চলছে রমজান মাস। ধর্মীয় দিক থেকে অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ হওয়ায় ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে রমজান মাসের গুরুত্ব অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি। দীর্ঘ একমাস ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা ফজরের আগে সেহরী করে সারাদিন রোজা রাখে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
বিভিন্ন বয়েসী রোজাদারগণ সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় এক জায়গায় সমবেত হন ইফতারের উদ্দেশ্যে। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সারাদিনের ক্লান্তি ছাপিয়ে সবার এক অনন্য উচ্ছ্বাস যেন উছলে পড়ে এই ইফতার আয়োজনে। আয়োজন ছোট হোক কিংবা বড়, মহিমান্বিত এই রমজান মাসের আসল সৌন্দর্য এবং স্বার্থকতা নিরূপণ হয় ইফতারের মাধ্যমে। ইফতারে সবাই সাধারণত নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার খেতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্য সচেতন রোজাদার ব্যক্তিরা ইফতারের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং যথাযথ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার বেছে নেন। তবে বেশিরভাগ বাঙালী মুসল্লীই ছোলা মুড়ির পাশাপাশি গরম তেলেভাজা কিংবা ঝাল কিছু খেতেই বেশি পছন্দ করেন। ইফতার আয়োজনকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে এমন কিছু রমজান স্পেশাল স্ট্রিটফুড নিয়ে আজকের এই ভিডিওতে।
পুরান ঢাকার আসল স্বাদে অটুট ইফতার আইটেমগুলো সেখানকার বিভিন্ন ঐতিহ্য বহন করে থাকে। তাই পুরান ঢাকার জমজমাট ইফতার আইটেমগুলো এতো জনপ্রিয়।
পুরান ঢাকার ইফতারি ঐতিহ্য প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো।
কাবাব হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রান্না থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের মাংস দিয়ে তৈরি চমৎকার মুখরোচক খাবার।
হ্যাঁ। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি, মাইগ্রেন থেকে মুক্তি, জন্ডিসে উপকারীতা সহ জিলাপী খাওয়ার নানাবিধ উপকারীতা আছে।
লাচ্ছি এসেছে সংস্কৃত শব্দ লস্যি থেকে, যার অর্থ তরল জাতীয় পানীয়।
বাংলাদেশে পুরান ঢাকা বিরিয়ানীর আসল স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
বিরিয়ানী শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ বিরয়ান থেকে, যার অর্থ রান্নার আগে ভেজে নেওয়া। ফারসি ভাষায় চালকে বলা হতো বিরিঞ্চি। বিরিয়ানী তৈরিতে প্রথমে ঘি দিয়ে ভেজে নেওয়া হতো চাল, সেখান থেকেই এর নাম বিরিয়ানী।
হালিমের উৎপত্তি হয় হারিশ নামে পরিচিত জনপ্রিয় আরব পদ থেকে। হারিশ সাধারণত ডাল, ঘি এবং গোশত দিয়ে রান্না করা হয়।
পাকোড়া হচ্ছে নাস্তা জাতীয় মুচমুচে ধরনের খাবার। বিভিন্ন ধরনের উপকরণে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পাকোড়া বানানো হয়ে থাকে।
এটা আফগানদের প্রিয় খাবার, তাদের কাছ থেকে ভারতবর্ষের, বাংলাদেশের মুসলমানরা গ্রহণ করেছে। তারা কাবুলি চানা বা কাবুলি ছোলা খেয়ে থাকে। সেখান থেকেই এটা খাওয়ার চল এসেছে। তবে ভারত বা বাংলাদেশে এসে সেটা আরো মশলা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে মুখরোচক করে রান্না করা হয়ে থাকে। সেটার সাথে মুড়ি খাওয়ার চলও এই অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব উদ্ভাবন।