Home » MAWblog » Top 10 in Bangladesh » বাংলাদেশের সেরা ১০টি দেশীয় কোম্পানি
Top 10 in Bangladesh
Written by: এস এম নাহিয়ান
05-03-2024
শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময় থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোই যেন হয়ে গেছে বিশ্বের চালিকা শক্তি। যেই দেশে যত দ্রুত শিল্পায়ন হয়েছে, সেই দেশ যেন ততটাই দ্রুত উন্নতির শিখরে উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যদি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানের দিকে আমরা তাকাই, তাহলে সহজেই আমরা এ কথা বুঝতে পারি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের করুণ পরিণতির অন্যতম কারণ ছিল তাদের তুলনামূলক দুর্বল শিল্প। কিন্তু আজ সেই জাপান পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোনত রাষ্ট্র। শিল্পের জোরেই তারা পৃথিবীর অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিও বটে। বাংলাদেশের বর্তমান চিত্রটা সেরকম না হলেও দুই দেশের পটভূমি কাছা কাছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এ দেশের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কৃষির পাশাপাশি অন্যতম ভূমিকা রেখেছে শিল্প। আর বর্তমানে শিল্পই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আর সেই চালিকা শক্তির অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। আজকের লেখা তাই তেমনই ১০টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যারা এ দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিস এর ভিত্তি স্থাপন করা হয় ১৯৭৬ সালে। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে চালু হওয়ার এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসার শুরুটা মসৃণ না থাকলেও মেঘনা এর কর্ণধার বছরের পর বছর লেগে থাকেন এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে। ৮০’ এর দশক জুড়ে সাফল্য ও ব্যার্থতা দুটোই মেলে। ১৯৮৯ সালে এর প্রথম সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিস’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মেঘনা কোম্পানি, মেঘনা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ এ উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০ এর দশকে ইন্স্যুরেন্স খাত সহ আরও বিভিন্ন খাতে এর মেঘনা গ্রুপের পদচারণা ঘটে। ২০০০ এর দশকেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। ২০০১ সালে খোলা হয় ‘ইউনাইটেড ফিডস লিমিটেড’। ২০০২ তে খোলা হয় ‘তানভীর পলিমার ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড’। ২০১১ সালে মেঘনা গ্রুপ পা রাখে এভিয়েশন খাতে। ২০১৩ সালে একাত্তর টিভি এর ৫০% মালিকানাও কিনে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এই গ্রুপটির ৩টি অর্থনৈতিক জোন রয়েছে।
এর উল্লেখযোগ্য কিছু অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হলোঃ
১। ফ্রেশ
২। মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড
৩। মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড
৪। মেঘনা বেভারেজ,
৫। ফ্রেশ সিমেন্ট,
৬। ফ্রেশ সিরামিকস,
৭। মেঘনা পিভিসি লিমিটেড,
৮। ফ্রেশ এলপিজি,
৯। মেঘনা পাওয়ার
১০। ফ্রেশ পেপার
১১। মেঘনা শিপিং
১২। মেঘনা এভিয়েশন,
১৩। একাত্তর টেলিভিশন,
১৪। সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড ইত্যাদি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু করে ১৯৮১ সালে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী এর হাত ধরে। বাংলাদেশের যেই কয়টির কোম্পানির সাপ্লাই চেইন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, তার ভেতর প্রাণ অন্যতম। এর কারণ হয়তো প্রাণের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিগেডিয়ার আমজাদ খানের সামরিক বাহিনীর অভিজ্ঞতা। লজিস্টিকস এর ধারনাটিই এসেছে সামরিক বাহিনী থেকে। আর তারই প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রাণের সাপ্লাই চেইন শুরু থেকে আজ অবধি চমৎকার। এমনকি গ্রামাঞ্চলের কোথাও যখন অন্য ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যায় না, সেখানে ঠিকই প্রাণের পণ্য পাওয়া যায়। এটিই প্রাণের সফল হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণগুলোর একটি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সারা বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার লোকের জীবিকা-মাধ্যম। প্রাণের আরেকটি বিশেষ দিক হলো এর বৈশ্বিক অবস্থান। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় ১৪৫টি দেশ প্রাণের পণ্য রপ্তানি হয়। এই রেকর্ড বাংলাদেশের অন্য কোনো কোম্পানির নেই। এর ভেতর প্রাণের প্রধান বিদেশী বাজার হলো ইন্ডিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতি, মালয়েশিয়া ও ওমান। এই গ্রুপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হলোঃ
১। নাটোর অ্যাগ্রো লিমিটেড
২। প্রাণ অ্যাগ্রো ফার্ম বিজনেস লিমিটেড
৩। প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড
৪। প্রাণ কনফেকশনারি লিমিটেড
৫। প্রাণ ডেইরি লিমিটেড
৬। প্রাণ ফুডস লিমিটেড
৭। আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড
৮। রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড
৯। আরএফএল ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড
১০। বিজলি ক্যাবলস
১১। রেইনবো পেইন্টস
আবুল খায়ের গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা করেন জনাব আবুল খায়ের। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গ্রুপটি বাংলাদেশের একমাত্র গ্রুপ যেটি একটি বিড়ি তৈরির কোম্পানি থেকে এত দূর চলে এসেছে। বর্তমানে এই গ্রুপটি ফ্ল্যাট স্টিল, লং স্টিল, সিমেন্ট, তামাক, সিরামিকস ও কনজ্যুমার গুডস এর ব্যবসা করছে। এর মধ্যে স্টিল ব্যবসায় আবুল খায়ের গ্রুপের আধিপত্য ব্যাপক। এছাড়া ২০০২ সালে শাহ সিমেন্ট বাজারে আসার পর ঐ বছরই সেটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তামাক ব্যবসাতেও আবুল খায়ের গ্রুপ সিদ্ধহস্ত। কারণ তাদের শুরুটা এখানেই। তাদের প্রতি বছর ৩০ বিলিয়ন সিগারেট বানানোর সক্ষমতা আছে। এছাড়াও মুদি পণ্যের বাজারে আবুল খায়ের গ্রুপ প্রবেশ করে ১৯৯৪ সালে। বর্তমানে দুধের পাউডার, কন্ডেন্সড মিল্ক এবং চা এর বাজারে আবুল খায়ের গ্রুপের শক্তি অবস্থান রয়েছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হলোঃ
১। আবুল খায়ের স্টিল
২। শাহ সিমেন্ট
৩। মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার
৪। আমা ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার
৫। সেইলন টি
৬। গরু মার্কা করোগেটেড আয়রন শিট (গরু মার্কা ঢেউটিন)
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রথম ব্যবসা বসুন্ধরা তথা মাটিকে নিয়ে। অর্থাৎ রিয়েল-এস্টেট ব্যবসা। ১৯৮৭ সালে এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেন আহমেদ আকবর সোবহান। তৎকালীন এর নাম ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। প্রথম রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায় লাভ করার পর আহমেদ আকবর সোবহান আরও অনেক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। পুরো ৯০ এর দশক জুড়েই বসুন্ধরা গ্রুপ অনেক ব্যবসায় নাম লেখায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিমেন্ট, পেপার, পাল্প, টিস্যু পেপার, স্টিল প্রডাকশন, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। ২০১৩ সালে বসুন্ধরা গ্রুপ কৃষি খাতে ১৮১ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেন। ২০২০ সাল ১৪৩ মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে দেশের সর্ববৃহৎ বিটুমিন প্ল্যান্ট চালু করে। এমনকি ২২০ একড় জুড়ে দেশের অন্যতম তেল পরিশোধনাগার তৈরি হয় ২০২১ সালে। পরবর্তীতে, সোনা শুদ্ধীকরণ, স্টিল তৈরি ইত্যাদি ব্যবসাতেও বসুন্ধরা গ্রুপ আসে। বর্তমানে এর কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রুপ হলো।
১। ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড
২। মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড
৩। বসুন্ধরা শিপিং লিমিটেড
৪। বসুন্ধরা লজিস্টিকস লিমিটেড
৫। বসুন্ধরা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড
৬। বসুন্ধরা ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট লিমিটেড
৭। বসুন্ধরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড
৮। বনসুন্ধরা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড
বেক্সিমকো বাংলাদেশে মূলত ঔষুধ কোম্পানি হিসেবে পরিচিত হলেও এর পূর্ণরুপ ভিন্ন রকম। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেড - বেক্সিমকো এর জন্ম হয় ১৯৭২ সালে। এ. এস. এফ. রহমান এবং সালমান এফ রহমান এর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বেক্সিমকো। বর্তমানে ৫৫টি দেশে ঔষুধ রপ্তানি করে তারা। একই সাথে বাংলাদেশের স্টক মার্কেটে সবচেয়ে বড় মার্কেট ক্যাপিটাল এই বেক্সিমকো এর। বেক্সিমকো গ্রুপের বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বিস্তৃত। এর মাঝে রয়েছে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিকাল, পিপিই, সিরামিকস, রিয়েল এস্টেট, ঠিকাদারি, আইটি, মিডিয়া সহ আরও নানা খাত। এর ঔষুধ শিল্প বেশি পরিচিত হলেও বেক্সিমকো গ্রুপের রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল প্রডাকশন। বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ড ইয়েলো, শাইনপুকুর, আকাশ ইত্যাদি বেক্সিমকো গ্রুপের অংশ। এই গ্রুপের কিছু উল্লেখযোগ্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হলো
১। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (পাবলিক)
২। বেক্সিমকো ফার্মা (পাবলিক)
৩। বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড
৪। বেক্সিমকো এভিয়েশন লিমিটেড
৫। শাইনপুকুর সিরামিকস (পাবলিক)
৬। আইএফআইসি ব্যাংক
৭। ঢাকা ডাইনামাইটস (ক্রিকেট দল)
স্কয়ার ও স্যামসন এইচ. চৌধুরী, এ দুটো নাম যেন একই সাথে উচ্চারণ হয়ে যায়। জনাব স্যামসন এইচ. চৌধুরী প্রথমে ছিলেন একজন ফার্মেসির মালিক। অতঃপর তিনি ও তার তিনজন পার্টনার মিলে ১৯৫৮ সালে খুলে বসেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রথম দিকের বছর গুলোতে বলার মতো তেমন কিছু না থাকলেও ১৯৭৪ সালে স্কয়ার জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালস এর সাথে কাজ শুরু করে। ১৯৮৫ সালের মধ্যে স্কয়ার বাংলাদেশের সকল দেশি-বিদেশী ফার্মা কোম্পানিকে টেক্কা দিয়ে মার্কেট লিডারের স্থান দখল করে নেয়। ১৯৮৭ সালে কোম্পানিটি প্রথম বিদেশের বাজারে পা দেয়। অতঃপর ১৯৮৯ সালে স্কয়ার বাজারে আনে সেনোরা ন্যাপকিন। সেটি ছিল প্রথম বাংলাদেশি তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন।
১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করে স্কোয়ার টয়েলেট্রিজ। ২০০০ সালে আসে স্কোয়ার ফুড এবং বেভারেজ। ২০০১ সালে আসে স্কোয়ার ফ্যাশোন। পরবর্তীতে হাসপাতাল, টেলিভিশন, কাপড়, সহ আরও নানা খাতে ব্যবসা শুরু করে স্কয়ার। বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের উল্লেখযোগ্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ
১। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল
২। স্কয়ার হসপিটাল
৩। স্কয়ার টয়েলেট্রিজ
৪। স্কোয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ
৫। মাছরাঙা কমিউনিকেশনস
৬। স্কয়ার অ্যাপারেলস।
দেশের পণ্য, এই আবেগেটি যদি এ দেশের কোনো কোম্পানি সবচেয়ে ভাল ভাবে ব্যবহার করে থাকে তবে সেটি ওয়ালটন। ১৯৭৭ সালে এস এম নজরুল ইসলামের হাত ধরে যাত্রা শুরু এই ওয়ালটনের। প্রথম থেকেই এটি ছিল একটি ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানি। যদিও প্রথমে এর নাম ছিল ‘রিজভি অ্যান্ড ব্রাদারস’। প্রথম সময়ে ওয়ালটন টেলিভিশন আমদানি করে বিক্রি করতো। পরে ২০০৮ সালে ফ্রিজের ব্যবসা শুরু করার পরে নাম হলো ‘ওয়ালটন’। ওয়ালটনই বাংলাদেশের একমাত্র কোম্পানি যাদের নিজস্ব কম্প্রেসর বানানোর ক্ষমটা আছে। ২০১৮ সালে ওয়ালটন এ দেশের প্রথম কম্পিউটার অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট ও চালু করে। বর্তমানে ওয়ালটন গ্রুপের প্রধান কোম্পানিটি হলো ‘ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ’।
এর উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলোঃ
১। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি
২। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
৩। ওয়ালটন প্লাজা
৪। ওয়ালটন করোপোরেশন লিমিটেড
৫। ওয়ালটন শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস।
সিট গ্রুপের জন্ম ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জনাব ফজলুর রহমান এর হাত ধরে। তবে সে সময় এর নাম ছিল সিটি অয়েল মিলস। অন্য অনেক সফল কোম্পানির ন্যায় সিটি অয়েল মিলস এর প্রথম প্রজেক্টটিও অনেক সফল ছিল। ফলস্বরুপ জনাব ফজলুর রহমান বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। ৯০ এর দশক জুড়েও চলে বিভিন্ন খাতে নতুন বিনিয়গ। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য ছিল কনজ্যুমার গুডস, খাদ্য, স্টিল, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং, জাহাজ শিল্প, শক্তি শিল্প ইত্যাদি। এর ভেতর ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে এদেশের অন্যতম পরিচিত কোম্পানি তীর। সিটি গ্রুপের বিশাল উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করে সিটি নেভিগেশন। ২০০৬ সালে সিটি গ্রুপ চিনি পরিশোধন স্থাপন করে। ২০১৮ সালে সিটি গ্রুপ প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় চাল ও ডাল মিল চালু করে। সব মিলিয়ে সিটি গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তা বলাই বাহুল্য। এর কিছু অঙ্গ প্রতিষ্ঠানঃ
১। সিটি ব্র্যান ওয়েল মিল
২। সিটি এডিবল ওয়েল লিমিটেড
৩। সিটি রি-রোলিং মিলস
৪। সিটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড
৫। ঢাকা ইন্সুরেন্স লিমিটেড
১৯৮৫ সালে মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ চৌধুরী এর হাত ধরে জন্ম হয় এস আলম গ্রুপের। জন্মের পর থেকেই ব্যাংকিং, লিজিং, ইন্সুরেনস, স্টক ব্রোকারিং সহ আরও নানা খাতে বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এসব ছাড়াও খাদ্য, স্টিল, কনজ্যুমার প্রডাক্টস, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, পরিবহন, জাহাজ, ও ট্যুরিজম খাতে ব্যবসা করছে এস আলম গ্রুপ। ২০১৫ সালে একুশে টেলিভিশনকেও ক্রয় করে নেয় এস আলম গ্রুপ। বর্তমানে এর ৪৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান আছে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং খাতের। এই গ্রুপের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানঃ
১। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২। এস আলম সিমেন্ট লিমিটেড
৩। পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট লিমিটেড
৪। এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড
৫। বেরিং সি লাইনস
৬। এস আলম ট্রেডিং কো প্রাইভেট লিমিটেড
শেখ আকিজুদ্দিন এর হাত ধরে আকিজ গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫০ সালে। জনাব আকিজুদ্দিন এমন একজন ব্যক্তি যিনি উঠে এসেছেন একদম শূন্য থেকে। ১৯৪২-৪৩ এর দুর্ভিক্ষের পরে আকিজুদ্দিন সাহেব চাকরির খোজে চলে যান কলকাতা। সেখানেই রেলওয়ে স্টেশনে বসবাস শুরু করেন তিনি। কলকাতার জাকারিয়া হোটেলের ক্লিনিং বয়ের কাজ নেন অবশেষে। আর সেই ক্লিনিং বয় এর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর একটি।
আবুল খায়ের এর মতো আকিজ গ্রুপও প্রথমে সিগারেট উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসার জগতে প্রবেশ করে। এরপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে যায় চাল, পাট ও ধান ব্যবসায়। সেখান থেকে আজ আকিজ গ্রুপের অগণিত অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১। আকিজ বেকারস লিমিটেড
২, আকিজ প্লাস্টিকস লিমিটেড
৩। আকিজ ক্যাবলস লিমিটেড
৪। আদ-দিন ফাউন্ডেশন
৫। আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি
৬। আকিজ সিরামিকস
৭। আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ
৮। আকিজ মটরস
১০। আকিজ শিপিং
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই সকল গ্রুপের কোনো ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তবে একই সাথে সঠিক ব্যবসায়িক নীতি বজায় রাখা নিশ্চিত করাটাও জরুরী। যেমনটি জরুরী সঠিক ভাবে ট্যাক্স আদায় এবং ব্যবসায়িক লোনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি। তবে দিন শেষে এই গ্রুপগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি, এ কথা বললে মোটেও ভুল বলা হবে না।
25-03-2024
Top 10 in Bangladesh
পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের...
Read More18-03-2024
Top 10 in Bangladesh
চলছে রমজান মাস। ধর্মীয় দিক থেকে অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ...
Read More01-02-2024
Top 10 in Bangladesh
আশির দশকে বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে বড় বিস্ফোরণ ঘটার...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.