Print World
Air Cooling Through the Ages: From Pyramids to Smart Homes

Description

এসি বা এয়ার কন্ডিশনার শব্দটির সাথে আমরা সবাইই কম-বেশি পরিচিত। কিছু বছর আগে পর্যন্ত ধনীদের শৌখিন ব্যবহার্য হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বর্তমানে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের নিত্য ব্যবহার্য হিসেবে এসি বেশ জনপ্রিয় উঠেছে। এর প্রধান এবং মূল কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং দেশীয়ভাবে এসি উৎপাদন। প্রচন্ড গরমে স্বস্তির যোগান দেওয়ার জন্য এসিকে গরমকালের বন্ধু বলা হয়। কয়েক দশক আগেও দেশের পর্যাপ্ত চাহিদা মেটাতে এসি আমদানী করতে হলেও বর্তমানে দেশীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য এসির মূল্য অনেকটাই হাতের নাগালে। এখন বাংলাদেশী অনেক ব্র্যান্ড এসি উৎপাদনের সাথে জড়িত। ধনীর ব্যবহার্য থেকে মধ্যবিত্তদের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের কাতারে কিভাবে এলো এসি? আজ জানবো, এসির জন্ম সূচনা থেকে দুনিয়ার আনুষাঙ্গিক অনুষঙ্গে পরিণত হবার গল্প।

  • উইন্ডো এসি কি সাশ্রয়ী?

     

    উত্তরঃ উইন্ডো এয়ার কন্ডিশনার ছোট বাড়ি বা অফিসের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই এসিতে কমপ্রেসর এবং ইভাপোরেটর এক ইউনিটে থাকে। এই এসি তুলনামূলভাবে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তবে, উইন্ডো এসি ইন্সটলেশনের জন্য এসির সাইজ অনুপাতে দেওয়াল কাটতে হয় যা কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। পাশাপাশি উইন্ডো এসি ব্যবহারে শব্দের পরিমান কিছুটা বেশি যা অনেকের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

  • পোর্টেবল এসির সুবিধাসমূহ কি কি ?

     

    উত্তরঃ পোর্টেবল এসির সুবিধা হচ্ছে এটি একরুম থেকে অন্যরুমে বহন করা যায়। তবে ঘরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য একটি পাইপ জানালা দিয়ে বের করে রাখতে হয়। এতে আলাদা করে ছিদ্র করার কোনো প্রয়োজন নেই।

  • কত টনের এসি কিনতে হবে তা বুঝবো কিভাবে?

     

    উত্তরঃ সাধারণত ১০০ বর্গফুট কক্ষের জন্য ১ টন এসি যথেষ্ট। এভাবেই কক্ষের আয়তনের সাথে এসির ধরন এবং ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আরো বড় জায়গা এই এসিতে কভার করা যায় কিন্তু এই অনুমানে ব্যবহার করলে এসি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। 

  • কোন এসিতে বিদ্যুত খরচ কম?

    উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ৩ স্টার এবং ৫ স্টার নন-ইনভার্টার এসি পাওয়া যায় যা তাদের স্টার রেটিং এর উপর ভিত্তি করে শক্তি সাশ্রয়ী হয়। যেমন, ১.৫ টন ৩-স্টার রেটিং এসি প্রতি ঘন্টায় ১.৬ ইউনিট এবং ৫-স্টার রেটযুক্ত এসি প্রতি ঘন্টায় ১.৫ ইউনিট খরচ করে। 

     

    তবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইনভার্টার এসি তাদের সুপার শক্তি সাশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং এই এসিগুলো ৬০% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে থাকে। 

  • বাংলাদেশে কি হাফ টন এসি পাওয়া যায়?

    উত্তরঃ শুধু বাংলাদেশে না, হাফ টন এসি বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায় না। তবে কম ক্যাপাসিটির এসির মধ্যে এক টন এসি বেশ জনপ্রিয়।

  • কোন ব্র্যান্ডের এসি সবচেয়ে ভালো?

     উত্তরঃ মধ্যম বাজেট এবং ভালো কোয়ালিটির মধ্যে গ্রী এর এসি সবচেয়ে ভালো এবং জনপ্রিয়। এছাড়াও যমুনা, স্যামসাং, এলজি এইসব ব্র্যান্ডের এসি যথেষ্ঠ ভালো এবং ব্যবহারযোগ্য। 

  • কিভাবে এসির যত্ন নিতে হয়?

    উত্তরঃ শীতের শেষে গরম পড়তে না পড়তেই এসির ব্যবহার শুরু হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে এসময় অনেক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত এসির যত্ন নেওয়া উচিত।

    ক) নিয়মিত কয়েল পরিষ্কার করুন।

     

    খ) বছরে অন্তত দুবার টেকনেশিয়ান ডেকে এসি পরীক্ষা করিয়ে নিন।

  • একটানা কতক্ষন এসি চালানো যায়?

     

    উত্তরঃ  প্রচন্ড গরমে অনেকেই এসি চালিয়ে বন্ধ করতে ভুলে যান। বাড়তি তাপমাত্রায় এসির কার্যক্ষমতা না বুঝে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই এক নাগাড়ে আট ঘণ্টার বেশি এসি না চালিয়ে মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে।

Close
MAwbiz.com
Research Methodology & Paper Publication (With SPSS and AMOS basic)