Print World Header Banner 2
ব্যাংকে টাকা রাখার বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ | Safe alternative investment opportunities in Bangladesh

Description

ব্যাংকে টাকা রাখার বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ | Safe alternative investment opportunities in Bangladesh

ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার কমাতে শুরু করেছে। কিছু ব্যাংক কমিয়ে ফেলেছে। সরকারের যে পরিকল্পনা তাতে টাকা রাখলে কোনো ব্যাংকেই ৬ শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যাবে না। 

এখন প্রশ্ন হলো, আমানত তাহলে রাখবেন কোথায়? যাঁদের পর্যাপ্ত আয় আছে, তাঁদের কাছে হয়তো আমানতের সুদের হার কিছুটা কমবেশি হওয়া কোনো বিষয় নয়। কিন্তু যাঁদের সংসার চলে সঞ্চয়ের ওপর, এক শতাংশ যাঁদের কাছে অনেক কিছু, তাঁদের হয়তো টাকা রাখার লাভজনক ও নিরাপদ কোনো জায়গা খুঁজতে হচ্ছে। তাঁদের জন্যই এই লেখা।

  • ১। ব্যাংকে আমানত কেন রাখা হয়?

    উত্তরঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ ব্যতীত অতিরিক্ত অর্থসম্পদ বিশেষ কোনো কাজে ভবিষ্যতে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে সাধারণত সঞ্চয় করা হয়। ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় করে সঞ্চিত অর্থের উপর সুদ লাভ করার জন্য অনেকে ব্যাংকে আমানত রেখে থাকেন। আবার অনেকে শুধুমাত্র সুরক্ষিত উপায়ে অর্থ সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে, ব্যাংকে আমানত রাখেন।

  • ২। ব্যাংকে আমানত রাখার বিভিন্ন পদ্ধতিগুলো কি কি?

     

    উত্তরঃ ব্যাংকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে আমানত রাখা যায়। মাসিক এর ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক বা ষাণ্মাসিক সময়ের জন্য আমানত রাখা যায়। বার্ষিক এর ক্ষেত্রে এক বছর থেকে ১০ বছর বা তার ও বেশি সময় পর্যন্ত আমানত রাখা যায়। আবার, সুদ/মুনাফা লাভের ক্ষেত্রে, দুই রকম পদ্ধতি আছে- প্রতি মাসে সুদ নির্দিষ্ট একাউন্ট এ চলে আসা অথবা, সুদ প্রদত্ত আমানতের সাথে যুক্ত হয়ে আমানতের পরিমান বাড়তে থাকা। এছাড়াও, বর্তমানে অনেকেই ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক আমানত রেখে থাকে, যেখানে কোন নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সুদ হিসেবে নির্ধারিত থাকেনা। এক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংকিং পদ্ধতি পরিচালিত হয় শরীয়াহসম্মত কমিটি দ্বারা। এখানে সুদ এর পরিবর্তে আমানতের লভ্যাংশ গ্রাহক কে দেয়া হয়, যা নির্ভর করে ব্যাংক এর লাভ-ক্ষতির উপর। ইসলামি পদ্ধতি তেও বিভিন্ন সময়ের জন্য আমানত রাখা যায়। বিভিন্ন ব্যাংক আমানত রাখার জন্য বিভিন্ন “স্কিম” দিয়ে থাকে।

  • ৩। ব্যাংকে সঞ্চয়ের বিকল্প উপায় কি কি?

    উত্তরঃ টাকা রাখা যেতে পারে ডাকঘরের সঞ্চয় ব্যাংকে। সেখানে ৩ বছর মেয়াদে টাকা রাখলে সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। একজন ব্যাক্তি একই নামে ৩০ লাখ পর্যন্ত এবং যৌথ হিসাবে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারেন। 

     

    • সঞ্চয়পত্রে টাকা রাখা যেতে পারে, ৪ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে, পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্রের ধরন ও মেয়াদ ভেদে সুদের হার ৯ দশমিক ৩৫ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত। 

    • বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড-এ। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পক্ষে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যেকোন ব্যাংক শাখার মাধ্যামে এতে বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ অনুযায়ী ট্রেজারি বিলে সুদের হার ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। ট্রেজারি বন্ডে সুদের হার ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। 

    • এছাড়াও শেয়ার বাজার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, প্রবাসী বন্ড ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পারে। 

  • ৪। ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য বিকল্প উপায়ে সঞ্চয়ের জন্য বিস্তারিত তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?

     

    উত্তরঃ ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সঞ্চয়ের সকল তথ্য পাওয়া যাবে নিজস্ব জেলাভিত্তিক ডাকঘরে। যেকোন ধরনের সঞ্চয়পত্র, ট্রেজারি বিল, বন্ড ইত্যাদির তথ্য পাওয়া যাবে নিকটস্থ সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংকে। শেয়ার বাজারের বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে স্টক এক্সচেঞ্জ অথবা ব্রোকার হাউজে। এছাড়া যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীতে অর্থ বিনিয়োগ করতে চান কোনো ব্যক্তি, সেই প্রতিষ্ঠানেই যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্তারিত সকল তথ্য জানা যাবে।

  • ৫। সঞ্চয়ের পূর্বে কি কি তথ্য জানা জরুরি?

     

    উত্তরঃ মুনাফা/সুদের হার, মুনাফা/সুদ দেয়ার পদ্ধতি, সঞ্চয়ের মেয়াদ, শর্তাবলী, প্রদেয় তথ্য ও কাগজপত্র (যেমনঃ টিন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র জন্ম নিবন্ধন, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি)। এছাড়াও অতিরিক্ত কোনো চার্জ কেটে রাখা হবে কিনা, তা জানা জরুরি। ইসলামি ব্যাংকিং বা শরিয়াহ সম্মত উপায়ে সঞ্চয় করতে চাইলে, শরিয়াহ বোর্ড সম্পর্কে এবং কার্য পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে যাচাই করে নেওয়া উচিত।

  • প্রশ্ন ৬: ব্যাংকে রাখলে টাকা কমে কীভাবে?

    উত্তরঃ বর্তমানে ব্যাংকের সুদহার এত কমে গেছে যে, টাকা রেখে যে সুদ আসছে, তা দিয়ে মূল্যস্ফীতির ঘাটতিই মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ওপর বিভিন্ন মাশুল কাটার পর চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের গড় সুদ হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। অবশ্য ব্যাংকভেদে এর চেয়ে সামান্য বেশি সুদ পাওয়া যায়। অথচ পাঁচ বছর আগেও সুদহার ছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

    দেশে গত জুন শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

    এর অর্থ হলো, ব্যাংকে টাকা রাখলে তা কমে যায়।

    ধরা যাক, ব্যাংকে কেউ ১০০ টাকা জমা রেখেছেন। সুদের হার ছয় ভাগ হলে বছর শেষে তিনি ১০৬ টাকা পাবেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হারও যদি ছয় ভাগ হয়, তাহলে ১০০ টাকায় এখন যে পণ্য বা সেবা পাওয়া যায়, বছর শেষে তার জন্য ১০৬ টাকা খরচ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সেই টাকা থেকে প্রকৃতপক্ষে কোনো আয় হবে না আমানতকারীদের।

     

    আর সুদের হার ছয়ের নিচে নামা মানেই মূল্যস্ফীতি ও টাকার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বছর শেষে মূল টাকা কমে যাচ্ছে।

  • প্রশ্ন ৭ : ডাকঘর সঞ্চয় সাধারণ মানুষ করতে পারে?

    উত্তরঃ ডাকঘরের একটি কর্মসূচি আছে, যার নাম পোস্ট অফিস সেভিংস ব্যাংক বা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক। এর আওতায় দুটি কর্মসূচি আছে। একটি হচ্ছে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব, অন্যটি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক বোনাস হিসাব নামের একটি কর্মসূচি আগে ছিল। ১৯৯২ সাল থেকে তা বন্ধ।

    দেশের সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিকই এ দুই কর্মসূচিতে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। সাধারণ হিসাবে মুনাফা তোলা যায় মাসে মাসে। আর মেয়াদি হিসাবে মুনাফা তোলা যায় ছয় মাস পরপর। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করার সুবিধাও রয়েছে এতে। তবে নাম ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক বিধি হলেও বাস্তবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক বলতে কোনো ব্যাংক নেই। আবার পুরো বিষয়টি দেখভালও করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর নয়।

     

    বর্তমানে সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে এর মুনাফা সরল হারে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ থেকে মাসে মাসে মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। আর মেয়াদি হিসাবের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদি হিসাবটি তিন বছরের জন্য। তিন বছরের মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য মুনাফা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। আর দুই বছরের জন্য ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

  • প্রশ্ন ৮: সঞ্চয় করার প্রয়োজন কি?

     

    উত্তরঃ মূলত সঞ্চিত অর্থ যখন বিনিয়োগের প্রশ্ন আসে তখন মানুষের হাতে দুইটি বিকল্প থাকে- উৎপাদনশীল এবং সেবামূলক খাত। সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বললে দু’টি খাতই কিন্তু একটি দেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দুই খাতই মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, এবং দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার। প্রায় প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে এর আকার, যা দেশের মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের ইতিবাচক প্রভাব নির্দেশ করে। আর একটি দেশের মানুষের আয় যত বাড়বে, সেখানকার সঞ্চয় প্রবণতাও তত বাড়বে। তবে এই সঞ্চিত অর্থ কোথাও বিনিয়োগ না করে অলস ফেলে রাখলে তা থেকে অতিরিক্ত আয় যেমন আসে না; ঠিক তেমনি এটি দেশের অর্থনীতির উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

  • প্রশ্ন ৯: মধ্যবিত্ত বিনিয়োগ করবে কোথায়?

    উত্তরঃ বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা হলো সঞ্চয়পত্র৷ সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্রগুলোয় বিনিয়োগ করেও মেয়াদ শেষে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২, তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ ও পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

    তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিকভিত্তিতে তোলা যায়। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়।

    পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা।


    বুঝেশুনে, খোঁজখবর নিয়ে এবং গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে এগোলে এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও (লিজিং) কেউ টাকা রাখতে পারেন। তাঁরা সুদ বেশি দেয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সুশাসন কম থাকা বা ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের চিন্তা মাথায় আনা যাবে না।


  • প্রশ্ন ১০: অন্য আর কোন উপায়ে টাকা সঞ্চয় করা সেইফ?

    উত্তরঃ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।

    বর্তমানে বাজারে মোট চার মেয়াদের বন্ড রয়েছে। এগুলো হলো: ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর ও ২০ বছর মেয়াদি বন্ড। ট্রেজারি বন্ডের প্রত্যেকটিরই অভিহিত মূল্য ১ লাখ টাকা। পুঁজিবাজার বা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলাম থেকে এসব বন্ড কেনা যায়। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে বছরে ৭ থেকে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়। 


    এছাড়া, টাকা একটু বেশি হলে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি নিতে চাইলে খোলা আছে শেয়ারবাজার। একটি বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) হিসাব থাকলেই হলো। ভালো কোম্পানি দেখে শেয়ার কিনতে পারেন। এ ছাড়া প্রাইমারি শেয়ারেও বিনিয়োগ করতে পারেন। শেয়ার বাজারে সাধারণত তিনটি খাতে বিনিয়োগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে স্টক, বন্ড, এবং মিউচুয়াল ফান্ড। স্টক বলতে বোঝায় কোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে সে কোম্পানির মালিকানায় অংশ নেওয়া। ভবিষ্যত সম্ভাবনা ভালো, এমন কোম্পানির শেয়ার কিনলে আপনার শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর লভ্যাংশও পাওয়া যাবে। আর বন্ডের ক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ মেয়াদান্তে ফেরত পাবেন এবং তার আগে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন। শেয়ার বাজারের পণ্যগুলোর মধ্যে বন্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি সবচেয়ে কম থাকে।


    অন্যদিকে, মিউচুয়াল ফান্ড হলো- কোনো কোম্পানি যখন অনেক বিনিয়োগকারীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে সংগ্রহ করে সেগুলোকে পুনরায় স্টক, বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করে। এক্ষেত্রেও আপনি লভ্যাংশ পাবেন এবং পরবর্তীতে বিনিয়োগকৃত অর্থও ফেরত পাবেন। মূলত যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সময় লাভ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকেন, তারা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ, এক্ষেত্রে আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে স্টক বা বন্ড কিনবেন, সেই কোম্পানিটি শেয়ার বাজার সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাখে। তাই আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকবে।

     

Close
Guitar Foundations: A Step-by-Step Beginner's Journey
Research Methodology & Paper Publication (With SPSS and AMOS basic)
Research Methodology & Paper Publication (With SPSS and AMOS basic)