তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা, ডিজিএফআই, র’ এবং আইএসআইকে নিয়ে।
মবিজের দর্শক ও পাঠকদের অনেকেই যেহেতু ব্যবসায়িক ঘরানার, তাই এ প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে এসব কিছুর সাথে ব্যবসার কি সম্পর্ক। গোয়েন্দা কার্যক্রমের সাথে সাধারণ ব্যবসার সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও, একটি দেশের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির গভীর সম্পর্ক থাকে। যেকোনো দেশে বৈদিশিক বিনিয়োগ থেকে শুরু করে, বৈদিশিক অর্ডারের সংখ্যা, এগুলো অনেকটাই নির্ভর করে সে দেশের স্থিতিশীলতার উপর। বিশেষত রাজনৈতিক অস্থিরতা যেকোনো দেশের ব্যবসায়িক পরিস্থতির অন্যতম প্রতিবন্ধক।
আবার একই ভাবে, ব্যবসায়িক খাতে অস্থিরতা, যেমন শ্রমিক আন্দোলন উসকে দেওয়া, বৃহৎ কেলেংকারি ফাস করা ইত্যাদির পেছনেও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর হাত থাকে। ফলস্বরুপ দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হয়। যা সরাসরি প্রভাব ফেলে সে দেশের রাজনীতিতে ও সামাজিক অবস্থানে। মোদ্দা কথা হলো, বর্তমান পুঁজিবাদী বিশ্বে, যেকোনো দেশকে বেকায়দায় ফেলতে হলে গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর জন্য সে দেশের ব্যবসায়িক খাত গুলো সহজ টার্গেট। আর তা যদি হয় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের মতো এতটা স্পর্শকাতর খাত, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
দক্ষিণ এশিয়ার কার্যকরী গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে র’, আইএসআই, ও ডিজিএআই, এই তিনটির নামই উঠে আসে। এর ভেতর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাবসম্পন্ন দুইটি সংস্থা হলো র’ ও আইএসআই। এই সংস্থা তিনটির একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে চিত্রটা হবে অনেকটা এরকমঃ
বৈশ্বিক পর্যায়ে সক্রিয়। তবে অধিকাংশ জনবল দক্ষিণ এশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে কেন্দ্রীভূত। কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে সক্রিয়। একই সাথে ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো, জঙ্গী-দমন কার্যক্রম, এমনকি সামরিক অপারেশন চালানোতেও অভ্যস্থ। এছাড়াও র’ এর প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এগিয়ে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে সক্রিয়। কিন্তু অধিকাংশ জনবল আফগানিস্থান, ভারত, ও মধ্য প্রাচ্যে কেন্দ্রীভূত। এর বাইরে বাংলাদেশেও আইএসআই এর নজর রয়েছে। পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো পন্থা অবলম্বনে পিছপা হয় না আইএসআই। বাজেট স্বল্পতা পোষানোর জন্য ও সরাসরি ঘটনায় না জড়ানোর লক্ষ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীদের উপর নির্ভর করে সংস্থাটি। বিশেষত উপমহাদেশের একাধিক জঙ্গী গোষ্ঠীকে উঁচু পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়ভার আইএসআই এর।
আঞ্চলিক পর্যায়ে সক্রিয়। প্রধান কর্মস্থল বাংলাদেশ। এর বাইরে ভারতে সীমিত পরিসারে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানোর কথা শোনা যায়। মূলত জঙ্গী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দমনে নিয়োজিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতার কারণে একটি বড় জনবল বিচ্ছিনতাবাদী গোষ্ঠী গুলো দমনে নিয়োজিত।
বিশেষায়িত দক্ষতার দিক থেকে হিসাব করলে র’ সাইবার ইন্টিলিজেন্স এর দিক থেকে বর্তমানে অনেকটাই এগিয়ে। এর বাইরেও ব্যবসায়ের সাথে যেটার সরাসরি সম্পর্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং ইকোনমিক এসপিওনাজ এর ক্ষেত্রেও র’ যথেষ্ট দক্ষ। বিশেষত বিক্ষোভ, অস্থিরতা ইত্যাদি তৈরিতে র’ এর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানের নানা ধরনের কার্যক্রম ঠেকাতে র’ এর মনোযোগের একটি বড় অংশ কাউন্টার টেরোরিজমের ক্ষেত্রে খরচ করতে হয়।
তবে রাজনৈতিক গুপ্তহত্যাতেও র’ বেশ পারদর্শী। গত বছর কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যে শিখ আন্দোলনের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জর কে হত্যা করা হয়। যদিও এই হত্যার দায় কখনোই ভারত নেয় নি। কিন্ত ভারতের বিরুদ্ধে সে সময় কানাডা বেশ জোরালো অবস্থান নিয়েছিলো। কারণ এ ঘটনার ভেতর দিয়ে একটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিলো। যেই পশ্চিমকে সকল দেশের বিশেষ ব্যাক্তিরা আশ্রয়স্থল মনে করে, প্রয়োজনে সেখানেও যেকোনো কিছু করার ক্ষমতা ভারত রাখে।
ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে আক্রমণ
র’ এর দক্ষতা যেমন কাউন্টার-টেররিজম, আইএসআই এর দক্ষতা ঠিক তেমনই টেররিজম। সেরা গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় না থাকলেও, স্বার্থ হাসিলে আইএসআই যেকোনো পন্থা বেছে নিতে পারে। অভিযোগ রয়েছে যে ভারতে এখন অবধি সংগঠিত অনেক জঙ্গি হামলাতেই পাকিস্তান জড়িত। যেমন রেড ফোর্ট অ্যাটাক, মুম্বাই অ্যাটাক। ২০০৯ সালে মুম্বাইয়ে তাজ হোটেল অ্যাটাকে ১৭৪ জন মারা যাওয়ার পরে ভারতের ট্যুরিজমে ব্যবসাতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের বেশ বড় ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগানদের যুদ্ধে সিআইএ প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছিলো। আর সেক্ষেত্রে প্রধান মাধ্যম ছিল আইএসআই। এর ফলে প্রক্সি যুদ্ধে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণের অর্থ ও অস্ত্র আইএসআই এর হস্তগত হয়
র’ এবং আইএসএই এর মতো ডিজিএফআই বাইরের দেশে প্রক্সি ওয়ার বা টেরর অ্যাটাকের কোনো রেকর্ড নেই। তবে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে জঙ্গী-দমন কার্যক্রমে ডিজিএফআই সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকাতেও ডিজিএফআই মূলত দেশীয় পর্যায়েই কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে র’ বেশ ভাল ভাবেই সংযুক্ত। র’ এর জন্ম লগ্ন থেকেই আমেরিকান সিআইএ এর সাথে সম্পর্ক বিদ্যমান। র’ এর ট্রেইনিং মডিউল থেকে শুরু করে প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক কিছুতেই সিআইএ এর ছাপ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৯/১১ এর ঘটনার পর পর এই অঞ্চলে ও ভারতের প্রতি আমেরিকার নজর বৃদ্ধি পায়। এই অঞ্চলে পাকিস্তানও ও আফগানিস্থানে বেড়ে ওঠা জঙ্গী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেও সিআইএ র’ এর সাহায্য নিয়েছে। এছাড়াও আমেরিকা সমর্থিত সরকার আফগানিস্থানের শাসনে থাকাকালীন ভারত একাধিক সামরিক সরঞ্জাম আফগানিস্থানকে দিয়েছে। সুতরাং বলা চলে, আফগানিস্থানে সে সময়েও র’ এর সাথে সিআইএ এর ভালই বোঝাপড়া ছিল। যদিও সরকার পতনের পরে সেই দৃশ্যপট অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
আইএসআই ও সিআইএর ভেতর ৬০ থেকে ৮০ এর দশকে বেশ শক্তিশালী সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। এখন দৃশ্যপট পরিবর্তিত হলেও, তথ্য আদান প্রদানের সম্পর্ক এখনও বিদ্যমান। এর বাইরে পাকিস্তানে চীনের বিশাল বিনিয়োগের কারণে স্বভাবতই সে দেশে চৈনিক ইন্টিলিজেন্স এর আনাগোণা বেড়েছে। তাই চীনা গোয়েন্দা সংস্থার সাথেও বর্তমানে আইএসআই এর যথেষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। এর বাইরে মধ্য প্রাচ্যের প্রতিটি দেশে থেকেই তথ্য সংগ্রহের নেটওয়ার্ক আইএসআই এর থাকলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আফগানিস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে সিআইএ প্রধান, পাকিস্তানি জেনারেল ও আইএসআই প্রধানের বৈঠক-পরবর্তী ছবি।
ডিজিএফআই যেহেতু জাতীয় পর্যায়েই মূলত অপারেট করে তাই র’ কিংবা আইএসআই’ এর মতো বিস্তৃত নেটওয়ার্ক পরিচালনার প্রয়োজন নেই। তবে ধারনা করা হয় যে, ব্রিটেনের এমআইসিক্স, ভারতের র’ থেকে ডিজিএফআই নীতিগত ও তথ্য সহায়তা পেয়ে থাকে।
পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো দেশের স্থিতিশীলতা অনেকটাই নির্ভর করে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার পারদর্শীতার উপর। ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য যেমন স্থিতিশীলতা দরকার, ঠিক একই ভাবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্যও স্থিতিশীলতা দরকার। বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশের অর্থনীতির জন্য বৈদিশিক বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরী। আর বড় মাপের সরকারী খাতের বৈদিশিক বিনিয়োগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত গোয়েন্দা কার্যক্রম। দক্ষিণ এশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর বিজনেস এসপিওনাজ নিয়ে খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলও, আশা করি এ লেখার মাধ্যমে এ সংস্থার সমূহের মধ্যে কার পরিধি ও দক্ষতা কতটুকু, তা নিয়ে ধারনা পাওয়া গেছে।
28-11-2024
Miscellaneous
সংবিধানকে বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল। সরকার...
Read More20-11-2024
Miscellaneous
শিশুদের মনোরঞ্জন এবং শেখার অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হল...
Read More31-10-2024
Miscellaneous
বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের সূচনার শুরুটা বস্তুত...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.