How to
Written by: এস এম নাহিয়ান
29-01-2024
কর্মজীবনে সবচেয়ে জরুরী যেই কয়েকটি বিষয়, তার মধ্যে ইন্টারভিউ অন্যতম। অনেকে মনে করেন ইন্টারভিউ শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়। যদি আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, তাহলেও আপনাকে প্রায়শই ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে। সেটি হতে পারে ব্যাংক লোনের জন্য ইন্টারভিউ, বিনিয়োগকারীদের সামনে ইন্টারভিউ, এমনকি পার্টনার কোম্পানির সামনে ইন্টারভিউ। অর্থাৎ চাকরি না করলেই ইন্টারভিউ সম্পর্কে জানার প্রয়োজন নেই, এমন ধারনা নিতান্তই ভুল। আর এর বাইরে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সরকারী চাকরি থেকে বেসরকারী চাকরি, ইন্টারভিউ বা ভাইভার প্রয়োজন হয় না এমন কোনো চাকরি নেই। আর সেই ইন্টারভিউতেই কিভাবে সফলতা অর্জন করবেন, সে নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের লেখাটি।
ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি, সেটি হলো সময়। আপনি যদি সময় সম্পর্কে সচেতন না থাকেন তাহলে আপনার যত যোগ্যতাই থাকুক না কেন, চাকরি পাবেন না। আর তাই ছাত্র জীবনের পরীক্ষার আগ মূহুর্তে উপস্থিত হওয়ার স্বভাব সম্পূর্ণ রুপে ঝেড়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে যে চাকরি দাতারা চাকরি প্রার্থীদের অনেক আগেই সেখানে উপস্থিত হন ও প্রস্তুত থাকেন। তাই নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই ইন্টারভিউ স্থলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সেখানে বসে বিশ্রাম করে নিজেকে কিছুটা সুস্থির হওয়ার সময় দিন।
ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বেই তথ্য সংগ্রহ করা একটি বড় গুণ। যেকোনো স্থানে সফলতা অর্জনের জন্যই আপনাকে আগে সে স্থান সম্পর্কে জানতে হবে। তবে এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ দুই ধরনের হতে পারে।
যেকোনো ইন্টারভিউ বোর্ডেই সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। সেটি হতে পারে একদম সাধারণ কিছু প্রশ্ন। যেমন প্রতিষ্ঠানটির বয়স কত, প্রতিষ্ঠাতা কে। আবার হতে পারে কৌশলী কিছু প্রশ্ন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি কোন সেক্টরে কাজ করছে, তাদের মিশন, ভিশন কি, সমসাময়িক সময়ে প্রতিষ্ঠানের কোন পদক্ষেপটি প্রার্থীর ভাল লেগেছে ইত্যাদি। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে তাই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাটা প্রায় বাধ্যতামূলক কাজ।
এই ধাপটি নির্ভর করে ইন্টারভিউয়ারের তথ্য আগে থেকে জানানো হবে কি না তার উপর। তবে অনেক সময়ই খোঁজ নিলে কারা ইন্টারভিউ নেবেন সে সম্পর্কে কিছুটা ধারনা করা যায়। আর যদি কোনো নির্দিষ্ট নাম জানা যায় তাহলে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বেশ ভাল ভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে। তার পছন্দ-অপছন্দ, সে পূর্ববর্তী ইন্টারভিউ কোথায় নিয়েছে সে সম্পর্কেও ধারনা নিতে হবে।
ভাল কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সিভি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। সিভির উপর নির্ভর করে আপনি ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন কি না। কিন্তু আপনি ইন্টারভিউ থেকে চাকরিটি পাবেন কি না তা নির্ভর করে সিভি ও আপনার জবাবের মেলবন্ধনের উপর। তাই সিভি সম্পর্কিত যে সকল প্রস্তুতি রাখবেনঃ
অনেক সময় আপনি সিভিতে যা লিখেছেন তা সত্যি কি না তা যাচাই করার জন্যও খুঁটিনাটি অনেক প্রশ্ন করা হয়। তাই সিভি এর যেখানেই যা উল্লেখ করেছেন সব মনে রাখুন বা মুখস্ত রাখুন। যাতে আপনার সিভি থেকে প্রশ্ন করে আপনাকে কোনো ভাবেই দ্বিধা-দন্দ্বে ফেলতে না পারে।
অনেক কোম্পানিতেই ইন্টারভিউয়ারদের হাতে আগে থেকেই প্রার্থীর সিভি থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না। তাই প্রত্যেক চাকরির পরীক্ষাতেই একাধিক সিভি প্রিন্ট করে নিয়ে যাওয়া উচিত। অন্তত ৫-৬ কপি প্রিন্ট সাথে থাকা বাঞ্চণীয়।
ইন্টারভিউতে ভাল পোশাক পড়তে হয় সেটি প্রায় সবাই জানে। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকেই জানেন না যা ভাল পোশাক বলতে ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে আসলে কি বোঝানো হয়। কেউ কেউ মনে করেন তার সংগ্রহে থাকা সেরা পোশাকটি পড়েই ইন্টারভিউ দেওয়া উচিত। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। এক্ষেত্রে ছেলেদের ও মেয়েদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
বর্তমানে অধিকাংশ ইন্টারভিউতেই ছেলেদের ফরমাল শার্ট-প্যান্টকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মাথায় রাখতে হবে।
১। অতিরিক্ত কড়া রঙের কোনো শার্ট-প্যান্ট পরা যাবে না।
২। হাফ-হাতা শার্ট পরিহার করতে হবে। ফুল-হাতা শার্ট গ্রহণযোগ্য।
৩। শার্টে কোনো ধরনের চটকদার ডিজাইন থাকা চলবে না। এক রঙের অথবা হালকা স্ট্রাইপ/চেকের শার্ট পরিধান করতে হবে।
৪। কালো রঙের প্যান্ট প্রায় সকল রঙের শার্টের সাথে পরিধান করা যাবে। অথবা একই কাপড়ের শার্ট-প্যান্ট পরা যাবে, সেক্ষেত্রে গাড়ো এক রঙের কাপড় পড়তে হবে।
৫। বেল্টের রঙ ও জুতোর রঙ অবশ্যই এক হতে হবে।
৬। স্যুট পরিধান করলে চেষ্টা করতে হবে পূর্ণাঙ্গ স্যুট পরার। অন্যথায় কাছাকাছি রঙের প্যান্ট পড়তে হবে।
৭। টাই পড়লে শার্টের রঙের মাঝে ভাল ভাবে বোঝা যায় এমন রঙের টাই পড়তে হবে। স্যুট পড়লে স্যুটের রঙের সাথে মিল রেখে টাই পরা যেতে পারে।
৮। টাই পরার ক্ষেত্রে একদম দম বন্ধ করে টাই পরার প্রয়োজন নেই। তবে ঢিলে টাইও দৃষ্টিকটু।
৯। টাই এর উচ্চতা ঠিক কোমরের বেল্ট অবধি থাকা বাঞ্চণীয়।
১০। ঘড়ির ক্ষেত্রে স্পোর্টস ওয়াচ এর বদলে ফরমাল ওয়াচ অধিক গ্রহণযোগ্য।
ইন্টারভিউতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাক পরিধানের নিয়ম অনেকটাই শিথিল। তবুও যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
১। অতিরিক্ত সাজ গোজ পরিহার করুন।
২। অতিরিক্ত চটকদার জামা পরিহার করুন।
৩। অতিরিক্ত কড়া রঙের পোশাক পরিহার করুন।
৪। ফরমাল শার্ট-প্যান্ট পড়লে নিজস্ব মাপ অনুযায়ী পরার চেষ্টা করুন।
৫। অতিরিক্ত ঝক-মকে জুতো পরিহার করুন।
৬। ব্যাগের রঙ, জুতোরং রঙ , চুলের ব্যান্ডের রঙ একই হওয়া বাঞ্চণীয়।
পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত নিয়মগুলো মানলেই প্রায় সকল ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন বলে আশা রাখি।
যেকোনো ক্ষেত্রেই মানুষ যেই জিনিসটিকে অবহেলা করে, সেটি হলো শরীরী ভাষা। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডের আপনার শরীরী ভাষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ আপনার শরীরী ভাষা থেকেই বোঝা যায় একটি মানুষ আসলে কেমন। অথবা একটি মানুষ আসলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেমন আচরণ করে। এক্ষেত্রে কিছু টিপস বেশ কার্যকরীঃ
১। দরজা খুলে ঢোকার অনুমতি নিয়ে সাবলীল ভাবে প্রবেশ করুন। প্রবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর কুন্ঠা ভরে প্রবেশ করলে তা আপনার আত্নবিশ্বাসের অভাবকে নির্দেশ করে।
২। ঋজু ভঙ্গিতে সুস্থির পদক্ষেপে হাটুন। বাঁকা হয়ে হাটা, কুঁজা হওয়া আপনার ইন্টারভিউয়ের ফলাফল ধংস্ব করে ফেলতে পারে।
৩। অতিরিক্ত জোরে বা অধিক বিনয়ে অতিরিক্ত নিচু স্বরে কথা বলার প্রয়োজন নেই। শান্ত ও পরিষ্কার ভাষায় মধ্যম স্বরে কথা বলুন।
৪। হাত নিজের হাটুর উপরে রাখুন। দুইটি হাত একই ভাবে রাখুন, এদিক সেদিক রাখবেন না।
৫। বের হওয়ার সময় ইন্টারভিউয়ারদের দিকে পেছন ফেরা যাবে না এমন চিন্তার প্রয়োজন নেই। ইন্টারভিউ শেষ হলে সবাইকে সম্ভাষন জানিয়ে উলটো ফিরে স্বাভাবিক ভাবে হেটে বাইরে আসুন।
কথায় স্পষ্টতা বজায় রাখা ইন্টারভিউয়ে অন্যতম জরুরী একটি জিনিস। এক্ষেত্রে বাচনভঙ্গী ও ভাষা, দুই দিকেই নজর দিতে হবে।
বড় বড় কোম্পানির ইন্টারভিউগুলো সাধারণত ইংরেজি ভাষাতেই হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই ইংরেজি শেখার উপায় গুলো অনুসরণ করে ইংরেজি আয়ত্ত্ব করে নেওয়া উচিত। তবে যদি এমন হয় ভয় পেয়ে একদমই ইংরেজি বলতে পারছেন না কিন্তু প্রশ্নের উত্তর আপনি জানেন, সেক্ষেত্রে হয়তো বাংলা বলা যেতে পারে।
বাচনভঙ্গীও অনেক সময় অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। বাংলাশের অধিকাংশ ইন্টারভিউতে শুদ্ধ বাচনভঙ্গীকে স্মার্টনেসের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সুতরাং ইন্টারভিউ বোর্ডে সকল আঞ্চলিক ভাষা সম্পূর্ণ রুপে পরিহার করুন/ এছাড়াও চেষ্টা করুন ইংরেজি উচ্চারণ শুদ্ধ করার।
ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজের উত্তরে আত্নবিশ্বাসি থাকা একটি বড় গুণ। অনেক প্রার্থীই সঠিক উত্তর জানার পরেও ভুল করে শুধু মাত্র আত্নবিশ্বাসের অভাবে। অপর দিকে একজন ইন্টারভিউয়ার চায়ই প্রার্থীকে ভড়কে দিতে। তাই প্রার্থী সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও এর নিশ্চয়তা সম্পর্কে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় প্রশ্ন করে। কিন্তু এটিও একটি পরীক্ষা মাত্র। মূলত ভাল কোম্পানি গুলো একজন আত্নবিশ্বাসী মানুষকেই চায় যিনি সহজে অন্যের কথায় প্রভাবিত হবে না। তাই অবশ্যই নিজের উত্তরে আত্নবিশ্বাস বজায় রাখুন।
ইন্টারভিউ শুধু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার স্থানই নয় বরং প্রয়োজনে প্রশ্ন করার স্থানও। তবে এক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়াররা যেন কোনো ভাবেই বিরক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার পাশাপাশি নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ পায় এমন কোনো অহেতুক প্রশ্ন করা যাবে না। বরং এমন প্রশ্ন করতে হবে যার সাহায্যে প্রশ্নকর্তার মানসিকতা সম্বন্ধে আন্দাজ পাওয়া যায়। একইসাথে চেষ্টা করতে হবে যেই বিষয়ে আপনার ভাল জ্ঞান রয়েছে সেদিক থেকে পরবর্তী প্রশ্নগুলো তুলে আনার।
অনেকেই নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা রাখেন না। আবার অনেকে ধারনা রেখেও তা জাহির করেন না। কিন্তু ইন্টারভিউ স্থানটিই হলো আপনার সক্ষমতা প্রদর্শনের স্থান। অতএব ভদ্রতা দেখিয়ে বা বিনয়ী হয়ে নিজের সক্ষমতাকে ছোট করা বোকামির নামান্তর। তাই ইন্টারভিউয়ে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই নিজের পূর্নাঙ্গ ক্ষমতা তুলে ধরতে হবে। এমনকি সে সম্পর্কিত প্রশ্ন সরাসরি না আসলেও, প্রয়োজন ভিন্ন কিন্তু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তরে নিজের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা তুলে ধরতে হবে।
ফলো-আপ করা মানে খোঁজ খবর নেওয়া। অর্থাৎ চাকরিটি আপনি পাচ্ছেন কি না, অথবা না পেলে অন্য কোনো সুযোগ আছে কি না, এগুলো নিয়ে খোঁজখবরই হলো ফলো-আপ। এটি সরাসরি ইন্টারভিউ এর অংশ না হলেও ইন্টারভিউয়ে সফলতা, অর্থাৎ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনেক বেশি। সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যম বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বেসরকারী চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ইমেইল এর মাধ্যমে খোঁজ জানতে চাওয়া খুবই জরুরী একটি বিষয়। কারণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর চাকরির পরীক্ষার ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করার কোনো বাধ্যবোধকতা নেই। কিন্তু ফলো-আপ করার মাধ্যমে চাকরিদাতাকে প্রার্থী নিজের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। এটি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ভালই প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
উপর্যুক্ত টিপসগুলো মেনে চললে প্রায় সকল ইন্টারভিউতেই অন্তত সাধারণ ধাপ পার করে ফেলা সম্ভব। তবে আদৌ চাকরি পাবেন কি পাবেন না, তা নির্ভর করে ইন্টারভিউতে আপনার পারফর্মেন্স, ইন্টারভিউয়ারদের চাহিদা, শূন্য পদের সংখ্যার এ সকল বিষয়ের উপর। তবে যাতে ইন্টারভিউ এর সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে ছোটখাটো কারনে আগেই বাদ পড়ে না যান, সেটি নিশ্চিত করতে অবশ্যই উপরের টিপস গুলো মেনে চলা উচিত।
27-05-2024
How to
নিজের বাহ্যিক অঙ্গের যত্ন নিতে এবং নিজেকে স্মার্ট...
Read MoreTop 10 in...
03-10-2022
Miscellaneous...
20-08-2024
Miscellaneous...
10-12-2023
International...
03-10-2024
MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.
We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.