মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে নিরাপদ এক বিনিয়োগ বিকল্পের নাম পরিবার সঞ্চয়পত্র। পাঁচ বছর মেয়াদি এ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই সঞ্চয়পত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর মুনাফা মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষেরা পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এ সঞ্চয়পত্র কেনার সময় দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি থাকতে হয়। দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি দিতে হয় নমিনি বা নমিনিদের। ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এগুলো কেনা যাবে জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে। পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা নিতে হয় মাসিক ভিত্তিতে। মূল্যমান অনুযায়ী মুনাফার পরিমাণও নির্ধারণ করা আছে। যেমন ১০ হাজার টাকায় ৯৬ টাকা, ২০ হাজার টাকায় ১৯২ টাকা, ৫০ হাজার টাকায় ৪৮০ টাকা, ১ লাখ টাকায় ৯৬০ টাকা, ২ লাখ টাকায় ১ হাজার ৯২০ টাকা এবং ৫ লাখ টাকায় ৪ হাজার ৮০০ টাকা। মাসিক মুনাফা নেওয়ার পর পাঁচ বছর শেষে মূল টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে মাসিক মুনাফা কর্তন করে সরকার বাকি অর্থ ফেরত দেবে।
উত্তরঃ পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র,পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিনমাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশন সঞ্চয়পত্র—বর্তমানে এ চার ধরনের সঞ্চয় পত্র চালু রয়েছে ।
নামের মধ্যেই রয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র যেটা পাঁচ বছরের মেয়াদের ।৫০ হাজার টাকা,১ লাখ টাকা,২ লাখ টাকা,৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয় পত্র রয়েছে । আর পরিবার সঞ্চয় পত্র রয়েছে ১০ হাজার,২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্য মানের ।একই জায়গা থেকে ভাঙানো ও যায়।ভাঙানোর দিন গ্রাহক কে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে ।
উত্তরঃ সবাই পরিবার সঞ্চয় পত্র কিনতে পারেন না ।এ ব্যাপারে সরকার কিছু শর্ত ঠিক করেদিয়েছে । যেমন ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর ও তারচেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষেরা পরিবার সঞ্চয় পত্র কিনতে পারবেন। এ সঞ্চয় পত্র কেনার সময় দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি থাকতে হয় ।দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি দিতে হয় নমিনি বা নমিনিদের।
উত্তরঃ ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয় পত্র রয়েছে । এগুলো কেনা যাবে জাতীয় সঞ্চয়ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক সহসবত ফসিলি ব্যাংক এবংডাক ঘর থেকে।এক ইজায়গা থেকে ভাঙানো ও যাবে এগুলো ।যেসব জায়গায় পুরোপুরি অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়নি, সে সবজায়গা থেকে সঞ্চয়পত্র আর কেনা যাচ্ছে না।সব সঞ্চয় পত্রেরই নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে । ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ১.সব সঞ্চয়পত্রেরই নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে ।ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাবেন।সঞ্চয়পত্র কিনতে ফরম পূরণ করতে হবে এবং সঙ্গে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির দুইকপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি ।গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে। তবে নমিনির ছবির সত্যায়ন করতে হয় গ্রাহককে।
২. এক লাখ টাকার বেশি অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্ত করণ নম্বর (ইটিআইএন) থাকতেই হবে।
৩. গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে।নমিনি নাবালক হলে লাগে জন্মনিবন্ধনের কপি।
৪. গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা ও আসলটাকা স্বয়ংক্রিয় ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগে।পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগ কারীকর্তৃপক্ষের সনদ।
উত্তরঃ পরিবার সঞ্চয়পত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর মুনাফা মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া হয় । হারিয়ে গেলে,পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে গ্রাহকের নামে বিকল্প (ডুপ্লিকেট) সঞ্চয় পত্র ও ইস্যু করা হয় ।তবে এসঞ্চয়পত্র ব্যাংক ঋণের জন্য জামানত বা আমানত হিসেবে ব্যবহার করা যায় না ।
গত ১ জুলাই 2019 থেকে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। যেসব জায়গায় অনলাইন চালুহয়নি, তারা সঞ্চয়পত্র বিক্রিই করতে পারবে না।
উত্তরঃ বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী, এক জন ব্যক্তি তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবংপরিবারসঞ্চয় পত্র, তিনটি স্কিমমিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন ।তবে যেকোনো এক টিস্কিমে ৩০ লাখ টাকার বেশি কিনতে পারবেন না।
তবে যৌথ নামে আর ও ৫০ লাখটাকার সঞ্চয় পত্র কিনতে পারবেন।অর্থাৎ সব মিলিয়ে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
তবে এই নিয়মের কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে পেনশনার সঞ্চয় পত্রের ক্ষেত্রে ।এটি শুধু মাত্র পেনশন ধারী ব্যক্তিরা কিনতে পারবেন।ফলে তারা এক নামে ৫০ লাখের সঞ্চয় পত্র কিনতে পারবেন।এর বাইরে একক নামে অথবা যৌথ নামে তারা ৫০ লাখ অন্যান্য স্কিমের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন ।
উত্তরঃ মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হলে ও পরিবার সঞ্চয় পত্রের বছর ভিত্তিক মুনাফার হার কম । যেমন প্রথম বছর শেষে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চতুর্থ বছর শেষে ১১শতাংশ ।
পূর্ণ মেয়াদের জন্য ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে ১ লাখ টাকায় প্রতি মাসে মুনাফা ৯৬০ টাকা । কিন্তু কেউ যদি আগেই ভেঙে ফেলতে চান, সেক্ষেত্রে যত বছরের মাথায় তা ভাঙাবেন, সে অনুযায়ী মুনাফা পাবেন তিনি ।
উত্তরঃ পরিবার সঞ্চয় পত্রে মুনাফা নিতে হয় মাসিক ভিত্তিতে । মূল্যমান অনুযায়ী মুনাফার পরিমাণ ও নির্ধারণ করা আছে ।
যেমন ১০ হাজার টাকায় ৯৬ টাকা, ২০ হাজার টাকায় ১৯২ টাকা, ৫০ হাজার টাকায় ৪৮০ টাকা, ১ লাখ টাকায় ৯৬০ টাকা, ২ লাখ টাকায় ১ হাজার ৯২০ টাকা এবং ৫ লাখ টাকায় ৪ হাজার ৮০০ টাকা ।এথেকে বাদ যাবে ৫ শতাংশ উৎসে কর ।১০ লাখ টাকায় মুনাফা পাওয়া যাবে ৯ হাজার ৬০০ টাকা, কিন্তু এথেকে বাদ যাবে ১০ শতাংশ উৎসে কর।
উদহারণ স্বরূপ : ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রেখে আপনি পাবেন - পরিবারসঞ্চয়পত্রে ১ লাখ টাকায় মাসিক মুনাফা পাওয়া যায় ( ৯৬০ -৯৬ ) ৮৬৪ টাকা । ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৪৮৪ টাকা। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৬৪৬ টাকা।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে একেক বছরের জন্য একেক হারে মুনাফা পাওয়া যায়।
উত্তরঃ মাসিক মুনাফা নেওয়ার পর পাঁচবছর শেষে মূল টাকা ফেরত পাওয়া যাবে । মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে মাসিক মুনাফা কর্তন করে সরকার বাকি অর্থ ফেরত দেবে ।
যেমন এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয় পত্র কিনে মেয়াদ পূর্তির কত আগে তাভাঙালে কত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে, তা ঠিক করা আছে । যেমন প্রথম বছর চলাকালীন এক লাখ টাকা ভাঙালে কোনো মুনাফা পাওয়া যাবে না। সব ধরনের সঞ্চয় পত্রে এক বছর পার হওয়ার আগেই কেউ ভাঙাতে চাইলে কোনো মুনাফাই দেওয়া হয় না । শুধু মূল টাকা নিতে হয়।
তবে দ্বিতীয় বছর চলাকালীন মুনাফা সহ পাওয়া যাবে ১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা ।
এভাবে তৃতীয় বছর চলাকালীন ভাঙালে ১ লাখ ২০ হাজার, চতুর্থ বছর চলাকালীন ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ এবং পঞ্চম বছর চলাকালীন ১ লাখ ৪৪হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
উত্তরঃ সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক কোনো কারণে মারা গেলে টাকা পাবেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি । সঞ্চয়পত্রে এক বা একাধিক নমিনি করার সুযোগ রয়েছে । যদি ও নমিনি মনোনয়ন বাধ্যতামূলক নয় । তবে ভবিষ্যতে নগদায়ন ঝামেলা এড়াতে গ্রাহকেরা সাধারণত নমিনি মনোনয়ন দিয়েই থাকেন।এমন কি নাবালক কেও নমিনি করা যায় । গ্রাহকের মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদ নিয়ে সঞ্চয়পত্রের নগদায়ন করতে হয় ।গ্রাহক ও নমিনি উভয়ই মারা গেলে সঞ্চয় পত্র ভাঙাতে পারেন আইনানুগ উত্তরাধিকারীরা ।
উত্তরঃ ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখলে তার বিপরীতে জরুরি প্রয়োজনে ২ দিনের নোটিশে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। কিন্তু সঞ্চয়পত্র জামানত রেখে কোনো ব্যাংক ঋণ নেওয়া যায় না।সঞ্চয় পত্র হারালে, চুরি হলে, পুড়ে গেলে বা অন্য কোনো ভাবে নষ্ট হলে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক তা সম্পন্নের পর ডুপ্লিকেট কপি পাওয়া যায় ।
সব ধরনের সঞ্চয় পত্রে একবছর পার হওয়ার আগেই কেউ ভাঙাতে চাইলে কোনো মুনাফাই দেওয়া হয়না । শুধু মূলটাকা নিতে হয়।
নিম্ন লিখিত URL ওয়েব এড্রেস থেকে হাল নাগাদ সকল তথ্য ও সেবা পাবেন
http://www.nationalsavings.gov.bd/site/page/d074ce23-94bc-401d-ab56-ff273cb52965/-