Environment

বাঁধের বিপরীতে বাঁধ - কতটা যুক্তি আর কতটা আবেগ?

Written by: এস এম নাহিয়ান

30-08-2024

বাঁধের বিপরীতে বাঁধ - কতটা যুক্তি আর কতটা আবেগ?


বাংলাদেশে প্রবেশ করা আন্তর্জাতিক নদী আর তার উপর বাঁধ, এ দুটো যেন অবিচ্ছেদ্য এক সত্ত্বা। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ সকল বাঁধের প্রায় প্রতিটি ভারতের তৈরি। আন্তর্জাতিক নদীতে প্রত্যেক দেশের যে সম অধিকার, তাকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর ভেতর ৩০টিতেই বাঁধ দিয়েছে ভারত। এতে কমেছে নদীর নাব্যতা, হঠাৎ পানির চাপে উপচে পড়ছে দুই পাড়। এমতাবস্থায় দেশের পূর্বাঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, লক্ষীপুর, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, ইত্যাদি জেলা গুলো ভয়াবহ বন্যার শিকার। এ প্রেক্ষিতে এদেশের অসংখ্য মানুষের মনে একটিই চিন্তা, ভারতের ন্যায় বাংলাদেশও কি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না?

তাই আজকের লেখাতে এই সম্ভাবনা নিয়েই আলোচনা করবো বিস্তারিত। খুটিয়ে দেখবো আদৌ কি বাঁধের বিপরীতে বাঁধ দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে কি না। 


আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের বাঁধসমূহ

বাংলাদেশে বহমান আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭। এর মাঝে ৫৪টি আসে ভারত থেকে এবং বাকি তিনটি বহমান মিয়ানমার থেকে। তবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা আন্তর্জাতিক নদী গুলোর অর্ধেকের বেশিতেই বাঁধ দিয়েছে ভারত। শতকরার হিসেবে তা ৫৫ ভাগ। সারা দেশকে যদি মোটামুটি চারটি অঞ্চলে ভাগ করা যায় তাহলে এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।  


নদী অঞ্চল (রিভার সিস্টেম) 

বাঁধসম্পন্ন নদী 

পদ্মা রিভার সিস্টেম 

ইছামতি 

বেতনা-কোদালিয়া 

ভৈরব-কপোতাক্ষ 

গঙ্গা-পদ্মা 

আত্রাই 

ব্রক্ষ্মপুত্র রিভার সিস্টেম 

মহানন্দা

করতোয়া

তালমা 

ধরলা 

তিস্তা 

দুধকুমার 

ব্রক্ষ্মপুত্র 

জিনজিরাম 

পুনভর্বা

ঘোরামারা

বুড়ি তিস্তা 

যমুনেশ্বরী 

মেঘনা রিভার সিস্টেম 

জাদুকাটা 

পিয়াইন 

কুশিয়ারা

সুরমা 

খোয়াই 

সোনাই 

গোমতী 

ধলাই

সোনাই-বরদাল 

জুরি 

সিলোনিয়া 

মনু 

চট্টগ্রাম রিভার সিস্টেম 

মহুরি 

ফেনী 

তথ্যসূত্রঃ ইনডেপথ বিডি 


উপরের তালিকাটা দেখলেই বোঝা যাবে ভারতের বাঁধের পরিমাণ। কিন্তু সমস্যা শুধু এই বাঁধ গুলো নয়। কারণ বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি ছাড়াও আরও অনেক স্থানে বাঁধ দিয়েছে ভারত। এর ভেতর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের বৃহৎ দুই নদী, পদ্মা ও তিস্তা। 

ভারতের পদ্মা নদী গঙ্গা হিসেবেই পরিচিত। আর এই গঙ্গা নদীর অববাহিকায় বিভিন্ন ছোট ছোট শাখা নদীর উপরে ভারতের ড্যাম রয়েছে ৭৯৫টি। সংখ্যাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও ‘ইন্ডিয়া ওয়াটার রিসোর্স ইনফরমেশন সিস্টেম’ এর ওয়েবসাইটে প্রতিটি ড্যামের অবস্থান সহ দেওয়া আছে। তবে এগুলো মূল গঙ্গা বা পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত বাঁধ নয়। 


চিত্রঃ ভারতীয় পানি সম্পদ তথ্য সিস্টেমের উপাত্ত 

পদ্মায় নির্মিত সবচেয়ে বড় দুইটি বাঁধের একটি হলো ‘ভিমগোদা ব্যারেজ’। হরিদ্বারের এই ব্যারেজের সাহায্যে হিমালয় থেকে বাহিত অধিকাংশ পানি এর আশে পাশের অঞ্চলের সেচের কাজে লাগানো হয়। ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশদের নির্মিত এই ড্যামের কারণে গঙ্গার পরবর্তী অংশে পানির পরিমাণ কমেছে অনেকটাই। 

চিত্রঃ ভিমগোদা বাঁধ 

পদ্মার দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য বাঁধটি আমরা সবাই চিনি। সেটি হলো ফারাক্কা ব্যারেজ। মূলত পদ্মার পানি হুগলি নদীতে নিয়ে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখাই এই ব্যারেজের মূল লক্ষ্য। কিন্তু এটি করতে গিয়ে তিস্তার ন্যায় বাংলাদেশের পদ্মাও ধংস্বের দ্বারপ্রান্তে। ১৯৯৬ সালে করা চুক্তির তেমন কোনো সুফল বাংলাদেশ পায় নি। 

এছাড়া তিস্তা নদীতেও উল্লেখযোগ্য বাঁধ রয়েছে ১১টি। যার দলে গজলডোবা বাঁধে পৌছানোর আগেই তিস্তার পানিতে টান পড়ে। অথচ বাংলাদেশ তিস্তার অব্যাহত পানির ধারা পাওয়া তো দূরে থাকুক, গজলডোবা পয়েন্টের পানি বন্টন নিয়েও কোনো মিমাংসায় আসতে পারে নি। বরং তিস্তা এখন হয়ে গেছে এক দুঃখের নাম। 


বাঁধ কিভাবে বন্যাকে প্রভাবিত করে

ভারতের এত বিপুল সংখ্যক বাঁধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা বহুমুখী রুপ ধারন করেছে। কৃষি জমিতে পানির অভাব, মাছ উৎপাদন ব্যহত, জীববৈচিত্র্য ধংস্ব, ভুগর্ভের পানির স্তর হ্রাস সহ আরও নানা সমস্যা বেড়েই চলেছে। 

কিন্তু যদি আজকের লেখার মূল বিষয় বন্যা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই, সেক্ষেত্রেও এর প্রধান দায়ভার এই বাঁধসমূহের। প্রত্যেক নদীরই পানি পরিবহন করার একটি ধারনক্ষমতা থাকে। নদীর স্রোতের সাথে ভেসে আসে পলিমাটি। কিন্তু নদীতে যদি স্রোতই না থাকে, তাহলে সেই পলিমাটির ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি নদীর থাকে না। ফলে খুব দ্রুতই নাব্যতা হারায় নদী। ফলাফলঃ নদীর মৃত্যু। তেমনটাই ঘটেছে বাংলাদেশের অসংখ্য নদীর সাথে। 

এর ব্যতিক্রম নয় পূর্বাঞ্চলের নদী গুলো। নাব্যতা হারিয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের ক্ষমতাই নেই অধিকাংশ নদীর। ফলে অতিবৃষ্টি এবং বন্যার সময় ভারত থেকে আসা অতিরিক্ত পানির চাপ কোনো ভাবেই নেওয়া সম্ভব হয় না নদী গুলোর পক্ষে। ফলস্বরুপ, বন্যা। বর্তমানে দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন বন্যা দেখা দিলেও, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলো তিস্তার পানিতে তলিয়ে যাওয়া প্রায় নিয়মিত চিত্র। আর সেখানেও কারণটি একই। ভারতের একের পর এক বাঁধের কারণে বাংলাদেশ অংশে এসে তিস্তা মৃত। ফলে বন্যার সময় হটাৎ করে ব্যারেজ খুলে দিলে সে পানি সামলানোর কোনো সক্ষমতাই থাকে না এসব নদীর। অর্থাৎ এটি বললে মোটেও ভুল হবে না যে, ভারতের বাঁধ বসানোর স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই বাংলাদেশের বন্যা সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করেছে। 

বাঁধের বিপরীতে বাঁধ দেওয়ার বাস্তবতা

পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ব্যাথীত হয়ে অনেক বাংলাদেশীই ভাবছেন নতুন বাঁধ সৃষ্টির কথা। কিন্তু বাস্তবে তা আসলে কোনো বাস্তন সমাধান নয়। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। 

১। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান 

ভৌগলিক ভাবেই বাংলাদেশের উচ্চতা বেশ কিছুটা কম। এদেশকে বৃহত্তম বদ্বীপ বলা হয়। কারণ যুগে যুগে বিভিন্ন নদীর অববাহিকা থেকে আসা পলিমাটি দিয়েই এ অঞ্চল গঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জমি যেমন খুবই উর্বর, অন্য দিকে উচ্চতাও অনেক কম। 

তরল পদার্থ বা পানির ধর্মই হলো তা ঢালুর দিকে প্রবাহিত হয়। তাই নিচু উচ্চতার দেশ হয়ে কখনোই বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা সম্ভব না। কারণ বাঁধ দিলে পানি বিপরীত দিকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে বন্যার‍ ক্ষেত্রে বাঁধ ভেঙে আরও প্রয়ংকারী বন্যা হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। 

চিত্রঃ বিশ্বের ত্রিমাত্রিক মানচিত্রে বাংলাদেশের উচ্চতা 

এক্ষেত্রে একটি সুযোগ থাকে যার মাধ্যমে পানি খালের মাধ্যমে সরিয়ে এনে সংরক্ষণ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেচ কাজেও সেই পানি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও প্রয়োজন বিশাল রিজার্ভ এর। মূলত বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো খুব একটা সম্ভব না। এছাড়া সকল নদীতে বাঁধ দেওয়ার মতো সঠিক ভৌগলিক কাঠামোও বিদ্যমান নয়। 

২। কম অথবা শূন্য উৎপাদনশীলতা 

বাঁধ সাধারণত শুধু বন্যা ঠেকাতে তৈরি করা হয় না। বাঁধের সবচেয়ে বৃহৎ দুইটি ব্যবহারের ক্ষেত্র হলো জলবিদ্যুৎ এবং সেচ প্রকল্প। কিন্তু ক্ষরা মৌসুমে নদীর পানির অভাবে এ ধরনের প্রকল্প চলমান রাখা খুবই কঠিন। ঠিক তাই হয়েছে বাংলাদেশের তিস্তা সেচ প্রকল্পে। ক্ষরার সময় যেখানে পুরো নদীই শুকিয়ে খটখটে, সেখানে সেচের চিন্তা বিলাসিতা।

চিত্রঃ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র 

এছাড়া জলবিদ্যুৎ এর ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পানির বিপুল স্রোত। যা ভারতের বাঁধের বদৌলতে বাংলাদেশের জন্য অলীক স্বপ্ন মাত্র। তাই এ কথা বলা বাহুল্য যে, বাংলাদেশ পালটা বাঁধ বানালে তা শুধু মাত্র বন্যা ঠেকানোর ক্ষীণ সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই বানাতে হবে। কোনো ধরনের উৎপাদনশীলতা এ সকল বাঁধ থেকে আশা করা যাবে না। 

৩। বিপুল খরচ 

নদীতে বাঁধ তৈরি অন্যতম খরুচে একটি প্রকল্প। যদিও এক্ষেত্রে অন্যান্য বাঁধের খরচের উদাহরণ টেনে লাভ নেই। কারণ প্রতিটি নদীর ভূপ্রকৃতি অনুযায়ী আলাদা আলাদা বাঁধ তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে খরচও পড়বে বিভিন্ন রকম। তবে বাংলাদেশের এধরনের প্রকল্পে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায় বিপুল পরিমাণের বৈদিশিক মুদ্রা ব্যয় হবে প্রতিটি বাঁধে। 

সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় 

বাঁধ বানিয়ে এ সমস্যার সমাধান না হলেও, আরও বেশ কিছু পথ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে। তবে সেজন্য বাংলাদেশকে হতে হবে কঠোর। 

১। আইনী প্রক্রিয়া

একই নদী অববাহিকায় অবস্থিত সকল দেশেরই ওই নদী ও নদীর পানি উপরে অধিকার রয়েছে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নদীর উপর এরকম যথেচ্ছ বাঁধ বসানো বন্ধ করার উপায় রয়েছে। 


ইন্টারন্যাশনাল ল অফ রিভার রিসোর্সেস 

ইন্টারন্যাশনাল ল অফ রিভার রিসোর্সেস অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নদীর গতিপথ রোধ করা বা পানি সরিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইন অনুযায়ী নদী অববাহিকার উজান ও ভাটি, সকল দেশের সম্পূর্ণ নদীর উপর অধিকার রয়েছে।


মাদ্রিদ ডিক্লেরেশন ১৯১১

এই ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো আন্তর্জাতিক নদীর গতিপথ শুধুমাত্র একটি দেশ দ্বারা পরিবর্তন করা যায় না। এই ঘোষণা নির্দেশ করে যে, আন্তর্জাতিক নদী সম্পর্কে এমন আইন বহু বছর ধরেই চলমান। এসব আন্তর্জাতিক আইনের বাইরেও, মন্টেভিডিও ঘোষণা, ১৯৩৩ এর ধারা ২ এবং হেলসিংকি রুলস, ১৯৯৬, ধারা ৪ অনুযায়ী অন্য দেশের মতামত নিয়ে আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধা সৃষ্টি করার অধিকার কোনো রাষ্ট্রের নেই। 


ইউএন কনভেনশন অন দ্যা ল অফ নন-নেভিগেশনাল ওয়াটারকোর্সেস, ১৯৯৭

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় এই আইনটি গৃহীত হয়। এই কনভেনশনের আর্টিকেল ৫ অনুযায়ী, সমান ও যৌক্তিক ভাবে একটি আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টন করতে হবে। এই কনভেনশনটি ১৯৯৭ সালে গৃহীত হওয়ার পরে জাতিসঙ্ঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রেরই এই আইনটি মানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভারত এই আইনের চূড়ান্ত লঙ্ঘন করেছে। 



তাই বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান চাওয়া। কারণ বাংলাদেশ নিজের কূটনৈতিক জোরের সাহায্যে এই গভীর সমস্যা নিরসনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। 


নদীর নাব্যতা রক্ষা

পানি না থাকলে নদীর নাব্যতা রক্ষা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তবুও যেসব নদীতে কিছুটা প্রবাহ রয়েছে, সেগুলোকে অতি দ্রুত ড্রেজিং এর মাধ্যমে পুনঃজীবিত করা উচিত। এছাড়াও দখল হয়ে যাওয়া সকল খাল, বিল পুনরুদ্ধার করা। কারণ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ছাড়া বিপুল পরিমাণ পানির স্রোত পরিবহন সম্ভব নয়। 


চিত্রঃ ড্রেজারের ড্রিল মেশিন (প্রতিকী) 

খাল খনন 

বাঁধ নির্মাণের চাইতে অনেক বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ হল খাল খনন। পরিকল্পিত প্রকল্পের মাধ্যমে যদি পানি নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা সমুন্নত করা যায়, তাহলে তা বন্যার সময়েও কার্যকরী হবে। পূর্বাঞ্চলের বন্যা এত দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার প্রধান কারণ পানি গমনের পথ না থাকা। সেই পানিই যখন সাগরের দিকে নামতে শুরু করেছে, তখন প্লাবিত করেছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর। 

তাই পানি গমনের পথ তৈরির জন্য নদীর নাব্যতা রক্ষার পাশাপাশি খাল খনন প্রকল্প চালু করাও এখন সময়ের দাবি। 

শেষকথা

পরিশেষে এইটুকু বলা যায় যে, বাঁধের বিপরীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী। তাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মাথায় রেখে উচিত আরও কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া। এর পাশাপাশি কূটনৈতিক দৃড়তাও হতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম হাতিয়ার। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ট্রানজিট সহ নানা সুবিধা ভারতকে দিয়েছে। কিন্তু এ সকল চুক্তির বদলে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে চুক্তি স্বাক্ষর করারও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আইনের সহায়, কূটনৈতিক দৃড়তা, জাতীয় ঐক্য, ও কৌশলের সম্মিলিত মিশ্রণই পারে ভারতের মতো বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে। 

Previous Post

Next Post

Related Posts

তিস্তা একটি দুঃখের নাম - ভূরাজনীতি, না হওয়া চুক্তি ও একটি...

25-08-2024

Environment

তিস্তা একটি দুঃখের নাম - ভূরাজনীতি, না হওয়া চুক্তি ও একটি...

অন্য সকল নদী থেকে তিস্তা কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter