Home » MAWblog » Miscellaneous » বর্তমান সময়ের সেরা ১০টি ট্রেন্ডি শখ
Miscellaneous
Written by: এস. এম. নাহিয়ান
18-10-2023
আপনি যদি চান ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য-নতুন শখ পরখ করে দেখতে, তবে এই লেখাটি আপনার জন্যই। জীবনে চলার পথে প্রতিটি মানুষেরই কাজের পাশাপাশি কিছু শখ-আহ্লাদের প্রয়োজন। কাজের ক্লান্তি দূর অথবা দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতার গ্বহর থেকে তুলে আনা, সব কিছুতেই একটি বিশেষ শখ যেন টনিকের মতো কাজ করে। অনেকেই আবার চান ট্রেন্ডি কোনো শখ অনুসরণ করতে। আর দশ জন থেকে নিজেকে একটু আলাদা করার এ প্রচেষ্টা দোষের কিছু নয়। তবে ব্যস্ততার ফাঁকে অনেকেরই হয়তো ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সময় থাকে না। আর ঠিক তাদের জন্যই আজকের লেখায় থাকছে ১০টি জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডি শখ।
বর্তমানের সবচেয়ে ট্রেন্ডি শখ সম্ভবত ডিজিটাল আর্ট। মূলত ডিজিটাল মাধ্যমে সৃষ্টি করা যেকোনো শিল্পই ডিজিটাল আর্টের ভেতর পড়ে। তা হতে পারে ডিজিটাল ড্রয়িং, ইলাস্ট্রেশন (Illustration),স্কেচ (Sketch) থেকে শুরু করে ছবি কিংবা ভিডিও অথবি। ডিজিটাল আর্টের একমাত্র বাধ্যবোধকতা হলো এই শিল্পের সৃষ্টি হতে হবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে। এর বেশ কিছু ধরন হলোঃ
> ডিজিটাল পেইন্টিং
> এনিমেশন
> পিক্সেল আর্ট
> ডিজিটাল ভাষ্কর্য
> ছবি / ভিডিও ইত্যাদি।
ডিজিটাল আর্টের সুবিধা প্রথাগত শিল্পের থেকে অনেক বেশি বিধায়ই ডিজিটাল আর্ট আজ এত জনপ্রিয়। যেমনঃ
১। শিল্পের প্রচার-প্রসার হলো যেকোনো শিল্পীর সবচেয়ে বড় চাহিদা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল আর্টের প্রচার খুবই সহজ।
২। আয়ের বেশ ভাল সুযোগ। বর্তমানে অনেকেই কাস্টমাইজ ডিজিটাল আর্ট করে বেশ ভাল টাকা আয় করছেন।
৩। স্বল্প সরঞ্জামে কার্যসিদ্ধি। একটি কম্পিউটার, গ্রাফিক্স প্যাড অথবা একটি মোবাইলেই ডিজিটাল আর্ট করা সম্ভব। হরেক জিনিস কেনার নেই কোনো প্রয়োজন।
৪। প্রথাগত শিল্পের চেয়ে ডিজিটাল শিল্প সৃষ্টি করা তুলনামূলক কম সময়ের কাজ।
৫। ভুল করলেও শোধরানোর সুযোগ। ডিজিটাল আর্টের রি ডু, আন ডু ফিচার ব্যবহার করে সহজেই যেকোনো ভুল শোধরাতে পারবেন।
ডিজিটাল আর্ট সহ যেকোনো সফটস্কিল (Softskill) শেখার ক্ষেত্রেই নিজস্ব চেষ্টাটি সবচেয়ে বড় বিষয়। এক্ষেত্রে ইউটিউবের প্রকো (Proco), সাইক্রা (Cycra), আর্ট উইথ ওয়েই (Art With Wei), সার্কেল লাইন স্কুল (Circle Line School) ইত্যাদি চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণ বিষয় গুলো আয়ত্ত্ব হওয়ার পরে আপনার জীবনের নানা ঘটনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন ডিজিটাল রুপে। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমেই সম্ভব ডিজিটাল আর্টে দক্ষতা অর্জন।
ক্যালিগ্রাফির শিকড়টা বহু পুরোনো। আনুমানিক ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনে ক্যালিগ্রাফির উদ্ভব হয়। তার পাশাপাশি ভারত, জাপান, কোরিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশের সাথে ক্যালিগ্রাফির সম্পর্কটা অনেক পুরোনো। ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত আছে যে, সুন্দর হাতের লেখা মানেই ক্যালিগ্রাফি। কিন্তু বাস্তবে আপনার হাতের লেখা যদি অতটা সুন্দর নাও হয়, তাহলেও আপনি একজন ভাল ক্যালিগ্রাফার হতে পারেন। মূলত ক্যালিগ্রাফি একটি শিল্প যেখানে বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় এবং প্রতিটি বর্ণের ভেতর নান্দনিক মেলবন্ধন থাকতে হয়।
ক্যালিগ্রাফি শেখার অসংখ্য সুবিধার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধাই উল্লেখ করা হলোঃ-
১। ক্যালিগ্রাফি শেখার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মনোযোগ ও ধীশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২। ক্যালিগ্রাফির সাহায্যে খুব সুন্দর উপহার তৈরি করা যায়। এটি ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যায়।
৩। মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়।
৪। সর্বোপরি হাতের লেখা সুন্দর হয়।
ক্যালিগ্রাফি শেখার জন্য ভিডিও লেসন (Video Lesson) সবচেয়ে কার্যকরী। এক্ষেত্রে ক্যালিগ্রাফি মাস্টার্স (Calligraphy Masters), ক্র্যাফটস অ্যান্ড ক্যালিগ্রাফি (Crafts and Calligraphy) ইউটিউব চ্যানেল গুলো অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়া ক্যালিগ্রাফি স্কিলস (Caligraphy Skills) নামক ওয়েবসাইটটিও যাচাই করে দেখতে পারেন।
কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ছবি বা ব্যবহার্য জিনিসকে বিভিন্ন ধরনের বই, বক্স, কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে নান্দনিক উপায়ে স্মৃতি রোমন্থনের যে শিল্প, তাকেই বলে স্ক্র্যাপবুকিং। স্ক্র্যাপবুকিং অনেক ধরনের হতে পারে। সাধারণ একটি খাতায় আপনার প্রিয় মানুষটির ছবি কেটে লাগিয়ে দিলেও তা হতে পারে স্ক্র্যাপবুকিং। তবে একটি স্ক্যাপবুককে এতটাই সুন্দর করে উপস্থাপন করা সম্ভব যে বর্তমানে স্ক্র্যাপবুকিং একটি শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে।
শতকিছুর ভীড়ে চলুন জানা যাক কেন স্ক্র্যাপবুকিং হতে পারে একটি আদর্শ শখঃ-
১। প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো মনে করিয়ে দিতে স্ক্র্যাপবুক এর চেয়ে আদর্শ কোনো মাধ্যম নেই।
২। স্ক্র্যাপবুকের মাধ্যমে খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাবে নিজের মনের কথা তুলে ধরা যায়।
৩। বাচ্চাদের হাতের কাজের সাথে পরিচিত করার জন্য এটি একটি আদর্শ মাধ্যম।
৪। বর্তমানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেও অনেকে স্ক্র্যাপবুকিং করে থাকেন।
ক্যালিগ্রাফির মতো স্ক্র্যাপবুকিং শেখার সেরা উপায়ও ভিডিও দেখা। এক্ষেত্রে ভিক্টোরিয়া ম্যারি (Victoria Marie), জেন স্ক (Jen Schow) ইত্যাদির বিখ্যাত ইউটিউবারদের চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। তার পাশাপাশি অবশ্যই নিজের মাথা খাটিয়ে প্রতিটি ডিজাইনের পরিবর্তন আনতে পারেন। এতে করে আপনার শেখার পরিধি ও দক্ষতা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ শারিরীক কসরতসমূহের মধ্যে সাইক্লিং অন্যতম। স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য বর্তমানে সাইক্লিস্ট এর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, উন্নত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই সাইক্লিংকে ব্যাপক উৎসাহিত করা হয়। আর তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সাইক্লিং এর ট্রেন্ড বেশ ক’বছর ধরেই চলছে।
আমরা অনেকেই সাইক্লিং জানলেও খুব কম সংখ্যক মানুষের কাছেই এটি একটি সখ। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাইক্লিং একটি প্রয়োজনই হয়ে উঠেছে বলা চলে। আর প্রয়োজনের পাশাপাশি কোনো জিনিসের প্রতি শখ থাকলে তা হয়ে ওঠে আরো উপভোগ্য।
১। সাইক্লিং এর ফলে ওজন কমা, ব্লাড সার্কুলেশন ভাল ভাবে হওয়া, পেশি শক্তিশালী হওয়া থেকে শুরু করে আরও নানা শারীরিক সুবিধা পাওয়া যায়।
২। জ্যাম এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্য স্থলে পৌঁছানো যায়।
৩। যাতায়াত ভাড়া বাচে।
৪। দিকজ্ঞান ভাল হয়।
সাইক্লিং শেখা সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নেই। আপনার পরিচিত ভাই, বন্ধু-বান্ধবের সাইকেল নিয়ে চেষ্টা করুন। সরাসরি প্রচেষ্টা ব্যাতীত সাইক্লিং শেখার কোনো উপায় নেই।
ঢাকার রাস্তায় কোনো কিছু চালানো বা কোনো কিছুতে চড়া যদি প্রথম থেকেই ট্রেন্ডি হয়ে থাকে, তবে সেটি রোলার স্কেটিং। অনেক আগে থেকে এই ট্রেন্ড চলে আসলেও এখনও ঢাকায় রাস্তায় যেকোনো স্কেটারকে আলাদা চোখেই দেখা হয়। মূলত হলিউড থেকে আসা এই ট্রেন্ডটি এখনো অনেকটাই অন্যন্য।
রোলার স্কেটিং কিছুটা বিপজ্জনক ও কঠিন হলেও অনেকেই এর শখে ডুবে যান।
১। স্কেটিং একটি কার্যকরী শারীরিক কসরত যা হৃৎপিন্ডের জন্য অনেকটাই উপকারী।
২। স্কেটিং এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশী একই সাথে শক্তিশালী কিন্তু নমনীয় হয়।
৩। স্কেটিং এর সময় এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকে যা মন-মেজাজকে উৎফুল্ল করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
৪। স্কেটিং এর সাহায্যে শারীরিক কসরতের উপর ভাল দখল পাওয়া যায়।
সাইক্লিং এর মতো স্কেটিংও ঘরে বসে শেখা সম্ভব নয়। দুই একবার ব্যাথা পেলেও সরাসরি বাইরে অনুশীলন করাটাই স্কেটিং শেখার একমাত্র উপায়।
মূলত আত্নরক্ষার লক্ষ্যে শেখা সংহিতীবদ্ধ নানা শারিরীক কসরতকেই একত্রে মার্শাল আর্ট বলা হয়ে থাকে। বর্তমানের বহুল প্রচলিত মার্শাল আর্টসমূহ হলো কারাটে, জুডো ও কেন্ডো। এদের সব কয়টিই মূলত চীন, জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি অঞ্চলে ব্যবহৃত প্রাচীন যুদ্ধ কৌশলের পরিমার্জিত রুপ। বর্তমানে মার্শাল আর্ট শেখাটা বেশ বড় একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। ক্লাস ৩-৪ এর বাচ্চা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া যুবকরাও বর্তমানে মার্শাল আর্ট অনুশীলন করছে।
মার্শাল আর্টের অসংখ্য সুবিধা রয়েছে। তার ভেতর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা হলোঃ-
১। মার্শাল আর্ট শেখার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি প্রাথমিক আত্নরক্ষায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়।
২। মার্শাল আর্ট পুরোটাই শারীরিক কসরত বিধায় নানা ধরনের ব্যায়াম হয়।
৩। মার্শাল আর্টের বিভিন্ন স্তর পূরণ করলে তা সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে বেশ বড় মাপের অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়।
৪। সর্বোপরি আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
ঢাকা সহ সারা দেশেই মার্শাল আর্ট শেখার নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। তবে মার্শাল আর্টের ধরন অনুযায়ী কেন্দ্র পছন্দ করতে হবে। এছাড়াও মার্শাল আর্ট পুরোপুরি গুরুমুখী বিদ্যা বিধায় খুব ভাল সেনসেই (শিক্ষক) না হলে ভাল মার্শাল আর্ট শেখা যায় না। এক্ষেত্রে আপনার পরিচিত জনের কাছ হতে পরামর্শ গ্রহণ করাটাই শ্রেয়। এছাড়াও মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রায় বিনামূল্যে ছোট বাচ্চাদের মার্শাল আর্ট ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে।
একসময় ডিএসএলআর ফটোগ্রাফির যুগ থাকলেও হালের ট্রেন্ড এখন মোবাইল ফটোগ্রাফি। বর্তমানে কম বাজেটের ফোনের সাহায্যেই বেশ ভাল ছবি তোলা যাচ্ছে বিধায় এর জনপ্রিয়তা এত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজেই রয়েছে ফটোগ্রাফি ক্লাব। আর তাই আমাদের আশেপাশে ফটোগ্রাফির সখ সম্বলিত মানুষ নেহায়েত কম নয়।
ফটোগ্রাফি একটি শিল্প যা অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের ব্যক্তিস্পৃহা থেকে করে চলেছে। তবে তার পাশাপাশি এর বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে।
১। ফটোগ্রাফি করার প্রথম শর্তই হলো দেখার দৃষ্টি থাকতে হবে। ফটোগ্রাফারদের তাই সূক্ষ্ণভাবে দেখার ক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেকটাই বেশি থাকে।
২। ফটোগ্রাফির অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে।
৩। অনেক কথা যেখানে একটি বিষয় বোঝাতে ব্যর্থ হয়, একটি ছবিই সেই কথা গুলো বুঝিয়ে দেয়। তাই ফটোগ্রাফারদের সামাজিক উপস্থিতি অনেক সময়ই অনেক শক্তিশালী হয়।
৪। ফটোগ্রাফিতে ভাল দক্ষতা থাকলে ওয়েডিং ও ইভেন্ট ফটোগ্রাফিতে অনেক আয়ের সুযোগ থাকে।
ফটোগ্রাফি শেখার জন্য বর্তমানে অনেক অনলাইন-অফলাইন কোর্স রয়েছে। চাইলে কোর্সের মাধ্যমে বা ইউটিউব থেকে ফটোগ্রাফির সাধারণ ধারনা নিতে পারেন। তবে সত্যিকারের ফটোগ্রাফি শিখতে চাইলে সবচেয়ে ভাল উপায় হলো একজন ভাল ফটোগ্রাফারের সাথে কাজ করা। তার পাশাপাশি প্রচুর ছবি তোলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুশীলন করা।
ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হলেও আসলে এক বস্তু নয়। ফটোগ্রাফি যেখানে একটি মূহুর্তকে তুলে ধরে, ভিডিওগ্রাফি সেখানে মানব জীবনের একেকটি টুকরোকে ধারন করে। যারা ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করে তারা সাধারণত দুইটি নিয়েই ধারনা রাখে। কিন্তু শখ হিসেবে সাধারণত স্থান পায় একটাই।
ভিডিওগ্রাফি শেখার সুবিধা অনেকাংশেই ফটোগ্রাফি থেকে বেশি। কারণঃ
১। বিভিন্ন ইভেন্টে ফটোগ্রাফারদের থেকে ভিডিওগ্রাফারদের পারিশ্রমিক সাধারণত বেশিই থাকে।
২। বর্তমানের ট্রেন্ড ফটোগ্রাফি থেকে পরিবর্তিত হয়ে খুব দ্রুত শর্ট ভিডিও এর দিকে চলে যাচ্ছে।
৩। ভিডিওগ্রাফিকে একটি পুরোদস্তর পেশা হিসেবেও নেওয়া সম্ভব।
৪। সাংবাদিকতা পেশায় ভাল ভিডিওগ্রাফারদের মূল্য অনেক।
ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি শেখার উপায় মূলত একটাই। বিভিন্ন কোর্স করে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করলেও হাতে কলমে শিখতে হলে অবশ্যই কারও সাথে থেকে কাজ শেখা বাঞ্চণীয়।
৯০ এর দশকে যখন প্রথম কম্পিউটার গেম লঞ্চ করা হয় তখন প্রায় সবাই ভেবেছিলো এই ট্রেন্ডটি টিকবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী মুভি এবং মিউজিক শিল্পের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি গেমিং শিল্পের আয়। গেমিং এর ট্রেন্ড্রটি কখনোই কমে নি, বরং যত সময় গিয়েছে এর মাত্রা আরও বেড়েছে। আর বর্তমানে ই-স্পোর্ট কম্পিটিশনের দুনিয়ায় এটি যেন আরও বড় শখ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সিংহভাগ মানুষ সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই গেমিং করে থাকেন। কিন্তু নিছক আনন্দের পাশাপাশি গেমিং এর রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা। যেমনঃ
১। গেমিং এর ফলে দ্রুত সিধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২। দীর্ঘদিন গেমিং করলে চোখ এবং হাতের ভেতর সমন্বয় অনেক বৃদ্ধি পায়।
৩। বর্তমানে সিমুলেশনধর্মী অনেক গেম রয়েছে বিধায় তার সাহায্যে বাস্তব জীবনের অনেক জটিল কাজের আংশিক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
৪। সর্বোপরি আধুনিক কালে বিনোদনের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যমগুলোর একটি গেমিং।
৫। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হতে পারলে রয়েছে বিশাল অর্থ ও খ্যাতি অর্জনের সুযোগ।
গেমিং শেখার জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার নেই। শুধু প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন অথবা একটি কম্পিউটার। যদিও আধুনিক গেম গুলো খেলতে গেলে অনেক দামী ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। তবে খুব সাধারণ ডিভাইস দিয়েই আপনি গেমিং শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘরানার গেম গুলো চেষ্টা করে আপনার কোনটি ভাল লাগে তা নিশ্চিত হতে পারেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক গেমিং এর ক্ষেত্রে একশন, রেসিং, আরপিজি ইত্যাদি গেমই বেশি জনপ্রিয়।
আর দশটি শখ থেকে এই শখটি অনেকটাই আলাদা। ট্রেন্ড বিবেচনায় এর অনুসরণকারীও বেশ কম। তবে আজকের লেখায় উল্লেখিত সকল শখ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও কার্যকরী এই ভাষা শিক্ষা। মূলত নিত্য নতুন বিভিন্ন ভাষা রপ্ত করার শখটিই হলো ভাষা শেখার শখ।
আপনার যদি ভাষা শেখার শখ থেকে থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনিই সবচেয়ে কার্যকরী শখটার অধিকারী।
১। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ব্যাতীত অন্য ভাষা জানা ব্যক্তিদের চাকরির বাজারে অনেক চাহিদা থাকে। বিশেষত কমার্শিয়াল চাকরি গুলোতে এদের চাহিদা অত্যাধিক।
২। শখের বশে ভাষা শিখে সেটাকে যদি কোনো সার্টিফিকেটের মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়, তাহলে সহজেই বিভিন্ন দূতাবাসে কাজ করতে পারবেন।
৩। বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশী ভাষা থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া বহুগুণে সহজ। এক্ষেত্রে জার্মান, ফ্রেঞ্চ, জাপানি, রাশিয়ান ভাষা শেখাটা বেশি সুবিধাজনক।
৪। ভাষা শিক্ষার ফলে একজন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তন দক্ষতা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়।
একটি ভাষা শেখা আসলে বেশ দূরহ একটি কাজ। সেটি আরও কঠিন হয়ে যায় যখন স্বল্প সময়ে একটি ভাষা রপ্ত করতে হয়। কিন্তু শখের বশে দীর্ঘদিন যাবত একটি ভাষা চর্চা করলে তা শেখা অনেকটাই সহজ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ডুয়োলিঙ্গো (Duolingo) অ্যাপটি। আপনার যদি ইংরেজি ভাষা জানা থাকে তাহলে সহজেই আরও অনেক গুলো ভাষা প্রাথমিক ভাবে শিখতে পারবেন অ্যাপটির সাহায্য। আরেকটি উপায় হলো সাবটাইটেল সহকারে ভিন্ন ভাষার কন্টেন্ট দেখা। যেমন জাপানিজ অ্যানিমে, তুর্কি সিরিয়াল, রাশিয়ান মুভি এগুলো তাদের ভাষাতেই শুনলে ভাষা রপ্ত করার প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হবে।
শখ মানুষের মনের খোরাক বলা চলে। ট্রেন্ডের জোয়ারে গা ভাসিয়ে হোক অথবা নিজস্ব কারণেই হোক, সকলেরই কিছু শখ থাকা প্রয়োজন। কারণ শিক্ষা বা কর্মজীবনের ব্যস্ততায় জমে থাকা বিষয়ণ্নতা গুলো নাহলে অনেকটাই জেঁকে বসে। আর শখটি যদি হয় একটি ট্রেন্ড, তাহলে সুযোগ থাকে বহু মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে শখটি পূরণ করার। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আজকের লেখায় তুলে ধরা শখ গুলো থেকে একটি হয়তো হবে আপনার সবচেয়ে পছন্দের শখ।
31-10-2024
Miscellaneous
বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের সূচনার শুরুটা বস্তুত...
Read More22-10-2024
Miscellaneous
ব্রেন ড্রেইন (Brain Drain) হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দক্ষ,...
Read More30-09-2024
Miscellaneous
ড. মুহাম্মদ ইউনুস, একজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ,...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.