চট্টগ্রাম মহানগরীর সৃজনশীল বইয়েব চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে ২০০৫ সালের ১৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাতিঘর। নগরীর চেরাগী গাহাড় মোড়ে মাত্র ১০০ বর্গফুট আয়তলের ছোট্ট বাতিঘর শুরুতেই বইপ্রেমীদের দুষ্টি আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে বাতিঘৰ পরিণত হয় গাঠক, লেখক, প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলায়। একসময় ছোট পরিসরে পাঠকদের দাঁড়াবার জায়গা আর বই রাখার স্থান সংকুলান হয় না। বইপ্রেমীদের উৎসাহে বা্তিঘর স্বপ্ন দেখে বড় ও মানসম্পন্ন একটি গ্রন্থবিপণি প্রতিষ্ঠার।প্রতীক্ষার অবসান হয় দীর্ঘ সাত বছর পর । ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর জামালখানের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় বড় পরিসরে যাত্রা শুরু করে বাতিঘর। বন্দরনগবী চট্টগ্রামের ইতিহাস-এতিহ্যকে ধারণ করে। চলমান জাহাজের আদলে নতুন এই গ্রন্থবিপণির অভ্যন্তরীণ ডিজাইন করেন শিল্পী শাহীনুর রহমান। শুরুতে সংশয় ছিল, বড় মাপের ব্যয়বহুল এই গ্রন্থবিপণি টিকবে তো? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বইপ্রেমীদের প্রিয় বাতিঘবকে একদিনের জন্যও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। বরং সারাদেশের বইপ্রেমী মানুষদের কাছে উদাহরণ হয়ে দাড়িয়েছে। বইপড়ুয়াদের পদচারণার মুখর হয়ে। ইতোমধ্যে ১৫ বছর অতিক্রম করেছে বাতিঘর।
বাতিঘরের তিনটি আউটলেটে এখন রয়েছে শতাধিক বিষয়ের ৮০০০ লেখক ও ২৫০০ প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ৯০ হাজার বইয়ের সংগ্রহ। প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, উপন্যাস, অন্য ভাষার সাহিত্য, জীবনী ও আত্মজীবনী, ধর্মীয় বই, আইন, আত্মউন্নয়নমূলক বই, রান্নার বই, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, মনোবিজ্ঞান, দর্শন, গণিত ও বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, ভূতের বই, প্রকৃতি, চারুকলা, স্থাপত্যশিল্প, নাট্যতত্ত্ব, চলচ্চিত্র, ইতিহাস, রাজনীতি, সাংবাদিকতা ছাড়াও রয়েছে ইংরেজি বইয়ের বিশাল সম্ভার। আমাদের বইয়ের এই সংগ্রহকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের পাঠকদের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য আমাদের এই অনলাইন যাত্রা। প্রাথমিক ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইল সবার কাছে।
No existing sales at this time
No existing deals / offers at this time
No existing coupons at this time
No existing coupons at this time