ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র'। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ র' এর নাম সম্ভবত বেশি শুনেছে। বিশেষ করে যেকোনো রাজনৈতিক ইস্যু থেকে সামরিক ইস্যু, সব কিছুতেই র' এর নাম রয়েছে। কিন্তু আমরা সত্যিই তাদের সম্পর্কে কতটা জানি? চলুন এই ভিডিওতে র' সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
র’ এর প্রধান দপ্তর ভারতের রাজধানী নিউ দিল্লিতে।
ভারতের বর্তমান ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভাল ও র’ সেক্রেটারি রাভি সিনহার অধীনে র’ পরিচালিত।
অজিত দোভাল ভারতের ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো এর প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভারতের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দাদের একজন।
হ্যা। আমেরিকান সিআইএ, ব্রিটিশ এমআই৬, ইজরায়েলের মোসাদের সাথে র’ এর নানা ধরনের কার্যক্রম বিদ্যমান।
এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। ভারতীয় কিছু সূত্র মতে তাদের বেতন মাসিক ৮৮,০০০ রুপি থেকে ১,৩০,০০০ রুপি। তবে এর বাইরে বিদেশে নিয়োজিত সকল র’ এজেন্ট ফরেইন সার্ভিসের অনুরুপ ভাতা পান। অনেক সময় তাদের প্রাপ্ত ঝুঁকি ভাতা সাধারণ বেতনের থেকে বহুগুণ বেশি হয়ে থাকে।
১৯৫৮ সন থেকেই চীনের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। ১৯৬২ সালে কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের সুযোগ নিয়ে চীন আক্রমণ করে বসে ভারত-চীনের মধ্যেকার বিতর্কীত এলাকায়। প্রায় ৭০০০ সেনা হারিয়ে সে যুদ্ধে খুব করুণ পরাজয় বরণ করে ভারত। অনেক অঞ্চলের দখল ছেড়ে দিলেও চীন আজ অবধি ১৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার বেশি ভূমি দখল করে রেখেছে। আর সেটিই এখন পরিচিত আকসাই চীন নামে।
সকল গোয়েন্দা সংস্থার মতই র’ এর গঠন সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এর সদস্যসংখ্যা অথবা বাজেট, কোনো বিষয়েই তথ্য প্রকাশ করে না ভারতীয় সরকার। তবে জন্মলগ্নে খুব বেশি জনসংখ্যা ছিল না র’ এর। ২৫০ জনের মতো জনবল এবং ৪ লক্ষ ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করে র’।
আর. এন. কাও র’ কে আমেরিকান সিআইএ এবং ব্রিটিশ এমআইসিক্স এর আদলে গড়ে তুললেও এর সাংগঠিনক কাঠামো অনেকটাই আলাদা। র’ প্রধানের পদমর্যাদা হলো ‘সেক্রেটারি। যিনি কি না সরাসরি কেবিনেটে পদপ্রাপ্ত হন। আরও একটি বড় পার্থক্য হলো র’ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে না। কোনো ধরনের সাংসদীয় নিয়ন্ত্রণবিহীন এই বাহিনী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে নিয়োজিত। র’ প্রধান দৈনিক রিপোর্ট করেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর (National Security Advisor) কে। এছাড়াও র’ এর সরাসরি সংযোগ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে।
র’ কে পরিচালনার দায়িত্ব কখনই কোনো সামরিক বা প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাঁধে বর্তায় না। বরং র’ তে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে কাজ করা এজেন্টরাই র’ প্রধান হন। এক্ষেত্রে প্রায় সময়ই ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস থেকে র’ তে যুক্ত হওয়া অফিসাররা র’ এর প্রধান হয়ে থাকেন।