ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন, অব্যবসায়ীদের কাছে শব্দ দুইটি তেমন পরিচিত না হলেও আন্তর্জাতিক ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের কাছে এটি বেশ ভালই পরিচিত। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অধিকাংশ সময়ে এদেশেই বিনিয়োগের কথা আলোচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বাহিরের দেশে বিনিয়োগ করা বা ব্যবসা করার লোকও নেহায়েত কম নেই। কিন্তু ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন বিষয়টি খুব একটি সহজ নয়। রয়েছে নানা ধরনের আইনি জটিলতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক জটিলতা।
ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন বলতে সাধারণত বোঝায় কোনো একটি দেশ থেকে আরেকটি দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা অথবা ভিন্ন দেশে ব্যবসা সরিয়ে দেওয়া। সাধারণ মাইগ্রেশন শব্দের অর্থ হলো অভিবাসন। আর তাই ‘বিজনেস মাইগ্রেশন’ এর সরাসরি বাংলা হয় ‘ব্যবসায়িক অভিবাসন’। যা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ স্থানান্তর করাকেই মূলত বোঝায়।
তবে এর বাইরেও ব্যবসায়িক অভিবাসন এর আরেকটি অর্থ রয়েছে। অনেক সময়ই দেখা যায় ব্যবসায়িক কাজে পারদর্শী কোনও ব্যক্তি ভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে। সেক্ষেত্রেও তার ব্যবসায়িক জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তার সাথেই ভিন্ন দেশের সম্পদে রুপান্তরিত হচ্ছে। একাধিক সংজ্ঞা অনুসারে এটিও এক ধরনের স্বীকৃত ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন।
অভিবাসন শুধু মানুষের ক্ষেত্রে হয়। ব্যবসায়িক অভিবাসন দ্বারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ব্যবসা স্থানান্তরকে বোঝায়।
দেশী কোম্পানির নিট সম্পদের ২৫% এর বেশি বিদেশে বিনিয়োগ করা যায় না, সম্পদের পাচার ঠেকাতে এমন নিয়ম করা হয়েছে।
এটি ব্যক্তিগত চাহিদা ও ব্যবসায়ের ধরনের উপর নির্ভর করে। যে দেশে এই ধরনের ব্যবসা ভাল চলবে সে দেশেই যাওয়া উচিত।
ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন টাকা পাচারের অন্যতম মাধ্যম। আর্থিক খাতের গোয়েন্দারা বলছেন, মাইগ্রেশন এখন টাকা পাচারের অন্যতম মাধ্যম। এই খাতে প্রচুর টাকা ডলার হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে।
অদূর ভবিষ্যতে আফ্রিকা হবে ব্যবসায়িক মাইগ্রেশনের সেরা গন্তব্য। বাংলাদেশের কিছু কোম্পানি ইতোমধ্যে আফ্রিকাতে ব্যবসা শুরু করেছে।
ব্যবসায়িক মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইনী জটিলতাই সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে প্রচুর আইনী ও প্রশাসনিক ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু এদেশের বিপুল জনসংখ্যার বদৌলতে বিদেশী অনেক কোম্পানিই এদেশে ব্যবসার আংশিক সম্প্রসারণ তথা এক্সপানশন করে।
ভিডিওতে উল্লেখিত ৫টি দেশেই বাংলাদেশ থেকে কম বেশি ব্যবসায়িক মাইগ্রেশন হয়ে থাকে।
প্রথমত, অভিবাসীরা তাদের নতুন দেশের স্থানীয়দের তুলনায় শিখতে এবং সফল হওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত এবং তাদের পরবর্তী জেনারেশনের জন্য নতুন অধ্যায় তৈরি করার চেষ্টা করে থাকে। দ্বিতীয়ত, তারা আন্ডারডগ সুবিধার মালিক। তাই অভিবাসীদের পক্ষেও মাল্টি মিলিয়ন ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব।