Print World

Miscellaneous

বর্তমানে ব্যবসা সফল সেরা ১০টি জনপ্রিয় একশন গেমস

Written by: এস. এম. নাহিয়ান

24-10-2023

বর্তমানে ব্যবসা সফল সেরা ১০টি জনপ্রিয় একশন গেমস

গেমসের দুনিয়াতে কোন ধরনের গেমস সবচেয়ে জনপ্রিয় এ প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলে নিসন্দেহে একশন গেমসের নাম তালিকার শুরুতে থাকবে৷ মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা কনসোল, সব ক্ষেত্রেই একশম গেমের রাজত্ব। এর কারণও আছে বটে। সাধারণত গেমারদের সিংহভাগই হয়ে থাকে ১২-২৫ বছরের কিশোর ও যুবক। আর এই বয়সটিতে স্বভাবতই একশনধর্মী বিষয় গুলোই  বেশি ভাল লাগে। আর এই একশন গেমসের ভেতর সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনটি হলো এফপিএস (FPS) বা ফার্স্ট পার্সন শ্যুটিং। সিংহভাগের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই আজকের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের একশন গেমসের পাশাপাশি থাকছে বেশ কয়েকটি ফার্স্ট পার্সন শ্যুটিং গেমস। 

 

ডেভিল মে ক্রাই ৫ (Devil May Cry 5) 

তালিকার শুরুতেই থাকছে ডেভিল মে ক্রাই ৫। নাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন গেমটি মূলত ‘ডেভিল মে ক্রাই’ সিরিজের অংশ। এই সিরিজটি মূলত একটি ডেমন হান্টার সংস্থাকে ঘিরে আবর্তিত। 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

৮ মার্চ ২০১৯

ধরন 

একশন-আ্যডভেঞ্চার

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৪, প্লেস্টেশন ৫, উইন্ডোজ, এক্সবক্স ওয়ান /এস / এস। 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স (Gameplay, Story & Graphics) 

গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র দান্তে (Dante) এর চালিত ‘ডেভিল মে ক্রাই’ এজেন্সীর কাজই হলো ডেমন বা পিশাচ হত্যা করা। সিরিজের ৫ নাম্বার গেমটিতে দান্তে এর পাশাপাশি ‘নিরো’ (Nero) ও ‘ভি’ (V) নামক দুইজন ডেভিল হান্টারকে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। গেমের বিভিন্ন অংশে আপনি এই তিনজন চরিত্রকে নিয়ে খেলতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তবে একই সাথে তিনজনকে নিয়ে খেলার কোনো সুযোগ নেই গেমটিতে। গেমটির গ্রাফিক্স খুবই উন্নত মানের হওয়ায় এতে থাকে শয়তান হত্যা করার বিষয়টি আরও জান্তব হয়ে ফুটে ওঠে। 

 

গড অফ ওয়ার (God of War 2018)

একশন-অ্যাডভেঞ্চার ঘরানায় গড অফ ওয়ারের নাম শোনে নি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। থার্ড-পার্সন ভিউ থেকে খেলা এই গেমটি নিসন্দেহে অন্যতম নৃশংস গেম গুলোর একটি। 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

এপ্রিল ২০, ২০১৮ 

ধরন 

একশন-আ্যডভেঞ্চার

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৪, প্লেস্টেশন ৫

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

নর্স মিথোলজির মিশেল সমৃদ্ধ এই গেমটির প্লট কিংবা স্টোরিলাইন (Storyline) একশন গেম গুলোর মধ্যে সেরা। গেমের প্রধান চরিত্র হলো ক্রাটোস (Kratos) ও তাঁর ছেলে অ্যাট্রিয়স (Atreus)। ক্রাটোস হলো গ্রিকদের যুদ্ধের প্রাক্তন দেবতা। গল্পের শুরু মূলত ক্রাটোস এর স্ত্রী ‘ফায়ে’ (Faye) এর শেষ ইচ্ছা থেকে। তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী বাবা-ছেলে বেড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ এবং নৃশংস এক অ্যাডভেঞ্চারে। 

 

গেমটির গেমপ্লেকে বলা যায় হ্যাক-অ্যান্ড-স্ল্যাশ (Hack & Slash)। অর্থাৎ প্রচুর রক্তক্ষরণ ও নৃশংস হত্যা রয়েছে এই গেমটিতে। এবং গেমটির জীবন্ত প্রায় গ্রাফিক্সের  কারণে ভয়াবহতা আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। তবে এ বিষয় গুলোতে সমস্যা না থাকলে এই গেমটি খেলে অন্তত হতাশ হবেন না। 

সেকিরোঃ শ্যাডো ডাই টোয়াইস (Sekiro: Shadow Die Twice) 

একশন গেম গুলোর মধ্যে অন্যতম কঠিন হিসেবে বিবেচিত হয় এই সেকিরোঃ শ্যাডো ডাই টোয়াইস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিখ্যাত গেম সিরিজ কম অফ ডিউটি এবং সেকিরো এর পাবলিশিং কোম্পানি একই।  

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

অক্টোবর ২০১৯

ধরন 

একশন-আ্যডভেঞ্চার

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৪, উইন্ডোজ, এক্সবক্স ওয়ান

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

গল্পের দিক থেকে সেকিরো অন্যতম সেরা একটি গেম। এই গেমের প্লটের শুরু মধ্যযুগের জাপানে। জাপানিজ শিনোবি অথবা সামুরাইদের নিয়েই মূলত এই গেমটির এগিয়ে চলা। এখানে খেলোয়াড় ‘উলফ’ (Wolf) নামক একজন সামুরাই এর ভূমিকায় খেলবে। তাঁর প্রধান লক্ষ্য হবে ‘কুরো’ (Kuro) নামক একজন লর্ডকে রক্ষা করা। গেমটির শুরুতেই বিপক্ষ দলের আক্রমণে উলফ তার একটি হাত হারায় এবং প্রায় মৃত্যু পথে পতিত হয়। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে সে তাঁর জীবন ফিরে পায়। তার আসল হাতের বদলে একটি বিশেষ হাত ব্যবহার করতে পারে সে। 

 

পুরো গেমটি মূলত একজন একনিষ্ঠ সামুরাই এর সংগ্রামকে ঘিরে আবর্তিত। গেমটির গেমপ্লে অনেক সূক্ষ্ণ এবং কঠিন। এমনকি মারার ধরনের উপর নির্ভর করেও ধীরে ধীরে শত্রুকে দুর্বল করে ফেলার একটি উপায় এই গেমে বিদ্যমান যা খুবই অন্যন্য। তার পাশাপাশি রয়েছে সর্বোচ্চ একবার জীবন ফিরে পাওয়ার ক্ষমতা। সব মিলিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় এই গেমটিকে অনেক গেমার সবচেয়ে কঠিন একশন গেম হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। 

 

রেসিডেন্ট ইভিল ৪ (Resident Evil 4)

এই তালিকার একমাত্র একশন-হরর গেম এই রেসিডেন্ট ইভিল ৪। ২০০৫ সালে নির্মিত এই গেমটি ২০২৩ সালে আবার নতুন করে তৈরি করা হয়। 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০০৫ / ২০২৩ (রিমেক) 

ধরন 

একশন-হরর 

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৫, প্লেস্টেশন ৪, উইন্ডোজ 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

আপনি যদি একশনের পাশাপাশি ভৌতিক একটি স্বাদ নিতে চান, তাহলে এই গেমটি আপনার জন্য সেরা। এই গেমটির গল্প মূলত শুরু হয় একজন আমেরিকান এজেন্টকে ঘিরে। লিয়ন এস. কেনেডি নামক সেই এজেন্টকে ২০০৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পাঠায় একটি স্প্যানিশ গ্রামে। লক্ষ্য প্রেসিডেন্টের মেয়েকে উদ্ধার করা। সেই গ্রামে গিয়েই এজেন্ট লিয়ন জড়িয়ে যায় ভৌতিক কার্যকলাপে। পুরো গেম জুড়েই জম্বি সহ নানা ধরনের ভৌতিক প্রাণীর সাথে যুদ্ধ করতে হয় এই গেমটিতে। 

 

এই গেমটির অন্যতম বিশেষ দিক হলো এর গ্রাফিক্স। গেমটি গ্রাফিক্স এমন ভাবে তৈরি করা যেন খেললেই একটি ভৌতিক ছায়া পাওয়া যায় গেমটি থেকে। সত্যি বলতে একটি হেডফোন পড়ে রাতের বেলা গেমটি খেলতে বসলে একা রাতে ঘুমাতে পারবেন কি না, সেটি নিয়েও বেশ সন্দেহ আছে।

 

ঘোস্ট অফ সুশিমা (Ghost of Tushima)

প্লেস্টেশন এর যেই কয়টি গেম পিসিতে না থাকার কারণে গেমারদের ভেতর সবচেয়ে বেশি আফসোস, তার ভেতর ঘোস্ট অফ সুশিমা অন্যতম। গড অফ ওয়ারের ন্যায় এটিও একটি প্লেস্টেশন এক্সক্লুসিভ (PlayStation Exclusive)। অপর দিকে সেকিরো এর মতো এই গেমটির প্লটও মধ্যযুগীয় জাপানে। 

 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০২০ 

ধরন 

একশন-অ্যাডভেঞ্চার 

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৪, প্লেস্টেশন ৫, 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

এই গেমটিতে খেলোয়াড়রা ‘জিন সাকাই’ (Jin Sakai) নামক একজন সামুরাইকে নিয়ে খেলবেন। গেমটি মূলত ১৩শ শতকের মধ্যযুগীয় জাপানে সংগঠিত। মোঙ্গোলদের বর্বর আক্রমণে তখন অনেক জাপানিজ অঞ্চল বিপর্যস্ত। এরই মধ্যে সুশিমা দ্বীপের সামুরাই জিন সাকাই তার চাচাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে নিয়োজিত। 

 

এই গেমটির আরেকটি দিক হচ্ছে এর বিশাল উন্মুক্ত বিশ্ব। যদিও এ ধরনের গেমকে ওপেন-ওয়ার্ল্ড বলে এবং এ ধরনের গেম গুলোকে আজকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোস্ট অফ সুশিমা ওপেন ওয়ার্ল্ড গেম নয় বরং একশন গেম হিসেবেই বেশি সমাদৃত। এছাড়াও অন্যান্য পিএস৪ এক্সক্লুসিভের মতই এর গ্রাফিক্স অসাধারণ। 

 

আইজিআই ২ঃ কভার্টি স্ট্রাইক  (IGI 2: Covert Strike) 

আইজিআই এর পূর্ণরুপ হলো ‘আই অ্যাম গোয়িং ইন ’ (I’m Going in)। মূলত বর্তমান সময়ের সকল ফার্স্ট-পারশন শ্যুটিং গেমের পূর্বপুরুষ বলা যায় এই গেমটিকে।  

 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০০৩

ধরন 

ট্যাকটিকাল শ্যুটার / ফার্স্ট ফার্সন শ্যুটিং 

মাধ্যম 

উইন্ডোজ 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

আইজিআই ২ঃ কভার্ট স্ট্রাইক গেমটি মূলত ‘আইজিআই ১’ এর পরবর্তী ভার্সন। এই গেমটিকে নতুন দিনের অনেক গেমারই হয়তো চেনে না। কিন্তু ‘৯০ দশকে জন্মানো গেমারদের কাছে এই গেমটি একটি স্বর্ণখনি। গেমটির প্রধান চরিত্র ‘ডেভিড জোনস’ (David Jones) নামক একজন স্পেশাল এয়ার সার্ভিস তথা সাস (SAS) অপারেটর। তার মিশন অনুযায়ী তাকে প্রথমেই প্যারাজাম্প করে নামতে হয় রাশিয়াতে। সেখান থেকে একটি ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক চিপ উদ্ধার করার পর তার সূত্র ধরে যেতে হয় চীনে। 

 

বর্তমানের তুলনায় খুবই গেমটির গ্রাফিক্স খুবই নিম্ন পর্যায়ের। কিন্তু মনে রাখতে হবে এর মুক্তিকাল ২০০৩ এবং সে সময় এটি সেরা গ্রাফিক্সের কাতারেই পড়তো। তবে গেমটির কন্ট্রোল সিস্টেম থেকে শুরু করে সব কিছুই দারুণ। বিশেষত এই গেমের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো প্রায় কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা ছাড়া শুধু কমান্ডো নাইফ ব্যবহার করেই প্রায় পুরো গেম শেষ করা সম্ভব। একটি শ্যুটিং গেমের ক্ষেত্রে যা খুবই বিরল। 

 

কাউন্টার স্ট্রাইক (Counter Strike) 

সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এত জনপ্রিয়তা ধরে রাখার রেকর্ডটি নিসন্দেহে কাউন্টার স্ট্রাইকের দখলে। ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া গেমটির নতুন ভার্সন এই কিছু দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে। 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০০০

ধরন 

মাল্টিপ্লেয়ার ট্যাকটিকাল ফার্স্ট পার্সন শ্যুটিং 

মাধ্যম 

উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, লিনাক্স, প্লেস্টেশন ৩, এক্সবক্স ওয়ান, এক্সবক্স থ্রি সিক্সটি 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স

‘৯০ দশকের গেমারদের কাছে কাউন্টার স্ট্রাইক একটি আবেগের নাম। এটি এমন একটি গেম যা দুটি জেনারেশনকে একত্রিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকা গেমটি পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেয়ার গেম। এটি এমন একটি গেম যেখানে অনেক খেলোয়াড়ারের খেলার বয়সই নতুন খেলোয়াড়দের আসল বয়স থেকে বেশি। 

 

এই গেমটিতে স্টোরি বলতে নির্দিষ্ট তেমন কিছু নেই। মূলত দুইটি পক্ষ থাকে যার মাঝে একদল সন্ত্রাসী আরেক দল আইন রক্ষাকারী বাহিনী। দুটি দলের দলগত তুমুল যুদ্ধের মধ্যেই এই গেমটির আসল মজা। এই গেমটি নতুন গেম গুলোর তুলনায় অনেকটাই কঠিন। কারণ এর অনেক খেলোয়াড়ই দীর্ঘ বহু বছর ধরে এটি খেলে আসছেন। অনেক আগে মুক্তি পেলেও সময়ের সাথে সাথে আপডেট দিয়ে দিয়ে এর গ্রাফিক্স ঠিক রাখা হয়েছিলো। তবে সব মিলিয়ে এই কিছুদিন আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ কাউন্টার স্ট্রাইকঃ গ্লোবাল অফেন্সিভ গেমটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে বর্তমানে চলছে কাউন্টার স্ট্রাইক ২। পূর্বের ইউজারবেজ নিয়ে এটিও বর্তমানের অন্যতম জনপ্রিয় গেম। 

 

ব্যাটলফিল্ড ১ (Battlefield 1) 

ব্যাটলফিল্ড এবং কল অফ ডিউটি সিরিজের মধ্যে রেশারেশি নতুন নয়। তবে দীর্ঘ অনেক বছর কল অফ ডিউটি থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকার পর, ২০১৬ সালে ব্যাটলফিল্ড ১ সগৌরবে গেমিং জগতে আবার ব্যাটলফিল্ডের সিরিজের উথান ঘটায়।

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০১৬

ধরন 

ফার্স্ট পার্সন শ্যুটার

মাধ্যম 

উইন্ডোজ, প্লে স্টেশন ৪, এক্সবক্স ওয়ান 

 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স 

ব্যাটলফিল্ড ১ গেমটির নামের কারণে অনেকেই মনে করেন এটিই এই সিরিজের প্রথম গেম কি না। কিন্তু বাস্তবতা হলো ব্যাটলফিল্ড ১ এর পূর্ববর্তী গেমটি ছিল ব্যাটলফিল্ড ৪। আর এই সিরিজের প্রথম গেমের নাম হলো ব্যাটলফিল্ড ১৯৪২। 

 

গেমটির গল্প প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আবর্তিত হয়েছে। এছাড়া গেমটির গেমপ্লে প্রচুর ফিচার সমৃদ্ধ। এর অস্ত্রভান্ডার বিশাল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় সকল অস্ত্র গেমটিতে ব্যবহার করা যায়। তার পাশাপাশি ব্যাটলফিল্ডের গেমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে খেলোয়াড়রা চাইলে বিভিন্ন দালান বা স্থাপনার উড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গেমটিতে রয়েছে অনেক ধরনের যান বাহন। যার ভেতর ঘোড়া যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ট্যাংক। 

 

গ্রাফিক্সের দিক থেকে গেমটি এক কথায় সেরা। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই গেমটি নিসন্ধেহে সে সময়ের সেরা গ্রাফিক্স সমৃদ্ধ গেম ছিল। এমনকি ২০২৩ সালে এসেও গেমটির গ্রাফিক্স অনেকটাই মনোমুগ্ধকর মনে হবে। 

 

কল অফ ডিউটি মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২ (Call of Duty Modern Warfare 2) 

ব্যাটলফিল্ড সিরিজের নাম যদি শুনে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি কল অফ ডিউটি সিরিজের নামও শুনেছেন। সত্যি বলতে গেমার কিন্তু কল অফ ডিউটির নাম শোনে নি এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। আর এই সিরিজের অন্যতম সেরা গেমটি হলো কল অফ ডিউটি মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২। 

সাধারণ তথ্যাবলী

মুক্তিকাল 

২০০৯

ধরন 

ফার্স্ট পার্সন শ্যুটিং 

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৩, ৪, উইন্ডোজ ইত্যাদি 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স 

কল অফ ডিউটি সিরিজের সব দিক থেকে সেরা এমন একটি গেম হলো মডার্ড ওয়ারফেয়ার ২। গল্পের দিক থেকে এই সিরিজের বিখ্যাত প্রায় সকল চরিত্রই এই গেমে উপস্থিত। বিশেষত জেনারেল শেপার্ডের বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরবর্তীতে তার প্রতিশোধ এই গেমটিকে একশন গেমারদের মাঝে অমর করে তুলেছে। 

 

গল্পের কথা বাদ দিলেও এই গেমটির গেমপ্লে এবং গ্রাফিক্স চমৎকার। খুবই উন্নত মানের গেম ইঞ্জিনের ফলে এর গেমের ভেতরকার চলাফেরা সময়ের হিসাবে ছিল দারুণ। আর গ্রাফিক্স এর ক্ষেত্রেও একই কথাটা প্রযোজ্য। এছাড়াও এই গেমটিতে রয়েছে একশন গেমিং জগতের সবচেয়ে সমালোচিত মিশন ‘নো রাশিয়ান’। 

 

কল অফ ডিউটি ব্ল্যাক অপস (Call of Duty Black Ops) 

কল অফ ডিউটি সিরিজের এই গেমটি অনেকটাই কম পরিচিত হলেও, গল্প বা প্লটের দিক থেকে এটি অন্য সকল একশন গেম হতে যোজন যোজন এগিয়ে 

সাধারণ তথ্যাবলী 

মুক্তিকাল 

২০১০

ধরন 

ফার্স্ট পার্সন শ্যুটিং 

মাধ্যম 

প্লেস্টেশন ৩, উইন্ডোজ, এক্সবক্স ৩৬০ ইত্যাদি 

গেমপ্লে, স্টোরি এবং গ্রাফিক্স 

নাটক, মুভি সিরিজ থেকে শুরু করে গেম, যাই হোক না কেন, গল্পটা যদি ভাল হয়ে থাকে তাহলে যেন ১৬ আনার ভেতর ১২ আনাই উশুল। আর ঠিক তেমনটিই হয়েছে কল অফ ডিউটি ব্ল্যাক অপস এর ক্ষেত্রে। একশন জগতে ব্ল্যাক অপস অতটা সমাদৃত না হলেও কল অফ ডিউটি সিরিজের অন্য কোনও গেম এতটা অন্যন্য এবং হৃদয়স্পর্শী গল্প ফুটিয়ে তুলতে পারে নি। যদিও এর গেম ইঞ্জিনের কারণে এর গেমপ্লেটা একটু কম আগ্রহের সৃষ্টি করে। কিন্তু এর গেমটি যতই খেলবেন ততই গেমটির ভেতর ঢুকে যাবেন। এর প্রতিটি কাহিনী, প্রতিটি বাক্য ধীরে ধীরে আপনার সামনে রহস্যের জাল খুলে দেবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় রহস্যটি খুলতে হলে খেলতে হবে গেমটির প্রায় শেষ পর্যন্ত। তবে অস্ত্র চালনার পাশাপাশি এই গেমটিতে হেলিকপ্টার চালানোর দুইটি মিশন রয়েছে। 

 

শেষকথা

অনেকে অনেক কথা বললেও দিন শেষে অনেক পুরুষের হতাশা নির্গমনের স্থান এই গেমিং। বাচ্চা-কিশোরদের পাশাপাশি বয়ষ্করাও অনেক ক্ষেত্রে বেশ মনোযোগের সাথেই গেম খেলেন।  আর একশন গেম গুলো হতাশা নির্গমন ও সময় কাটানো, দুটির জন্যই বেশ ভাল। তাই আশা করছি আজকের তালিকাটা অনুসরণ করে আপনি হতাশ হবেন না। 

 

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী  

১। গেম গুলো কি কিনে খেলতে হবে?

উত্তরঃ প্লে স্টেশনের জন্য বিশেষায়িত গেম গুলো ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটি গেমই বিনামূল্যে খেলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ক্র্যাক এর আশ্রয় নিতে হবে। 

 

২। এসব গেম কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ টাকা দিয়ে কিনলে স্টিম কিংবা এপিক গেমস থেকে কিনতে পারেন। ফ্রি তে চাইলে বিভিন্ন টরেন্ট সাইট কিংবা ওশান অফ গেমস, আইজিজি ইত্যাদি সাইট থেকে ঝুঁকি নিয়ে নামাতে হবে। 








 

Previous Post

Next Post

Related Posts

বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের বৈচিত্র্য, একাল-সেকাল ও...

31-10-2024

Miscellaneous

বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের বৈচিত্র্য, একাল-সেকাল ও...

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের সূচনার শুরুটা বস্তুত...

Read More
ব্রেন ড্রেইন ঠেকাতে উদ্যোক্তারা কী ভূমিকা রাখতে পারেন?

22-10-2024

Miscellaneous

ব্রেন ড্রেইন ঠেকাতে উদ্যোক্তারা কী ভূমিকা রাখতে পারেন?

ব্রেন ড্রেইন (Brain Drain) হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দক্ষ,...

Read More
ড. মুহাম্মদ ইউনুস: শৈশব থেকে নোবেল পুরস্কার জয় পর্যন্ত এক...

30-09-2024

Miscellaneous

ড. মুহাম্মদ ইউনুস: শৈশব থেকে নোবেল পুরস্কার জয় পর্যন্ত এক...

ড. মুহাম্মদ ইউনুস, একজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ,...

Read More

Trending

About MAWblog

MAWblog strives to provide a platform for authors, reporters, business owners, academics, people who do writing as a hobby and concerned citizens to let their voices be heard by a wider community. Our goal is to publish contents that are in line with our core goals of promoting sustainable business practices, improving community harmony and facilitating knowledge sharing and ethical labour market practices.

We invite you to write and publish under any of our nine chosen categories and make an impact towards building a better and more sustainable future.

Sign Up for Our Weekly Fresh Newsletter