How to
Written by: এস. এম. নাহিয়ান
12-11-2023
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেই ভাষাটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, সেটি হলো ইংরেজি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হলেও এদেশের জনগণের কাছে বাংলার তুলনায় ইংরেজি শেখার গুরুত্ব বহু গুণে বেশি। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী, সকলের মনেই যেন ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার সুপ্ত বাসনা বিদ্যমান। কিন্তু ইচ্ছে আর চেষ্টার সঠিক মেলবন্ধন হয় না বিধায় অনেকেই ভাল ভাবে ইংরেজি শিখতে পারেন না। আর তাই আজকের লেখায় আপনাদের জন্য থাকছে ইংরেজি শেখার উপায় সমূহ। পাঠকদের সুবিধার্থে বেছে বেছে সেরা ১০টি উপায়কেই উপস্থাপন করছি এই লেখাতে।
ইংরেজি সহ যেকোনো ভাষা শিখতে হলেই চারটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইংরেজিতে এগুলোকে বলেঃ
মূলত পড়া, লেখা, শোনা এবং বলা এই চারটি সকল ভাষার প্রধান বিষয়বস্তু। তাই একটি ভাষায় পুরোপুরি দক্ষ হতে হলে অবশ্যই এই প্রতিটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। আমাদের আজকের লেখার প্রতিটি উপায়ই তাই এই চারটির কোনো না কোনো বিষয়কে লক্ষ্য করে সাজানো হয়েছে।
প্রথমেই জানা যাক ইংরেজি পড়তে পারার দক্ষতা বাড়ানোর কিছু উপায় সম্পর্কে। বিষয়টি সহজ মনে হলেও অনেকেই ইংরেজিতে একটি বড় কলেবরের লেখা পড়লে তা পুরোপুরি বুঝতে পারেন না। অনেকেই আবার ইংরেজির জটিল বাক্য বা কমপ্লেক্স সেন্টেন্স (Complex Sentence) এর সঠিক মানে ধরতে পারেন না। এক্ষেত্রে যা করণীয়ঃ
পড়ার বই, গল্পের বই, ম্যাগাজিন, সাহিত্য, পত্রিকা থেকে শুরু করে সব ধরনের ইংরেজি লেখা পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। আপনার যদি গল্পের বই ভাল লেগে থাকে সেক্ষেত্রে গল্পের বই দিয়েই ইংরেজি পড়া শুরু করতে পারেন। অথবা সমসাময়িক বিশ্বে কি হচ্ছে তা জানতে নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়তে থাকুন। এক্ষেত্রে ছাপার বই ভাল। তবে প্রয়োজনে ডিজিটাল মাধ্যমেও পড়তে পারেন। তবে সঠিক ফলাফল পেতে হলে প্রতিদিন পড়াটা বাধ্যতামূলক।
ইংরেজি ভাষাতে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার শব্দ ব্যবহৃত হয়। এর বাইরেও প্রায় ৪৭,০০০ হাজার শব্দ রয়েছে যা নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না। এই বিশাল শব্দভান্ডার আয়ত্ব করা ছেলেখেলা নয়। তবে বাস্তব জীবনে ১০০০ থেকে ৩০০০ ইংরেজি শব্দ জানলেই আপনি বেশ ভাল ভাবে ইংরেজি বলতে পারবেন। আর এই শব্দভান্ডার বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো প্রচুর পড়া এবং নোট করা। পড়ার সময় যে সকল শব্দই নতুন মনে হবে তা সাথে সাথে আলাদা একটি খাতায় নোট করুন। শব্দ গুলোর মানে ও সমার্থক শব্দ জেনে রাখুন। এভাবে অচীরেই আপনার ইংরেজী শব্দভান্ডার অনেক সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
ইংরেজির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাটি হলো ইংরেজি ভাল ভাবে লিখতে পারার দক্ষতাটা। শিক্ষা এবং কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি এই দক্ষতাটিই আপনার কাজে লাগবে। কারণ পরীক্ষার খাতায় আপনি যা লিখে আসবেন, তার উপর ভিত্তি করেই আপনার ফলাফল হবে। এক্ষেত্রে যা করণীয়ঃ
বলার ক্ষেত্রে গ্রামারের নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক না হলেও লেখার ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক। তাই রাইটিং দক্ষতা অর্জনের আগে গ্রামারের সকল গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলো ঝালাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সকল নিয়ম সম্ভব না হলেও নিম্ন বর্ণিত নিয়ম গুলো খুব ভাল ভাবে আয়ত্বে আনতে হবে।
এক্ষেত্রে কয়েকটি ভাল বইয়ের সহায়তাই যথেষ্ট। এছাড়া বর্তমানে অনলাইনে ইংরেজি গ্রামার শেখার অসংখ্য কোর্স রয়েছে। অফলাইন বা অনলাইন এমন একটি কোর্সে ভর্তি হয়ে মনোযোগের সাথে ক্লাস করলে গ্রামারে বেশ সড়গড় হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আপনি যদি খরচ করতে না চান তাতেও কোনো সমস্যা নেই। উল্লিখিত টপিক গুলো গুগল ও ইউটিউবে সার্চ করলেই প্রচুর পরিমাণের লেখা ও ভিডিও পাবেন। এক্ষেত্রে গ্রামারের সকল নিয়ম নিখুঁত ভাবে মনে না থাকলেও সব কিছু সম্পর্কে ধারনা থাকা জরুরী।
ইংরেজি লেখার দক্ষতা বাড়াতে হলে প্রচুর পরিমাণে লেখার অনুশীলন করার আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু কোনো উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে অনুশীলন শুরু করলে তা ফলপ্রসু হয় না। তাই চেষ্টা করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সকল স্থানেই ইংরেজি লেখার চর্চা করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ডায়েরি ইংরেজিতে লেখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে লেখার বিষয় বস্তু যেমন পড়ালেখা হতে পারে, তেমনি দৈনন্দিন জীবনের ভাল-লাগা, খারাপ-লাগা সহ যেকোনো কিছুই লেখা যেতে পারে।
ধরা যাক আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে পড়তে যেতে চান। কারো বা হয়তো চাকরি সূত্রে নিয়মিত বিদেশীদের সাথে কথোপকথন করতে হয়। কিন্তু তাদের কথা যদি শুনে বুঝতেই না পারেন, তাহলে তার থেকে সমস্যাদায়ক আর কিছুই হবে না। বিশেষত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় ভুলের কারণ হয় এই ইংরেজি শুনে বুঝতে না পারা। এক্ষেত্রে যা করণীয়ঃ-
ইংরেজি শুনে বুঝতে পারার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোন উচ্চারণের ইংরেজি শুনছেন সেটি মাথায় রাখতে হবে। সাধারণত বাঙালী বা ভারতীয় উচ্চারণ বুঝতে আমাদের তেমন একটা সমস্যা হয় না। তাই অনুশীলনের সময় অবশ্যই ব্রিটিশ অথবা আমেরিকান উচ্চারণ শুনে অনুশীলন করুন। এক্ষেত্রে যা যা করতে পারেনঃ
মুভি, ভিডিও দেখার সময় বোঝার সুবিধার্থে আমরা অনেকেই সাবটাইটেল দেখে থাকি। কিন্তু সাবটাইটেল দেখা আমাদের রিডিং স্কিলের জন্য ভাল হলেও লিসেনিং স্কিলের জন্য মোটেও ভাল নয়। তাই মুভি, ভিডিও ইত্যাদি যাই দেখা হোক না কেন, সবসময় সাবটাইটেল এড়িয়ে চলার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও অনেকে আবার ইংরেজি মুভিতে বাংলা সাবটাইটেল অথবা হিন্দি ডাব নামিয়ে দেখেন। এরকম অভ্যাস থাকলে তা সম্পূর্ণ রুপে পরিহার করতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষের ইংরেজি জনিত সবচেয়ে বেশি যেই সমস্যাটি দেখা যায় সেটি হলো ইংরেজি বলতে পারার অক্ষমতা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে চাকরি ক্ষেত্র, সকল স্থানেই ইংরেজি বলার গুরুত্ব অপরিসীম। ইংরেজি ভাল বলতে পারাকে এদেশে স্মার্টনেস এর একটি অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই ভাল ভাবে ইংরেজি বলতে হবে।
ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বাড়াতে চাইলে ইংরেজিতেই কথা বলতে হবে। এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু নিয়ম অনুসরণ করে করলে বিষয়টি আরও ফলপ্রসু হবে। এক্ষেত্রে যা যা করতে পারেনঃ
ইংরেজিতে কথা বলার অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই উচ্চারণকে গুরুত্ব দিন। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট উচ্চারণভঙ্গি বা অ্যাকসেন্ট (Accent) অনুসরণ করাই ভাল। অসংখ্য উচ্চারণভঙ্গি থাকলেও সবচেয়ে ভাল হিসেবে গণ্য করা হয় আরপি অ্যাকসেন্ট (RP Accent) কে। একে বলে রিসিভড প্রোনান্সিয়েশন (Received Pronounciation)। একে একই সাথে ‘কুইন্স ইংলিশ’ (Queen’s English), ‘বিবিসি ইংলিশ’ (BBC English), ‘অক্সফোর্ড ইংলিশ’ (Oxford English) নামেও ডাকা হয়। কোনো উচ্চারণ ভঙ্গিকে অনুসরণ করতে চাইলে এটিকে করাই ভাল।
তবে শুধু উচ্চারণভঙ্গি ঠিক করলেই হবে না। আসলে আপনার উচ্চারণ কেমন হচ্ছে তাও যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের উচ্চারিত ইংরেজি রেকর্ড করে শুনুন। এছাড়াও স্পষ্ট ইংরেজি বলার দক্ষতা যাচাই করতে বিভিন্ন এআই (AI) যেমন গুগল অ্যাসিস্টেন্ট (Google Assistant) এর সাথে কথোপোকথন করুন। এতে করে আপনার স্পোকেন স্কিল অনেক বৃদ্ধি পাবে।
ইংরেজি শিখতে চাইলে মূলত এই চার ধরনের দক্ষতা অর্জন করলেই তা যথেষ্ঠ। তবে এর বাইরেও সার্বিক ভাবে দুইটি বিষয় উল্লেখ করছি।
বিষয়টি অদ্ভুত মনে হলেও এটিই আপনাকে ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। আমরা সাধারণত বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় একটি কথা ঠিক করি। এরপরে সেটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বলতে যাই। কিন্তু যদি কোনো বিষয়ে চিন্তাটাই ইংরেজি ভাষায় করা যায়, যদি আপনার একটি সমস্যা ইংরেজিতে ভাবার সক্ষমতা থাকে তাহলে সেটি আপনাকে অকল্পনীয় সাহায্য করবে।
সর্বশেষ উপায় হলো বিভিন্ন অ্যাপের দ্বারস্থ হওয়া। এর দ্বারা কোনো কোর্স করাকে বোঝানো হচ্ছে না। বরং ইংরেজিতে লেখার ভুল এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের কথা বোঝানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধানত দুইটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেনঃ
গ্রামারলিকে প্রায় সকলেই চেনেন। এটি যে শুধু বানান বা গ্রামার ভুল ধরার কাজে ব্যবহার হয় তাই নয়। বরং গ্রামারলি যেই ভুল গুলো ধরে দেয় সেগুলোকে বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছুই শেখা সম্ভব। ভুলটি কেন হলো, কিভাবে হলো এই বিষয় গুলো বুঝে মনে রাখলেই পরবর্তীতে ভুল করার হার অনেক কমে আসে।
ভাষা শিক্ষার সবচেয়ে চমৎকার অ্যাপ গুলোর মধ্যে একটি ডুয়োলিঙ্গো। এই অ্যাপটি ব্যবহারের সময় যেই ভাষা পড়ছেন সেই ভাষার একটি দুইটি শব্দ বদলে আরেকটি ভাষার শব্দ দিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে পাঠক বাক্যের বাকি অংশ পড়ে খুব সহজেই ওই শব্দটির মানে বুঝতে পারেন। ঠিক এভাবে অনেকেই ইংরেজির শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করে থাকেন ও ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে ওঠেন। এছাড়াও অ্যাপটিতে আরো অনেক ফিচার রয়েছে।
মূলত এই দুইটি অ্যাপ বুঝে ব্যবহার করলেই একজন সাধারণ মানুষের ইংরেজির শেখার পরিধি অনেকটাই বাড়বে।
ইংরেজি এমন একটি ভাষা যা আপনি কখনোই উপেক্ষা করতে পারবেন না। শুধু যে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে ইংরেজি প্রয়োজন বিষয়টি সেরকমও নয়। বরং এদেশেও একটি ভাল চাকরি পেতে হলে ভাল ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক। আশা করি উপরে বর্ণিত উপায় গুলো আপনাদের ইংরেজি শেখার পথকে অনেকটাই সুগম করে দেবে।
উত্তরঃ বাংলাদেশে ইংরেজি শেখার জন্য সর্বজনবিদিত বই হলো Chowdhury and Hossain এর গ্রামার বই। তবে এছাড়াও A Self Tutor বইটি ভাল। ভারতীয় লেখক পিসি দাসের গ্রামার বই বেশ ভাল। এছাড়াও TOEFEL ইংরেজি বইটি ভর্তি পরীক্ষা এবং চাকরির পরীক্ষার জন্য কার্যকরী।
উত্তরঃ ইংরেজি শেখার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইংরেজীর চারটি প্রধান বিষয়, রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পিকিং এ দক্ষ হওয়া।
উত্তরঃ ইংরেজি শেখার প্রথম ধাপ হলো ভাল ভাবে ইংরেজি পড়তে শেখা। পরবর্তী ধাপে গ্রামার শিখে ইংরেজি ভাল ভাবে লিখতে পারা। সর্বশেষে ইংরেজি শুনে বোঝার ক্ষমতা ও সে অনুযায়ী ইংরেজিতে উত্তর দিতে পারার ক্ষমতা অর্জন করা।
27-05-2024
How to
নিজের বাহ্যিক অঙ্গের যত্ন নিতে এবং নিজেকে স্মার্ট...
Read More29-01-2024
How to
কর্মজীবনে সবচেয়ে জরুরী যেই কয়েকটি বিষয়, তার মধ্যে...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.