নিজের আয়কর নিজেই হিসেব করুন। চাকুরীজীবীদের আয়কর হিসাব করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। (Income Tax Return)

Description

দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি বাড়ছে চাকরিজীবীর সংখ্যা। যাদের অনেকেই কর দিয়ে থাকেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নতুন একটি রিটার্ন ফর্ম ‘আইটি-১১ঙ’ চালু করেছে যা অনেক সহজ। এই নতুন রিটার্ন ফর্ম মাত্র তিন পৃষ্ঠার। আগে যাদের বেতন থেকে আয় ছিল তাদেরকে মূল রিটার্নের সঙ্গে তফসিল ২৪এ জমা দিতে হতো। কিন্তু নতুন রিটার্ন ফর্মে সে ধরনের কোনো ছাপানো ফর্ম নেই। সাদা কাগজে আপনার বেতন থেকে করযোগ্য আয় গণনার হিসেব জমা দিতে হবে। এই ভিডিওতে আমরা একটি উদাহরণের মাধ্যমে খুব সহজেই করযোগ্য আয় এবং আয়কর হিসাব করবো। আর তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি দেখুন এবং নিজের আয়কর রিটার্ন নিজেই তৈরি করে জমা দিন ।

 

 

  • প্রশ্ন ১: আয়কর রিটার্ন কি ?

    উত্তরঃ আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট একজন করদাতার বার্ষিক আয় , ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফর্মে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন  যা আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর নির্দিষ্ট একটি ছকে পূরণ করে জমা দিতে হয়। আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনেও এই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। 

  • প্রশ্ন ২: আয়কর রিটার্ন করা দাখিল করবেন ?

    উত্তরঃ কারাআয়করআয়কররিটার্নকরদবনদাখিলকরবেনতাদেরকেদুইভাগেচিহ্নিতকরাযায় 

    ক।যাদেরকরযোগ্যআয়রয়েছে

    করযোগ্য আয়ের ভিত্তেতে যাদেরকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে 

    ১।  কোনোব্যক্তি-করদাতারআয়যদিবছরেতিনলাখটাকারবেশিহয়;

    ২।  নারীএবং৬৫বছরবাতদূর্ধ্ববয়সেরকরদাতারআয়যদিবছরেসাড়েতিনলাখটাকারবেশিহয়এবং

    ৩। গেজেটভুক্তযুদ্ধাহতমুক্তিযোদ্ধাকরদাতারআয়যদিবছরেলাখ৭৫হাজারটাকারবেশিহয়এটাইকরযোগ্যআয়।

     

    খ।  যাদেরআবশ্যিকভাবেরিটার্নদাখিলকরতেহবে।             

     

     যাঁদেররিটার্নদাখিলবাধ্যতামূলক

    জাতীয়রাজস্ববোর্ড (এনবিআর) বেশকিছুক্ষেত্রেআয়কররিটার্নদাখিলবাধ্যতামূলককরেদিয়েছে।

    . এবারেযারারিটার্নদাখিলকরবে, তাদেরআয়বছরহচ্ছে২০১৯-২০।আগেরতিনবছরেরযেকোনোবছরেযদিকরনির্ধারণহয়েথাকে, তাহলেওরিটার্নদিতেহবে।

    . কোনোকোম্পানিরশেয়ারহোল্ডারপরিচালকবাশেয়ারহোল্ডারেরকর্মচারীহলে।

    . কোনোফার্মেরঅংশীদারহলে।

    . সরকারঅথবাসরকারেরকোনোকর্তৃপক্ষ, করপোরেশনবাইউনিটেরকর্মচারীহিসেবেযদি১৬হাজারটাকাবাএরবেশিমূলবেতনপান।

    . কোনোব্যবসায়বাপেশায়নির্বাহীবাব্যবস্থাপনাপদেবেতনভোগীকর্মীহলে।

    . আয়করঅব্যাহতিপেলেওহ্রাসকৃতহারেকরযোগ্যহলে।

    . মোটরগাড়িরমালিকহলে (জিপবামাইক্রোবাসকেওবোঝাবে)

    . কোনোসিটিকরপোরেশন, পৌরসভাবাইউনিয়নপরিষদথেকেট্রেডলাইসেন্সনিয়েকোনোব্যবসাবাপেশাপরিচালনাকরলে।

    . মূল্যসংযোজনকরআইনেরঅধীননিবন্ধিতকোনোক্লাবেরসদস্যপদথাকলে।১০. চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ডঅ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্টঅ্যান্ডম্যানেজমেন্টঅ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতিঅথবাসার্ভেয়ারহিসেবেবাসমজাতীয়পেশাজীবীহিসেবেকোনোস্বীকৃতপেশাজীবীসংস্থারনিবন্ধিতহলে।

    ১১. আয়করপেশাজীবীহিসেবেএনবিআরেনিবন্ধিতহলে।

    ১২. কোনোবণিকবাশিল্পবিষয়কচেম্বারঅথবাব্যবসায়িকসংঘবাসংস্থারসদস্যহলে

    ১৩. কোনোপৌরসভাবাসিটিকরপোরেশনেরকোনোপদেবাসাংসদপদেপ্রার্থীহলে

    ১৪. কোনোসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসংস্থাবাকোনোস্থানীয়সরকারেরকোনোটেন্ডারেঅংশগ্রহণকরলে।

    ১৫. কোনোকোম্পানিরবাকোনোগ্রুপঅবকোম্পানিজেরপরিচালনাপর্ষদেথাকলে।

    ১৬. মোটরযান, স্পেসবাস্থান, বাসস্থানঅথবাঅন্যান্যসম্পদেরমাধ্যমেঅংশগ্রহণমূলকঅর্থনৈতিককাজেযুক্তথাকেন (যেমনউবারেগাড়িদেওয়া) এবং

    ১৭. লাইসেন্সধারীঅস্ত্রেরমালিকহলে।

  • প্রশ্ন ৩: কত আয় হলে কর দিতে হয় ?

    উত্তরঃ আপনি যদি পুরুষ হন আর আপনার বাৎসরিক আয় যদি তিন লাখ হয় তবে সেই পর্যন্ত আপনার কোন আয় কর নেই ।  তবে আয় এর উপরে চলে গেলেই আপনি আয় করের আওতায় পরবেন । আর নারী অথবা ৬৫ বছরে বেশি হলে বাৎসরিক সারে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ । কিন্তু তার উপরে গেলেই তিনি করের আওতায় পরবেন । আয় যত করের হার তত বাড়তে থাকবে ।

    আর ও পরিষ্কার করে বলা যায়—

    ১. প্রথম বার্ষিক তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ও পর কোনো কর দিতে হয় না। ( নারী অথবা ৬৫ বছরে বেশি হলে ৩,৫০, ০০০ এবং গেজেট ভুক্ত যুদ্ধা হত মুক্তিযোদ্ধা হলে ৪,৭৫,০০০ )
    ২. তিন লাখের পরের আয়ের ১ লাখ টাকার ও পর ৫ শতাংশ কর দিতে হয় । ওই আয়ের ও পর ব্যক্তির আয় কর হবে বার্ষিক ৫হাজার টাকা।
    ৩. পরবর্তী ৩ লাখ টাকা আয়ের ও পর কর বসে ১০ শতাংশ, ফলে ব্যক্তির করের পরিমাণ দাঁড়াবে আর ও ৩০ হাজার টাকা।
    ৪. পরবর্তী ৪ লাখ টাকার ও পর কর ১৫ শতাংশ । তখন কর দাতা কে আর ও ৬০হাজার টাকা কর দিতে হয় ।
    ৫. পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ও পর কর হয় ২০ শতাংশ, এতে ব্যক্তি কে দিতে হয় আর ও ১ লাখ টাকা কর ।
    ৬. অবশিষ্ট টাকার ও পর কর আরোপ হয় ২৫ শতাংশ হারে । ফলে যত বেশি আয় হবে, তত বেশি করে দিতে হবে।

     

  • প্রশ্ন ৪: কিভাবে কর দেবেন ?

     

    উত্তরঃ প্রথম যে কাজটি করবেন সেটি হল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইটে  https://nbr.gov.bd/  সকল তথ্য ভালো করে পড়ুন ।

    ·       এরপর আপনাকে একটা টিন নম্বর অথবা ট্যাক্স আইডেন্টি ফিকেশন নম্বর নিতে হবে। সেটি করতে হলে রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে ।
    ·      জাতিয় পরিচয় পত্রের নম্বর, নাম পরিচয় এমন কিছু তথ্য সেখানে আপনাকে দিতে হবে । আপনি টিন নম্বর পাওয়া মানে আপনি আয় কর বিষয়ক নিজের একটি পরিচয় তৈরি করলেন ।আপনার নামের প্রথম অক্ষর, আপনার কর্ম প্রতিষ্ঠানের নামের প্রথম অক্ষর, বাসস্থানের ঠিকানার উপর নির্ভর করতে আপনি কোন কর অঞ্চলে পরছেন । এরপর সব মিলিয়ে বছরে আপনার আয় কত সেটি হিসেব করুন । আপনি আয় করের আওতায় পরে নকি না সেটি বুঝে নিন।

    আয় করের আওতায় পরলে কর কত হচ্ছে তা বাৎসরিক আয় অনুযায়ী হিসেব করুন । আমাদের ভিডিওটিতে একটি উদহারণ এর মাধ্যমে খুব সহজে ( ২০১৮-১৯অর্থবছরের ) বুঝনো হয়েছে কর যোগ্য আয়ের উপর ধাপে ধাপে গণনা করে কত টাকা  কর হয়।  একই নিয়মে আপনি হাল নাগাদ অর্থ বছরে কর রেট হিসাব করে আপনার হাল নাগাদ কর গণনা করতে পারবেন ।

    হিসেবে যা আসে সেটি আপনি সরকারকে দেবেন । আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা টি জমা দিতে পারেন।অথবা সরাসরি আপনি যে কর অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার ট্যাক্সেজ কর্মকর্তা বরাবর পেঅর্ডার করে কর দিতে পারেন ।

  • প্রশ্ন ৫: রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হয় ?

    উত্তরঃ প্রতিটি শ্রেণির কর দাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয় কর সার্কেল নির্দিষ্ট করা আছে । যেমন ঢাকা জেলায় অবস্থিত সব বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা / কর্মচারী ও পেনশন ভুক্ত কর্মকর্তা / কর্মচারীর নাম ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ অক্ষর দিয়ে শুরু হয়েছে, তাঁদের ডাকা কর অঞ্চল-৪–এর কর সার্কেল-৭১–এ রিটার্ন জমা দিতে হবে । পুরোনো কর দাতারা বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন জমা দেবেন । নতুন কর দাতারা তাঁদের নাম, চাকরি স্থল বাব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে টিআইএন উল্লেখ করে আয় কর রিটার্ন দাখিল করবেন ।

    রিটার্ন দাখিলের সময় অনেকে বিদেশে অবস্থান করলে সেখান কার বাংলাদেশ দূতাবাসে ও রিটার্ন দাখিল করা যায় । আবার কোনো সরকারি কর্মকর্তা প্রেষণে বা ছুটিতে উচ্চ শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে থাকলে বা লিয়েনে বাংলাদেশের বাইরে থাকলে, প্রেষণ বা লিয়েন শেষ করে দেশে আসার তিন মাসের মধ্যে সব রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন ।

  • প্রশ্ন ৬: কোন ক্ষেত্রে করে ছাড়ের সুবিধা পাবেন ?

    উত্তরঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি কিছু ছাড় পাবেন । যেমন- সঞ্চয় পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ, জীবন বীমার প্রিমিয়াম, প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা, কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা, ডিপোজিট পেনশন স্কিল (ডিপিএস) বিনিয়োগ,  ট্রেজারি বন্ড বিনিয়োগ ,

     

    শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা থাকে, এ রকম কিছু ক্ষেত্রে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কর মওকুফের সুবিধা পাবেন।এক্ষেত্রে আয় কর আইনজীবীরা বলেন, সরকারি সঞ্চয় পত্র কিনে রাখাই সবচেয়ে ভালো।সঞ্চয়পত্র কে সবচাইতে ঝুঁকিমুক্ত মনে করা হয়। সঞ্চয় ব্যুরো, পোষ্ট অফিস অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি এটি কিনতে পারবেন ।

  • প্রশ্ন ৭ : রিটার্ন দাখিলের সময় ও জরিমানা ?

    উত্তরঃ ২০২০-২১ কর বছরের জন্য ২০২০ এর ৩০ নভেম্বর হচ্ছে রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ । তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে সময় সীমা বাড়ানো যায় ।এজন্য নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে উপ–করকমিশনারের কাছে আবেদন করতে হয় । এনবিআরের ওয়েব সাইটে সময় বাড়ানোর আবেদন ফরম পাওয়া যায় ।  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা, ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ এবং বিলম্ব সুদ আরোপ করবে এনবিআর । আর সময় বাড়ানোর অনুমোদন থাকলে কেবল জরিমানা দিতে হবে না, কিন্তু অতিরিক্ত সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ দিতে হবে ।

  • প্রশ্ন ৮: কর অঞ্চলগুলোর টেলিফোন নম্বর

    উত্তরঃ উপকর কমিশনার, সদরদপ্তরের (প্রশাসন) টেলিফোননম্বর

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৩৪৩৭৮

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৩১৯৬৮

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৩০৫৫২

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৩০৮৬৫

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৩৩১৪৫

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৩৪৯০৮৬

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৮৩২২০৪০

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৯৫৮৫২৩১

    কর অঞ্চল-, ঢাকা: ০২-৭৯১৩৭৭২

    কর অঞ্চল-১০, ঢাকা: ০২-৮৩৯১২০৮

    কর অঞ্চল-১১, ঢাকা: ০২-৯৫১৪৮৩২

    কর অঞ্চল-১২, ঢাকা: ০২-৭১১৯৮৮৪

    কর অঞ্চল-১৩, ঢাকা: ০২-৯৫৮৮৬২৫

    কর অঞ্চল-১৪, ঢাকা: ০২-৯৫১৩২৬০

    কর অঞ্চল-১৫, ঢাকা: ০২-৮৩৩১৬৭৮

    কর অঞ্চল-, চট্টগ্রাম: ০৩১-৭২৩১১৬

    কর অঞ্চল-, চট্টগ্রাম: ০৩১-২৫১৫৫৭২

    কর অঞ্চল-, চট্টগ্রাম: ০৩১-৭২৮৩২৬

    কর অঞ্চল-, চট্টগ্রাম: ০৩১-৭২৬৪৬৬

    কর অঞ্চল-খুলনা: ০৪১-৭৬১৯৮৩

    কর অঞ্চল-রাজশাহী: ০৭২১-৭৭৫৭৯৭

    কর অঞ্চল, রংপুর: ০৫২১-৬১৭৭৩

    কর অঞ্চল, সিলেট: ০৮২১-৭২৫৪৩২

    কর অঞ্চল-বরিশাল: ০৪৩১-২১৭৭৭৯০

    কর অঞ্চল-গাজীপুর: ০২-৯২৬১৮০৪

    কর অঞ্চল-নারায়ণগঞ্জ: ০২-৭৬৪৬২৬২

    কর অঞ্চল-বগুড়া: ০৫১-৬৭৯২১

    কর অঞ্চল-কুমিল্লা: ০৮১-৭২৬৭০

    কর অঞ্চল-ময়মনসিংহ: ০৯১-৬৬১৭৫

    বৃহৎ কর দাতা ইউনিট: ০২-৯৩৩২০১০, এক্স-১০৬

    কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল, ঢাকা: ০২-৯৫১৪৪৬৯

Close
MAwbiz.com