‘আরব বিশ্বের ব্যবসা’ কথাটি শুনলেই যেন মানসপটে ভেসে ওঠে খনিজ তেল ব্যবসার কথা। খুব স্বভাবতই সারা বিশ্বের মানুষ আরব বিশ্বকে চেনে এর খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য্যের জন্য। কিন্তু খনিজ সম্পদভিত্তিক ব্যবসার বাইরেও বর্তমানে আরব বিশ্বে গড়ে উঠছে নানা ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই আরব বিশ্ব বলতে মূলত মধ্যপ্রাচ্যকেই বুঝে থাকেন। এক্ষেত্রে খুব একটা দোষ দেওয়ারও সুযোগ নেই। কারণ ব্যবসায়িক, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই আরব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। আর আজকের লেখাতে তাই তুলে ধরা হয়েছে আরব বিশ্বের নানা ব্যবসা সম্পর্কে। যা কিনা নিঃসন্দেহে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ও ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে প্রতিনিয়ত।
আরব বিশ্ব কথাটি শুনে সবাই মূলত মধ্যপ্রাচ্যকে ভাবলেও বস্তুত আরব বিশ্বের আকার এর চেয়ে অনেক বড়। যদিও নির্দিষ্ট কোনো ভৌগলিক সংজ্ঞা স্বীকৃত নয়, তবে সাধারণত আরব লীগের সদস্য দেশগুলোর ভৌগলিক অঞ্চলকেই আরব বিশ্ব বলা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অধিভুক্ত দেশের সংখ্যা ২২টি, জনসংখ্যা ৪৫ কোটিরও বেশি এবং নমিনাল জিডিপি প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এটিকে পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বললে মোটেও ভুল হবে না। কিন্তু এই আরব বিশ্বের অধিকাংশ বৃহৎ ব্যবসায়ের কেন্দ্রই হলো মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্বজোড়া এই ব্যবসা গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হলে তাই মধ্য প্রাচ্যের কথাই উঠে আসবে বার বার।
নমিনাল জিডিপি এর হিসাব অনুসারে সৌদি আরব আরব বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ। এর নমিনাল জিডিপি ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এখন অবধি পাওয়া খনির মজুদ অনুযায়ী সৌদী আরবের কাছে সবচেয়ে বেশি তেল রয়েছে।
তেল ছাড়াও সৌদি আরবের স্বর্ণ, তামা, লোহা ও ফসফেটের বিশাল ভান্ডার রয়েছে।
আরব বিশ্বে কাতারের মাথা পিছু আয় সবচেয়ে বেশি, জন প্রতি ১ লক্ষ ১৪ হাজার ডলার।
নমিনাল জিডিপি এর দিক থেকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরীব দেশ ইউনিয়ন অফ কমরোস (Union of Comros)। উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় মাত্র তিনটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশটির নমিনাল জিডিপি ১.৩ বিলিয়ন ডলার।
পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জলপথ, সুয়েজ খাল আরব বিশ্বে হওয়ায় আরব বিশ্বের ভৌগলিক গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেকগুণ। এছাড়াও ভূমধ্যসাগর থেকে শুরু করে বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরব বিশ্বকে কোনো ভাবেই এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়।
না, আয়ের দিক থেকে এর অবস্থান ৬ষ্ঠ।
অর্থনৈতিক সামর্থ্যের সাথে সামরিক শক্তির যোগসূত্র সবচেয়ে গভীর। এক্ষেত্রে সৌদি আরব সবচেয়ে এগিয়ে৷ তার পরেই রয়েছে কাতার এবং মিশর।
ফোর্বস এর তালিকা অনুযায়ী আরামকো আরব বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
খনিজ তেল উত্তোলনই আরব অর্থনীতির সর্ববৃহৎ চালিকা শক্তি।