About Us
বরিশাল রেঞ্জ ০৬টি জেলা যেমনঃ বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি নিয়ে গঠিত। এখানে রিজার্ভ ফোর্স (আর.আর.এফ) নামেও একটি ইউনিট রয়েছে। বরিশাল জেলাঃ ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল।...
বরিশাল রেঞ্জ ০৬টি জেলা যেমনঃ বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি নিয়ে গঠিত। এখানে রিজার্ভ ফোর্স (আর.আর.এফ) নামেও একটি ইউনিট রয়েছে। বরিশাল জেলাঃ ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল। দক্ষিন পূর্ব বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারকালে রাজা দনুজ মর্দন কর্তৃক চন্দ্রদ্বীপ নামে এ স্বাধীন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চতুর্দশ শতাব্দি পর্যন্ত এ অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ রাজ্য প্রতিষ্ঠার পূর্বে এ অঞ্চল বাকলা নামে পরিচিত ছিল। ১৭৯৬ খ্রিঃ পর্যন্ত এ জেলা বাকল চন্দ্রদ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। ১৭৯৭ খ্রিঃ ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে জেলার সদর দপ্তর বাকেরগঞ্জ জেলাকে বরিশালে স্থানান্তরিত করা হয়। বরিশাল জেলার আয়তন ২,৭৯১ বর্গ কিলোমিটার। বরিশাল জেলার উত্তরে চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর; দক্ষিণে ঝালকাঠি,বরগুনা ও পটুয়াখালী; পূর্বে লক্ষ্মীপুর ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর,ঝালকাঠি ও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত। বরিশাল জেলায় জনসংখ্যা ২,৩২৪ মিলিয়ন। বরিশাল জেলায় ১০টি থানা যেমনঃ বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদি, বানারীপাড়া, গৌরনদী এবং কাজিরহাট। ০৪টি তদন্তকেন্দ্র যেমনঃ শর্শী, শরিকল, আগরপুর ও লবনসাড়া। ০২টি পুলিশ ফাঁড়ী যেমনঃ বোয়ালিয়া এবং শেওড়া সৈয়দখালী হরিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ী। বরিশাল জেলায় মোট পুলিশ জনবল ১৫১০। বাংলার কীর্তিমান পুরুষদের জন্মস্থান হিসেবে বরিশাল জেলার সুনাম রয়েছে। কিছু কীর্তিমান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন শেরে-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, কবি জীবনানন্দ দাস, বেগম সুফিয়া কামাল, শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বরিশাল জেলায় দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে গুটিয়া মসজিদ (উজিরপুর), শাপলার বিল (উজিরপুর), মাহিলাড়া মঠ (গৌরনদী), বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপেন মহিউদ্দিন জাদুঘর (বাবুগঞ্জ), কলসকাঠি জমিদার বাড়ি (বাকেরগঞ্জ), দুর্গাসাগর (বাবুগঞ্জ), ভাসমান বাজার (উজিরপুর), চাখার শের-ই-বাংলা স্মৃতি জাদুঘর (বানারীপাড়া), কবি বিজয় গুপ্তের মনসা মন্দির (আগৈলঝাড়া), জমিদার মুন্সি বাড়ি (আগৈলঝাড়া), উলানিয়া জমিদার বাড়ি এবং চরহোগলা জমিদার বাড়ি অন্যতম। বরিশাল জেলা পুলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। পটুয়াখালী জেলাঃ ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা গঠিত হয়। সাবেক বাকেরগঞ্জ জেলার একটি মহকুমা ছিল । এটি খুলনা বিভাগের অর্ন্তভুক্ত ছিল। পটুয়াখালী জেলার আয়তন ১৬৭৫ বর্গমাইল বা ৩,২২০.১৫ বর্গ কিলোমিটার। পটুয়াখালী জেলায় ৯টি থানা (পটুয়াখালী থানা,মির্জাগঞ্জ ,দুমকি,বাউফল,দশমিনা,গলাচিপা,গলাচিপা,কলাপাড়া,রাঙ্গাবালী ও মহিপুর থানা); ৪টি তদন্তকেন্দ্র (কাঠালতলী,কলাগাছিয়া,বগা,চরমোন্তাজ); ১টি পুলিশ ফাঁড়ি(সদর), ২টি পুলিশ ক্যাম্প (উলানিয়া ও কালিশুরী) রয়েছে । এ জেলায় কর্মরত পুলিশ জনবল ১২৬৮ জন। পটুয়াখালী জেলা বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের জেলাগুলোর অন্যতম। এ জেলা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। জেলার উত্তর সীমান্তে বরিশাল জেলা অবস্থিত ও পশ্চিম সীমানা দিয়ে বলেশ্বর নদী প্রবাহিত। জেলার পূর্ব সীমানা ঘেঁষে তেঁতুলিয়া নদী ভোলাকে পটুয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দক্ষিণ-পূর্ব মোহনা অভিমুখে অগ্রসর হয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে ৮টি উপজেলা। এ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে অনেকগুলো নদী । যেমন - লাউকাঠি, লোহালিয়া, আন্ধারমানিক পায়রাগঞ্জ,তেঁতুলিয়া, পাঙ্গাশিয়া, আগুনমুখ ইত্যাদি।নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। নদীগুলো জোয়ার-ভাটার আওতাভুক্ত। ৬ ঘণ্টা পর পর জোয়ার-ভাটা হয়। শীতের মৌসুমে স্রোত ক্ষীণ হয়ে জাগে। তখন জোয়ারের তীব্রতা থাকে সবচেয়ে কম। এ জেলায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়।এছাড়া তিল, তিশি, মুগ ,কলাই ও অন্যান্য রবি ফসল উৎপন্ন হয়। কৃষি মৌসুমে পুঁইশাক,করল্লা,চিটিঙ্গা,বরবটি ইত্যাদি চাষ হয়।কৃষি ফসলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে সুপারি ও নারিকেল উৎপন্ন হয় । এ জেলার জেলেরা নদী ও সমুদ্রে ইলিশ , রূপচাঁদা , লটিয়া , কোরাল , পোয়া , পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে থাকে। দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ১. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ২.কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির,৩. কুয়াকাটা রাখাইন পল্লী ৪.মির্জাগঞ্জ উপজেলায় হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার,৫. দুমকি উপজেলায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৬. সোনার চর অন্যতম। পটুয়াখালী জেলায় জন্ম নেয়া বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার ইসলাম (সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট),কবি খন্দকার আব্দুল খালেক,ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ (সাবেক ছাত্রনেতা ও সমাজ সেবক), ডাক্তার কামরুন নেছা (ভাষা সৈনিক), এ এন আনোয়ারা বেগম ( ভাষা সৈনিক), এ্যাড: জেবুন নেছা ( ভাষা সৈনিক), স্মরণ ইমাম (কবি), মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস (শিক্ষানুরাগী), কলাপাড়ায় কলেজ,স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন, তানিয়া আহমেদ (অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক, ওয়াসিমুল বারী রাজীব( চলচ্চিত্র অভিনেতা), হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস ( সাবেক ভিপি বি এম কলেজ,পাকিস্তান আমল), শহীদ আলাউদ্দিন(১৯৬৯ এর শহীদ)। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ভোলা জেলাঃ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি ভোলা জেলা গঠিত হয়। ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ। ভোলা, জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৪ সালে।পূর্বে এটি নোয়াখালী জেলার অধীনে sub division ছিল। নোয়াখালী জেলার অধীনে sub division হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ১৮৪৫ সালে। তখন এর প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল বর্তমান দৌলতখানে। ১৮৬৯ সালে sub division হিসেবে বরিশাল জেলার অধীনে যুক্ত হয় । পরবর্তীতে ১৮৭৬ সালে প্রশাসনিক কেন্দ্র দৌলতখান থেকে ভোলায় স্থানান্তর হয়। বর্তমান ভোলা জেলাতে ৭ টি উপজেলা, ৬৮ টি ইউনিয়ন রয়েছে। আয়তন: নদীনালা ও জলাভূমিসহ এ জেলার আয়তন ১,১৩৩.৪৬ বর্গ কিলোমিটার। সীমানা: বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলা জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা ও মেঘনা নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নোয়খালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা ও মেঘনানদী এবং পশ্চিমে বরিশাল ও পটুয়াখালী ও তেঁতুলিয়া নদী। ভোলা জেলায় ১০টি থানা যেমন: ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন , বোরহানউদ্দিন, মনপুরা, তজুমদ্দিন , চরফ্যাসন, শশীভূষণ, দুলারহাট ও দক্ষিণআইচা । তদন্তকেন্দ্র ০৮ টি যেমন: চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর পু,৩.বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, মঙ্গল শিকদার, মির্জাকালু , ভেলুমিয়া, চর কলাতলী এবং ইলিশা । ফাঁড়ি ১টি।যেমন: টাউন পুলিশ ফাঁড়ী। ভোলা জেলায় কর্মরত পুলিশ জনবল ১২৫৮ জন। ভোলা জেলার দর্শনীয় স্থানঃ ১. মানিকা মিয়া বাড়ি, ২.কুতুবা মিয়া বাড়ি, ৩.দেউলা তালুকদার বাড়ি, ৪.পরান তালুকদার বাড়ি, ৪.রজনী করের বাড়ি , ৫. দৌলতখানের জমিদার কালা রায়ের বাড়ি । তাছাড়া মনপুরা দ্বীপ, চর কুকরী মুকরী, ওয়াচ টাওয়ার, তারুয়া সমূদ্র সৈকত, ডাল চর ইত্যাদি এ জেলার অন্যতম আকর্ষণ। ভোলার ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি ও ঘোষের দধির সুনাম দীর্ঘকাল ধরে। অতিথি আপ্যায়ন ও জামাই আপ্যায়নে ভোলাবাসীর প্রথম পছন্দ এ দধি ও মিষ্টি। ভোলা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্বঃ ১.বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল, ২. কবি মোজ্জাম্মেল হক,৩. মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান, ৪.কবি নাসির আহমেদ, ৫.অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, ৬. এ কে মকবুল আহমেদ, ৭. মোঃ হোসেন চৌধুরী। ভোলা জেলা পুলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। পিরোজপুর জেলাঃ পিরোজপুর জেলা বঙ্গোপসাগরের ঔরসজাত জোয়ার-ভাটার পলিরেণুতে গড়া একটি পলল ভূ-ভাগ। সমুদ্রের লোনাজল স্নাত হয়ে গাঙ্গেয় বদ্বীপের দক্ষিণভাগে সাগরবক্ষে একদিন যে মৃত্তিকা উঁকি দিয়েছিল, সেটিই কালক্রমে পরিণত হয়েছে জনপদে, মুখরিত হয়েছে জনকোলাহলে। তবে গাঙ্গেয় বদ্বীপের যে ভূ-ভাগ নিয়ে পিরোজপুর জনপদ গঠিত, সে অঞ্চল অপেক্ষাকৃত বয়সে নবীন ও বাংলাদেশের দক্ষিণভাগে অবস্থিত প্রান্ত পিরোজপুর জেলার আয়তন ১২৭৭.৮০ বর্গ কিমি বা ৪৯৩.৩৬ বর্গ মাইল এবং জেলার লোকসংখ্যা ১৩,২৭,৫৩১ জন। পিরোজপুর জেলায় ০৭টি থানা যেমনঃ পিরোজপুর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানি, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ এবং কাউখালী। ০৩টি তদন্ত কেন্দ্র যেমনঃ মাটিভাঙ্গা, বৈঠাকাটা ও তেলিখালী। ০৫টি পুলিশ ফাঁড়ি যেমনঃ পিরোজপুর পৌরসভাস্থ শহর, পাটিকেলবাড়ি, পাড়েরহাট, নাপিতখালী এবং কৈয়ারখাল। মোট পুলিশ জনবল ১৫১০। বাংলার কীর্তিমান পুরুষদের জন্মস্থান হিসেবে বরিশাল জেলার সুনাম রয়েছে। কিছু কীর্তিমান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন আহসান হাবিব, খান মোসলেহ্ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান,খালিদ হাসান মিলু, ক্ষমাদাস গুপ্তা,আসাদুজ্জামা, শেরে-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, কবি জীবনানন্দ দাস, বেগম সুফিয়া কামাল, শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। পিরোজপুর জেলায় দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে বলেশ্বর ব্রীজ, জিয়ানগর ব্রীজ, মঠবাড়ীয়ার মাঝের চর, সাপলেজা কুঠি বাড়ি ও মমিন মসজিদ, শামীম লজ, রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ী ও শিব মন্দির, হুলারহাট লঞ্চঘাট, নাজিরপুরের ফ্লোটিং গার্ডেন ও প্রনব মঠ, নেছারাবাদের পেয়ারা বাগান, কাঠমহল, শর্ষিণার প্রখ্যাত পীর হজরত নেছার উদ্দিন (রহঃ) এর মাজার, কবি আহসান হাবিবের বাড়ি, পাড়েরহাট আবাসন প্রকল্প, শের-এ বাংলার জন্ম স্থান (নানা বাড়ি) অন্যতম। পিরোজপুর জেলা পুলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। বরগুনা জেলাঃ ১৯৬৯ সালে বরগুনা পটুয়াখালী জেলার অধীনে একটি মহকুমা হয় । ১৯৮৪ সালে দেশের প্রায় সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে বরগুনা জেলায় পরিণত হয়।উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা । কেউ কেউ বলেন , বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা ।আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা । বরগুনা জেলার আয়তন ১৮৩১.৩১ বর্গ কিমি। এবং সীমানা উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে পটুয়াখালী জেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা।মোট জনসংখ্যা ৮৪৮৫৫৪; পুরুষ ৪৩০৪২২, মহিলা ৪১৮২৩২। বরগুনা জেলা পুলিশের অধীনে ০৬টি থানা বিদ্যমান। বরগুনা সদর থানা, বেতাগী থানা, আমতলী থানা, তালতলী থানা, পাথরঘাটা থানা ও বামনা থানা।০২টি তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। সদর থানার আওতাধীন বাবুগঞ্জ বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও চান্দুখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। ০৩টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এগুলো হলো-টাউন পুলিশ ফাঁড়ি, রানীপুর ব্রীজেরহাট পুলিশ ফাঁড়ি ও গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ি। কীর্তিমান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হক জনাব সেলিনা হোসেন শাহজাদা আবদুল মালেক খান। বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান বিবিচিনি শাহী মসজিদ (বেতাগী), বৌদ্ধ মন্দির (তালতলী) ও বৌদ্ধ একাডেমি। বরগুনা জেলা পুলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ঝালকাঠি জেলাঃ ঝালকাঠি ভূখন্ডে ঠিক কবে থেকে জনবসতি শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও নাম দেখে বোঝা যায়-এখানে অতি প্রাচীনকাল হতে কৈবর্ত জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রথম আবাদ আরম্ভ করেছিল। কৈবর্ত জেলেদের ঝালো বলা হতো এবং তাদের পাড়াকে বলা হতো ঝালোপাড়া। ঝালকাঠী বন্দরে পূর্বে অধিকাংশ নাগরিকই ছিল কৈবর্তদাস বা জেলে সম্প্রদায়ের লোক। বর্তমান ঝালকাঠীর পশ্চিম তীরে জেলেরা জঙ্গল সাফ করে বাসস্থান তৈরী করতঃ জেলে+কাঠি=জাল+কাঠি অপভ্রংশে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয়েছে। এই জেলে ও জঙ্গলের কাঠি থেকেই উৎপত্তি হয় ঝালকাঠির নাম। ঝালকাঠি জেলার আয়তন: ৭৫৮.০৬ বর্গ কিমি। সীমানা-উত্তর ও পূর্বে বরিশাল জেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর জেলা, দক্ষিণে বিশখালী নদী ও বরগুনা জেলা।জনসংখ্যা ৬৯৪২৩১; পুরুষ ৩৪৫৭৩৫, মহিলা ৩৪৮৪৯৬। ঝালকাঠি জেলা পুলিশের অধীনে 4 টি থানা যথাক্রমে নলছিটি,ঝালকাঠি সদর, রাজাপুর ও কাঠালিয়া থানা। ০২টি তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। ‡k‡LinvU I Zviveywbqv পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। ০২টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। m`i cywjk পুলিশ ফাঁড়ি I bjwQwU পুলিশ ফাঁড়ি। কীর্তিমান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আযীযুর রহমান (কায়েদ সাহেব হুজুর), কামিনী রায়| এ জেলার ঐতিহাসিক দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে রাজাপুর সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, কবি জীবনানন্দ দাশ এর মামা বাড়ি ও কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি উলেস্নখযোগ্য। এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে গাবখান সেতু, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, গালুয়া পাকা মসজিদ, নেছারাবাদ কমপেস্নক্স, পোনাবালিয়া মন্দির, সিদ্ধকাঠী জমিদার বাড়ি, নলছিটি পৌর ভবন, চায়না কবর, কামিনী রায়/ যামিনী সেনের বাড়ী ইত্যাদি।