MAWbiz এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক সুভেচ্ছা! এই ভিডিওতে আমরা দেখাবো বিদেশ থেকে খুব সহজেই কিভাবে গাড়ি আমদানি করা যায় এবং গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার। এক সমীক্ষায় উঠে আসে, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৮ লাখেরো বেশি যানবাহন চলাচল করছে। স্বল্প খরচের জন্য বাস, অল্প মেইনটেনেন্স এর জন্য মোটর বাইক, আর তুলনামূলক উচ্চ মধ্যবিত্তদের জন্য পছন্দের রাইড হিসেবে সিএনজি বা প্রাইভেট কার - এইসব মিলিয়েই চলছে নগরীর সড়কগুলো।
উত্তরঃ বিদেশ থেকে খুব সহজেই কিভাবে গাড়ি আমদানি করা যায় এবং গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার সেগুলো হলঃ
১. আপনার বিজনেসের জন্য একটি Trade License
২. Import Registration Certificate (IRC)
৩. ব্যাংক থেকে ইস্যু কৃত LC বা Letter of Credit
৪. Yellow Book এ উল্লেখ করা একটি গাড়ির ইম্পোর্ট ভ্যালিডিটি মাথায় রাখা জুরুরি।
৫. আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে Valid and legal age of the term বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি।
৬. Financed Car কিভাবে নেয়া যায়।
৭. আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে Half Cut ক্ষতি বলতে কি বুঝায়।
উত্তরঃ কার ইম্পোর্ট বিজনেস বা গাড়ি আমদানির ব্যবসায় শুরু করতে হলে প্রথমেই যেটা দরকার, সেটি হলো Trade License এবং দ্বিতীয়টি হল Import Registration Certificate (IRC)। এরপরে তৃতীয় যে ডকুমেন্টের পালা আসে, তা হলো Online VAT Registration - যেটি কীনা হতে হবে ১৩ ডিজিটের। ইম্পোর্ট বিজনেসে LC বা Letter of Credit হলো সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। এর মাধ্যমে আসলে বাংলাদেশে লিগ্যালি যেকোন ধরনের প্রোডাক্ট আমদানি করার সক্ষমতা অর্জন করা যায়। মূলত এই চারটি বিষয়ে সার্টিফিকেট বা এই চারটি ডকুমেন্ট হাতে রাখলে, গাড়ি আমদানি করার অর্ধেক ঝামেলা শেষ হয়েছে বলে ধরা যেতে পারে।
উত্তরঃ
Trade License
যে কোন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স হচ্ছে ব্যবসার অনুমতিপত্র। আপনি যদি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে। আর যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে ই ট্রেড লাইসেন্স ওয়েব সার্ভার (www.etradelicense.gov.bd) এ প্রবেশ করে আবেদন করুন।
Import Registration Certificate (IRC)
আপনি যদি আমদানি করার জন্য আইআরসি এবং রপ্তানি করার ইআরসি লাইসেন্স করে থাকেন, তাহলে এর মাধ্যমে গাড়ি আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবেন। এর জন্য কোন সংস্থা/বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন হবে না। আইআরসি ও ইআরসি দুটি ভিন্ন লাইসেন্স হলেও দুটিতে একই কাগজপত্র লাগে।
আইআরসি লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে যা যা লাগবেঃ
১. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি (ব্যাক্তি মালিকের ক্ষেত্রে) এবং ছবি (সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজে রঙ্গিন ছবি)।
২. ট্রেড লাইসেন্স।
৩. ব্যাংকের প্রত্যায়ন পত্র অর্থাৎ ট্রেড লাইসেন্স ঠিকানায় ব্যাংক সলভেন্সি।
৪. ই-টিন (টিন সার্টিফিকেট)।
৫. চেম্বার অথবা স্বীকৃত ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের বৈধ সদত্যতা সনদপত্র।
৬. ভ্যাট সার্টিফিকেট।
উপরিউক্ত সকল কাগজপত্র সহ সরাসরি মতিঝিল সি সি ভবনে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে আমাদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স করতে পারেন। অথবা আঞ্চলিক কোন অফিসে জমা দিয়েও লাইসেন্স করতে পারবেন। তবে এখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা যায় না।
আপনি চাইলে অনলাইনে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে পারবেন। অনলাইনে লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে (http://www.ccie.gov.bd/) ভিজিট করে Online Licensing Module (OLM) একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট লগইন করে মেনু থেকে IRC বা ERC অপশন ক্লিক করে ফরম পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
উত্তরঃ বিদেশ থেকে পণ্য বা গাড়ি আমদানী করার জন্য অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানিকারককে সেই পণ্য বা গাড়ির মূল্য পরিশধের নিশ্চয়তা দিতে Letter of Credit করতে হয়। এই এলসির মাধ্যমেই আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পন্য বা গাড়ি আমদানি রপ্তানি করতে পারবেন। Letter of Credit করতে হলে ব্যাংকে গিয়ে কোম্পানীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর ব্যাংক থেকে LCA ফর্ম কালেক্ট করে পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এই ফর্মে কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। যেমন কি পন্য, দাম কত, কোন দেশ থেকে আসবে প্রভৃতি।
এল সি করতে নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্র দরকার হবে-
১) Trade License
২) পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩ কপি)।
৩) আয়কর বা টিন।
৪) ভ্যাট সার্টিফিকেট।
৫) চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ বা সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন হতে মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট।
৬) ট্রেজারী চালানের মূল কপি।
৭) পার্টনারশীপ বিজনেস হলে পার্টনারশীপ ডিড এর কপি।
৮) লিমিটেড কোম্পনির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশন, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন।
৯) Import Registration Certificate (IRC)
উত্তরঃ Yellow Book হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার হতে প্রতি মাসে স্বীকৃত একটি ডকুমেন্ট। এতে কাস্টমস থেকে নির্ধারিত মিনিমাম ডিউটি ভ্যালু, গাড়ির মূল্যতালিকা এবং ফ্রেম নাম্বার, অর্থাৎ একটি গাড়ির ইম্পোর্ট ভ্যালিডিটি সম্পর্কে লেখা থাকে এবং এটা প্রতিমাসেই পরিবর্তন হয়। তবে, এই ইয়েলো বুক- এর সকল নিয়মনীতি খাটবে শুধুমাত্র জাপানী রিকন্ডিশন্ড কার মার্কেট বা জাপানী মার্কেট এর জন্য।
উত্তরঃ Valid and legal age of the term যার লুকোনো অর্থ হলো, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ০৫ বছরের পুরোনো গাড়িই শুধুমাত্র জাপান থেকে আমদানি করা যায়। এটিই একমাত্র দেশ, যার কাছ থেকে পুরোনো গাড়ি আমদানি করা যায়।
উত্তরঃ Financed Car বলতে কার লোন নেয়া বুঝায়। যদি কোন ক্রেতা, ব্যাংক কে নিশ্চয়তা দিতে পারে যে, প্রতি মাসে সে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট দিতে পারবে অর্থাৎ, মান্থলি ইন্সটলমেন্ট দেয়ার ফিনান্সিয়ালি সক্ষমতা আছে, সে সহজেই কার ফাইন্যান্সড করতে পারবে।
উত্তরঃ ক্ষতি এর কথা থেকে Half Cut কথাটি উঠে আসে। মূলত যদি কখনো ইম্পোর্টেড কোন গাড়ির কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে থাকে, তবে সেই যন্ত্রাংশটিও জাপানীজ অকশনে কিনতে পাওয়া যায় এবং আলাদা ভাবে সেটিও ইম্পোর্ট করা যায়। তবে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানী এই যন্ত্রাংশ জোগাড় করে দেয় না, বরং গ্রাহককে ধরনা দিতে হবে সেই ডিলারদের কাছেই। ডিলার এবং গ্রাহকের ভালো সম্পর্ক একটা ভালো গাড়ি পাবার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।
উত্তরঃ বাংলাদেশে কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেমন barvida.com.bd, যেখানে সার্টিফায়েড কার ডিলারদের ইনফরমেশন দেয়া থাকে, সেখান থেকে গাড়ি কেনার আগে ডিলারদের মেম্বারশীপ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।