বাংলাদেশের জনজীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ যেন এখন মুদ্রাস্ফীতি। শত সমস্যার ভীড়েও, এই একটি সমস্যার কথা ভুলতে পারছেন না কোনো স্তরের মানুষ। বিশেষত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের গলার কাঁটা যেন এই মুদ্রাস্ফীতি। অনেকে আবার বলছেন, দেশে মধ্যবিত্ত বলতে এখন আর কোনো শব্দ নেই। মধ্যবিত্তরাই যেন আজ নিম্নবিত্ত। অথচ বছর দশক আগেও এমন পরিস্থিত ছিল না। আর এই ১০ বছরে নিত্যপণ্যের দামটা বাড়লেও, মানুষের আয়ের পরিমাণটা মোটেও তেমন বাড়ে নি। ১০ বছর আগে কেমন ছিল দেশের পরিস্থিতি? আর এখনই বা কোন অবস্থানে দাড়িয়েছি আমরা? এতদিন কি আদৌ এদেশের মানুষের জীবনে এক ফোটাও স্বস্তি এসেছে? এ সকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক এই সব কিছুর মূলে যেই কালপ্রিট, সেই মুদ্রাস্ফীতি আসলে কি।
মুদ্রাস্ফীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে পণ্যের বিপরীতে মুদ্রার বা টাকার মূল্যমান কমে যায়। খুব সহজ ভাবে যদি বলি, ১ কেজি চালের মূল্য ধরা যাক ৫০ টাকা। কিন্তু সেই একই চাল যদি আপনাকে এখন ৬০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হয় তার মানে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। কারণ আগে ৫০ টাকা দিয়েই আপনি ১ কেজি চাল পেতেন। কিন্তু এখন সমপরিমাণ পণ্য কেনার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ২০% টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
উত্তরঃ মুদ্রাস্ফীতি ক্ষতিকর কি না তা নির্ভর করে এর হারের উপর। স্বল্প মাত্রার মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে দরকার। কারণ এতে করে সম্পদের দাম বাড়ে এবং মানুষ বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। কিন্তু অধিক মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কি হতে পারে তা আশা করি লেখাটি পড়েই বুঝতে পারছেন।
উত্তরঃ সম্ভব। মুদ্রাস্ফীতি এমনকি ঋণাত্নকও হতে পারে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদে ভাল নয়।
উত্তরঃ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো মাঠ পর্যায় থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। অতঃপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্যগুলোকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিভিন্ন ইডেক্স হিসেবে প্রকাশ করে।
উত্তরঃ মুদ্রার মান বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, রিজার্ভের পরিমাণ, মুদ্রার সরবরাহ, চাহিদা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। তবে দেশের ভেতরে ব্যাংকগুলো কোন রেটে মুদ্রার বিনিময় করবে তা ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উত্তরঃ অধিক টাকা ছাপালে সেই টাকার সমমূল্যের পণ্য দেশে হটাৎ করে উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে গিয়ে মোট টাকার সাথে সমন্বয় করে। অর্থাৎ পণ্যের মূল্য বাড়ে এবং টাকার মূল্য কমে।
উত্তরঃ জাতীয় বেতন স্কেল কবে পরিবর্তন হবে তা পুরোপুরি সরকারের নীতিগত সিধান্তের উপর নির্ভরশীল।