Print World Header Banner

International

গোয়েন্দা সংস্থা কি সরকার পতন করাতে পারে? সিআইএ-পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা সংস্থা

Written by: এস এম নাহিয়ান

12-02-2025

গোয়েন্দা সংস্থা কি সরকার পতন করাতে পারে? সিআইএ-পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা সংস্থা

সিআইএ, নামটা শোনেননি এমন কেউ হয়তো নেই। পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা সংস্থা কোনটি, সে নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও, সিআইএ যে সেরাদের একটি, তা নিয়ে কিন্তু কোনো বিতর্ক নেই। গোটা বিশ্বজুড়ে এর প্রভাবের বরাতে, কেউ কেউ একে সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও বলেন। 

এই গোয়েন্দা সংস্থার জন্মটা কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে জড়িত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে আমেরিকা একটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার খুব অভাব বোধ করে। সেখান থেকেই ফ্র্যাংকলিন ডি রুজভেল্ট তৈরি করেন ওএসএস বা ‘অফিস অফ স্ট্রাটেজিক সার্ভিসেস’। এরপর যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে ১৯৪৭ সালের জুলাইয়ের ২৬ তারিখ জন্ম নেয় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি’। যাকে আমরা আজকে চিনি সিআইএ নামে।  



কিন্তু একটা গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা আসলে ঠিক কতটুকু? একটি দেশের সরকার পতনের মতো ক্ষমতা কি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আছে? সত্যি বলতে সবার না থাকলেও, সিআইএ এর ঠিকই আছে। আর আজকে আমরা জানবো সেরকমই কিছু ঘটনা সম্পর্কে। 


লিবিয়া 

মুয়াম্মির গাদ্দাফির কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে? আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা, ২০১১ সালে লিবিয়ান গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে হত্যা করা হয় গাদ্দাফিকে। একই সাথে শুরু হয় আরব বসন্ত। 

গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর মাস্টারমাইন্ড কিন্তু ছিল আমেরিকা। ৪২ বছরের শাসন আমলে লিবিয়ার যথেষ্ট উন্নতি করেছিলো গাদ্দাফি। যদিও তার ক্ষমতা গ্রহণও হয়েছিলো একটি ক্যু এর মাধ্যমে। কিন্তু গাদ্দাফি ছিলো অসম্ভব চতুর। তাই ১৯৬৯ সালের ক্ষমতা দখলের পর ১৯৭৭ সালে ক্ষমতা থেকে সরে আসেন তিনি। কিন্তু দেশ চলতে থাকে ‘দ্যা গ্রিন বুক’ নামে তারই ম্যানিফেস্টো অনুসারে। 



লিবিয়ার রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখন হয়ে যায় একটি নামমাত্র গণতন্ত্র। যদিও রাষ্ট্রীয়ভাবে গাদ্দাফির কোনো ক্ষমতাই ছিল না। কিন্তু দেশ চলতো আসলে তার কথায়। গাদ্দাফির শাসনে সেই আমলেই লিবিয়ানদের মাথা পিছু আয় ছিল ১৪০০০ ডলারেরও বেশি। ছিল ফ্রি আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা। 

কিন্তু এত কিছুর পরেও, লিবিয়ান বিদ্রোহীদের হাতেই প্রাণ দিতে হয়েছিলো গাদ্দাফিকে। কারণ আমেরিকার কাছে গাদ্দাফি ছিল অত্যন্ত বিপজ্জনক। আফ্রিকান রাজনীতিতে গাদ্দাফির যেই প্রভাব, তা মেনে নিতে পারে নি আমেরিকা। 

এছাড়া গাদ্দাফির শুধু লিবিয়ার উন্নতিই করতো না, এর পাশাপাশি দেশে বিদেশে বিভিন্ন আমেরিকা বিরোধী সংস্থাকে ফান্ডিংও দিতো। এমনকি প্যানঅ্যাম এয়ারলাইন্স এর একটি বিমান উড়িয়ে দেওয়ার দায়ও স্বীকার করে গাদ্দাফি। 

সিআইএ ভূমিকা

২০১১ সালেই সিআইএ সক্রিয় ভাবে লিবিয়ার বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করে। দিতে থাকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র। এমনকি গৃহযুদ্ধ শুরু হলে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক ফ্রন্ট ‘ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ কেও স্বীকৃতি দেয় আমেরিকা। 

এই পুরো কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখে সিআইএ। অস্ত্র সাপ্লাই থেকে শুরু করে ন্যাটো ট্রুপস এর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য পৌছানো, এয়ারস্ট্রাইকের জন্য টার্গেট ঠিক করা, এ সব কিছুই হতো সিআইএর ইশারায়। এসবের বাইরে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে সিআইএ। আমেরিকার কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য গাদ্দাফির নৃশংসতা গুলো আরও ভয়ংকর ভাবে ফুটিয়ে তোলে। বলা চলে গাদ্দাফি পতনের পুরো গুরু দায়িত্ব ছিল সিআইএর কাঁধে। 

আর সেই দায়িত্ব সফল ভাবে পালনও করে তারা। ২০১১ সালের অক্টোবরের ২০ তারিখ, সিরত এর কাছে ন্যাটোর বিমান হামলায় ধংস্ব হয় গাদ্দাফির বহর। গাদ্দাফি নিজের জীবন বাঁচাতে একটি ড্রেইন পাইপে লুকানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয় নি। বরং বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে ঘটনাস্থলেই নৃশংস মৃত্যু হয় তার। আর এভাবেই জিতে যায় আমেরিকা, এভাবেই জিতে যায় সিআইএ। 

ইরান 

চলুন ফিরে যাই আরও প্রায় ৬০ বছর আগে। আজকের ইসলামিক ইরানকে আপনারা যেভাবে চেনেন, ইরান সবসময় এরকম ছিল না। ৪০ এর দশকে ইরান ছিল শাহদের দ্বারা পরিচালিত। আর সকল রাজবংশের মতই, শাহরাও ছিল আমেরিকার বেশ ভাল বন্ধু।

কিন্তু ১৯৫১ সালে ইরানের প্রধানমন্ত্রী হন মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ। খুবই জনপ্রিয় এই নেতা শুরু থেকেই শাহ এর ক্ষমতার বলয়কে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তবে মোসাদ্দেগ এখানেই থেমে থাকেন নি। তার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিলো ইরানি তেল শিল্পকে রাষ্ট্রায়ত্ত করা। আসলে শিল্প বলতে সে সময়ে শুধু একটি কোম্পানিরই ইরানের তেল উত্তোলনের অধিকার ছিল। কোম্পানিটির নাম ছিল ‘অ্যাংলো পার্শিয়ান অয়েল কোম্পানি’। এই কোম্পানির ৫১% শেয়ার ছিল ব্রিটেনের। 

যখন মোসাদ্দেগ এই কোম্পানিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করার সিধান্ত জানালেন, তখন ব্রিটিশদের মাথায় বাজ পড়েছিলো। কারণটা খুব স্বাভাবিক, ব্রিটেনের বেশিরভাগ তেলে উৎস ছিল ইরান। তাই মোসাদ্দেগের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপটা নেয় ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল নব-নির্বাচিত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে মোসাদ্দেগ কতটা বিপজ্জনক। 

সিআইএ এর ভূমিকা

মূলত মোসাদ্দেগকে সরানোটা ছিল ব্রিটিশ এমআই৬ এবং সিআইএ এর যৌথ পরিকল্পনা।  এজন্য সিআইএ লঞ্চ করে ‘অপারেশন অ্যাজাক্স’। এই অপারেশনের ডিরেক্ট অর্ডার এসেছিলো আমেরিকান সেক্রেটারি অফ স্টেট ‘জন ফস্টার ডালস’ থেকে। তার কথা ছিলো ‘যেকোনো উপায়ে মোসাদ্দেগকে সরাতে হবে’। এজন্য সেসময়ই পুরো ১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়। 

তবে মোসাদ্দেগের মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে সরানো এত সহজ ছিল না। সেজন্য সিআইএ কে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিলো। আর এই ক্যাম্পেইন এর দায়িত্ব নিয়েছিলো প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের নাতি কারমিট রুজভেল্ট। যিনি কি না ছিলেন ‘সিআইএ নিয়ার ইস্ট অ্যান্ড আফ্রিকা’ ডিভিশনের’ এর প্রধান। 

বিদ্রোহের প্রথম ধাপ ছিল শাহকে বিদ্রোহের জন্য রাজি করানো। ইরানিয়ান শাহ রেজা পাহলভীর অবস্থান এতটাই দুর্বল ছিল যে, তিনি মোসাদ্দেগকে সরানোর জন্য ডিক্রি জারি করতেই ভয় পাচ্ছিলেন। তাকে রাজি করাতে সিআইএ অনেকগুলো মিটিং এর ব্যবস্থা করে। শেষ পর্যন্ত না পেরে ঘুষ দেওয়া হয় শাহের বোনকে। এছাড়াও কারমিট রুজভেল্ট যখন বলে বসেন যে সিআইএ শাহকে সহ অথবা ছাড়াই অপারেশন চালিয়ে যাবে, শুধু তখনই ডিক্রিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হন শাহ। 

কিন্তু মোসাদ্দেগকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি, এবং আমেরিকান প্রিয়পাত্র জেনারেল জাহেদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার আদেশে স্বাক্ষর করেই ইরান থেকে পালিয়ে যান শাহ। প্রথমে যান বাগদাদে, সেখান থেকে ইটালির রোমে। 

অন্যদিকে মোসাদ্দেগও কিন্তু বসে ছিল না। সিআইএ চক্রান্ত আঁচ করতে পারে সে একটি রেফারেন্ডাম এর মাধ্যমে সকল ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেয়। ভেঙে দেয় সংসদ। এমনকি তার বিরুদ্ধে প্রথম ক্যু ব্যর্থও হয়েছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি তার। 


প্রথম ক্যু ব্যার্থ হওয়ায় সিআইএ থেকে রুজভেল্টের কাছে নির্দেশ যায় যত দ্রুত সম্ভব ইরান থেকে পালানোর। কিন্তু রুজভেল্ট সেই নির্দেশে পাত্তা না দিয়ে তার কাজ চালিয়ে যান। তিনি প্রচুর টাকা খরচ করে মোসাদ্দেগের সমর্থকদের কিনে নেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা ক্যু সফল হয় এবং প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেগ জেনারেল জাহেদীর কাছে আত্নসমপর্ণ করেন। 

এই বিদ্রোহের প্রভাব ছিল সুদুরপ্রসারী। এরপর ১৯৭৯ সাল অবধি ইরানে রাজত্ব করেন রেজা শাহ পাহলভি। ইসলামিক রেভ্যুলেশনের আগ অবধি তাই ইরান আমেরিকান বলয়তেই ছিল। 


সিরিয়া 

লিবিয়া থেকে যেই আরব বসন্ত ছড়িয়ে পড়েছিলো, সেই বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিলো সিরিয়াতেও। আসলে তার অনেক আগে, ২০০৬ সাল থেকেই সিআইএ বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিয়ে আসছিলো। সিআইএ এবং ইউএস স্পেশাল ফোর্স মিলে ১০ হাজারেরও বেশি বিদ্রোহীদের তৈরি করেছিলো। আর এই পুরো প্রক্রিয়াতে খরচ হতো বছরে ১ বিলিয়ন ডলার। 

সত্যি বলতে সিআইএ সবচেয়ে বড় ক্যাম্পেইন গুলোর একটি ছিল সিরিয়া। এই বিশাল পরিমাণ ফান্ডিং এবং প্রশিক্ষণ দিয়েও অবশ্য সাথে সাথে কোনো ফলাফল পাওয়া যায় নি। বরং মাঝে দিয়ে আইএস এর উত্থান এবং সমগ্র সিরিয়ার লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া। আরব বসন্তের শিকার হওয়া অন্যান্য নেতাদের মতো আসাদের পতনও হয়তো খুব দ্রুতই হতো। কিন্তু আসাদকে টিকিয়ে রেখেছিলো রাশিয়া ও ইরান। বিশেষ করে সেসময় রাশিয়ান সামরিক সাহায্যে আসাদের ধড়ে প্রাণ এনে দেয়। 

২০১১ থেকে ২০১৭, এই সময়টাতে সিআইএ সদস্যরা পুরোপুরী একটিভ ছিল সিরিয়ান থিয়েটারে। কিন্তু ২০১৭ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে তাদের সরে আসার নির্দেশ দেয়। অনেক সিআইএ অফিসিয়ালের কাছে এটা আমেরিকার জন্য একটা বড় হার। 

কিন্তু দিন শেষে সিরিয়াতে সিআইএ এর বিজয় ঠিকই হয়েছে। যদিও মূল কাজটা করেছে বর্তমানে সক্রিয় অন্যান্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। কিন্তু তাদের তথ্য ও গাইডেন্স দিয়ে সহায়তা করার গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলো আমেরিকা, তথা সিআইএ।



শেষকথা

কিন্তু এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে শুধু এই তিনটি দেশেই সিআইএ এমন ভূমিকা পালন করেছে। সিআইএ এর জন্মলগ্ন থেকেই তারা এই কাজে সিদ্ধহস্ত। লাতিন আমেরিকা থেকে মধ্য প্রাচ্য, এশিয়া থেকে ইউরোপ, সবখানেই তাদের ক্ষমতা আছে যেকোনো সরকারকে অস্থিতিশীল করার। গুয়াতেমেলার প্রেসিডেন্ট জ্যাকোবো আরবেঞ্জ, কঙ্গোর প্রধান মন্ত্রী প্যাট্রিস লুমুম্বা, ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচার রাফায়েল ট্রুহিলো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জোয়াও গোলার্ট, চিলির প্রেসিডেন্ট সালদাভর, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকার্নো, এরা সবাই সিআইএ এর শিকার। 

এমনকি কারও কারও ধারনা মতে, বাংলাদেশের অভূত্থ্যানের পেছনেও সিআইএ এর কিছুটা ভূমিকা ছিল। তবে তা সত্যি নাকি নিছক কল্পনা, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। 

তথ্যসূত্র 

১। সিআইএ রিডিংরুম 

২। ফরেইন পলিসি  

৩। এনএসআর্কাইভ

৪। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস

৫। ফরেইন পলিসি (২)

৬। উইকিপিডিয়া (১

৭। উইকিপিডিয়া (২)

৮। আলজাজিরা

৯। ব্রিটানিকা
১০। সিএনএন

Previous Post

Next Post

Related Posts

কেমন হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের শাসনামল?

02-02-2025

International

কেমন হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের শাসনামল?

ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার দিন দশেক হয়ে গেছে।...

Read More
আইজাক নিউটনঃ মহাকর্ষের আবিষ্কার এবং আধুনিক বিজ্ঞানের...

21-01-2025

International

আইজাক নিউটনঃ মহাকর্ষের আবিষ্কার এবং আধুনিক বিজ্ঞানের...

আইজাক নিউটনকে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।...

Read More
ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি: কী হতে পারে...

22-12-2024

International

ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি: কী হতে পারে...

বিগত এক দশকে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বের অর্থনৈতিক এবং...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter