অনেকেই সারা জীবনের কষ্টের উপার্জনে ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। তাই সতর্ক থাকা উচিত, যাতে বিনিয়োগটি ঝুঁকিতে না পড়ে।আমাদের এই ভিডিওতে আমরা সেই সব জিনিসগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনাদের সাহায্য করবে সঠিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে। ভিডিওটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে নিশ্চিতভাবেই আপনি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন।
উত্তরঃ চুক্তি অনুযায়ী আপনার বুকিং দেওয়া ফ্ল্যাটটি সময়মতো না হলে অথবা চুক্তিতে যে নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার না করলে নকশা পরিবর্তনসহ কোনো বিষয়ে জটিলতা তৈরি হয়, তাহলে নিজেদের মধ্যে সমাধান না হলে বিষয়টি সালিস আইন ২০০১ মোতাবেক সালিশি ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। তখন সালিশি ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। ৩০ দিনের মধ্যে উভয় পক্ষ যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনে ব্যর্থ হয় তাহলে যেকোনো পক্ষ বিবদমান বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত আদালতে মামলাও করতে পারবে। এই আইনের অধীনে অপরাধগুলো প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করেন। বিচারের সময় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করবেন আদালত। এই আইনের বিধিবিধান লঙ্ঘন করলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা উভয় কারাদণ্ড হতে পারে। তাই ফ্ল্যাট কেনার সময় উপরিউক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করে চুক্তিতে সই করতে হবে। একবার চুক্তি হয়ে গেলে তা থেকে বের হওয়া অনেক ঝক্কিঝামেলা। তাই ভালোভাবে জেনে–বুঝে তবেই ফ্ল্যাটের বুকিং দিন। কাজ করার আগে বারবার বুঝেশুনে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
উত্তরঃ কোনো প্রকার মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফ্ল্যাটটি না কিনে সরাসরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেনা ভালো। যদি কিস্তির মাধ্যমে কেনার কথা থাকে, তাহলে কয় কিস্তি এবং হস্তান্তর কবে হবে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে চুক্তিনামায় লেখা থাকতে হবে। যদি কোনো কারণে না কেনা যায়, তাহলে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হবে, তা-ও স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে।
উত্তরঃ জমির মালিকের সঙ্গে ডেভেলপারের আমমোক্তারনামা ও যে যে চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়েছে, তা ভালোভাবে যাচাই করে নিন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জমির মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে চুক্তিগুলো রেজিস্ট্রি করা হয় না। যে কারণে জমির মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে আপনাকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। ইদানীং অনেক প্রতিষ্ঠান মাঝপথে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে যায় কিংবা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করার অজুহাতে জমির মালিক কাজ বন্ধ করে দেন। আবার চুক্তিপত্রে উল্লিখিত ক্ষমতার বাইরে ডেভেলপার কিছুই করতে পারবে না ।
উত্তরঃ এটি নিশ্চিত করতে হবে যে প্রস্তাবিত ফ্ল্যাটটি সরকারের খাস জমিতে আছে নাকি; সরকারের কোন স্বার্থ আছে। এটাও দেখা উচিত যে জমি অর্পিত সম্পত্তি বা পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় আছে কিনা। জমি আগে যে কোন সময়ে অধিগ্রহণ করা হয়েছে বা প্রক্রিয়াধীন আছে কিনা, তা ওয়াকফ, দেবোত্তর জমি কিনা তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি যাচাই জমির মালিক কোন অ্যাটর্নি বা অ্যাটর্নি নিয়োগ করেছেন কিনা তা খুঁজে বের করুন। এটি সঠিক কিনা তা অ্যাটর্নিকে দেখতে হবে। যদি বিক্রেতা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা পেয়ে থাকে, তাহলে তার বৈধতা যাচাই করা প্রয়োজন। প্রকৃত মালিক সঠিক কিনা এবং অ্যাটর্নি সঠিক কিনা তা দেখার জন্য প্রকৃত মালিকের সাথে যোগাযোগ করুন।
রাজউকের অনুমোদন আছে কিনা
আপনি যে এলাকায় ফ্ল্যাট কিনতে চান সেই এলাকার বাজার মূল্য দেখুন।
আপনি যদি ফ্ল্যাটটি পুনরায় বিক্রয় করতে চান, সেই অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করুন এবং ফ্ল্যাটের যত্ন নিন।
পুরনো ফ্ল্যাট কেনার সময় অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিক এবং ভবনের অধিবাসীদের সম্পর্কে জানুন।
ফ্ল্যাট ক্রয় চুক্তি একাধিকবার পড়ুন।
ফ্ল্যাটটি ব্যাংকের কাছে ঋণের জন্য বন্ধক আছে কিনা তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
খাজনা না দেওয়ার জন্য জমি কখনও নিলাম হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে।
আপনি যে জায়গায় ফ্ল্যাট নিতে যাচ্ছেন সেখানকার নিরাপত্তা।
ভবনের সুযোগ সুবিধা।